Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
জীবন প্রবাহ - দৈনিক বিশ্ব

ঋণ না পেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যার সংবাদ প্রকাশে আমতলীতে বিভ্রান্তি

//মাহমুদুল হাসান, আমতলী, বরগুনা প্রতিনিধি//

বরগুনার আমতলীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে “সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি।  কিছুক্ষণ পরে আমি আত্মহত্যা করবো। আমি চার পাশে অনেক ধার দেনা হয়ে গেছি। নিজেকে আর সামলাতে পারছি না। একটা লোন হওয়ার কথা ছিল আজকে তা হলো না। আমি আমার বউয়ের সকল গহনাগাটি টাকা পয়সা খরচ করে পথের ভিখারী হয়ে গেছি। আমার বউ অথবা পৃথিবীর কারো দোষ নেই আমার মৃত্যুর জন্য। সকলে আমাকে মাফ করে দেবেন। মা, বাবা, ভাই ও বোন সকলে আমাকে মাফ করে দিবেন”। এমন স্টাটাস দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময়ে আমতলী পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী খোকন কাজী আত্মহত্যা করে।

খোকন কাজীর এমন আবেগঘন ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে স্বজনরা দ্রুত দোকানে চলে আসে। কিন্তু তারা এসে দেখতে পায় খোকন কাজী দোকানের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে দ্রুত উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

জানাগেছে, বরিশাল শহরের লাকুটিয়া খাশিপুর এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন কাজীর ছেলে খোকন কাজী ২০২০ সালে আমতলীতে এসে উপজেলা রেভিনিউ মসজিদের পাশে চায়ের দোকান দেয়। এ দোকানের ব্যবসায় তার সংসার ভালো চলছিল না। গত দুই বছর আগে জনসেবা নামক একটি স্থানীয় সংস্থা থেকে ঋণ নেয় খোকন। উক্ত ঋণের টাকা গত এক মাস আগে পরিশোধ করলেও ঐ সংস্থায় পুনরায় ঋণ নেওয়ার আবেদন করেনি খোকন কাজী। কিন্তু ফেইসবুক স্টাটাসে আত্মহত্যার করার আগে দেওয়া পোস্টের এক লাইনে লেখা ছিল আজকে একটা লোন হওয়ার কথা ছিল তাও হলোনা। খোকনের স্টাটাসে কোথাও লেখা ছিলনা কোন সংস্হায় ঋণের আবেদন করেছে এবং ঐদিন কোন সংস্হার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল? এসব না লেখা থাকলেও আগের নেওয়া ঋণ প্রদান সংস্হাকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে মৃত্যু খোকন কাজীর পরিবার ও আমতলীতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

ঐ স্টাটাসের কারণে হয়তো কতিপয় অতি উৎসাহী লোকের দেওয়া বিভ্রান্তি মুলক তথ্য প্রদান বা আলোচনা করায় সংবাদ প্রকাশকারী মিডিয়ার স্হানীয় প্রতিনিধিরা উক্ত  সংস্থাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

ঋণ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে আমতলীতে বসবাস কারী খোকন কাজীর স্ত্রী ডালিয়ার ফুপাতো বোন আয়শা ফেরদৌসী বলেন, খোকন কাজী দীর্ঘদিন ধরে মানুষিক চাপে ভুগলেও ঋণ বা এ জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে পরিবারের কারো সাথে কোন কিছু আলোচনা করতো না। জনসেবা সংস্থা থেকে ঐদিন ঋণ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান সে আরও সংস্থা থেকে ঋণ নিলেও এসব নিয়ে পরিবার বা কারো সাথে কোন কিছু বলেনি।

জনসেবা ঋণ সংস্থার ম্যানেজার মোঃ রিয়াজুল হাসান বলেন,খোকন আমাদের সংস্থার সদস্য ছিল। এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গত জুন মাসে তা পরিশোধ করে। কিন্তু নতুন করে ঋণ নেওয়ার আবেদন করেনি।তাই আমাদের সংস্থা থেকে আজকে ঋণ দেয়ার প্রশ্ন আসতেই পারেনা।

জনসেবা সংস্থার পরিচালক এসএম সোহেল মাহমুদ বলেন, ওই ব্যাক্তি আমাদের সংস্থায় ঋণের জন্য আবেদনই করেননি তো ঋণ দেব কিভাবে? আমাদের সংস্থা ঋণ দিবে বলে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।

মতিউরের মেয়ে ইপ্সিতার শতকোটির সম্পদ নিয়ে আরো বড় রহস্যের জাল

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

ছেলের ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় এসে পদ হারিয়েছে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। বিষয়টি বর্তমানে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। তার ছেলে ইফাতের ‘ছাগলকাণ্ডে’ বেরিয়ে আসে ‘থলের বিড়াল’। এবার ফাঁস হচ্ছে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য।

মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন।

পাঁচটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। আয়কর ফাইলে তার প্রকাশিত সম্পদই আছে ৪২ কোটি টাকার। ইতোমধ্যেই কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হৈচৈ চলছে। কিন্তু কানাডার চেয়ে খোদ দেশেই তার সম্পদের পরিমাণ বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার চাকরিজীবনে অবৈধ পথে বিপুল অর্থ রোজগার করেছেন।

বিভিন্ন কৌশলে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। মেয়ে ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র। একাধিক সূত্রে খোঁজ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যার কথা বলা হচ্ছে তার বয়স ও পেশার সঙ্গে সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। বাবার প্রভাবে তিনি শুরু থেকেই ছাড় পেয়েছেন। তা না হলে সন্দেহজনক সম্পদ বৃদ্ধির কারণে তার আয়কর ফাইল আগেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা ছিল রাজস্ব বিভাগের। কিন্তু বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। প্রকৃতপক্ষে দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান। আর যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চান তারাই নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মতিউর রহমানের মেয়ের ব্যবসায় বিনিয়োগ করার অর্থের উৎস কী তা খতিয়ে দেখলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে। আর মতিউর রহমান নিজে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকলে, বিনিয়োগের আগে সরকারি অনুমতি নিয়েছেন কি না সেটা এবং তার অর্থের উৎস যাচাই করলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

আয়কর নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ইপ্সিতা তার আয়কর নথিতে ৪২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে সাত কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখিয়েছেন ৫টি কোম্পানিতে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে, সোনালী সিকিউরিটিজ, সিনাজি ট্রেডিং, গ্লোবাল সুজ, ওয়ান্ডার পার্ক ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস। সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫০ হাজার শেয়ারের মালিক হিসাবে তার বিনিয়োগ রয়েছে ৫ লাখ টাকা।

এ ছাড়া গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ, মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টসে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ ও সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। নরসিংদী, গাজীপুর ও ঢাকায় জমি ও বাড়ির দাম দেখিয়েছেন তিনি প্রায় ১৩ কোটি টাকা। প্রকৃত অর্থে এসব সম্পদের দামই ৭০ কোটি টাকার বেশি।

আয়কর নথিতে আরও দেখা গেছে, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, নিজের কোম্পানিকে দেওয়া ঋণ ও ভাইকে দেওয়া ধার বাবদ তার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমির মালিক ইপ্সিতা। আয়কর নথিতে এই জমির বর্ণনা দেওয়া থাকলেও দাম উল্লেখ করা হয়নি।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল যে সাততলা বাড়ি ইতোমধ্যে মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছে সেই বাড়িটিও মেয়ের নামেই করেছেন মতিউর রহমান। ৫ কাঠা জায়গার ওপর ৭ তলা বাড়িটির দাম অন্তত ৫০ কোটি টাকা হলেও আয়কর নথিতে দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৫ কোটি টাকা। বিদেশি টাইলস ও ফিটিংসে মোড়ানো বাড়িটিতে সুইমিংপুলও আছে। নীলক্ষেতে পার্কিং স্পেসসহ দেড় হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা।

রামপালে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ, জন্মদিনের উৎসব না করে ত্রান প্রদান

জেনিভা প্রিয়ানা, বিশেষ প্রতিনিধি ||

বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় দুর্গতদের মাঝে ত্রান সহায়তা প্রদান করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আগামী মাসে পর পর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের ৩ থেকে ৪ জন সদস্যদের জন্মদিন। তাই সেই জন্মদিনের আনন্দ উৎসব পালন না করে ঘূণিঝড়ে সব কিছু হারিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, রামপাল-মোংলার এ সকল অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ত্রান সহায়তা।

রামপালে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ, জন্মদিনের উৎসব না করে ত্রান প্রদান

বৃহস্পতিবার (৩০মে) দুপুর ১২ টার দিকে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে এ শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে রয়েছে তেল, চাল, চিনি, লবন, চিড়া, নুডুলস, টোস্ট ও ডালসহ বেশ কয়েক প্রকারের খাদ্য সামগ্রী।

বসুন্ধরা গ্রুপের জরুরী খাদ্য সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের  সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, চাদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের জিএম ফয়জুর রহমান, ডিজিএম মাসুদুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোংলা উপজেলা কর্মকর্তা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

রামপালে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ, জন্মদিনের উৎসব না করে ত্রান প্রদান

একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আরো এক হাজার ৫শ জন অসহায়দের মাঝে এ ত্রান সহায়তা প্রদান করেন বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধান অতিথি হিসেবে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন বাগেরহাট-৩  (রামপাল-মোংলা) আসনের  সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার। এসময়, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন, বসুন্ধরা গ্রুপের জিএম ফয়জুর রহমান, ডিজিএম মাসুদুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য হাবিবুর নাহারের ব্যক্তিগত সহকারি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেদওয়ান মারুফসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বন্যা দূর্গতদের পাশে থেকে ত্রান সহায়তা প্রদান করবে বলেও জানায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা।

বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার বলেন, প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড়ে এ দুই উপজেলায় ও সুন্দরবনে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষতির পাশাপাশী বনের বনজ ও প্রানীকুলের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। মানুষের জানের ক্ষতি না হলেও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের গাছপালাসহ অসংখ্য বন্যপ্রানীর মৃত্যু হয়েছে। যা পুষিয়ে উঠতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এ মহাবিপদের সময় সরকারের পাশাপাশী বন্যা দুর্গতদের পাশে এসে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমদের পক্ষ থেকে অভিন্দন ও তাদের স্বাগত জানাই এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। আশা করি আগামীতেও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সহ তার লোকজন সব সময় আমাদের পাশে থাকবে এ প্রত্যাশা রাখি।

ভিএফএসে ভিসা ফাইলঃ ভুক্তভোগীরা জিম্মি, অভিযোগ ও হতাশা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গাড়ি চালিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা জাকির হোসেনের দিনকাল। আরো নির্ভার, স্বচ্ছন্দ জীবনের আশায় স্বপ্ন বোনেন ইতালি যাওয়ার। এক বন্ধুর মাধ্যমে ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করেন। গ্রামের বাড়িতে জমি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকায় নুলস্তা (ওয়ার্ক পারমিট) হাতে পান।

ভিসা আবেদন করতে ফিরে আসেন দেশে। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। বিপত্তির শুরু ভিসার দীর্ঘসূত্রতায়। নিয়ম অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করতে হয়।

কিন্তু জাকিরের অপেক্ষা ফুরায় না ৯ মাসেও। এর মধ্যে ইউএইর ভিসার মেয়াদও শেষ। ইতালির ভিসাও যদি না পান, তাহলে পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে তাঁকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে জাকির বলেন, ‘আমার জমিজমা বিক্রি করে দিয়েছি।

দুবাইয়ের ভিসাও শেষ। এখন আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমার সবই শেষ।’

শুধু জাকির হোসেন নন, এমন লাখো ইতালি গমনেচ্ছু মানুষের ঘরে ঘরে এখন শুধুই কান্না, হতাশা আর হাহাকার। গত ২৭ মার্চ ঢাকাস্থ ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসাপ্রার্থীর পাসপোর্ট।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এই দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে ভিএফএসের কাছে জিম্মি হয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এক লাখের বেশি ভিসাপ্রত্যাশী ও তাঁদের পরিবার।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ভিসাপ্রত্যাশী এরই মধ্যে বিপুল অর্থ ইতালিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এক হিসাবে জানা গেছে, শুধু নুলস্তা পেতেই এক লাখ ১১ হাজার ভিসাপ্রার্থীর কাছ থেকে ইতালিতে চলে গেছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার। এমনকি দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে ইতালির ভিসার প্রত্যাশায় ঘুরে ঘুরে দিন কাটছে তাঁদের। ফলে তাঁদের উপার্জনও থমকে গেছে। সাধারণত ইতালি গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কৃষি ভিসার আবেদন করে থাকেন। বাকি ৪০ শতাংশ স্পন্সর ভিসার। কৃষি খাতে ভিসার জন্য ১৪ লাখ টাকা এবং স্পন্সর ভিসার জন্য ১৯ লাখ টাকা লাগে। তবে নুলস্তা পেতে সংশ্লিষ্ট কম্পানিতে ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়। সে হিসাবে এরই মধ্যে নুলস্তা পেতে ইতালিতে চলে গেছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আট হাজার ৮৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)। এ ছাড়া ভিএফএসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাবদ এসব কর্মীর খরচ হয়েছে অন্তত ২২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে আরো কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা দালালদের পকেটে ঢুকেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। এভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ইতালিতে চলে গেলেও দেশে পড়ে আছেন হতভাগ্য ভিসাপ্রার্থীরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা পড়েছে আরো ৯ হাজার ৬০০টি। ফলে ইতালিতে কর্মী পাঠানো ছাড়াই নুলস্তা বাবদ আরো বিপুল অর্থ চলে গেছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপেও জানা গেছে, কেউ কেউ অর্ধেকের বেশি টাকা এরই মধ্যে ইতালিতে সংশ্লিষ্ট কম্পানি এবং আইনি পরামর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করে রেখেছেন।

ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাসের সূত্র মতে, ২০২২ সালের ৩৫ হাজার ও ২০২৩ সালের ৭৬ হাজার নিয়ে মোট এক লাখ ১১ হাজার পাসপোর্ট জমা নেয় ভিএফএস গ্লোবাল। গত ২৭ মার্চ ভিসাপ্রার্থীদের মানববন্ধনের পর ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আটকে থাকা পাসপোর্ট বিতরণের আশ্বাস দেন। এর পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। উল্টো দিন দিন বড় হচ্ছে আটকে থাকা পাসপোর্টের সংখ্যা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভিএফএসের মাধ্যমে সব মিলে ২৫০ থেকে ৩০০টি ভিসা আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। বিপরীতে ভিসা নিষ্পত্তির পর পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ১৫০টি।

অভিবাসন খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নুলস্তার সত্যতা যাচাইয়ের কারণে দীর্ঘসূত্রতার দোহাই দেওয়া হলেও মূলত কাজটি খুবই সহজ। এটি যাচাই করা মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ব্যাপার। এর জন্য সাত থেকে আট মাস বা এক বছর সময় লাগাটা অযৌক্তিক। এর ফলে বৈধ পথ ছেড়ে অবৈধ পথেই পা বাড়াচ্ছেন ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীরা। এর দায় ভিএফএস গ্লোবাল এড়াতে পারে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ভিএফএস গ্লোবালের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। খুব দ্রুত এগুলোর সমাধান হবে।’ বিদেশগামী কর্মীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় জোরালোভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ইউরোপের শ্রমবাজারে ভিসা প্রক্রিয়ার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভিএফএস গ্লোবাল। বাংলাদেশসহ ১৪৭টি দেশে তারা ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তারা তাদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে ঢাকা বাদে বাকি দুই জেলায় শুধু প্রিমিয়াম সার্ভিস দেয় ভিএফএস গ্লোবাল। ঢাকায় প্রিমিয়াম সার্ভিসের পাশাপাশি সাধারণ সার্ভিসও চালু রয়েছে। তবে প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি। প্রতিবেশী দেশ ভারত প্রিমিয়াম সার্ভিসে যে সেবা দিচ্ছে, তার থেকে অনেক অনুন্নত সেবা দিয়েই কর্মীপ্রতি তিন হাজার ৮৯৯ টাকা বেশি নিচ্ছে ভিএফএস, যা বছরে গিয়ে দাঁড়ায় সাত কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

ভিসার আশায় মাসের পর মাস অপেক্ষায় থাকা ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ঠিক কী কারণে ভিসা পেতে এই দীর্ঘসূত্রতা? এর উত্তর খুঁজতে অনুসন্ধান করা হয়। এতে উঠে আসে দালালচক্রের সঙ্গে যোগসাজশে ভিএফএসের অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়াবহতা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিসা আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতেও কর্মীপ্রতি গুনতে হয় লাখ টাকা।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে সামনে আসে একটি নথি। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট রাত ১২টা ৪৯ মিনিট থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত স্লট ওপেন করে ৭৮টি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং দেওয়া হয়। ভিএফএসের ব্যবস্থাপক সাবিকুন্নাহারের ইউজার আইডি (ভিএফএস গ্লোবাল সাবিকুন্নাহ) ব্যবহার করা হয়। এমনকি সব অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয় একই আইপি অ্যাড্রেস (১০.১৫০.১০০.১৯) থেকে। এই অ্যাপয়েন্টমেন্টের একটি শিটও  হাতে এসে পৌঁছেছে। এখানে দেখা যায়, ‘এন্ট্রি নেম’-এর জায়গায় কোনো কর্মীর নাম নেই। সব জায়গায় লেখা ‘এলোকেশন ফর সেন্টার’। এমনকি ‘এন্ট্রি কলাম নেম’-এর জায়গায় ‘টোটাল সিটস’ লেখা রয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে অর্থাৎ অফিস চলাকালে স্লট ওপেন করা হয়ে থাকে। মধ্যরাতে স্লট খোলার বিষয়টি অস্বাভাবিক। এতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট জালিয়াতিতে ভিএফএসের যুক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ভিএফএসের অনিয়মের এখানেই শেষ নয়। সাধারণত চট্টগ্রাম কার্যালয়ে দিনে ২০ জনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। গত ৬ মে অতিরিক্ত ২০ জন ভিসাপ্রত্যাশী ভিএফএস চিটাগংয়ের অসংগতিপূর্ণ তথ্য সংবলিত মেসেজ পান, নিয়ম ভেঙে তাঁরাও একই দিনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সুযোগ পান।

অনুসন্ধান বলছে, ভিসাপ্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে ভিএফএস। একজন ভিসাপ্রার্থীকে নুলস্তা পাওয়ার পর পাসপোর্ট জমা দিতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভিএফএসের কাছে আবেদন করতে হয়। এ সময় আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) আসে, যার মেয়াদ থাকে তিন মিনিট। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, তাঁদের ফোনে এই ওটিপি আসতে ৯ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। ততক্ষণে আবেদনের প্রক্রিয়াটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। অথচ দালালের মাধ্যমে আবেদনে ওটিপির দরকার পড়ে না।

গত ১২ মে বিকেল ৩টায় ছদ্মবেশে আবেদনকারী সেজে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে নাফি টাওয়ারে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের কার্যালয়ের সামনে যায় অনুসন্ধানী দল। কিছুক্ষণ অবস্থান করতেই দেখা মেলে ওয়াহাব শিকদার নামের এক দালালের। জানতে চান অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে কি না। হ্যাঁ-সূচক জবাব দিতেই তিনি নিয়ে যান জমাদ্দার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের একটি অফিসের নিচে। সেখানে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর বস মামুন শেখের সঙ্গে।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে কী করতে হবে জানতে চাইলে মামুন শেখ নিজ থেকেই একে একে বলতে থাকেন করণীয় কী। তিনি এ সময় বলেন, ‘নুলস্তা যদি সঠিক হয় তাহলে আপনারা ডেট পাবেন। আমি আপনাকে বলি, মেইল করতে পয়সা লাগে না। কিন্তু আপনার প্রক্রিয়া জানতে হইব। লোক থাকতে হইব। আমরা ২৫ হাজার টাকা নিই। প্রথম যেদিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেব সেদিন আমরা পাঁচ হাজার টাকা নেব। বাকি ২০ হাজার টাকা আমরা পরে নিই। টাইম আমার ১৫ দিনও লাগে ২০ দিনও লাগে। কিন্তু আমরা ১০০ শতাংশ পাই।’ মামুন যে এরই মধ্যে অর্থের বিনিময়ে অনেককে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দিয়েছেন, এর কয়েকটি নমুনাও দেখালেন।

ভিসার আশায় ঘরে ঘরে হাহাকার

ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাচ্ছেন বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ তালিকায় অন্যতম অবস্থান বাংলাদেশের। সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে ডুবে মারা যান আটজন বাংলাদেশি। সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ‘ডিক্রেটো ফ্লুসি’র অধীনে বিপুলসংখ্যক কর্মী নিচ্ছে ইতালি। ইতালিতে সাধারণত বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা অনেক বেশি। বৈধ পথে সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অনেকের মনে আশার সঞ্চার হলেও ভিএফএসের কাছে জিম্মি হয়ে লাখো কর্মী এখন হতাশায় নিমজ্জিত। ফলে অনেকে আবার পা বাড়াচ্ছেন অবৈধ পথে।

১৩ মে সরেজমিনে গেলে ভিএফএস গ্লোবাল কার্যালয়ের সামনে কথা হয় সৌদিপ্রবাসী মানিকগঞ্জের সিংগাইয়ের বাসিন্দা শাহিন খানের সঙ্গে। ১০ লাখ টাকা জমা দিয়ে নুলস্তা পেয়েছিলেন। এরপর ভিসা পেতে সৌদি থেকে দেশে ফিরে গত বছরের ৮ অক্টোবর পাসপোর্ট জমা দেন ভিএফএসে। কদিন পর পর খোঁজ নিতে আসেন। এদিনও তিনি হতাশ হয়ে বের হন ভেতর থেকে।

শাহিন খান বলেন, ‘৯ মাসেও পাসপোর্ট ফেরত পাইনি। সামনের মাস পর্যন্ত সৌদি আরবের ভিসা রয়েছে। এখন যদি আমার ভিসা না দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দেয় তা-ও সৌদি যেতে পারব। নইলে দুই কুলই হারাতে হবে। পাসপোর্টের আশায় এ পর্যন্ত অনেকবার এসেছি। তাদের কাছে এলে বলে—আমরা আপনাকে জানাব, তখন আসবেন। এখন কবে যে জানাবে সেটাই তো বলে না। আগামী মাসের ৬ তারিখের আগে যদি আমি পাসপোর্ট ফেরত না পাই, তাহলে আমার সব দিক শেষ হয়ে যাবে।’

দিনভর সেখানে অবস্থান করে আরো কয়েকজন ভুক্তভোগীর দেখা পায় । তাঁদের মধ্যে আছেন সিংগাইরের আরেক ভুক্তভোগী মো. শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমি ইতালি যাব বলে এখন কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছি না। ৯ মাস ধরে আমার পাসপোর্ট আটকে রয়েছে। হয় আমাদের ভিসা দিক, না হয় পাসপোর্টগুলো ফেরত দিয়ে দিক। পাসপোর্ট ফেরত দিলেও আমরা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারি। এখন তো কোনো কিছুই করতে পারছি না।’

শরীয়তপুরের বাসিন্দা মাসফিক জামান বলেন, ‘আমরা এলে শুধু বলে, পাসপোর্ট ফেরতের মেসেজ যেদিন আসবে সেদিন আসবেন। আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতেই দেয় না। কবে যে পাসপোর্ট ফেরত পাব তারও কোনো ধরনের তথ্য তারা দিচ্ছে না। আমরা না যেতে পারছি ইতালি, না দেশে কিছু করতে পারছি। সব জায়গায় টাকা-পয়সা দিয়ে আমরা বসে আছি।’

দুবাইফেরত নোয়াখালীর জাকির হোসেন জানান, দালালকে টাকা দিয়েও পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সময় এক দালালকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এখন সে ইতালি চলে গেছে। আমার পরিচিত একজন ২০ হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্ট বের করতে পেরেছে। কিন্তু সে আমাকে সেই দালালের পরিচয় দিচ্ছে না। আমি জমি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকা দিয়ে নুলস্তা নিয়েছি। ভিসা না পেলে আমার সব শেষ হয়ে যাবে।’

ভিএফএসের প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে বছরে লোপাট ৭ কোটি টাকা

ভিএফএস গ্লোবালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিসা প্রসেসিং বাবদ সাধারণ সার্ভিসে ১৭ হাজার ৯৮০ টাকা এবং প্রিমিয়াম সার্ভিসে ২২ হাজার ৩১৮ টাকা নিয়ে থাকে। প্রিমিয়াম সার্ভিসে কর্মীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি ছবি তোলা এবং ফরম পূরণ করে দেওয়া হয়। সঙ্গে একটি মাফিন কেক, লেক্সাস বিস্কুট ও ফ্রুটিকা জুস দিয়ে আপ্যায়ন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রিমিয়াম সার্ভিসের মধ্যে একটি বড় সার্ভিস হলো হোম ডেলিভারি। অর্থাৎ কেউ যদি বাসা থেকে তার কাগজপত্র ভিএফএস গ্লোবালে পাঠিয়ে দিতে চায় এবং তার পাসপোর্ট বাসায় দিয়ে যাবে এই সার্ভিস নিতে চায়, তবে সে এই সার্ভিসটি নিতে পারবে।

সেবার মানে বড় ফারাক থাকার পরও ভারতের চেয়ে কর্মীপ্রতি তিন হাজার ৮৯৯ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে প্রতিদিন তিনটি শহরে ৭০ জনকে প্রিমিয়াম সার্ভিস দিয়ে থাকে ভিএফএস গ্লোবাল। মাসে ২২ দিন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ থেকে দেখা যায়, প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে প্রতিদিন দুই লাখ ৭২ হাজার ৯৩০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, যা প্রতি মাসে গিয়ে দাঁড়ায় ৬০ লাখ চার হাজার ৪৬০ টাকা এবং বছরে সাত কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিসাপ্রত্যাশীদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহ করে না ভিএফএস। অ্যাপয়েন্টমেন্ট কবে পাবেন, তাঁদের পাসপোর্ট এত দিন আটকে রাখার কারণ, আদৌ ভিসা সরবরাহ করা হবে কি না—এসব বিষয়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের কিছুই অবগত করে না সংস্থাটি। এমনকি ভিএফএসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুদে বার্তা ছাড়া আর কোনো মাধ্যমও নেই। ফলে মাসের পর মাস এমন দোটানায় পড়ে নাজেহাল হয় আবেদনকারী বা তাঁর পরিবার।

সেবার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরো তারতম্য লক্ষ করা গেছে। ভিএফএস গ্লোবাল ভারত ও বাংলাদেশের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলাদেশে ছয় মাসের মধ্যে নুলস্তার মেয়াদ থাকলে ভিএফএস গ্লোবালে আবেদন করতে পারে। তবে ভারতে নুলস্তার মেয়াদ ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেলে তারা সরাসরি ভিএফএস গ্লোবালের অফিসে যোগাযোগ করতে পারে। সে সময় তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়। ভারতে ভিএফএস গ্লোবালের ডাইনামিক ডিজিটাল ভেরিফিকেশন নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারীরা তাঁদের ভিসা কার্যক্রমের কাগজপত্রে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্যে ঠিক করে ফেলতে পারেন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই সফটওয়্যার আনা হয়নি। ভারতে একজন কর্মীর ভিসা প্রক্রিয়া হতে সময় নির্ধারণ করা হয় ৯০ দিন, অর্থাৎ তিন মাস। আর বাংলাদেশে ভিসা প্রক্রিয়ায় সময় নির্ধারণ করা হয় ১২০ দিন, অর্থাৎ চার মাস।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে ভিএফএস কার্যালয়ে গেলে কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। একাধিকবার চেষ্টার পর ফোনে পাওয়া যায় ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শান্তনু ভট্টাচার্যকে। মধ্যরাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট চালু করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, ‘এ রকম স্লট ওপেনই হয়নি। এই তথ্য সঠিক নয়। স্লট কখনোই ম্যানুয়ালি ওপেন হয় না।’

চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ২০ জনের অ্যাপয়েন্টের বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, ‘এভাবে বললে তো হয় না।’ এরপর এ বিষয়ে কথা বলতে আপত্তি জানান তিনি। তবে তিনি এ বিষয়ে সরাসরি অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

জানতে চাইলে অভিবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর চেয়ারপারসন ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘যাঁরা অনিয়মের পথ ধরে যাচ্ছেন তাঁরা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দালালকে অর্থ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইতালি যেতে চান, তাঁদের জন্য যে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করা হচ্ছে তা বৈধ পথের অভিবাসনের একটি বড় অন্তরায়। এ ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার বিএমইটির মাধ্যমে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত সমাধান বের করতে পারে। আমাদের আইনি ব্যবস্থা আছে। সেটার প্রয়োগ করতে হবে। সরকার চাইলে অবশ্যই এর প্রতিকার আসবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

Daily World News

ডক্টরেট ডিগ্রি পেল ম্যাক্স নামের বিড়াল

সিলিং ফ্যানের বিশ্রাম প্রয়োজন আছে কি-না…? ফ্যানটাও তো ভালে রাখতে হবে…

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

গত কয়েক দিনের গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম কমাতে দিন কি রাত— বিশ্রাম দেওয়ার উপায় নেই সিলিং ফ্যানকে। প্রায় সারাদিনই চালিয়ে রাখায় অনেকেরই ফ্যান নষ্ট হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, একটানা কতক্ষণ ফ্যান চালানো যায়? কত সময় পর এই যন্ত্রটি বিশ্রাম দেওয়া উচিত?

ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে চলতে থাকলে ফ্যান ওভারহিট হয়ে যেতে পারে। এই ঘটনা ঘটলে ফ্যানের কয়েল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেখা দিতে পারে অন্য সমস্যাও।

ফ্যান চালালে তাতে লাগানো মোটর আসলে বিদ্যুৎকে গতিতে পরিবর্তন করে। এই কারণেই ফ্যান গরম হতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলিং ফ্যান একটানা চালালে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তত এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা উচিত।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এবং একটানা চলতে চলতে ফ্যান খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমন কী নষ্ট হয়ে যেতে পারে ফ্যানের ভেতরের ওয়্যারিংও।

এর পাশাপাশি, ফ্যান চালানোর সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ফ্যানের ব্লেডগুলো প্রতিমাসে অন্তত একবার করে পরিষ্কার করুন। এতে বাতাস বেশি হবে।

বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে পানি বাহীত রোগ, জনবল সংকটের চলছে  চিকিৎসা সেবা

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

বাগেরহাটের কচুয়া তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ, বাড়ছে পানি বাহীত রোগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ৬০ জন, জনবল সংকটের চলছে চিকিৎসা সেবা। ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি কাশিতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা।

বেশি করে বিশুদ্ধ খার পানি পান করা ,বাহিরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হওয়া। বেশি সমস্য দেখাদিলে খাবার স্যালাই খাওয়ার  সহ রোদে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞ চিকিৎক।

ডায়রিয়া,জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ২০০জন। এরমধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাবেশি। গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪ শতাধিক রোগী। গড়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে  কমপক্ষে ২৫ জন রোগী।

৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ শয্যা দিয়ে চলছে। ইউএইচএফপিও সহ ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও কাগজ কলমে আছে ১১জন এরমধ্যে  অনুমতি ব্যতিত ছুটিতে আছে ২জন, ডেপুটেশনে বাহিরে আছে ২জন, ইউএইচএফপিও সহ ৬ জন চিকিৎক দিয়ে চলছে স্বাস্থসেবা। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি কমআছে।

ডায়রীয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফ্লোরে, বারান্দায় আছে চরকাঠী গ্রামের রাজিব দাসের কন্যা অপরাজিতা দাস (৩০মাস), মসনী গ্রামের মহিদুল মল্লিকের কন্যা আরফিন মল্লিক(১২মাস) মালিপাটন গ্রামের মোঃ মহাসিন শেখের পুত্র রহমান শেখ (২৪মাস) বারুইখালী গ্রামে রাফিন খোন্দকার(১৪মাস) সহ অনেক রোগী।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়রা পারভিন বলেন,সকালে এসই এপর্যন্ত ২২ জন রোগী দেখেছি এরমধ্যে ১০ ডায়রিয়ার রোগী  দুই জন শিশুকে ভর্তি দিয়েছি।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাঃ মনিসংকর পাইক বলেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারনে ডায়রীয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বয়স্ক ও ছোট বাচ্চারা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। বেশি করে বিশুদ্ধ খার পানি পান করাতে হবে। বাহিরে বের হলে ছাতা নিয়ে বেরহতে হবে। বেশি সমস্য দেখাদিলে খাবার স্যালাই খেতে হবে। যে কোন সমস্য দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা সহ সাবধানে থাকতে হবে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউ এইচ এফ পি ও ডাঃ আ.স.মোঃ মাহাবুবুল আলম বলেন, আমাদের ৫০ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ বেডদিয়ে চালাতে হচ্ছে। ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও কাগজ কলমে আছে ১১জন। এরমধ্যে  অনুমতি ব্যতিত ছুটিতে আছে ২জন, ডেপুটেশনে বাহিরে আছে ২জন, আমরা ৬ জন চিকিৎক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

কচুয়ার জীবন সংগ্রামে জয়ী পাঁচ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার জীবনযুদ্ধে জয়ী পাঁচ সংগ্রামী নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা দিয়েছে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। সমাজের নানা প্রতিকূলতা ও নির্যাতন পেরিয়ে তারা সফলতা অর্জন করেছেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা খানম শনিবার জানান, জীবন সংগ্রামে সফল হওয়া এসকল নারীকে সরকার জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাথার জন্য ২০২৩ সালে সম্মান জনক এই পদক দেয়। তাদের সংগ্রামী জীবন কাহিনী অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী ও শিক্ষণীয়।

 পাঁচজন নারীর সংগ্রম জীবনের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:-

১| অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, টেংরাখালী গ্রামের কাজী শহীদুল ইসলামের স্ত্রী রেজা আল আসমাউল হুসনা।

সে স্বামীর সংসারে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ছিলেন। প্রথমে বাড়ি বসে খাবার তৈরি করে মানুষের বাসায় পৌছেঁ দিতেন। লাভবান হওয়ায় একটি দোকান ভাড়া নেন। যুব উন্নয়ন থেকে এক লক্ষ টাকা লোন নিয়ে হোটেল চালু করেন। এথন তার হোটেলে বিরিয়ানীসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার  বিক্রি করা হয়। বর্তমানে তিনি অর্থনৈতিকভাবে সফল একজন নারী । শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, গোপালপুর গ্রামের সাহেব আলি সেখের কন্যা মোসা: তাছলিমা খানম ১৯৯২ সালে ৮ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় তার বাবা মারা যান। এরপর টিউশনি করে নিজে এবং অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া শেখান। নিজে এইচ.এস.সি পাশ করে। এরপর ২০০০ সালে প্রাইমারী স্কুলে সহকারি শিক্ষক পদে যোগদান করেন এবং এখনো কর্মরত আছেন।

২| সফল জননী, কচুয়া সদরের অনিল কৃষ্ণ সাহা স্ত্রী অপর্না রানী সাহা এস,এস,সি পাশ। তার স্বামীর অস্বচ্চলতার কারনে নিজে সেলাই মেশিন এর কাজ ও গরু পালতেন। অভাবের কারনে তিনি সন্তানদের নিজে পড়াতেন। তার ৩ সন্তান এখন সুপ্রতিষ্ঠিত।

৩| চন্দনা রানী সাহা এম,এস,এস শিক্ষকতা, চন্দ্রবান সাহা এম,এ,এল,বি আয়কর আইনজীবি, চন্দ্রা রানী সাহা এম,এ উপ-পরিচালক,কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর।

 ৪| নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমী, বিলকুল গ্রামের আশরাফ হাওলাদারের কন্যা সামছুর নাহার সে অল্প বয়সে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের ২ বছরের মধ্যে শুরু হয় তার উপর স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন। তার স্বামী পরকীয়ায় জড়ানোর কারনে নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে সন্তানসহ বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তিনি অসহায় অবস্থায় একজন প্রতিবেশির সহায়তায় ব্র্যাকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে একটা চাকুরী পান। তার সন্তানকে বি,কম পাশ করিয়েছেন এবং নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

৫| সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান, গোপালপুর গ্রামের সুচিত্র রঞ্জন মজুমদার কন্যা নন্দিতা রানী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্বেও তিনি নিজ এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,যৌতুক নিরোধ এর লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয়ে কাজ করেন। সে একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। সে ঝরেপড়া শিশুদের স্কুলগামী করতে কাজ করেছেন। মাদক নির্মূলের জন্য সচেতনতামূলক কাজ করেছেন। মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

Daily World News

মানবিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের দর্জি শ্রমিক ও মালিকরা

//পলাশ চন্দ্র দাস, বরিশাল//

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন  বরিশাল নগরীর দর্জি শ্রমিক ও মালিকরা।চলছে রমজান ঈদ আর  বৈশাখ কড়া নাড়ছে দরজায়। তাই দর্জিপাড়া আর নতুন কেনা পোশাক ফিটিং এবং তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন  দর্জি ও কারিগররা। এই দুই উৎসবের সাজ ও পোষাকের জন্য এখন দিন-রাতের ব্যস্ততা বরিশালের দর্জি দোকানে।বরিশাল নগরীঘুরে দেখা গেছে, গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত পোষাক কারিগররা।

সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোষাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দ। দর্জিদোকানে কর্মব্যস্ত নারী-পুরুষ কর্মীরা জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারি।গ্রাহকের হাতে সময়মত প্রিয় পোশাক তুলে দিতে ব্যস্ত ।

রোজার প্রথমদিকে কাপড় তৈরির অর্ডার নেওয়া শুরু করা হয় এবং ৩০ রমজান পর্যন্ত কাজ করা শেষ হবে বলে জানিয়েছে দর্জি  মালিকরা।  মুক্তার  টেইলার্সের কারিগর  জানান,ঈদকে ঘিরে পোষাক তৈরি  করে আয়ের একটা বড় অংশ পাই কিছুদিন পর ঈদ একবছর পর ঈদে এবার মানুষ অনেক কাপড় তৈরি করতে দিচ্ছে। আশা করছি এবার ঈদ আমাদের ভালোই কাটবে।

বরিশাল নগরীর কাটপট্রি, কাউনিয়া, ভাটিখানা মহসিন মার্কেটসহ বেশকিছু দর্জি দোকানের কারিগর দুলাল, আলতাফ, বিশু, বিরেন মাহবুবসহ অনেকেই  বলেন। হাতে প্রচুর কাজ এখন নিত্য নতুন ডিজাইন এসেছে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি কাপড় সেলাই করছি। দিনে স্বভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি।

আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবার আমরা পরিবার নিয়ে ঈদ ভালোই কাটাবো। ঈদ উৎসবকে ঘিরে শুধু যে নামি-দামি টেইলার্স গুলোই যে ব্যস্ত সময় পার করছে তা নয়। ঈদকে সামনে রেখে পাড়া মহল্লার ছোট ছোট দর্জি দোকান গুলোতে এখন চলছে রাত দিনের ব্যস্ততা।

গ্রামেও বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। প্রতিটি দোকানে সেলাই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জিরা। প্রত্যেক দর্জি দিন রাতে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন তারা প্রতিদিন তৈরি করছেন অর্ডার করা পোশাক। মায়েরদোয়া  টেইলার্স এর মালিক হিরু বলেন,আমি নিজেই অর্ডার নেই এবং নিজেই কাপড় তৈরি করি। এখন প্রত্যেক দিনই অর্ডার পাচ্ছি। বেশি তৈরি করছি মেয়েদের সালোয়ার কুর্তি আর ছেলেদের কাবলি।

ঈদের আগে ভীড় বেশি হয় তাই অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ দেই। তবে এবার অর্ডার এতো বেশি যা ভাবতেও পারিনি। গত বছরের তুলনায় এবারকাজ বেশি থাকায় এবারের ঈদটা আশা করি পরিবার নিয়ে ভালো কাটবে।

Daily World News

আমতলীতে ১৭৭৬৯ জন দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ সম্পন্ন

প্রতিবন্ধী দুই সন্তানকে নিয়ে নেই ঈদের আনন্দ লোকমান-শাহা বানু দম্পত্তির

মাহমুদুল হাসান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

বরগুনার তালতলীতে জন্মগতভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী দুই সন্তানকে নিয়ে নেই কোন ঈদের আনন্দ। বরং সন্তানই এখন মা বাবার কাছে বোঝা হয়ে বেঁচে আছেন। ১৬ বছর বয়সী মিরাজ ও ১৩ বছর বয়সী মেহেদী জন্মের পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। অন্যের সাহায্য ছাড়া খাওয়া-দাওয়া কিছুই করতে পারে না। প্রতিবন্ধী এই দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন কাটছে লোকমান ও শাহা বানু দম্পতির। দারিদ্র্যের কারণে এই দুই সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তারা।

তাদের পরিবারের উপার্জন সক্ষম কেউ নেই। তাদের বাবা লোকমান তিনিও কোনো কাজ করতে পারে না। একমাত্র মা দুই ভাইয়ের দায়িত্ব বহন করে চললেও তাদের বাড়িতে ঈদের আনন্দ নেই। মিরাজ ও মেহেদীর বাড়ি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তারা।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোকমান ও শাহা বানুর দুই ছেলে। ২০০৬ সালে জন্ম হয় বড় ছেলে মিরাজ। জন্মের পর থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী, দ্বিতীয় ছেলের জন্মের দুই বছর পরে সেও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়। তখন তাদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীকালে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি তারা।

প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের মা শাহা বানুর সঙ্গে কথা হলে তিনি তার পরিবারের চরম দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের কোন কাজ করতে পারে না তাদের সকল কাজ আমার করে দিতে হয়। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সর্বশেষ বরিশালে ডাক্তার দেখানোর পরে একটু সুস্থ ছিল এখন আবার এই আগের মতো আছে। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক মা হয়ে এভাবে তাদের মৃত্যুর দিন দেখতে আমার খুব কষ্ট লাগছে।

প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ছেলে দুটি খুবই অসুস্থ টাকা পয়সার কারণে তাদের চিকিৎসা করাতে পারছে না। আবার তাদের বাবা খুবই গরীব মানুষ ও কোন কাজ করতে পারে না। তাদের চিকিৎসা হলে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে পারে।

তালতলীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুম্পার সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, একই পরিবারে চারজন সদস্য দুইজন পুরো মানসিক প্রতিবন্ধী ও তাদের বাবা লোকমান সেও কোন কাজ করতে পারে না। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব এছাড়াও তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।

হারিয়ে গেছে আশির দশকের সেই অডিও ক্যাসেট

//পলাশ চন্দ্র দাস, বরিশাল প্রতিনিধি//

আশির দশকের মাঝামাঝি ও নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশের তারুণ্যের মাঝে ছিল দারুণ এক উত্তেজনা। অভাবনীয় উন্মাদনা আর সে সময়টাকে অভিহিত করা যায় ক্যাসেট যুগ মিউজিকের যুগ ব্যান্ড এর যুগ হিসেবে। প্রায় পুরো তরুণ সমাজের চিন্তা জগতকে আছন্ন করে রেখেছিল ব্যান্ড মিউজিক। অল্প সময়ের মধ্যে শহর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যান্ড মিউজিক। গীটারের টুং টাং ধ্বনিতে মোহিত হত সে সময়ের তারুণ্য গায়ে হলুদ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ, সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ব্যান্ড মিউজিক ছাড়া কল্পনাই করা যেত না।

আশির দশকে গ্রামীণ জনপদে টেলিভিশন তো নয়ই, রেডিও-টেপেরও খুব একটা প্রচলন ছিল না। দেখা গেল, গ্রামের কোনো এক বাড়িতে টেপে অডিও ক্যাসেট ঢুকিয়ে বাজানো হচ্ছে বাউলগান যাত্রাগান, মালজোড়াগান অথবা কেচ্ছাকাহিনি। তো এটিকে কেন্দ্র করে জড়ো হতেন আশপাশের পাড়া- মহল্লার অসংখ্য শ্রোতা বিশেষ করে কাজ শেষে সন্ধ্যার পর কিংবা বর্ষার অলস দুপুরে পানিবন্দী হাওরবাসীর কাছে এই টেপই ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।

আর তাই যে গ্রামে টেপ অর্থাৎ ক্যাসেট প্লেয়ার রয়েছে, তাঁদের অলস সময়টুকু কাটত সেটির সাহায্যে গান, কেচ্ছা কিংবা লোকনাট্য শুনে শুনে। অনানুষ্ঠানিক উৎসব ছাড়াও গ্রামীণ বিয়ে কিংবা যাত্রীবাহী নৌকায় মাইকসহযোগে টেপরেকর্ডারের সাহায্যে এসব ক্যাসেট বাজানো হতো।

ক্যাসেট ছিল আমাদের গান শোনার একমাত্র ভরসা অথচ আজ ক্যাসেট নেই বললেই চলে।সিডি, ডিভিডি দখল করে নিয়েছে ক্যাসেটের স্থান তবে অনেক জনপ্রিয় এই সিডি ও ডিভিডিও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারছেনা প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কারের কারনে এগুলোও আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।১৯৫৮ সালে  RCA Victor প্রথম স্টেরিও ক্যাসেট আবিস্কার করেন যার সাইজ ছিল ৫”x৭” এবং এটি ছিল প্রি রেকর্ড করা তাই এটি ব্যার্থ হয়। ১৯৬২ সালে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি ফিলিপস সর্বপ্রথম কমপেক্ট অডিও ক্যাসেট আবিস্কার করেন এবং বাজারজাত করেন।উন্নত মানের ১/৮ ইঞ্চি পলিষ্টার টেপ দিয়েই এটি তৈরি হয়।

রেকর্ড ও প্লেব্যাক স্পিড ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৭/৮ ইঞ্চি।যখন ক্যাসেট পূর্নতা পায় তখন এর দুটি সাইডে ৩০/৪৫ মিনিট সময় প্লেব্যাক করা যেত। এরপর ফিলিপস ও সনির যৌথ প্রচেষ্টা শুরু হয় ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৮২ সালে এই দুই কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টায় সিডি আসে বাজারে। এর পর আমরা সিডির জনপ্রিয়তা দেখলাম, ক্যাসেট হারিয়ে গেল। সিডি বাজারের দখল নিল এই সিডিও আজ প্রায় বিলুপ্ত।সিডির ক্যাপাসিটি হচ্ছে ৭০০ এমবি এবং সময়ের হিসেবে প্রায় ৮০ মিনিট।

এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় ক্যাসেট স্থান হারালো সিডি ও ডিভিডি আবিস্কার হওয়ার পর। আর প্রযুক্তির কল্যানে ও ইন্টারনেটের প্রসারে আমরা এখন অনলাইনে গান শুনি,মূভি দেখি। মোবাইলে গান শুনি, কেন সিডি কিনব? আর প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোগ এফ.এম রেডিও। বিশ্বব্যাপি এখন এফ.এম. রেডিওর জয়জয়কার। এক একটা মিউজিক ষ্টেশান এখন মানুষের পকেটেই থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে অডিও ক্যাসেট হারিয়েছে তার দাপট হারিয়ে গেছে আশির দশকের সেই অডিও ক্যাসেট।

Daily World News

গজারিয়ায় সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের ইফতার মাহফিল

মোংলায় প্রায় ৭ কেজি গাঁজাসহ আটক- ৬

ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মামলা করার অভিযোগে কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত