ইনজেকশন পুশ করে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ

ইনজেকশন পুশ করে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় এক নারী শ্রমিককে রক্ত নেওয়ার কথা বলে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই কারখানার অ্যাডমিন অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানার ওসি ইন্টেলিজেন্স জামাল সিকদার ঘটনায় মামলা অ্যাডমিন অফিসারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী পোশাক শ্রমিক গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলমসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানাধীন সাকতলা গ্রামের ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর ছেলে। সে আশুলিয়ার বেরন ছয়তলা এলাকার নুরুজ্জামানের ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেডে অ্যাডমিন অফিসার হিসেবে কর্মরত।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর জীবিকার তাগিদে ভুক্তভোগী ওই নারী আশুলিয়ার উত্তর বেরন এলাকার ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড নামের ওই কারখানায় হেলপার হিসেবে চাকরি নেন। গত ২১ ডিসেম্বর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার জন্য ওই কারখানায় কর্মরত এক নারী রক্ত নেয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি দিলে অন্যান্য শ্রমিকের মতো ভুক্তভোগী নিজেও খেতে যাচ্ছিল।

এ সময় কারখানার এক নারী এসে আবার রক্ত লাগবে এমন কথা বলে নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। কক্ষে আগে থেকেই অ্যাডমিন অফিসার জাহাঙ্গীর আলমসহ দুইজন পুরুষ ছিল। রক্ত নেওয়ার নাম করে এ সময় ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে কৌশলে অজ্ঞান করার ইনজেকশন পুষ করা হয় তাকে।

পরে অচেতন হয়ে পড়লে সেখানে অবস্থান নেওয়া অ্যাডমিন অফিসার জাহাঙ্গীর আলমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকরা তাকে কার্টনের উপর ফেলে রেখে চলে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে ভোক্তভোগী বাসায় চলে যান এবং তার বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলেন।

পরে তার বাবা-মাকে নিয়ে কারখানায় গেলে নিরাপত্তাকর্মী ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের কারখানার ভেতর ঢুকতে না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি কারখানার অন্য শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতির মাধ্যমে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়া থানায় অ্যাডমিন অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি ইন্টিলিজেন্স জামাল সিকদার জানান, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

পড়ুন দৈনিক বিশ্ব …

বরিশালে হলুদ অটোগাড়ির বৈধতার দাবীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *