Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
অপরাধ - দৈনিক বিশ্ব

রূপসায় দেড় কেজি গাঁজাসহ আটক-১

এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসায় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১ কেজি ৫০০ গ্ৰাম গাঁজাসহ আটক হয় এক ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে খুলনা মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের এস আই মো. আকবর আলী জানান- গোপন সংবাদে জানতে পায় রূপসার নৈহাটি ইউনিয়ন নেহালপুর এলাকায় একটি বসত ঘরে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করেছে। এ খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গত ১২ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে উক্ত বাড়ি ঘেরাওপূর্বক তল্লাশি চলার একপর্যায়ে জনি খাঁ স্বীকার করে এবং দেখিয়ে দেয় খাটের নিচে বাজার ব্যাগে রক্ষিত গাঁজা বাহিরপূর্বক তাকে আটক করা হয়। সে নৈহাটি ইউনিয়নের নেহালপুর মিস্ত্রী পাড়া এলাকার মো. হাফিজুর রহমান খাঁর ছেলে মো. জনি খাঁ (২৬)। তার নিকট হইতে ১ কেজি ৫০০ গ্ৰাম গাঁজা উদ্ধার হয়। পরে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়।

বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

//বাগেরহাট  প্রতিনিধি //

বাগেরহাটে সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত সজীব বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা ছিলেন।

এসময় সজীবের সাথে থাকা আহত কামাল তরফদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, সজীব তরফদার দুপুরে বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

রূপসায় গাঁজা গাছ সহ আটক-১

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসায় বসত ঘরের পাশে অবৈধভাবে গাঁজা গাছ চাষ করার অপরাধে আটক হলো বাড়ীর কর্তা।

এ ব্যাপারে খুলনা মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের এস আই মো. আকবর আলী জানান- গোপন সংবাদে জানতে পায় রূপসার টিএসসি ইউনিয়ন স্বল্পবাহিরদিয়া গ্রামে এক বাড়িতে অবৈধভাবে গাঁজা গাছের চাষবাদ করছে।

রূপসায় গাঁজা গাছ চাষ অপরাধে গাঁজা গাছ সহ আটক-১

এ সংবাদে গত ২৭ অক্টোবর বিকেলে উক্ত এলাকায় আমার নেতৃত্বে সঙ্গিয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মো. কাওসার আলী ফকিরের বাড়ী থেকে ৩টি গাঁজা গাছ উদ্ধার হয়। যা প্রায় ২ বছর বয়স, ১৫ ফুট লম্বা গাছটিতে ফুল আশা শুরু করেছে। সে আ: জলিল ফকিরের ছেলে মো. কাওসার আলী ফকির (৪৭)। তার বসত ঘরের পাশে লুকিয়ে গাঁজা গাছ চাষের স্থানটি দেখিয়ে দেয়। গাঁজা গাছ জব্দপূর্বেক চাষ করার অপরাধে আটক করা হয়। পরে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়।

একটি সূত্র জানায়- ধৃত কাওসার আলী ফকিরের পুত্র মো. জুবায়ের ফকির ওরেফে সাব্বির (১৭)। পরিবারের অজান্তে উক্ত গাঁজা গাছ রোপণ করে পরিবারকে আজ বিপদগ্রস্ত করেছে।

 

রূপসায় ১০পিচ ইয়াবাসহ আটক-১

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১০ পিচ ইয়াবা সহ আটক হয় এক ব্যবসায়ী।

এব্যাপারে কিসমত খুলনা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই মো. শফিকুল ইসলাম জানান- গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পায় রূপসার নৈহাটি ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় (সুন্দরবন লবণ ফ্যাক্টরি) সামনে অবৈধ মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় চলছে।

তখন আমার নেতৃত্বে এ এস আই মো. মিলন হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স গত ২৭ অক্টোবর দুপুরের দিকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সংগীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামীকে ধরতে সক্ষম হই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শরীরে লুকিয়ে রাখা ১০ পিচ ইয়াবা বাহির করে দেয়। সে নৈহাটি ইউনিয়ন বাগমারা গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদার (২৯)। তার নিকট হইতে ইয়াবা উদ্ধারপূর্বক আটক করা হয়।

পরে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়।

রূপসায় ১ কেজি গাঁজাসহ আটক-১

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন এলাকায় পুলিশের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১ কেজি গাঁজাসহ আটক হয় এক ব্যবসায়ী।

পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই মো.ওহিদুর রহমান জানান- আমার নেতৃত্বে এ এস আই রতন সহ সঙ্গীয় ফোর্স গত ২২ অক্টোবর সকাল ৬ টার দিকে গোপন সংবাদে জানতে পায় আইচগাতী উত্তরপাড়া ঈদগাহ ময়দানের সামনে অবৈধ মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় চলছে। এ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সংগীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামীকে আটক করতে সক্ষম হই।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতে বাজারের ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত পলিথিনে মোড়ানো গাঁজা বাহির করে দেয়। সে আইচগাতি ইউনিয়ন দেয়াড়া (ফরেন মার্কেট) এলাকার মৃত হাকিম ফরাজীর ছেলে মো. পলাশ হোসেন ওরফে ইউনুছ (৪০)। তার নিকট হইতে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধারপূর্বক দীর্ঘ দিন মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে বলে স্বীকার করে।

পরে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে রূপসা থানায় মামলা রুজু করা হয়।

এনআইডি কার্ড জালিয়াতি করে ও বোনের জেএসসি সনদপত্র ব্যবহার করে খুর্শিদা আক্তারের ডিপ্লোমা নার্সিং ডিগ্রী

//বিশেষ প্রতিবেদক//

মেজ বোনের জেএসসির সনদপত্র নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এক লাফে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় খুর্শিদা আক্তার ওরফে লাকি আক্তার। তিনি এখন যশোরের ডাক্তার মেজবাহ উর রহমান মেডিকেল টেকনোলজি কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ৭৫০১০০১৬০৪, সেশন: ২০১৯-২০।

বর্তমানে খুর্শিদা আক্তার নাম এবং দু’দফায় জন্মনিবন্ধন এবং নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র করার চেষ্টা করছে।

প্রতারণা ঘটনার শুরু বাগেরহাটের মোংলাতে। খুর্শিদা আক্তার ও মেজ বোন লাকি আক্তার দু’জনই বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌর এলাকার শফিক হালদারের মেয়ে। যাদের বর্তমান বৈবাহিক ঠিকানা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামে।

খুর্শিদা আক্তারের প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১ জুন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৩৩১৫১১০০ এবং জন্মনিবন্ধন নম্বর ১৯৯৬০১৫৮৬৪০১০০৯১২, সে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।

অপরদিকে মেজবোন লাকি আক্তার লেখপড়া করেছেন ১১৪৯৯৮ চাঁদপাই মেশেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে, যার জেএসসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১৩৩৩৫৭৫৩, সেশন ২০১১ এবং রোল নম্বর ছিল ২৪১৭৫১।

খুর্শিদা আক্তার তার মেজ বোন লাকি আক্তারের জেএসসির সনদপত্র নিয়ে আলহাজ শেখ আফসার উদ্দিন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা হতে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে  একজন শিক্ষক ও সুপারের সহায়তায় অবৈধভাবে এসএসসি পাস করেন, যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১১১৩৩৩৫৭৫৩, সেশন-২০১৬-১৭,   এদিকে, মেজ বোন লাকি আক্তার বড় বোনকে তার সনদপত্র (জেএসসির) সরবরাহ করায় নিজের নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করেছেন। এখন দু’বোনই চেষ্টা করছেন নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তনের জন্য। মেজ বোন লাকি আক্তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন কথা আক্তার লাকি। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৯৮ সালের ১ জুন। জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৯ সালের ৫ আগস্ট করেছেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনে ১৯৯৯ সালের জন্ম তারিখ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ তথ্য গোপনের পর কথা আক্তার লাকি নামের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৫৬৩১৯০১ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৯৯০১২৫০০১০৬২০০২। এখন দু’বোনের মধ্যে মেজ বোন জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন করতে পারলেও নানা কারণে আটকে রয়েছেন বড় বোন খুর্শিদা আক্তার। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্র মেজ বোন লাকি আক্তারের নাম বসিয়ে পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন।

সূত্র বলছে, তথ্য গোপন করে খুর্শিদা আক্তার পরবর্তীতে লাকি আক্তার নামে জন্মনিবন্ধন করেন, যার নম্বর ০১৯৮০১২৫০০১০৬২০০৩। এবং লাকি আক্তার নাম পরিবর্তন করে কথা আক্তার লাকি নামে যে জন্ম নিবন্ধন করেন তার নম্বর ১৯৯৯০১২৫০০১০৬২০০২। তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দু’টি জন্ম নিবন্ধনের নম্বরই পরপর। ফলে দু’বোনই যে প্রতারণা করেছেন সেটি স্পষ্ট হয়েছে।

এদিকে ডাঃ মেজবাহ উর রহমান মেডিকেল টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ খুর্শিদার নিকট হতে মোটা টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় এবং খুর্শিদা আক্তারকে দ্রুত এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে বলেন। কিন্তু খুর্শিদা এনআইডি কার্ড সংশোধনে ব্যর্থ হলে অধ্যক্ষ মহোদয় খুর্শিদাকে দিয়ে https://gamitisa.com/tools/bd-oldnidcard লিংক ব্যবহার করে জালিয়াতি করে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করিয়ে নেন এবং সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে গলাবাজি করছেন। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সে একের পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন চেষ্টা করে আসছিলেন, কিন্তু  সরোজমিনে তদন্তপূর্বক এটি সংশোধন যোগ্য নয় বলে বাতিল করা হয়েছে।

একের পর এক জালিয়াতি করেও  বহাল তবিয়তে নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে সে তার কার্যছক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই, এবং বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। এভাবে এরা একসময় হয়ত সরকারী চাকুরিও করবে, প্রশ্ন এসে যায় দেশ-জাতি এদের কাছ থেকে কি আশা করবে…? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মকর্তারা কি এভাবেই জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে যাবে…?

রূপসায় ১১ পিচ ইয়াবাসহ দু’জন আটক করেছে পুলিশ

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন এলাকায় পুলিশের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১১ পিচ ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক হয়।

পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই মো.ওহিদুর রহমান জানান- আমার নেতৃত্বে এ এস আই রতন সহ সঙ্গীয় ফোর্স গত ১৭ অক্টোবর দুপুর ১ টার দিকে, শ্রীফলতলা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করি। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় যাত্রীসহ একটি ভ্যানগাড়ি থামাই, সাথে সাথে সামনে বসা দুজন দৌড়ে পালানো চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক ধরে শরীর তল্লাশির মধ্যে ১১ পিচ ইয়াবা উদ্ধারপূর্বক আটক করা হয়।

আসামিরা হলো- আইচগাতি ইউনিয়নের শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে তানভির আহম্মেদ তৌকির (২২) এর কাছে ৬ পিচ ইয়াবা এবং শীরগাতি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজির ছেলে হাসান গাজি (২৩) এর কাছে ৫ পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় তারা স্বীকার করে যে তারা মাদক বেচা কেনা করে থাকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়।

কচুয়ায় মাদ্রাসার ভেতরে গাঁজা সেবন করার ২ জনের ৬ মাসের কারাদন্ড

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

কচুয়ায় নূরজাহানপুর দাখিল মাদ্রাসার ভেতরে গাঁজা সেবন করার অপরাধে দুই জনকে ৬ মাস কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী হাকিম কে এম আবু নওশাদ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮ অনুয়ায়ী ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২৫০০ টাকা করে জরিমানা করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের নূরজাহানপুর দাখিল মাদ্রাসার ভেতরে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট সদরের পোলঘাট এলাকার এনামুল কবির জয়নালের ছেলে মিজানুর রহমান রিদয়(২০) একই এলাকার মোস্তাফার ছেলে ইয়ামিন শেখ (১৯)কে আটক করে। দুই জনেই পল্লী বিদ্যুতের কাজের সুবাদে মাদ্রাসাটির বোর্ডিং এ অবস্থান করছিলেন।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ বলেন, কচুয়া উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি সকলেন সহযোগীতা কামনা করেন।তিনি আরোও বলেন জনস্বার্থে যে কোন ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহসীন হোসেন, মাদ্রাসার সুপার, আর্নসার সদস্যসহ স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।#

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রূপসায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

খুলনা প্রতিনিধি:

ভারতে ইসলাম ধর্ম ও রাসূল (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি রামগিরি মহারাজ ও রূপসায় অন্তর বৈরাগী কর্তৃক কটূক্তি   করার প্রতিবাদে রূপসা উপজেলায়  বিক্ষোভ সমাবেশ  ও প্রতিবাদ মিছিল করেন বিভিন্ন ইসলামীক সংগঠনের ছাত্র -জনতা।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৩টায় মিছিলটি আলাইপুর  কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কাজদিয়া সরকারী উচ্চ মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত  হয়।

আয়োজক কমিটির  আহবায়ক সামন্তসেনা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আ:হান্নান এর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সামন্তসেনা  দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো:  শফিউদ্দিন।

আলাইপুর বাসী, পুটিমারী  যুব সমাজ, ভবানীপুর যুব সমাজ  ও উপজেলার তাওহিদী জনতার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা হেকমত হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন  উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক  ইমাম পরিষদের সদস‍্য হাফেজ মাওলানা জামাল উদ্দীন,  ইমাম পরিষদের ঘাটভোগ ইউনিয়ন শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক  মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম পরিষদ ঘাটভোগ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা জামসেদ হোসাইন, মাওলানা মুফতি মনজুরুল ইমাম, হাফেজ শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আ: রহিম শিকদার,  হাফেজ আবু মুছা।

আ: রউপ   শিকদারের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আলামিন হোসাইন, মাওলানা অহিদুল্লাহ, মাওলানা তরিকুল ইসলাম,মাওলানা মফিজুল ইসলাম,মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আ:রহিম,  মো: মুছা লস্কর,  মো: রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সদস‍্য মো: আমিনুল ইসলাম, তামিম হাসান লিয়ন,  মো:  আসিফ আল মাহদুদ, মুরাদ হাসান রাজু, সাহিদুল শেখ, মনির ঢালী,মো: রায়হান মুন্সী, সিরাজুল শিকদার, হুমায়ুন শিকদার, অহিদ শিকদার, হাসান, জিহাদ,ইমাম জাহিদুল ইসলাম,নুর ইসলাম, আ:হান্নান, মো:আবদুল্লা,  মো: আহম্মদ শেখ, রাজিব মোল্লা প্রমূখ।

দোকানে ফেরা হলোনা কাসেমের, কুপিয়ে হত্যা করে নিয়ে গেলো সাথে থাকা ৬ লক্ষ টাকা

//মাহমুদুল হাসান,আমতলী, বরগুনা//

বরগুনার আমতলীতে এক বিকাশের এজেন্ট ব্যবসায়ী আবুল কাসেমকে কুপিয়ে হত্যা করে কাছে থাকা টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দশটার দিকে। নিহত ব্যবসায়ী আবুল কাসেম (২৩) উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের মোঃ নুর উদ্দিন মোল্লার ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে দোকান থেকে নিহত কাসেম বাড়িতে ফিরছিল বাড়ীর কাছাকাছি সড়কের পাশে ধান ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে।

জানা যায়,আবুল কাশেম কলাগাছিয়া বাজারে বিকাশ,ফ্লেক্সিলোড ও ইলেকট্রনিক্স মালামালের ব্যবসা করতেন। বাজারের দোকান বন্ধ করে রাত দশটার দিকে ব্যবসার টাকা ব্যাগে নিয়ে বাড়ি কাছাকাছি পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে বাড়ির পাশে ধান খেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এবং সাথে থাকা টাকাও নিয়ে যায়।

নিহতের মামাতো ভাই সাইদুল বলেন,আমার ফুপি আমাকে ফোন দিয়ে বলে কাশেম এখনো বাড়ি আসে নাই,দেখতো কাশেম বাজারে কিনা। কাশেম যেসব দোকানে বসে সেইসব দোকানে খুঁজেও কাশেমকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কাশেমকে খুঁজতে খুঁজতে যখন বাড়ি যাই, রাস্তার উপর আমার ফুপিকে দেখতে পাই। বাড়ির সামনে একটু গিয়ে দেখি আমার ভাই ধান ক্ষেতের ভিতরে পড়ে আছে, চিৎকার দিয়ে আমি আর আমার ফুফু সেখানে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। তিনি আরো বলেন,ঘটনার দিন আমার ভাই কাসেম পটুয়াখালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষের মতো টাকা ছিল বলে দাবি করেন তার মামাতো ভাই সাইদুল।  আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,ঘটনা শুনে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।