রূপসায় টাইফয়েড টিকা প্রথমদিন পেল ১৯৯৫ জন শিক্ষার্থী

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে দেশে প্রথমবারের মতো টিকাদান ক্যাম্পেইন হিসেবে রূপসায় উদ্বোধনী কার্যক্রম ১২ অক্টোবর সকাল ১০ টায় কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

স্কুলে স্কুলে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী। উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. সাইদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার- উল- কুদ্দুস।

রূপসায় টাইফয়েড টিকা প্রথমদিন পেল ১৯৯৫ জন শিক্ষার্থী

টিকা সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাজেদুল হক কাওছার জানান, সমগ্ৰ রূপসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সকল শিশু প্রাক-প্রাথমিকে- ১১,১৪৩ জন। মাধ্যমিক নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ৮৬৭৯ জন এবং মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী ২৭২৩ জন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় থাকবে। তার মধ্যে প্রথম দিনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯৫ জন শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।

বিনামূল্যে ১টি ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইন ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমুনিটিতে ৮ দিন টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ টি স্থায়ী কেন্দ্র যা ১৮ দিন টিকাদান কার্যক্রম চলবে। টাইফয়েড ঠিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীদ্বারা প্রদান করা হচ্ছে। অভিভাবকগণ নিচিন্তায় সকাল বাচ্চাকে টিকা দিতে উদ্বুদ্ধ করুন।

রক্তের কোলেস্টেরল কমান ওষুধ ছাড়াই

//দৈনিক বিশ্ব//

রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরলকে বলা হয় গোপন শত্রু। এটি ধীরে ধীরে আপনার শরীরকে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো বিপজ্জনক অবস্থার দিকে নিয়ে যায়, যা অনেক সময় আপনি টেরই পান না। টের যখন পান, তখন আর করণীয় তেমন থাকে না। তাই কোলেস্টেরলের মতো গোপন শত্রুকে আপনার চিনে নিতে হবে প্রথমেই, যখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে—খারাপ ও ভালো। খারাপটা হলো লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল। আর ভালোটাকে বলে হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, যা এইচডিএল নামে পরিচিত।

কানাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ম্যাডিসন ব্রাউন এমন কিছু গবেষণাভিত্তিক পদ্ধতির কথা বলেছেন, যার জন্য আপনার কোনো ওষুধপত্র খেতে হবে না, কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমবে প্রাকৃতিকভাবেই। এসব এতই সাধারণ ও ছোট যে আপনি জেনে অবাকও হতে পারেন।

১. দ্রবণীয় আঁশযুক্ত খাবার আরও খান

খাবারে আঁশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি পেটের ভেতর জেলের মতো একধরনের বস্তু তৈরি করে, যা রক্তে মেশার আগেই কোলেস্টেরলকে এর ফাঁদে আটকে ফেলে।

ওট, ডাল, চিয়া ও তিসি বীজের মতো অনেক খাবারই আঁশযুক্ত ও পানিতে দ্রবণীয়। এসব দ্রবণীয় আঁশ খাবারের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলকে হজমপ্রক্রিয়ায় ঢুকতে বাধা দেয় এবং বর্জ্য হিসেবে শরীরের বাইরে বের করে দেয়।

আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা যায়, দিনে মাত্র ৫–১০ গ্রাম দ্রবণীয় আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় প্রায় ৫ শতাংশ।

২. খাবার প্লেটকে ‘প্ল্যান্ট’ দিয়ে পরিপূর্ণ করুন

এখানে ‘প্ল্যান্ট’ হচ্ছে উদ্ভিজ্জ খাবার। বলা হচ্ছে, আপনার খাবারের প্লেটে পুষ্টিপূর্ণ উদ্ভিজ্জ খাদ্য বেশি রাখুন। ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার শুধু খাবারের প্লেটকে বৈচিত্র্যপূর্ণই করে না; বরং এসব খাবারে স্টেরল ও স্ট্যানলের মতো উদ্ভিজ্জ চর্বি যোগ করে। এই স্টেরল ও স্ট্যানল রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কোলেস্টেরল শিক্ষা কর্মসূচি অনুযায়ী, খাবারে দৈনিক ২ গ্রাম উদ্ভিজ্জ স্টেরল থাকলে তা ১০ শতাংশ পর্যন্ত এলডিএল কমায়। উদ্ভিজ্জ খাবারে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টও থাকে, যা ধমনি ভালো রাখে। এটি আঁশ তৈরি করে, যা কোলেস্টেরল নিষ্কাশনে সহায়ক।

৩. ক্ষতিকর চর্বি বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ

সাধারণত প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবারে ক্ষতিকর চর্বি থাকে। এটি রক্তে ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে এলডিএলের মাত্রা বাড়ায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন খাবারে ক্ষতিকর চর্বি গ্রহণ বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তারা জলপাইয়ের তেল, অ্যাভোকাডো, আখরোটসহ চর্বিযুক্ত মাছ খেতে উৎসাহিত করেছে।

৪. সক্রিয় থাকুন প্রতিদিন

কোলেস্টেরলের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন ব্যায়ামাগারে যেতে হবে, এমন নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ৫ দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটুন। দ্রুত হাঁটা আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখবে। একই সঙ্গে এটি শরীরে রক্ত চলাচলও বাড়ায়। শারীরিক পরিশ্রম কোলেস্টেরলকে রক্ত থেকে যকৃতে পাঠায়। সেখানে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একে দেহ থেকেই বের করে দেওয়া হয়।

৫. পরিশোধিত শর্করা ও চিনি কমান

বেশি পরিশোধিত বা প্রক্রিয়াজাত শর্করা ও চিনি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়। ট্রাইগ্লিসারাইড হলো রক্তে জমে থাকা চর্বি। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে দরকারি। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা হৃদ্‌রোগের উচ্চঝুঁকি তৈরি করে।

২০১৪ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব লোক তাঁদের ক্যালরির ২৫ শতাংশের বেশি চিনি থেকে গ্রহণ করেন, তাঁদের হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যান্ডি, পেস্ট্রি ও পাউরুটি খাওয়া বাদ দিলে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে এবং রক্তচাপ ঠিক থাকে।

শেষকথা

মনে রাখতে হবে, কোলেস্টেরল কমানোর এই প্রক্রিয়ায় কিন্তু রাতারাতি সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি চর্চার বিষয়। কাজেই এই পদ্ধতি অভ্যাস করুন এবং কোলেস্টেরল প্রাকৃতিকভাবেই কমিয়ে ফেলুন।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

মোংলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোংলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড।

বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

মোংলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে। দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে কোস্ট গার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন জয়মনিঘোল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে দুই শতাধিক অসহায়, দুঃস্থ ও শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়। উক্ত কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন মেডিকেল অফিসার সার্জন লেঃ কমান্ডার মাকসুদা জাহান, এএমসি। এসময় জয়মনিঘোলে পরিদর্শনে আগত Military Support Element, US, Emassy এর ০২ জন প্রতিনিধি উক্ত মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন অবলোকন করেন।

এছাড়াও, অবৈধ মৎস্য আহরন, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবিদের উদ্দেশ্যে জনসচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। উক্ত জনসচেতনতামূলক সভায় স্থানীয় প্রশাসন, বনবিভাগের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিগণ এবং সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

বন্ধু’র মায়ের আত্মার মাগফেরাতে দোয়া এবং ৮৯ ব্যাচ কমিটি ঘোষনা

//এম মুরশীদ আলী//

বন্ধু (সাংবাদিক) জিএম আসাদুজ্জামানের মমতাময়ী মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজনে করে খুলনা সরকারি সুন্দরবন কলেজ-৮৯ ব্যাচের বন্ধুরা। গত ৯ জানুয়ারী মাগরিব বাদ হোটেল ওয়েস্টার্ন ইন এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া শেষে- অধ্যাপক ডা: বঙ্গ কমল বসুকে সভাপতি এবং রবিউল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ৮৯ ব্যাচ, খুলনা (সরকারি সুন্দরবন কলেজ) সংগঠন নাম ঘোষণা করা হয়।

এ সময় বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- টিকু রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, খন্দকার আবুল বাশার, দিলরুবা নিম্নী, সাংবাদিক জিএম আসাদুজ্জামান, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. সাজ্জাদ খান চপল, মো. মঈনুল হাসান শিমুল, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, লাভলি খান, শামছুন নাহার, হোসনে আরা খনম, রাশিদা আক্তার ময়না, তানজিদুর রহমান চৌধুরী (তাপস), মো. শরিফুল আলম বাবু, কুমার (সমির), রাজিবুল হাসান রিপন, মো. বাবর আলী শেখ, মীর আলমগীর হোসেন, বিভাষ কুমার দাম, ফয়সাল আমিন তপু, মীর রেজওয়ান রহমান, রফিকুল ইসলাম শাহীন, মো. জসিম উদ্দিন লাবু, মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাগেরহাটে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সহায়তায় ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তৌহিদুল আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপ-পরিচালক জনাব আব্দুল কাদের এবং বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সাইদুর রহমান।

ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও তাকিয়া তাহসিন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেন, সদস্য ইয়াছির আরাফাত, জুম্মান শেখ, মিলন শেখ, রেদোয়ান ইসলাম, রাতুল ইসলাম, শৈশব সাহা, সাজিদ হোসেন, নিয়ামুল ইসলাম, শারমিন সুমনা প্রমুখ।

শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে প্রায় শতাধিক অসহায় মানুষ শীত নিবারণের জন্য কম্বল পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে অনুপ্রাণিত করেন এবং ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং সমাজের অবহেলিত ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুর সুস্থতা কামনায় দোয়া

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা //

খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুর সুস্থতা কামনায় দোয়া করেছে রূপসা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা সদর অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম কামরুজ্জামান টুকু।

বিএনপি নেতা মো. কামরুল ইসলাম কচির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- সৈয়দ নিয়ামত আলী, এ্যাড: তাফছিরুজ্জামান, ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু, যুবদল নেতা মুন্না সরদার, আবুল কালাম আজাদ, বাবুল শেখ, আজিজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, ইসরাইল বাবু, শফিকুর রহমান ঢালী, রবিউল ইসলাম রবি, মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শামীম আহমেদ, কবির শেখ, মিজান শেখ, আবু দাউদ ডানিশ, হীরোক গোলদার, আবুল কাশেম, টিপু খন্দকার, সুমন রাজ, জিয়াউর রহমান, জুয়েল আহম্মেদ বাদশা, আবুল হোসেন, নয়ন পাইক, জাহিদ শেখ, রাজু শেখ, সাইদুল শেখ, আলামিন শেখ আলা, রাকিবুল ইসলাম আহাদ, আরাফাত সানী, ওয়ালিদ শেখ প্রমুখ।

রূপসায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক র‍্যালী অনুষ্ঠিত

//রূপসা, খুলনা প্রতিনিধি//
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উদ্বোধন র‍্যালী রবিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, কৃষি কর্মকর্তা তরুণ কুমার বালা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা:মো: আহসান হাবীব প্রমানিক,
মেডিকেল অফিসার ডা: পিকিং শিকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ বজলুর রহমান, টিএসবি ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসাবুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ, রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আ.রাজ্জাক শেখ, সাংবাদিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন, ইউপি সদস‍্য ইনতাজ মোল্লা, সাংবাদিক মামুন শেখ, ছাত্র প্রতিনিধি তামিম হাসান লিওন, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, সাইদুর ইসলাম রাজু,মিরাজ হাওলাদার, সিয়াম সরদার, মিরাজ হোসেন প্রমূখ।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে মারা হয় চিকিৎসক মৌমিতাকে

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নারী চিকিৎসককে শ্বাস রোধ করে মারা হয়েছিল। তাঁর শরীরের বহিরাংশে ১৬টি ও ভেতর ৯টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যৌন নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া গেছে।

৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে এই ময়নাতদন্ত করা হয়। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই এই ময়নাতদন্ত করেন। আজ সোমবার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে খবর প্রকাশ করে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাক-মুখ বন্ধ করে শ্বাস রোধ করার কারণেই (ওই চিকিৎসকের) তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। ভুক্তভোগীর যৌনাঙ্গে কোনো কিছু জোর করে প্রবেশের আলামত পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সম্ভবত তাঁকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল।

গাল, ঠোঁট, নাক, ঘাড়, বাহু, হাঁটু ও যৌনাঙ্গে বাহ্যিক ক্ষত পাওয়া গেছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষত পাওয়া গেছে ঘাড়, মাথার ত্বক ও অন্যান্য অংশের পেশিতে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, সব আঘাত মৃত্যুর আগের। এর অর্থ হলো, মারার আগে তাঁকে সীমাহীন কষ্ট দেওয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস, একই হাসপাতালের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মলি ব্যানার্জি।

গত শুক্রবার উত্তর কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন শেষে ওই দিন রাতে তিনি সেখানে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের মরদেহটি ছিল রক্তাক্ত, শরীরের নানা জায়গায় জখমের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে চিকিৎসকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এখনো আন্দোলন চলছে।

প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। তাঁদের তদন্ত সমালোচনার মুখে পড়ে। এরপর তা ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষায় ভারতের শিক্ষার্থীরা কেন বাংলাদেশে পড়তে আসে

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

বাংলাদেশে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিষয়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। সাম্প্রতিক আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসা ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, এখন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়তে যাচ্ছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ, কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।

কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সুদীপ্ত মাইতি। তিনি বছর চারেক আগে বাংলাদেশে পড়তে যান। সে সময় যত ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ছিলেন, তার চেয়ে এখন সংখ্যাটা বেড়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর ধারণা, সংখ্যাটা বেশ কয়েক হাজার হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ভারতীয় সংসদে জানান, ৯ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ছেন। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতে তাঁদের বড় অংশই গত জুলাইয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন।

সুদীপ্তর মতে, এই ভারতীয় শিক্ষার্থীর বাংলাদেশে পড়তে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ যাওয়া-আসার সুবিধা।

সুদীপ্ত বলেন, ‘এই গন্ডগোলের সময়েও আমরা আখাউড়া থেকে আগরতলা হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় চলে এলাম। সেখান থেকে আমার বাড়ি মেদিনীপুরে পৌঁছাতে আরও কিছুটা সময় লাগল। এটা অন্য দেশ হলে সম্ভব হতো না।’

অন্য দেশ বলতে রাশিয়া, ইউক্রেন, চীনসহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কথা বুঝিয়েছেন সুদীপ্ত। এসব দেশেও পড়তে যান ভারতের শিক্ষার্থীরা। এসব দেশেও পড়ার খরচ অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু এসব দেশের ক্ষেত্রে এত দ্রুত যাওয়া-আসা করা যায় না।

সুদীপ্তর কথায়, অন্যত্র যাওয়া-আসার অসুবিধার পাশাপাশি ভাষার সমস্যাও রয়েছে। আর খাওয়াদাওয়ার সমস্যা তো আছেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগব্যবস্থা এখন এতই ভালো যে প্রায় সব জায়গা থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফিরে আসা যায়। সম্ভবত এ কারণে ভারত থেকে এত শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়তে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশে পড়াশোনা প্রসঙ্গে কাশ্মীরের এক ছাত্রী, যিনি নিজেকে শুধু ‘কাজি’ নামে পরিচয় দিতে ইচ্ছুক, তিনি বললেন, ‘পড়ার সুযোগ ও খরচ—দুটিই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এমবিবিএসের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী কাজি বললেন, ‘আমি ২০১৯ সালে ঢাকার আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য বাংলাদেশে যাই। তখন কাশ্মীরে মাত্র দুটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল। আর কোনো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এখানে ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ সে সময় অনেকগুলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল। যে কারণে আমি ও আমার অনেক বন্ধু বাংলাদেশে পড়তে যাই।’

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তিতে সহায়তা করেন কলকাতার শিক্ষা পরামর্শদাতা কাজী মহম্মদ হাবিব। তাঁর সংস্থা চেকমেট ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তাঁদের পড়তে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করাসহ কলেজ পর্যন্ত যেতে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করে।

মহম্মদ হাবিব বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। দেশটিতে দ্রুত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে, বাড়ছে। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে পড়তে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি। তবে দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আগামী কয়েক বছর হয়তো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি হওয়ার প্রবণতা কমবে। তবে এই দুই সংকট কাটলে আবার বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়বে। তখন দেশটিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে।

বড় কারণ খরচ কম

বাংলাদেশে পড়তে যাওয়ার বড় কারণ হিসেবে কম খরচের বিষয়টি উল্লেখ করেন কাশ্মীরের ছাত্রী কাজি ও তাঁর আরেক বন্ধু।

কাজি বলেন, ভারতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে এক কোটি রুপির মতো খরচ পড়ে। আর আনুষঙ্গিক সব খরচ ধরলে ব্যয় কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সব মিলিয়ে মোটামুটিভাবে ৪০ থেকে ৫০ লাখ রুপি সমমানের খরচে পড়াশোনা শেষ করা যায়।

সুদীপ্ত বলেন, ঢাকার মতো প্রধান শহরের বাইরে ছোট উপশহরে এই খরচ দাঁড়ায় ৩০-৩৫ লাখ রুপির সমপরিমাণ।

কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে সুদীপ্তর চেয়ে এক বছরের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিত আনোয়ার। তাঁর ভাষ্য, মূলত খরচ কম বলেই ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে যান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেখানে পড়াশোনার মান খারাপ।

একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী যদি বিদেশে মেডিকেল অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন, তাহলে দেশে ফিরে তাঁকে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার জন্য ফরেন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েশন এক্সামিনেশন (এফএমজিই) পাস করতে হয়। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে পড়ে এলে এ ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়।

যেসব শিক্ষার্থী মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বা রাশিয়া থেকে পড়ে আসেন, তাঁদের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে পড়ে আসা শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সংখ্যায় এফএমজিই পাস করেন বলে জানান বাসিত। তাঁর মতে, এর একটি সম্ভাব্য কারণ হলো উভয় দেশের পাঠ্যক্রম মূলত একই। ভারতে তাঁরা যে বই পড়েন, বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই বই পড়তে হয়। শিক্ষকদের অনেকে ভারতে পড়েছেন। তাঁরা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন। তাঁরা জানেন, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে এফএমজিই পরীক্ষায় বসতে হবে। ভারতে প্র্যাকটিস করার জন্য। ভারতের চাহিদা সম্পর্কে এই সচেতনতার কারণে এখানকার ছেলেমেয়েরা অনেকেই বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া পছন্দ করেন।

এফএমজিই পরীক্ষায় পাস করাটা অবশ্য খুব একটা সমস্যার নয় বলে মনে করেন বাসিত। মোট ১৯টি বিষয় নিয়ে ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষায় ১৫০ নম্বর পেলেই চিকিৎসক হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাসিত জানান, এখানে কোনো নেগেটিভ নম্বর দেওয়া হয় না। এটা অন্য সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো নয়, যেখানে যাঁরা বেশি নম্বর পাবেন, তাঁরাই পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারবেন। এখানে ১৫০ নম্বর পেতে হবে। তাহলেই একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এই ব্যবস্থা রাখার প্রধান কারণ দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা কম। তাই এটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নয়। আর একেকজন অনেকবার এফএমজিই দিতে পারেন। ফলে শেষ পর্যন্ত পাস করাটা খুব সমস্যা নয়।

তবে এ ক্ষেত্রে অন্য একটি সমস্যা রয়েছে বলে জানালেন বাসিত। তাঁর ভাষ্য, ‘আমাদের যে অংশটা থিওরি (তত্ত্ব), সেই অংশটা প্রায় পুরোপুরি ভারতের পাঠ্যক্রমের মতো। তবে প্র্যাকটিক্যাল (ব্যবহারিক) অংশটায় কিছু সমস্যা আছে। এখানে হয়তো কিছুটা কম সময় দেওয়া হয়, যার ফলে বিষয়টা পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। তবে ভারতে ফিরে এফএমজিই দিয়ে যখন একজন শিক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করতে শুরু করেন, তখন এই ঘাটতিটা পুষিয়ে নেওয়া যায়।’

বাসিতের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হলেন তাঁর অন্য বন্ধুরাও।

বেশি শিক্ষার্থী ভারতের

মহম্মদ হাবিব বলেন, বাংলাদেশে ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রায় ৩ হাজার ১০০ আসন আছে। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই ভারতের।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ১ হাজার ৬৭ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী সে দেশে মেডিকেলে পড়তে গেছেন। নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান থেকে গেছেন যথাক্রমে ২৬৪ জন, ১২ জন ও ২ জন। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফিলিস্তিন থেকে গেছেন একজন করে শিক্ষার্থী। বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে সার্কভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ২২০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনকে পাঠাতে পারে ভারত।

মহম্মদ হাবিব মনে করেন, বাংলাদেশে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের বিস্তারের ফলে সার্কভুক্ত দেশের যেমন লাভ হয়েছে, তেমনি লাভ হয়েছে বাংলাদেশেরও। সে দেশে এমবিবিএস পড়ার খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৫০ লাখ রুপির সমপরিমাণ। সুতরাং ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটা ভালো অঙ্কের অর্থ আয় করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মেডিকেলে ভারতীয় শিক্ষার্থী যখন বাড়ছে, তখন আবার বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য আসছেন। কেন এমনটা হচ্ছে, এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরে মহম্মদ হাবিব বলেন, এখানে একটা দিক হলো চিকিৎসা অধ্যয়ন, অপরটি হলো চিকিৎসাসেবা। বাংলাদেশে বিশেষত চিকিৎসাশিক্ষার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসাসেবায় তারা এখনো পিছিয়ে আছে। এ কারণে বাংলাদেশি রোগীরা ভারতে আসেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাশাপাশি অন্য বিষয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে পড়তে দেখা যাচ্ছে। যেমন পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের কথা বলা যায়। এই প্রতিষ্ঠানটি ফটোগ্রাফি, ভিডিও, টেলিভিশন, ফিল্ম আর্টের চর্চা করে। এখানে ছয় মাসের কোর্স করে দেশে ফিরেছেন পশ্চিমবঙ্গের সুপর্ণা নাথ। তিনি বলেন, পাঠশালা একটি ভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।

ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার ‘এডুকেশন হাব’ হিসেবে গড়ে উঠছে বাংলাদেশ। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে যাচ্ছেন।

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বাংলাদেশে পড়ালেখা করার ক্ষেত্রে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এসেছেন। তাঁরা আন্তরিক উষ্ণতা পেয়ে এসেছেন। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক আন্দোলনের জেরে তাঁদের যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, তা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। রাতের অন্ধকারে দেশে ফেরার জন্য তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স করে বিমানবন্দরে ছুটতে হয়েছিল। পথে নানান মর্মান্তিক দৃশ্য চোখে পড়েছে। তবে তাঁরা এখন আশা করছেন, শিগগিরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে। তাঁরা বাংলাদেশে গিয়ে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন।

Daily World News

প্রথম আলো

ডুমুরিয়ায় শিক্ষকদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা মূলক সেমিনার

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি//

জীবন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্য এই প্রতিপাদ‍্যকে সামনে রেখে খাদ‍্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগে ও বাংলাদেশ  নিরাপদ খাদ‍্য কর্তপক্ষের আয়োজনে  ১৮ জুলাই  বৃহস্পতিবার  ডুমুরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার  শেখ অহিদুল আলম,  বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রহমান জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোকলেচুর রহমান।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন। প্রধান শিক্ষক এস এম রবিউল ইসলাম এর পরিচালনায়  আরো বক্তব‍্য দেন ইন্সট্রাক্টর মো: মনির হোসেন, শিক্ষক আব্দুস ছালাম, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সেমিনারে উপজেলা প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।