খুলনায় ডাক্তার ও এএসআইয়ের মধ্যকার ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি

খুলনায় ডাক্তার ও এএসআইয়ের মধ্যকার ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ভুল চিকিৎসায় মেয়ের হাতের আঙুল পড়ে যাওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ও বিচার দাবি করলেন এএসআইয়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি মেয়ের সুচিকিৎসা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এই ঘটনায় বুধবারও সংবাদ সম্মেলন করেছেনপুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ‘ড. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার স্বামীর নামে যে এজাহার দিয়েছেন তাতে ঘটনার সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১০টা বলা হয়েছে। ডা. বাহার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘটনার সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা। আসলে ঘটনার সময় কখন? আমার কাছে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৪ মিনিটের একটি ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ডাক্তার সম্পূর্ণ সুস্থ ও অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুরের আলামত নেই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কখন মারধর ও ভাঙচুর হলো?’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি ও মেয়েকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না তার ফলে আমার মেয়ের হাতের যে অবনতি হচ্ছে এই দায়ভার কে নেবে? শুধু আমার মেয়ে নয়, কয়েক ডাক্তাররা মিলে কর্মবিরতি দিয়ে যে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিয়ে জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন এই দায়ভার কে নেবে?’

তিনি দাবি করেন, ‘আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। আমার মেয়ের যেন অতি দ্রুত সুচিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হোক। আমাকে হয়রানি ও স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যে হয়রানি করা হলো তার জন্য ড. নিশাত আব্দুল্লাহর গ্রেফতার ও কঠোর বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ওরা আমার স্বামীর ওপর হামলা করেছে। কিন্তু আমার স্বামী বা আমরা কোনও ডাক্তারের ওপর হামলা করিনি। বিএমএর কর্মকর্তারা শুধুমাত্র এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই যে কর্মবিরতি পালন করছেন সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও রাষ্ট্রীয় আচার-আচরণের পরিপন্থিও বটে।’

এদিকে, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনার সব হাসপাতালে বুধবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মবিরতি চলছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে ওই এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলার বিষয়ে সোনাডাঙা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশের এএসআইয়ের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছে। আর এএসআই-এর স্ত্রী বাদী হয়ে ডা. নিশাতসহ দুই চিকিৎসকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও মেয়ের ক্ষতিপূরণ দাবি মামলা দিয়েছেন। থানায় দুটি অভিযোগই নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *