রূপসায় বাড়ি চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ 

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়ন আমদাবাদ গ্রামের মৃতঃ শাজাহান এর ছেলে মো. লালচান এর বসত ঘর চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং অভিযোগ পত্রে জানা যায়- মো. লালচান গত ৩ মে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে দোকানে চা খাওয়ার জন্য যায়। পরবর্তীতে বাড়ি এসে দেখেন ঘরের কাপড়-চোপড় এলোমেলো সন্দেহে দেখতে পায় ঘর থেকে একটি ডিজিটাল ইলেকট্রিক চুলা, বালিশের নিচে রাখা ৩ হাজার ৫ শত টাকা চোরেরা কৌশলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়টি নিয়ে পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাদের একটি বড়ধরণের গৃহ ইটদ্বারা নির্মাণের কাজ চলছিল। চোররা সুযোগ নিয়ে বড় ক্ষতি করতে চেয়েছিল বলে মনে হয়। উক্ত বিষয়ে আইনি সহয়তা পেতে রূপসা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

সুন্দরবনে অভিযানে হরিণ ধরা ফাঁদ ও বরফ’সহ একটি ট্রলার আটক

//বিশেষ প্রতিনিধি জেনিভা প্রিয়ানা//

সুন্দরবনের জ্ঞানপাড়া এলাকা থেকে ট্রলার বোঝাই হরিণ ধরার ফাঁদ জব্দ করেছে বন বিভাগ। তবে চোরা শিকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার (২ মে) রাত ১২টার দিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা এ অভিযান চালান।

পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জ্ঞানপাড়া মাঝেরচরের পশ্চিম পাড় এলাকায় ফরেস্টার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের সময় বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা ট্রলার ও হরিণ ধরার ফাঁদ ফেলে বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার ও আশপাশের এলাকা তল্লাশি করে ৬ বস্তা হরিণ ধরার ফাঁস, ১০ মণ বরফ এবং একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করা হয়।

চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, আসামি শনাক্ত ও ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জব্দকৃত হরিণ ধরার ফাঁদ এবং ট্রলারের বিরুদ্ধে বন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, ‘বন, বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট। চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বাগেরহাটে মাদকসহ একজনকে আটক করেছে র‍্যাব-৬

//জেনিভা প্রিয়ানা,  বিশেষ প্রতিনিধি//

বাগেরহাট জেলার সদর থানা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে ১৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৬, সিপিএসসি জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। বিষয়টি জানতে পেরে র‍্যাব-৬, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশীসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ০১ মে  র‍্যাব-৬, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাঠাল গ্রামে একটি মূদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর এক ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ইং ০১ মে ২০২৫ তারিখ ১৫.৫০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত স্থনে পৌঁছামাত্র র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জনৈক ব্যক্তি তাহার সাথে থাকা ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ও ভ্যানের উপর একটি নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ড্রামসহ পালানোর চেষ্টাকালে র‍্যাব-৬, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল  আসামি  ১। আব্দুল হালিম হাওলাদার (৫৮), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ হাওলাদার, সাং-বাসাবাটী, পশ্চিম বাসাবাটী রোড, বাগেরহাট পৌরসভা, থানা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাটকে ভ্যানসহ গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ১৫০(একশত পঞ্চাশ) বোতল মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন।

পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  গ্রেফতারকৃত আসামিকে বাগেরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাগেরহাটের মংলায় আত্মহত্যার আগে ধর্ষিত, মূল হোতা গ্রেফতার

//বিশেষ প্রতিনিধি জেনিভা প্রিয়ানা//

মোংলা শহরে কিশোরী (১৪) আত্মহননের ঘটনার ভিন্ন মোড় নিতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রচার পেলেও এখন জানা যাচ্ছে, বখাটে যুবক অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এই কিশোরীকে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন স্পষ্টে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ ও এর ভিডিও করে রাখে।

পরে ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। লজ্জা ও বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক পর্যায়ে আত্মহননে বাধ্য হয়।

এ ঘটনার প্রায় চার মাস পর নিহতের বাবা এক নারীসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে বাগেরহাট আদালতে গত ৭ই এপ্রিল ধর্ষণ ও আত্মহননে প্ররোচনার দায়ে এজাহার দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে গত ২১শে এপ্রিল মোংলা থানা পুলিশ এজাহারটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণসহ আত্মহত্যার প্ররোচিত সংক্রান্ত ধারায় মামলা রেকর্ড করেন।

এদিকে পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি আসহাবুল ইয়ামিনকে (২৪) বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধবী কলোনি এলাকা থেকে গত ২২শে এপ্রিল গ্রেফতার করে। গ্রেফতার যুবকের বাবা সোহেল রানা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি নৌযানে মাস্টার পদে কর্মরত রয়েছেন।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই কিশোরী পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায় বেশ পারদর্শী ছিল। অত্যন্ত চটপটে এই কিশোরীর ক্রিকেট খেলার সুবাদে মোংলার বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত ছিল। বিভিন্ন জায়গায় খেলার সূত্র ধরে আসহাবুল ইয়ামিন ও তার কয়েক সহযোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়।

কিছু দিন পর আসহাবুল ও তার সহযোগীরা তাকে ফুঁসলিয়ে ট্রলারে করে সুন্দরবনের করমজল পিকনিক স্পষ্টে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে আসহাবুল ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে দৃশ্য ও নগ্ন ছবি-ভিডিও নিয়ে রাখে। এরপর ব্ল্যাকমেল করতে থাকে।

ভিডিও-ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এভাবে দিনকে দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ১৪ই ডিসেম্বর তাকে এক সহযোগীর মোটরসাইকেলে করে আসহাবুল কাইনমারী এলাকায় একটি কফিশপে ডেকে নেয়। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আসহাবুল তিরস্কার, লজ্জাজনক ও অপমানমূলক নানা কথাবার্তা বলাসহ তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এতে ঘরে ফিরে আত্মহত্যা করে কিশোরী।

এদিকে এ ঘটনায় প্রথমে মোংলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। পরে নিহতের অভিভাবকরা বিভিন্ন মাধ্যমে এসব ঘটনা জানতে পেরে আসহাবুলসহ তার কয়েক সহযোগীর বিরুদ্ধে বাগেরহাট আদালতে গত ৭ই এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণসহ আত্মহত্যার প্ররোচিত সংক্রান্ত ধারায় এজাহার দাখিল করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনার অন্যতম হোতা আসহাবুল ইয়ামীনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসহাবুল পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা ও তার নিজের সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মুক্তিপণের উদ্দেশ্য আঁটকে রাখা তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার

//জেনিভা প্রিয়ানা,  বিশেষ প্রতিনিধি//

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

উদ্ধারকৃত শ্রীলঙ্কান নাগরিকরা হলেন—মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা থুপ্পি এবং মুদিইয়ানসেল্যাগ নীল। তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

আটককৃতরা হলেন—দক্ষিণ আমবাড়ি এলাকার সেরাত কাজীর ছেলে কাজী এমদাদ হোসেন (৫২), সবুর শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (২৪), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের জাকির শেখের ছেলে জনি শেখ (৩৮) এবং চরকুড়িয়া এলাকার এস.এম. শাহাবুদ্দিনের ছেলে শামসুল আলম।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারের আগে শ্রীলঙ্কার ওই নাগরিকরা শহিদুল শেখ নামের এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছিলেন। গত ২২ এপ্রিল তারা ঢাকায় পৌঁছান। পরে অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি মোবাইল নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।

বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রূপসায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ জুনায়েদ ও তার সহযোগীরা আটক

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র সহ জুনায়েদ ও তার সহযোগীরা আটক হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ এপ্রিল ভোর ৪ টায় দিকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন দেয়াড়া গ্ৰামে জুনায়েদের ডক ও বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনাপূর্বক তল্লাশির মধ্যদিয়ে (৯ মিঃ মিঃ) পিস্তল ১টি ম্যাগাজিন সহ, দেশী তৈরী পিস্তল ২টা, পাইপগান ২টা, দেশী চাইনিজ কুড়াল ১টা, চাকু ১টি, রামদা ১টি উদ্ধার পূর্বক তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- রূপসার আইচগাতী ইউনিয়ন মিলকি দেয়াড়া এলাকার মৃত শেখ নুরুদ্দীনের ছেলে মো. জাহিদুজ্জামান (৪৮), মো. জোনায়েদ (৫৫) ও মো. মোশারফ হোসেন (৪২), লুৎফর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর (৪৩) ও আজানুর মুন্সি (৩৬), মৃত মোজাহার উদ্দীনের ছেলে জহির উদ্দীন (৩৬) প্রমূখ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান- অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গ্রেফতারকৃতদের রূপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাছাড়া সেনাবাহিনী জানিয়েছে- সন্ত্রাস বিরোধী এই ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।

যৌথবাহিনীর অভিযানে খুলনার রূপসায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে আজ ভোররাতে সেনা ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি দেশীয় পাইপগান, ২টি দেশীয় পিস্তল, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি রামদা ও ১টি ডেগার।

গোয়েন্দার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোর ০২:১০টা থেকে সকাল ০৬:৩০টা পর্যন্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী হান্নানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সবার বাড়ি খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন দেয়াড়া ও মিল্কি এলাকায়।

অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গ্রেফতারকৃতদের রূপসা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান- অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক থানায় এজাহার ও জব্দতালিকা মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযান: দুই সন্দেহভাজন আটক, উদ্ধার দুই জেলে

//বিশেষ প্রতিনিধি: জেনিভা প্রিয়ানা//

সুন্দরবনের আশপাশের এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে দুই জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। একই সময় জিম্মি অবস্থায় থাকা দুই জন জেলেকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে বাহিনীটি।

আটককৃতরা হলেন, খুলনার দাকোপ উপজেলার মোঃ শাজাহান মোল্লা (৪৮) এবং বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোঃ সুমন হাওলাদার (৩০)।

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযান: দুই সন্দেহভাজন আটক, উদ্ধার দুই জেলে

উদ্ধার জেলেরা হলেন, পাইকগাছার আজিজুল শেখ (৫৫) এবং আলম গাজী (৩৭)।

রোববার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা এলাকা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কিছু গুলি সহ একজনকে আটক করা হয়।

পরে রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ৩টায় সুন্দরবনের নলিয়ান এলাকার খেয়াঘাট থেকে আরেকজনকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তারা স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং ওই এলাকায় যাতায়াত করতেন।

এছাড়া আজ ভোর ৫টায় সুন্দরবনের আড়শিবসা নদীর পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় দুই জেলেকে, যারা ৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। উদ্ধার শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় কোস্ট গার্ড।

কোস্ট গার্ড আরও জানায়, সুন্দরবন ও আশপাশের অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, এবং এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে।

বাগেরহাটের মংলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংস জব্দ

//বিশেষ প্রতিনিধি: জেনিভা প্রিয়ানা//

মোংলায় কোস্টগার্ডের একটি অভিযান চলাকালে ৩১ কেজি হরিণের মাংস, ১টি মাথা এবং ৪টি পা জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকালে মোংলার জয়মনিরঘোল সাইলো জেটি সংলগ্ন এলাকায় কোস্ট গার্ডের হারবারিয়া স্টেশন একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে ঐ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত একটি বস্তা থেকে সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণের ৩১ কেজি মাংস, ১টি মাথা এবং ৪টি পা উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিণ শিকারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জব্দকৃত হরিণের মাংস এবং অন্যান্য আলামত চাঁদপাই রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর।

স্বামীকে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রীর আত্মহত্যা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার পর এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার  ভোররাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও তার স্ত্রী নাজমিন (৩০)। আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ছোট স্ত্রী নাজমিন প্রথমে স্বামী আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেন। এরপর একটি চিরকুট লিখে নিজেও গলায় ফাঁস দেন। চিরকুটে লেখা ছিল-“আমি কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা। নাজমিন হত্যার পর আবুল কালাম আজাদের বুকের ওপর কলম দিয়ে লেখেন-“সরি জান, আই লাভ ইউ”। পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিলেন। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। ছোট স্ত্রী নাজমিন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় বউ শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। আমি নিজেও গিয়েছিলাম। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।