করোনাভাইরাস // ২ হাজার  ৮৭ জন শনাক্ত, মৃত্যু ৩

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

দেশে দিন যত যাচ্ছে ফের করোনার প্রকোপ ততই বাড়ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আজও দৈনিক শনাক্ত দুই হাজার ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার  ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জনে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ১৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মারা যাওয়া দুজন চট্টগ্রামের এবং একজন ঢাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

Daily World News

পদ্মা সেতু চালু হলেও শিমুলিয়া-মাঝিরঘাটে ফেরি চলবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  মাস্ক পরার নির্দেশ

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া ওই অফিস আদেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

মহামারির মধ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক পরে থাকার সরকারি নির্দেশনা বলবৎ থাকলেও নতুন করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

করোনা আক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, মন্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় শনিবার সকালে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা দেন। সন্ধ্যায় আরটিপিসিআর টেস্টে তার করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এর আগে শনিবার সকাল থেকেই গুঞ্জন উঠেছিলো শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে আজ সিরডাপে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিও বাতিল করেন তিনি।

তবে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তখন কিছুই জানানো হয়নি।

শনিবার সকালে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা যাওয়ায় শনিবার সকালে কোভিড টেস্ট করিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ফল পাননি। যে কারণে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা তিনি নিশ্চিত করেননি। তবে বিকেলেই শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র মন্ত্রী মহোদয়ের করোনা আক্রান্তের খবরটি নিশ্চিত করে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিক্ষামন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সেলফ আইসোলেশনে যান ডা. দীপু মনি। তবে সেবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি তিনি।

উত্তর কোরিয়ায় করোনায় আরও ২১ মৃত্যু

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর সিবিএস

এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্তান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৭ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন।

উত্তর কোরিয়ায় গত বুধবার সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেয়া হয়।

দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে এক টিভি ভাষণে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায়। কিম জং উন করোনার এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি তথ্য অনুযায়ী বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

চীনে শুরু হওয়া করোনা এখন দৈনিক সংক্রমন ২০ হাজার

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

চীনে বুধবার করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মহামারি শুরুর পর এটি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

এদিকে সাংহাইয়ে লকডাউন সত্তে¦ও করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।

বিশ্বে চীনে ২০১৯ সালে করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে। সে সময়ে দেশটি করোনা নিয়ন্ত্রণে যে শুন্য নীতি ঘোষণা করে তা এখন প্রচন্ড চাপের মুখে পড়ে গেছে।

চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে লকডাউন, গণপরীক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দৈনিক সংক্রমণ কম রাখতে পেরেছে। কিন্তু সম্প্রতি দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাংহাইয়ের কাছে তীব্র সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এক বিবৃতিতে বলছে, বুধবার নতুন করে ২০ হাজার ৪৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে কেউ মারা যায়নি।

আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন।

এদিকে চীনের ৮০শতাংশেরও বেশি সংক্রমণ বৃহত্তম নগরী সাংহাইয়ে হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা বুধবার জানিয়েছেন।

আড়াইকোটি জনসংখ্যার এনগরীতে ধাপে ধাপে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। সূত্র: বাসস

সারা বিশ্বে করোনা সনাক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক শনাক্ত-মৃত্যুর সংখ্যা গত কয়েকদিন কম ছিল। যা গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ১৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৮১৮ জনে।

বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সর্বশেষ এসব তথ্য পাওয়া যায়।

দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৪ জন এবং মারা গেছেন ২৩৭ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৪২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ হাজার ৪২৩ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৭১ জন এবং মারা গেছেন ৭১৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০ লাখ ৫ হাজার ৫৫ জন।

ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮২ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৯৪ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ২৮ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১০ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন।

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৩১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৯৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৭ জন মারা গেছেন।

একদিনে রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৯ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৬০ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার ৫০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২৫ জনের।

এছাড়া যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০৫ জন এবং মারা গেছেন ৩০৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৪ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১৯০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৪৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১৭৭ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৫ জন এবং মারা গেছেন ১০৮ জন। গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৮০ জন এবং মারা গেছেন ১৬৪ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯১৬ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন। গত একদিনে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০৮ জন এবং মারা গেছেন ১১০ জন।

এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হংকংয়ে ১৫১ জন, ইরানে ৪৬ জন, চিলিতে ১৮ জন, মালয়েশিয়ায় ৬৪ জন এবং থাইল্যান্ডে ৭৮ জন ও মেক্সিকোতে ১১ জন মারা গেছেন।

English Dainikbiswa

শাকিব খান এবার অভিনয় করবেন মার্কিন অভিনেত্রীর সাথে

 

করোনাকালীন স্বাস্থ্য সেবার বিশেষ ভাতা পাবেন চট্টগ্রামের আরো ২০৪ ডাক্তার

//আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম //

মহামারী করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চট্টগ্রামের আরো ২০৪ জন চিকিৎসককে এককালীন বিশেষ ভাতা প্রদান করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তা ছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদেরও বিশেষ ভাতা প্রদান করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে একথা বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাদ পড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এককালীন বিশেষ সম্মানী প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হতে তালিকা পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জুন মাসে হাসপাতালের করোনাযোদ্ধা ৩১৮ জন চিকিৎসক ও ৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ২ কোটি ৮২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩১০ টাকা সম্মানী প্রদান করা হয়। তখন এই তালিকা থেকে ২০৪ জন চিকিৎসক বাদ পড়েছিলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিট ওয়ার্ডে কর্মরত থেকেও বিশেষ সম্মানী প্রাপ্তি থেকে বাদ পড়া ২০৪ জন চিকিৎসকের বিশেষ ভাতার আবেদন জানিয়ে ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিটি প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত মহামারী করোনার চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে দায়িত্বপালন কালে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে পদমর্যাদা মোতাবেক ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং মারা গেলে ২৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার স্বাস্থবীমা প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেছিলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সঙ্গে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, প্রত্যক্ষ ভাবে করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারীদের বিশেষ ইন্সুরেন্স সুবিধা প্রদানের ঘোষণাও প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন চট্টগ্রামের ২০৪ জন চিকিৎসক।

পড়ুণ দৈনিক বিশ্ব

English Dainikbiswa

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে মামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্ত্রান হবে ৪ লক্ষ মানুষের

হাইমচরে ২১৬০’জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার ভেকসিন পেলো

মোঃ হোসেন গাজী।।

হাইমচর উপজেলার ২১৬০ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার ভেকসিন পেলো

বৃহস্পতিবার ২৫’শে ফেব্রুয়ারি,হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা (করোনা ভাইসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে)বাংলাদেশ সরকারের স্থাস্থ্য অধিদপ্তরে সহযোগীতায়,হাইমচর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনস্বাস্থ্য কর্মীদের অক্লান্ত ধর্য্য ও পরিশ্রমে, জনগণের স্থাস্থ্য শুরক্ষায়,করোনার আক্রমণ হতে আত্যরক্ষার দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার ভেক্সিনের টিকা পেলো হাইমচর উপজেলার একাদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১৬০’জন শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবাগত ইউএইচএফপিও ডাঃ মু, বেলায়েত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় হামচর উপজেলার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১৬০’জন শিক্ষার্থীরা নিয়ন্ত্রীত ভাবে,মাস্ক পরিধাণ করে দূরত্ব বজায় রেখে,ফাইজার ভেক্সিন দ্বিতিয় ডোজ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

এ’বিষয়ে হাইমচর উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়,হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে,সকাল ১০’টা হতে দুপুর ৩’টা পর্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে নিজনিজ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে,উপজেলা স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ২১৬০’জন শিক্ষার্থীরা দ্বিতিয় ডোজ ফাইজার ভেক্সিনের টিকা সম্পন্ন করেছে।আগামীতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশক্রমে ভেক্সিন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

এসময় আগত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের জিগ্যাসা বাদে জানাযায় শিক্ষার্থীরা করোনা ভেক্সিন দিতে পারলে সকলে তাদের প্রিয় বিদ্যাপীঠ গুলোতে নিরাপদে চলাচল করতে পারবে,এবং তারা নিজেদের পড়ালেখার সাথে নিজেদের বিদ্যালয়ের সম্পর্ক স্থির রাখতে পারবে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবেনা।

ডেল্টাক্রন নামে দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডে, কতটা ভয়াবহ এটা…!

//আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ইংল্যান্ডে এবার করোনা ভাইরাসের হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টাক্রন’ এর দেখা মিলল। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে ফের চিন্তায় বিশেষজ্ঞেরা।

অর্থাৎ ওমিক্রন ও ডেল্টা দুটি ভ্যারিয়েন্টের মিশ্রণে তৈরি নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টাক্রন। খবর ব্লুমবার্গের।

করোনাভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেইন— দুয়েরই চরিত্র রয়েছে এতে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (এইচএসএ) জানিয়েছে, দেশের একটি গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এটি। মিউট্যান্ট হাইব্রিডটিকে নজরে রাখার কাজ শুরু হয়ে গেছে।

ডেল্টাক্রনের আবির্ভাব নিয়ে মুখ খুললেও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ঠিক কতটা বিপজ্জনক, সে নিয়ে কিছু জানায়নি এইচএসএ।

অর্থাৎ এর সংক্রমণ ক্ষমতা কতটা, মারণ ক্ষমতাইবা কেমন, তা নিয়ে মুখ খোলেনি তারা। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটিয়েছে ডেল্টা স্ট্রেইন।

এর প্রভাবে আমেরিকা ও ভারতে ব্যাপক মৃত্যু হয়। উল্টো দিকে ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি সংক্রামক স্ট্রেইন। এটির সংক্রমণ ক্ষমতা ভয়াবহ হলেও মৃত্যু সংখ্যা কম ছিল।

এদের দুয়ের মিশ্রণে তৈরি হওয়া ভ্যারিয়েন্ট, তাই কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজ্ঞানীদের।

ডেল্টাক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম আবিষ্কার হয় সাইপ্রাসে, গত বছরের শেষের দিকে। ‘ইউনিভার্সিটি অব সাইপ্রাস’-এর গবেষক লিয়োনিডস কসট্রিকিস দাবি করেছিলেন, তার দল ২৫টি ডেল্টাক্রন সংক্রমণ চিহ্নিত করেছে।

এ বছর ৭ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক তথ্যভাণ্ডার ‘জিআইএসএআইডি’-র কাছে সেই ২৫টি সংক্রমণের জেনেটিক সিকোয়েন্স পাঠান কসট্রিকিস।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বার্কলে ল্যাবরেটরির গবেষক টমাস পিকক বলেন, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এটি কোনোভাবে মিশে গেছে।

কিন্ত কসট্রিকিসের দাবি, ডেল্টা ও ওমিক্রনের থেকেও বেশি শক্তিশালী ডেল্টাক্রন। ব্রিটেনের এইচএসএ অবশ্য এখনও ডেল্টাক্রন সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

পড়ুণ দৈনিক বিশ্ব

English Dainikbiswa

চিরচেনা লুঙ্গি-শার্ট নয় , ফটোশুটে মাম্মিক্কার স্মার্ট লুক (ভিডিও)

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কতদিন পরে…? কি বললেন ডা. দীপু মনি

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক//

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে পাঠদান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও দুই সপ্তাহ পর নেওয়া হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পাঠদানের সময়সূচি ঠিক করে নেবে। তবে ২২ তারিখ থেকেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু করতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেন দীপু মনি। বলেন, সব ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান থাকবে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রাথমিকে ক্লাস শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে ২২ তারিখের পর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকেও ক্লাস শুরুর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নিয়ে আসছি না। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। কারণ তাদের তো টিকা দেওয়া হয়নি।  আমরা সপ্তাহ দুয়েক সর্বোচ্চ দেখব। আমরা আশা করছি সপ্তাহ দুয়েক পর সংক্রমণ কমে আসবে এবং আমরা তাদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে অর্থাৎ ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকাদানের ব্যাপারেও একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পর ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যুগান্তরকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

জাতীয় কমিটির পরামর্শ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে শিশুদের নয়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুরা যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদের এখন স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই।

বুধবার রাত ১০টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৈঠক শেষে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেছিলেন, যেহেতু সংক্রমণ হার অনেকটা কমেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলেছি। কখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে সেটি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে।

পড়ুণ দৈনিক বিশ্ব

English Dainikbiswa

বাঁশখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী ও সভা অনুষ্ঠিত