স্বামীকে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রীর আত্মহত্যা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার পর এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার  ভোররাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও তার স্ত্রী নাজমিন (৩০)। আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ছোট স্ত্রী নাজমিন প্রথমে স্বামী আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেন। এরপর একটি চিরকুট লিখে নিজেও গলায় ফাঁস দেন। চিরকুটে লেখা ছিল-“আমি কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা। নাজমিন হত্যার পর আবুল কালাম আজাদের বুকের ওপর কলম দিয়ে লেখেন-“সরি জান, আই লাভ ইউ”। পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিলেন। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। ছোট স্ত্রী নাজমিন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় বউ শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। আমি নিজেও গিয়েছিলাম। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাগেরহাটে রামপালে ফেসবুক আইডি দিয়ে কুৎসা রটনা ও সামাজিকভাবে মান সম্মান ক্ষুন্নের অভিযোগ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

রামপালে ফেসবুক আইডি দিয়ে কুৎসা রটনা ও সামাজিকভাবে মান-সম্মান ক্ষুণ্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজনগর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের পক্ষে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য মো. জালিনুর হাজরা।

জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বাঁশেরহুলা গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. জালিনুর হাজরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, রাজনগর গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে আবু হানিফা গত ইং ১০-০২-২৫ তারিখে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করেন। পোষ্টে তিনি জালিনুর হাজরা, মো. মাসুদ গাজী ও আওয়াল হাজরার নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন কমেন্ট করে মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করেন। এছাড়াও সে বিভিন্ন অপপ্রচার করে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ নিরাপত্তা কামনা করেছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে আবু হানিফা হাওলাদারের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুক পোষ্টে যা লেখা হয়েছে তা সত্যি। জালিনুর বড় ঘের করে। সে ঘেরে বড় বড় কল বসিয়ে ঘেরে পানি তুলে ভিতরের ছোট ছোট ঘের ভাসিয়ে মাছ নিয়ে নেয়। এতে এলাকার লোকজনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এলাকায় ১৮ টি সরকরি খাল বেধে মাছ চাষ হচ্ছে। জালিনুর তার ঘেরের পাশের খাল বাধ দিতে গেলে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ঋণ না পেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যার সংবাদ প্রকাশে আমতলীতে বিভ্রান্তি

//মাহমুদুল হাসান, আমতলী, বরগুনা প্রতিনিধি//

বরগুনার আমতলীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে “সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি।  কিছুক্ষণ পরে আমি আত্মহত্যা করবো। আমি চার পাশে অনেক ধার দেনা হয়ে গেছি। নিজেকে আর সামলাতে পারছি না। একটা লোন হওয়ার কথা ছিল আজকে তা হলো না। আমি আমার বউয়ের সকল গহনাগাটি টাকা পয়সা খরচ করে পথের ভিখারী হয়ে গেছি। আমার বউ অথবা পৃথিবীর কারো দোষ নেই আমার মৃত্যুর জন্য। সকলে আমাকে মাফ করে দেবেন। মা, বাবা, ভাই ও বোন সকলে আমাকে মাফ করে দিবেন”। এমন স্টাটাস দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময়ে আমতলী পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী খোকন কাজী আত্মহত্যা করে।

খোকন কাজীর এমন আবেগঘন ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে স্বজনরা দ্রুত দোকানে চলে আসে। কিন্তু তারা এসে দেখতে পায় খোকন কাজী দোকানের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে দ্রুত উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

জানাগেছে, বরিশাল শহরের লাকুটিয়া খাশিপুর এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন কাজীর ছেলে খোকন কাজী ২০২০ সালে আমতলীতে এসে উপজেলা রেভিনিউ মসজিদের পাশে চায়ের দোকান দেয়। এ দোকানের ব্যবসায় তার সংসার ভালো চলছিল না। গত দুই বছর আগে জনসেবা নামক একটি স্থানীয় সংস্থা থেকে ঋণ নেয় খোকন। উক্ত ঋণের টাকা গত এক মাস আগে পরিশোধ করলেও ঐ সংস্থায় পুনরায় ঋণ নেওয়ার আবেদন করেনি খোকন কাজী। কিন্তু ফেইসবুক স্টাটাসে আত্মহত্যার করার আগে দেওয়া পোস্টের এক লাইনে লেখা ছিল আজকে একটা লোন হওয়ার কথা ছিল তাও হলোনা। খোকনের স্টাটাসে কোথাও লেখা ছিলনা কোন সংস্হায় ঋণের আবেদন করেছে এবং ঐদিন কোন সংস্হার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল? এসব না লেখা থাকলেও আগের নেওয়া ঋণ প্রদান সংস্হাকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে মৃত্যু খোকন কাজীর পরিবার ও আমতলীতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

ঐ স্টাটাসের কারণে হয়তো কতিপয় অতি উৎসাহী লোকের দেওয়া বিভ্রান্তি মুলক তথ্য প্রদান বা আলোচনা করায় সংবাদ প্রকাশকারী মিডিয়ার স্হানীয় প্রতিনিধিরা উক্ত  সংস্থাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

ঋণ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে আমতলীতে বসবাস কারী খোকন কাজীর স্ত্রী ডালিয়ার ফুপাতো বোন আয়শা ফেরদৌসী বলেন, খোকন কাজী দীর্ঘদিন ধরে মানুষিক চাপে ভুগলেও ঋণ বা এ জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে পরিবারের কারো সাথে কোন কিছু আলোচনা করতো না। জনসেবা সংস্থা থেকে ঐদিন ঋণ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান সে আরও সংস্থা থেকে ঋণ নিলেও এসব নিয়ে পরিবার বা কারো সাথে কোন কিছু বলেনি।

জনসেবা ঋণ সংস্থার ম্যানেজার মোঃ রিয়াজুল হাসান বলেন,খোকন আমাদের সংস্থার সদস্য ছিল। এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গত জুন মাসে তা পরিশোধ করে। কিন্তু নতুন করে ঋণ নেওয়ার আবেদন করেনি।তাই আমাদের সংস্থা থেকে আজকে ঋণ দেয়ার প্রশ্ন আসতেই পারেনা।

জনসেবা সংস্থার পরিচালক এসএম সোহেল মাহমুদ বলেন, ওই ব্যাক্তি আমাদের সংস্থায় ঋণের জন্য আবেদনই করেননি তো ঋণ দেব কিভাবে? আমাদের সংস্থা ঋণ দিবে বলে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।

বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলায় জাতির পিতা ও নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে ফেইসবুকে কটুক্তি

//মাহমুদুল হাসান,আমতলী, বরগুনা প্রতিনিধি//

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার এর উদ্বোধন উপলক্ষে আমতলীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্স এর সঞ্চালনা করেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। সঞ্চালনার শুরুতে নির্বাহী আশরাফুল আলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং আগামীতে আরও উন্নয়ন হওয়ার কথা জানান।

গতকাল ২৮শে জুন চ্যানেল আমতলী সেই ভিডিও’টি আপলোড করে। সেই ভিডিওতে এলএস আতিক হাসান সজল নামের ফেইসবুক আইডি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে উদ্দেশ্য করে লিখেন “ওনি নাকি হক পথে থাকে হক পথে চলে আর উনি কিভাবে বলে জাতির পিতা ছিল শেখ মুজিবুর রহমান বড় একটা চামচা”।

সজলের এই কমেন্টে সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির পিতা তা অস্বীকার করা হয়েছে এবং  উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিভাবে বলে জাতির পিতা ছিল শেখ মুজিবুর রহমান বড় চামচা একটা চামচা”।

বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলায় জাতির পিতা ও নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে ফেইসবুকে কটুক্তি

সজলের এই কমেন্টে সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির পিতা হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে এবং  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জাতির পিতা বলায় কমেন্টে তাকেও কটুক্তি করায় আমতলীতে চরম  অসন্তোষ বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য,গত বছরের ১৯ জানুয়ারি দেশের ১৩টি জেলার আমতলী সহ ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আমতলীতে আয়োজিত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। সঞ্চালনার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সংসদীয় আসন আমতলী-তালতলীর কথা উল্লেখ করে নির্বাহী অফিসার জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন। আমতলী থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পুরো ভিডিও গতকাল চ্যানেল আমতলীতে আপলোড করার দুই ঘন্টা পর এই কমেন্ট করে।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, জাতির পিতাকে নিয়ে ঔদ্ধত্য পুর্ন কমেন্টের জন্য উক্ত এলএস আতিক হাসান সজলকে খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলায় কমেন্টে এ ধরনের লেখার দুঃসাহসী কে এই জামাত শিবিরের লোক? বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলায় কমেন্টে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে যা লেখা হয়েছে তা আমতলী বাসী কোনভাবেই মেনে নিবেননা। তাই অনতিবিলম্বে উক্ত সজলকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,বিষয়টি দেখেছি খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম যারা চায়নি সেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা মওদূদীর অনুসারী জামাত-শিবিররাই মূলত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে। এদের স্বাধীন বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাই মওদূদীবাদী জামাত-শিবির সহ সকল স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যক্তিসহ দল নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

ডুবে যেতে পারে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিমান বন্দর

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

২৯ বছর আগে ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। জাপানের ওসাকা,কিয়োটো কোবের মতো ব্যস্ত শহর থেকে নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এটি।

ওসাকা স্টেশন থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসাকা বের ঠিক মাঝখানে দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর  তৈরি হয়েছে এ বিমানবন্দর।

কিন্তু যে দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর বিমান বন্দর তৈরি করা হয়েছে তা ক্রমেই সমুদ্রের তলায় ডুবে যাচ্ছে। এমনকি,মূল ভূখণ্ড থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে এ বিমানবন্দর। বিশেষজ্ঞদের দাবি,ইতোমধ্যেই কৃত্রিম দ্বীপের ৩৮ ফুটেরও বেশি ডুবে গেছে।

২০৫৬ সালের মধ্যে আরও ১৩ ফুট সমুদ্রের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর বিমান বন্দর তৈরি করতে জাপান খরচ হয়েছিল ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। কৃত্রিম দ্বীপ দুটি নির্মাণ করতে প্রথমে সমুদ্র পৃষ্ঠের ওপর পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটি দেওয়া হয়। তার উপর গেঁথে দেওয়া হয়

১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২২ লাখ পাইপ।

জমির ভিত শক্ত করতে পাইপের ওপর মাটির সঙ্গে কাদা বালি মেশানো হয়। ওসাকা বের ওপর তৈরি দুটি কৃত্রিম দ্বীপের জমি ছিল ভেজা স্পঞ্জের মতো। সেই জমি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তারপর শুরু হয় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। ষাটের দশকে টোকিয়ো শহরের সঙ্গে কানসাই এলাকার বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে কোবে ওসাকা শহরের কাছা কাছি একটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা থেকেই এ বিমানবন্দর নির্মাণের পদক্ষেপ নেয় জাপান সরকার।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল ইটামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনঃনির্মাণ করে আরও বর্ধিত করা হবে। কিন্তু ইটামি  টোয়োনাকা শহরের কাছে এত উঁচু আবাসন রয়েছে যে বিমানবন্দর তৈরির জন্য ফাঁকা জমি পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। এমনকি সেখানকার বাসিন্দারাও আপত্তি জানাতে শুরু করেন। বিমানবন্দর তৈরি হলে শব্দদূষণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি জানান তারা। তাই সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

কোবে শহরে নতুন বিমানবন্দর তৈরির চিন্তাভাবনা করা হলেও সেই চিন্তা থেকে সরে আসে জাপান সরকার।

এরপর সমুদ্র পৃষ্ঠের ওপর দুটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।

১৯৮৭ সাল থেকে দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২৬০০ একর জমির ওপর কৃত্রিম উপায়ে দুটি দ্বীপ তৈরি করে তার ওপর তৈরি হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৯৯০ সালে কৃত্রিম দ্বীপ দুটি তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। সেতু নির্মাণের চার বছর পর সম্পূর্ণ ভাবে কার্যকর হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

১৯৯৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ভূমিকম্প হয় জাপানে। ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হোনসু দ্বীপে ৬,৪৩৪ জন মারা যান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়। কিন্তু কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত। এরপর ১৯৯৮ সালে এই এলাকায় আঘাত হানা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ও বিমান বন্দরের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

তবে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়,কয়েকটি বিমানের ইঞ্জিনের ভেতর পানি ঢুকে যায়। বিমানবন্দরের ভেতর আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যে সেতুর মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বিমান বন্দরের যোগাযোগ ছিল সেই সেতুর ওপর একটি ট্যাঙ্কার আছড়ে পড়ে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। দুদিন বিমান ওঠা নামা বন্ধ থাকে বিমানবন্দরে।

ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পর কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়। ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিলের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়। ২০১৬ সালের গণনা অনুযায়ী কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। সেই সময় জাপানের তৃতীয় ব্যস্ততম এশিয়ার ত্রিশতম ব্যস্ত বিমান বন্দর হিসেবে নাম লেখায় কানসাই বিমানবন্দর।

তবে কৃত্রিম দ্বীপের প্রতিনিয়ত ডুবে যাওয়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে জাপান সরকারকে। তা হলে কী এই বিমান বন্দরটি কয়েক দশকের মধ্যে সমুদ্রের তলায় চলে যাবে?

না কি এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সূত্রঃ ফেসবুক

Daily World News

বুড়ামজুমদার যুব সংঘের পক্ষ থেকে ৫০ টি পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান

ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক তালতলীতে এসে আটক

//মাহমুদুল হাসান, আমতলী, বরগুনা//

ফেইসবুকে প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বরগুনার তালতলীতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন আল আবির মৃধা।

ফেইসবুকে যোগাযোগ তারপর প্রেম সেই প্রেমের টানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল এলাকার মনিরুজ্জামান মৃধার পুত্র আল আবির মৃধা ছুটে আসেন বরগুনার তালতলীতে।এসে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন ফেসবুকে যে নামের আইডির সাথে কথা বলছেন তিনি,সেই নামের নারী বিবাহিত এবং এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ কিছুই জানে না।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের পর আল আবিরকে মায়ের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের সাথে বরগুনার তালতলী উপজেলার নায়াপাড়া এলাকার এক কিশোরীর (ফেইসবুক আইডি অনুসারে) সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়। আলাপের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠটা। এরপর প্রেমের টানে বান্ধবীকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তালতলীতে।

ভুক্তভোগী প্রেমিক আল আবির মৃধা বলেন, ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে আরিফা ইসলামের সাথে পরিচয় এর পর ফেসবুকের মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে তার সাথে বেশ কয়েকবার কথা ও মেসেজে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল (আরিফা ইসলাম) সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এই এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে পুলিশ আমাকে আটক করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাগর বলেন,রাতে ওই ছেলে এই এলাকায় এসেছে তার প্রেমিকাকে দেখার জন্য। পরে আমরা বিষয়টি শুনে তাকে বলেছি, তিনি যে মেয়ের জন্য এসেছেন সেই মেয়ে বিবাহিত এবং এখানে থাকে না শ্বশুর বাড়ী থাকে।

ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া জানান, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমর ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

ভুক্তভোগী আল আবি মৃধার মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার ছেলের তালতলীতে এসে ফেসবুকে ফেইক আইডির প্রতারণা শিকার হয়েছে। আমি খবর শুনে এসেছি। আমার ছেলে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে আমার কোন অভিযোগ নেই।

তালতলী থানার (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা থেকে এক যুবক এসেছেন তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা  বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ওই যুবকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার মা ও বোনের নিজ জিম্মায় আলআবি মৃধাকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

Daily World News

তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কি করি আর কি যে বলি বুঝে ওঠার আগেই আবার গুলিয়ে যাই- দেখেন তো আপনি বোঝেন কিনা–?

//বিনোদন প্রতিবেদক//

চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি।

.চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ।

.চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগীজ।

.একটু দামী খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দী আর দাম গ্রীক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা, বার্গার বা চকোলেট অর্ডার দেয়ার সময় কখনো কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরা আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসী ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেয়া মশলাটা আরবি। মশলাতে দেয়া মরিচটা ফারসি!

.বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসী।

.ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইতালিয়ান।

আর যদি দারোয়ান কে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি।

.এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ফারসি। ফলমূলে আনারস পর্তুগিজ, আতা কিংবা বাতাবিলেবুও। লিচুটা আবার চীনা, তরমুজটা ফারসি, লেবুটা তুর্কী। পেয়ারা-কামরাঙা দুইটাই পর্তুগীজ। পেয়ারার রঙ সবুজটা কিন্তু ফারসি।

.ওজন করে আসল দাম দেয়ার সময় মাথায় রাখবেন ওজনটা আরবি, আসল শব্দটাও আসলে আরবি। তবে দাম কিন্তু গ্রীক, আগেই বলেছি।

.ধর্ম কর্মেও একই অবস্থা। মসজিদ আরবি দরগাহ/ঈদগাহ ফারসি। গীর্জা কিন্তু পর্তুগীজ, সাথে গীর্জার পাদ্রীও। যিশু নিজেই পর্তুগীজ। কেয়াং এদিকে বর্মিজ, সাথে প্যাগোডা শব্দটা জাপানি। আর, মন্দিরের ঠাকুর হলেন তুর্কী।

.আর কি বাকি আছে? ও হ্যাঁ। কর্মস্থল! অফিস আদালতে বাবা, স্কুল কলেজে কিন্ডারগার্টেনে সন্তান। বাবা নিজে কিন্তু তুর্কী, যে অফিসে বসে আছেন সেটা ইংরেজি, তবে আদালত আরবি, আদালতের আইন ফারসি, তবে উকিল আরবি।.

ছেলে যে স্কুলে বা কলেজে পড়ে সেটা ইংরেজি, কিন্তু কিন্ডারগার্টেন আবার জার্মান!

.স্কুলে পড়ানো বই কেতাব দুইটাই আরবি শব্দ। যে কাগজে এত পড়াশোনা সেটা ফারসি। তবে কলমটা আবার আরবি। রাবার পেনসিল কিন্তু আবার ইংরেজি!

.পুরো স্ট্যাটাস মনে না থাকলে অন্তত এটা মনে রাখবেন যে মন শব্দটা আরবি।

.শব্দের কেচ্ছা-কাহিনী এখানেই খতম। তবে কেচ্ছাটা আরবি, কাহিনীটা হিন্দি, উভয়ের খতমটা আরবিতে। মাফ চাইলামনা বা সরি বললাম না, কারণ মাফটা আরবি আর সরিটা ইংরেজি।

এইসব রিসার্চ করার পরে তো আমি নিজেই আউলাই গেছি ভাই।

ফেসবুকে লাখ টাকার জ্যাকপট, মিলিয়ন ডলারের লটারি-তে  ক্লিক করলেই আইডি হ্যাক

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক ও র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে টাকা দাবি করার অভিযোগে আশরাফুল প্রত্যয় ওরফে লুনেটিক প্রত্যয় (২০) নামের এক হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সাভারের বাসস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আশরাফুল ‘লাখ টাকার জ্যাকপট’, ‘মিলিয়ন ডলারের লটারি’ ইত্যাদি লোভনীয় পুরস্কারের লিংক বিভিন্ন ব্যক্তির মেসেঞ্জারে পাঠান। কেউ সেই লিংকে ক্লিক করলেই আইডি হ্যাক হয়ে যায়। পরে র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে সেই আইডি উদ্ধারের নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আশরাফুল সাভার মডেল কলেজের শিক্ষার্থী। অনলাইনে তিনি পরিচিত লুনেটিক প্রত্যয় নামে। নিজেকে গেমার পরিচয় দিলেও তিনি মূলত হ্যাকার। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘প্রতিদিন ২০০ ডলার গেম খেলে টাকা আয়’—এমন ধরনের লোভনীয় লিংক পাঠান। লোভে পড়ে কেউ সেগুলো ক্লিক করলেই আইডি হ্যাকড হয়ে যায়। পরে র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে সেই আইডি উদ্ধারের জন্য জিডি, সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য ফির নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

পুলিশ জানায়, এই হ্যাকার সম্প্রতি ফাইয়াজ রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর মেসেঞ্জারেও এমন একটি লিংক পাঠান। সেই লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়ে যায়। পরে আইডি উদ্ধারের জন্য র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে তাঁকে ফোন দেন আশরাফুল। আইডি উদ্ধারের জন্য ফাইয়াজের কাছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন হুমকিও দেন তিনি। পরে ফাইয়াজ অভিযোগ করলে সাভারের বাসস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বেআইনি সকল কাজের ঠিকানা স্যার লোটাস কামালের অফিস ?

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সোস্যাল মিডিয়ার ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপনের মত প্রায় প্রচার করে থাকেন নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রিয় দৌলখাঁড় গ্রামের আবুল কালাম আজাদ । ব্যাতিক্রমী বিজ্ঞাপনে যে সকল সেবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে  সবগুলোই রাষ্ট্রের আইনের বাইরে । এখন প্রশ্ন হলো স্যার লোটাস কামালের অফিস হলে সবই জায়েজ ?

উল্লেখ্য, এ পেজ থেকে বেআইনি সেবার বিজ্ঞাপন প্রায়ই দেখা যায় ! সম্ভবত স্যার লোটাস কামালের নাম দেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখে পড়লেও তারা এড়িয়ে যান । স্যার লোটাস কামাল বলতে বুঝাচ্ছে প্রচারকারীর নির্বাচনী এলাকার অর্থ মন্ত্রী  আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল । ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন আবুল কালাম আজাদ নিজেকে পরিচয় দেন অরবিটালস এন্টারপ্রাইজের স্টাফ । যে প্রতিষ্ঠানের মালিক অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে কয়েক লাখ নিজের হেফাজতে নিয়েছে । এ পর্যন্ত কাউকে পাঠিয়েছেন এমন খবর পাওয়া  যায়নি । তবে শেষতক তার খেসারত গুনতে হবে স্যার লোটাস কামাল ।

(পাঠক ও সতর্কতার জন্য তাঁর স্ট্যাটাস কপি করা হল)

এম আরপি থেকে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলেই যোগাযোগ ই-পাসপোর্ট এনআইডি কার্ড এর বরাবর বয়স কালেকশন নাম কালেকশন চেঞ্জ সহ ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা করি কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস এবং ঢাকা আগারগাঁও।

দেশও প্রবাস থেকে অনেকে পাসপোর্ট আবেদন জমা করেছেন কিন্তু পাসপোর্ট ঢাকা ডাটা সেন্টার ব্যাকএন্ড এ আটকে আছে তাহলে ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে যোগাযোগ করুন।

এন আইডির সংশোধনের এর কাজ করি। শুধু নিজের নাম-পিতার-নাম- মাতার নাম।

ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি? কিন্তু ভ্যাকসিন এর সার্টিফিকেটের প্রয়োজন-তাহলে সার্টিফিকেটের জন্য কল করুন। এবং কন্টাকে মেডিকেল করানো হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন করানো হয়।

যোগাযোগ ঠিকানা ঢাকা গুলশান

স্যার লোটাস কামাল টাওয়ার 2 অফিস ১৬ তলা

অরবিটালস্ ইন্টারন্যাশনাল বিস্তারিত জানতে কল এর মাধ্যমে 01857873599

মোঃ আজাদ মজুমদার গ্রামের বাড়ী প্রিয় দৌলখাঁড়।

এই নারীকে ধর্মহীন এবং বর্ণহীন মানুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়ার স্বীকৃতি দিল আদালত

//দৈনিক বিশ্ব ফেসবুক ডেস্ক//

ইনি স্নেহা পার্থিবরাজ। বয়স পঁয়ত্রিশ। পেশায় আইনজীবি এই ভদ্রমহিলার বাড়ি তামিলনাড়ুর তিরুপাত্তুর। ইনি এর মধ্যেই ব্যতিক্রমী এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

কাণ্ড বললেও অবশ্য কম বলা হবে,বলা উচিত বিপ্লব। হ্যাঁ, নি:শব্দ বিপ্লবই ঘটিয়েছেন ইনি। তাও আবার ভারতের মতো ধর্ম ও বর্ণে শতবিভক্ত একটি দেশে। ইনি যা করতে চেয়েছেন,করেওছেন তা খবরের কাগজগুলিতে আলোচনার বিষয় হতে পারত। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি? কীই-বা এমন করেছেন তিনি?

ইনিই ভারতের প্রথম মহিলা যাঁর কোনো ধর্ম নেই এবং বর্ণও নেই।এই স্বীকৃতি তিনি আদায় করেছেন দীর্ঘ লড়াইয়ের পর খোদ তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু কীভাবে? স্কুল জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্তরে ধর্ম ও বর্ণের ঘরটা ফাঁকা রাখতেন। পরবর্তীকালে ২০১০ সাল নাগাদ তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন।

পাশে পেয়ে যান তাঁর স্বামী পার্থিবরাজকেও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মেলে স্বীকৃতিও। স্বয়ং তামিলনাড়ু সরকার গত ফেব্রুয়ারিতেই স্নেহা পার্থিবরাজকে সনদ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, এবার থেকে স্নেহা নিজেকে ধর্মহীন এবং বর্ণহীন মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে।

সরকার একই সঙ্গে জানিয়ে দেয়,এখন থেকে স্নেহার একমাত্র পরিচয়- তিনি ভারতীয়।

স্নেহা পেরেছেন। স্নেহা পার্থিবরাজ।