আপানিও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়তে পারেন এই অনলাইন কোর্স

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডে ইচ্ছা করলেই পড়তে পারবেন যে কেউ। এ জন্য পকেট থেকে খসবে না এক পয়সাও। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ার এ সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে। বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ৪০টির বেশি কোর্স অনলাইনে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা। এ পড়াশোনার জন্য কোনো কোনো কোর্সে কোনো ডিগ্রিগত যোগ্যতাও লাগবে না। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বাড়িতে বসে যে কেউ করতে পারবেন এসব কোর্স। তবে শুধু পড়া শেষে সার্টিফিকেট পেতে গেলে লাগবে অর্থ।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স, হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন, ম্যাথমেটিকস, প্রোগ্রামিং, এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং, আইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস, ডেটা সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, কম্পিউটার সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স-সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়। কোর্সগুলোর সময়সীমা ৪ থেকে ১৫ সপ্তাহের। কোর্সগুলোর কারিকুলাম তৈরি করেছেন হার্ভার্ডের সেরা শিক্ষকেরাই।

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পাঠ্যক্রমগুলোতে টু-ডি এবং থ্রি-ডি গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে বিভিন্ন ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপের প্রযুক্তি শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। বিজনেস বিভাগে ইমার্জিং ইকোনমিকস, কন্ট্রাক্ট ল এবং অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বিষয়ে তিনটি প্রাথমিক কোর্স রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের এই যুগে ১৪টি অনলাইন কোর্স করাচ্ছে হার্ভার্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগ।

চীন ও কমিউনিজম এবং আধুনিক চীন-তাইওয়ান, হংকং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেও, সে ব্যবস্থা রেখেছে ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। আছে শেক্‌সপিয়ার নিয়ে পড়ার আয়োজনও।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি কয়েকটি কোর্স হলো—

  • CS50’s Understanding Technology: কোর্সটি তাঁদের জন্য তৈরি, যাঁ প্রতিদিন প্রযুক্তি ব্যবহার করেন কিন্তু এর পেছনের বিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত নন। কোর্সটির সময়সীমা ছয় সপ্তাহ। এই কোর্সটি করার পর শিক্ষার্থীরা আরও ভালোভাবে প্রযুক্তি বহার করতে পারবেন। এ কোর্সের মধ্যে হার্ডওয়্যার, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া, সিকিওরিটি, প্রোগ্রামিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো বিষয় পড়ানো হবে।
  • CS50’s Introduction to Programming with Scratch: ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ Scratch-এর মাধ্যমে যে যে শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামিংয়ের কিছুই জানেন না, তাঁরা নিজেদের অ্যানিমেশন, গেমস, ইন্টারঅ্যাক্টিভ আর্ট ও স্টোরি তৈরি করতে পারবেন। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রোগ্রামিংয়ের মূল বিষয়বস্তুগুলো এবং জাভা ও পাইথনের মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিন সপ্তাহের এ কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানো হবে। এ কোর্সের ফলে ভবিষ্যতে আরও জটিল প্রোগ্রামিং কোর্স করতে সক্ষম হবেন শিক্ষার্থীরা।
  • CS50’s Introduction to Computer Science: এটি একটি শুরুর পর্যায়ের একটি কোর্স। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এ কোর্সটি ১১ সপ্তাহ ধরে চলবে।
  • CS50’s Introduction to Game Development: এই কোর্সের মাধ্যমে টুডি (2D) ও থ্রিডি (3D) ইন্টারআক্টিভ গেম ডেভেলপ ও ডিজাইন করতে শেখানো হবে। পোকেমন ও অ্যাংগ্রি বার্ডসের মতো গেমস তৈরির উপায় সেখানো হবে এ কোর্সে। কোর্সের সময়সীমা ১২ সপ্তাহ।
  • CS50’s Introduction to Artificial Intelligence with Python: এ কোর্সের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) নতুন ধারনাগুলো শেখানো হবে। কোর্সে এআইয়ের ব্যবহার শিখবে শিক্ষার্থীরা। কোর্সের মেয়াদ সাত সপ্তাহ।
  • 4P Model for Strategic Leadership Podcasts: এ কোর্সে লিডারশিপ, পলিটিক্যাল সায়েন্স, সরকার, পাবলিক পলিসি সম্পর্কে শেখানো হবে। কোর্সের মেয়াদ ৪ সপ্তাহ।

আইএমএফ সনকারের প্রতি খুশি হয়েছে এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক নিউজ//

বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি সহায়ক সংস্কারে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এজন্য কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ। তিনি বলেছেন, একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ কমাতে আরও নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে ভার্চুয়ালি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের প্রথম পর্যালোচনা শেষে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮৯ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের দুদিন পর তিনি এ কথা জানালেন।

ব্রিফিংয়ে রাহুল আনন্দ বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বেশিরভাগ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। কঠিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ সত্ত্বেও সামগ্রিক কর্মসূচির কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক হয়েছে।

এ প্রচেষ্টার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিডের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ভালো করছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সেই লাগাম ছুটে যায়। এরপর ব্যাংক সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে সুদহারের সীমা তুলে নিয়েছে। ফলে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সুদ এখন ১১ শতাংশের বেশি। এই কঠোর অবস্থা কিছুদিন বহাল রাখতে হবে। এটি আমাদের পরামর্শ ছিল। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এই চড়া সুদহারের সময় যেন আবার মূল্যস্ফীতি বেড়ে না যায়। অর্থাৎ মুদ্রানীতি আরও সঙ্কোচন করতে হবে বলে জানান রাহুল আনন্দ।

এ সময় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে যেতে কয়েকটি ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে হবে বলে তিনি উল্লে­খ করেন। প্রথমত, কর রাজস্ব বৃদ্ধি ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। তাহলে কর্তৃপক্ষ সামাজিক উন্নয়ন ও জলবায়ু খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে। ব্যয় দক্ষতা বৃদ্ধি ও আর্থিক ঝুঁকি কমাতে জনসাধারণের আর্থিক ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আর্থিক নীতি কাঠামো আধুনিক ও নীতি সঞ্চালন উন্নত করতে হবে। তাহলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াবে। বিনিময় হার কাঠামো আধুনিক ও রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে আরও সংস্কার বাহ্যিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে।

তৃতীয়ত, ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সুশাসন জোরদারের মাধ্যমে আর্থিক খাতের দুর্বলতা মোকাবিলায় সংস্কারের দিকেও মনোনিবেশ করা উচিত।

আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগ আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করে আইএমএফ। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা রয়েছে। ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দেও সংযুক্ত ছিলেন।

একজন পৌর সচিব শতকোটি টাকার মালিক…!

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার সচিব ছিলেন রফিকুল ইসলাম। চাকরিকালে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রফিকুলের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘রাইসা বিল্ডার্স’ নামের একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে আছেন রফিকুল। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান। রফিকুল পৌর সচিব থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়।

রাইসা বিল্ডার্স রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগে একটি ১০ তলা (আবাসিক-বাণিজ্যিক) ও একটি ৯ তলা ভবন (আবাসিক) নির্মাণ করেছে। পীরেরবাগে প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণাধীন। এসব ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোথাও থেকে ঋণ নিতে হয়নি বলে রফিকুল নিজেই স্বীকার করেছেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, চাকরিকালে ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় জুতার একটি কারখানা গড়ে তোলেন রফিকুল। বর্তমানে এই কারখানায় প্রায় দুই শ শ্রমিক কাজ করছেন।

বেনাপোল পৌরসভা-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের ভাষ্য, চাকরিকালে পৌরসভার বিভিন্ন কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, অর্থের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া, কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করতেন রফিকুল। এসব করে তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেতেন।

এ ছাড়া তিনি অন্য ঠিকাদারের লাইসেন্সে নিজেই পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করতেন। এভাবে তিনি অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

রফিকুলের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি ১৯৯৮ সালে পৌর সচিব পদে চাকরি শুরু করেন। বেনাপোল পৌরসভায় কর্মরত অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। ২০২১ সালের আগস্টে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।

দেশে তিন শ্রেণির পৌরসভা আছে। প্রথম (ক) শ্রেণির পৌরসভায় কর্মরত নির্বাহীদের (সাবেক পৌর সচিব) বেতন স্কেল ৯ম গ্রেডের, দ্বিতীয় (খ) শ্রেণির ১০ম গ্রেডের, তৃতীয় (গ) শ্রেণির ১১তম গ্রেডের। বেনাপোল পৌরসভাকে ২০১১ সালে ক শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।

রফিকুল সচিব থাকাকালে তিনি বেনাপোল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আশরাফুল আলমের কাছ থেকে নানা অবৈধ সুযোগ পেতেন বলে অভিযোগ আছে। তবে এই অস্বীকার করেছেন সাবেক মেয়র আশরাফুল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছ থেকে রফিকুল কোনো অবৈধ সুবিধা পাননি।’

পৌরসভার সচিব পদে চাকরি করে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, তা জানতে সম্প্রতি রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার যত সম্পদ আছে, সবকিছু আয়কর বিবরণীতে দেখানো আছে।’

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ফোন কেটে দেন। পরে তাঁর স্ত্রী ইসরাতের সঙ্গে কথা হয়। নির্মাণপ্রতিষ্ঠান খুলে একাধিক বহুতল ভবন করার জন্য টাকা কোথায় পেলেন, তা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (যশোর) উপপরিচালক মো. আল আমিন সম্প্রতি  বলেন, ‘রফিকুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকাও রয়েছে রফিকুল-ইসরাত দম্পতির। আছে একাধিক গাড়িও।

আরও অভিযোগ

মিরপুরের পীরেরবাগের ৬০ ফিট সড়কের পাশে ‘রাইসা অ্যান্ড শিকদার টাওয়ার’ নামের একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করেছে রফিকুল-ইসরাতের রাইসা বিল্ডার্স। তিনজন মালিকের প্রায় আট কাঠা জমির ওপর ২০১৪ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়। তবে চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিকেরা তাঁদের ফ্ল্যাটের অংশ ঠিকঠাক বুঝে পাননি বলে অভিযোগ।

জমির দুজন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, নিজের অংশের ফ্ল্যাটের কাজ ঠিকভাবে শেষ করেছেন রফিকুল। কিন্তু জমির মালিকদের অংশের সব ফ্ল্যাটের কাজ শেষ করা হয়নি। এই কাজ রফিকুল করেও দিচ্ছেন না।

জমির তিন মালিকের একজন রেহেনা রউফ। তিনি সম্প্রতি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী, জমির মালিকদের ভবনের মোট ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ দেওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের অংশ সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আমার ভাগে দুটি ফ্ল্যাটের কাজ শেষ করা হয়নি। পরে কিছুদিন আগে আমি নিজের টাকায় এই কাজ শেষ করেছি।’

রেহেনা রউফ আরও বলেন, ‘আমাদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো মামলা করা হয়েছে। এতে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমিও আমার পাওনা ঠিকভাবে বুঝে পেতে মামলা করেছি।’ সূত্র : প্রথম আলো

Daily World News

ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল চেয়ে রিট আবেদন

আগামী  ১৬ নভেম্বর ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক নিউজ//

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন শুনানি আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত বলেন, আগামী ৯ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আপিলের ৫ নম্বর তালিকায় থাকবে।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। আর আদালতে এদিন রিটকারীর পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এম. আশরাফুজ্জামান খান।

উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ৯৪টি সুনির্দিষ্ট যুক্তি তুলে ধরে ৯০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে পুরো রায়টি বাতিল চাওয়া হয়।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তার গেজেট হয়। এরপর ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। পরে ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই রিটে রুল জারি করেন। এরপর ২০১৬ সালের ৫ মে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান-পরিপন্থি বলে রায় ঘোষণা করেন। একই বছরের ১১ আগস্ট তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

এরপর আপিল আবেদন করা হয়। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন। অপর নয়জন অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন। ওই বছরের ২০১৭ সালের ৮ মে শুনানি শুরু হয়ে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সংসদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে ‘বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন সরকারি দলীয় আইনজীবীরা। জাতীয় সংসদেও এ রায় ও প্রধান বিচারপতির অনেক সমালোচনা করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। তারই প্রেক্ষাপটে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হয়।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে মূল প্রসঙ্গ ছাড়াও অপ্রাসঙ্গিকভাবে অনেক কিছু টেনে আনার কারণেই সরকার ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (২০১৭ সালের) ২৪ ডিসেম্বর আবেদন দাখিল করে।

এ রায় নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে ১৩ অক্টোবর তিনি বিদেশে চলে যান। ১০ নভেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

যে যুক্তিতে রিভিউ করা হয়, সংবিধানের তফসিলে সন্নিবেশিত ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল প্রণীত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ উল্লেখ করে রিভিউ আবেদনে বলা হয়েছে, একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের ফাউন্ডিং ফাদার রূপে স্বীকৃত। আপিল বিভাগ ‘ফাউন্ডিং ফাদার্স’ বহুবচন শব্দ ব্যবহার করে ভুল করেছেন। তাই এর পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। রায়ের একটি অংশে পর্যবেক্ষণে ‘আমিত্ব’ ধারণা থেকে মুক্তি পেতে হবে বলে যা উল্লেখ আছে, সে প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদনে যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, আদালতের এ পর্যবেক্ষণ ভিত্তিহীন ও অপ্রত্যাশিত। যা আমাদের এ মামলার বিবেচ্য বিষয় নয়। এটি সংশোধনযোগ্য।

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়ের আরেকটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘১. আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংসদ এখনো শিশুসুলভ। ২. এখনো এই দুটি প্রতিষ্ঠান মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।’ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি হচ্ছে— এ পর্যবেক্ষণ আদালতের বিচার্য বিষয় নয়। বিচারিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা সংশোধনযোগ্য।

আরেকটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘সংসদীয় গণতন্ত্র অপরিপক্ব। যদি সংসদের হাতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়, তবে তা হবে আত্মঘাতী।’ এর সুরাহা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আদালতের এ পর্যবেক্ষণ শুধু অবমাননাকরই নয় বরং ভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্ন। আদালতের বিচারিক এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ অন্য একটি অঙ্গের বিরুদ্ধে এরূপ মন্তব্য করতে পারে না। এটা বিচারিক মন্তব্য নয়, এ মন্তব্য করে আদালত ভুল করেছেন, যা সংশোধনযোগ্য ও বাতিলযোগ্য।

 

রাশিয়া – বাংলাদেশ লাভের আশা উভয়রই

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের ঢাকা সফরে দুই পক্ষই নানা বিষয়ে সমর্থন লাভের আশা করছে। রাশিয়ার সমর্থন লাভের বিষয় থাকবে ইউক্রেন, আর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আগামী নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান।

বিশ্লেষকেরা বলছেন এটা দ্বিপাক্ষিক এবং রাজনৈতিক সফর। এখনকার বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে সেটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ভ্লাদিমির পুতিনের খুবই নির্ভযোগ্য এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধের পর  পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর করছেন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নীতির পক্ষে সমর্থন লাভের জন্য। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের ওপর ভালোভাবেই নজর রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । তাই বাংলাদেশের উচিত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মাথায় রেখে নিজেদের স্বার্থের দিকে নজর রাখা।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন একদিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,”আন্তর্জাতিক বিশ্বে সাম্প্রতিক  যেসব কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিশেষ করে ইউক্রেন সংকটের পর থেকে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সার ও জ্বালানি নিরাপত্তা, স্যাংশন, আমাদের যে সমস্যা আছে সেগুলো আমরা তুলে ধরব। রাশিয়াকে আমরা নিশ্চয়ই অনুরোধ করতে পারি যেন দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করা যায়।”

জানা গেছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানানো হতে পারে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতার সময় ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে  বলছিল,”কিছু দেশ, যারা নিজেদের ‘উন্নত গণতন্ত্র’ বলে দাবি করে, তারা অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শুধু হস্তক্ষেপই করে না, এমনকি ব্ল্যাকমেইলও করে।” আর রূপপুরে বাংলাদেশের বৃহৎ পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে রাশিয়ান বিনিয়োগে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম রাশিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর। এর আগে আরো দুইবার সফরের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানাগেছে  এই সফরে কোনো চুক্তি সই না হলেও দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়েই আলোচনা হবে। বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে  রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা। রূপপুরের অর্থ পরিশোধও আরেকটি ইস্যু, আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বাংলাদেশকে এখনই অর্থ পরিশোধ না করতে। এরপর আর এ বিষয়ে কথা আগায়নি৷ রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রাশিয়ার সমর্থন চাওয়া হবে। এছাড়া প্রতিরক্ষা, সার ও গম আমদানি নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাশিয়ায় প্রায় ৬৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় সাড়ে ৪৭ কোটি ডলারের পণ্য।

রাশিয়ার দিক থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আটকে থাকা তাদের জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়ার অনুরোধ থাকবে বলে জানা গেছে। তাদের দিক থেকে প্রধানত চারটি ইস্যুর কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে অর্থনীতি ও বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সহযোগিতা ও সমর্থন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন শুক্রবার। ওইদিনই তিনি ভারতের দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়বেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মো. শহীদুল হক মনে করেন, “এই সফরে দুই দেশেরই রাজনৈতিক প্রত্যাশা আছে। এটা কিছুটা রাজনৈতিক সফর। তবে বাংলাদেশের সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার ১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে।  এটা উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিষেধাজ্ঞার কারণে পেমেন্টে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু  সেটার উপায় বের করতে গিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া যাবে না। এই সরকার আগামী নির্বাচনে তার অবস্থানে রাশিয়ার সমর্থন চাইবে। ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক নানা ফোরামে বাংলাদেশের সমর্থন চাইবে রাশিয়া। এই বিষয়ে বাংলাদেশের আগের অবস্থানেই থাকতে হবে। কোনো পক্ষে না গিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নেয়াই যথার্থ হবে।”

তার কথা, “রাশিয়ার সঙ্গে এখন  বাংলাদেশের নতুন কোনো ইনভেস্টমেন্ট বা চুক্তিতে যাওয়া ঠিক হবে না। এখন শুধু আগের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো যাতে সহজ করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।”

তিনি বলেন,”মার্কিন প্রেসার রিলিজের জন্য এমন কিছু বাংলাদেশের জন্য করা ঠিক হবে না যাতে বাংলাদেশের জন্য কোনো সংকট হয়।”

এদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এই ধরনের সফরের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখে। কোথায় কী হয় সব তথ্য তাদের কাছে থাকে। তবে আমাার মনে হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রোহিঙ্গা ইস্যু,  গম ও সার আমদানিই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে রাশিয়া আগেই বলে দিয়েছে যে এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এবার হয়তো সরকার আশা করতে পারে রাশিয়া সেটা আবার বলুক। আর রাশিয়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সমর্থন চাইবে। তবে এসব বিষয়ে  সরকার নিশ্চয়ই বাংলাদেশের স্বার্থের দিকে নজর রাখবে”।

তার কথা,”রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রাশিয়া একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে। চীনের তো একটা উদ্যোগ আছে। মিয়ানমারকে অস্ত্রসহ নানা ধরনের সহায়তা করে রাশিয়া। আমরা যদি রাশিয়াকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা নেয়ার জন্য রাজি করাতে পারি তাহলে সেটা অনেক বড় কাজ হবে।” সংগ্রহ: ডিডাব্লিউ

Daily World News

কচুয়ায় ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জন্মাষ্টমী উদ্যাপিত

ডুমুরিয়ায় যথাযথ মর্যাদায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠিত

অনাস্থার জবাবি বক্তৃতার পর লোকসভায় বিরোধীশূন্য জয় হলো নরেন্দ্র মোদী সরকারের

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীশূন্য লোকসভায় ধ্বনিভোটে জয় হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের। আর বৃহস্পতিবার সেই অনাস্থা বিতর্কের জবাবি বক্তৃতায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বস্তুত, মোদীর ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের বক্তৃতার বড় অংশ জুড়েই ছিল নিজের সরকারের ‘সাফল্যের’ দাবি এবং জওহরলাল নেহরু থেকে মনমোহন সিংহ পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীদের জমানার ‘ব্যর্থতার’ প্রসঙ্গ। মোদীর বক্তৃতায় ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত অনাস্থা প্রস্তাবের মূল আলোচ্য মণিপুরের প্রসঙ্গ না ধৈর্যচ্যূত বিরোধীরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। আর তার পরেই কার্যত বিরোধীশূন্য সভায় বিনা বাধায় মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা-পর্ব থেকে ইউপিএ জমানা পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের প্রতি ‘কংগ্রেসের বঞ্চনা’ নিয়ে তাঁর বক্তব্য সভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করান। দাবি করেন, শুধু মণিপুর কেন উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে কিছু বলারই অধিকার নেই কংগ্রেসের।

‘ইন্ডিয়া’র দাবি ছিল, মণিপুর নিয়ে সংসদে যাতে প্রধানমন্ত্রী মুখ খোলেন, সেই উদ্দেশ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। বস্তুত, গত ২০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের বার বার দাবি সত্ত্বেও এক বারও মণিপুরের গোষ্ঠীহিংসা নিয়ে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার যখন তিনি মুখ খুললেন, প্রশ্ন তোলার জন্য সভায় ছিলেন না বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলেছেন, পরিকল্পনা মাফিক বক্তৃতায় প্রথম দেড় ঘণ্টায় এক বারও মণিপুর প্রসঙ্গ না তুলে বিরোধীদের অধৈর্য করে তুলেছেন মোদী। তাঁর লক্ষ্য ছিল, পরবর্তী সময় কার্যত বিরোধীশূন্য পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করা। এবং সেই লক্ষ্যে তিনি সফল।

বক্তৃতায় গোড়াতেই আত্মবিশ্বাসী মোদী বলেছেন, ‘‘ভগবান চান এনডিএ ২০২৪ সালেও সরকার গঠন করুক ভারতে। তার জন্যই তিনি বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে এই সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের।’’ আর সমাপ্তিপর্বে অনাস্থা প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনাদের ধন্যবাদ। আমার একটা কথা অন্তত শুনেছেন। ২০১৮ সালে আমি আপনাদের বলেছিলাম ২০২৩-এ অনাস্থা আনার জন্য।’’ প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল। বিজেপির সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জয়ের হ্যাটট্রিক করবে বলেও দাবি করেছেন মোদী। সেই সঙ্গে বিরোধীদের ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন ২০১৮ সালে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনার। বস্তুত বৃহস্পতির বিকেলে তাঁর বক্তৃতায় ছত্রে ছত্রে ছিল বিরোধীদের প্রতি শ্লেষ। কখনও ট্রেজারি বেঞ্চের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘আপনাদের একটা গোপন কথা বলি, ঈশ্বরের কাছে এক অদ্ভুত বর পেয়েছেন বিরোধীরা। ওঁরা যাঁদেরই খারাপ চেয়েছেন, তাদেরই ভাল হয়েছে।’’ কখনও আবার বিরোধী বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে তাঁর খোঁচা, ‘‘বিশ্ব জুড়ে ভারতের ধন্য ধন্য হচ্ছে তাতে যাতে কারও ‘নজর’ না লেগে যায় তার ব্যবস্থা করেছেন বিরোধীরাই। বিরোধীরা কালো কাপড় পরে এসে ভারতের গায়ে কালো টিকা লাগিয়ে দিয়েছেন।’’

অনাস্থা বিতর্কে বিরোধীদের নানা ‘ক্ষমতার’ কথাও বলেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁদের এক অদ্ভুত চৌম্বকশক্তি আছে। ভারতের নামে দুনিয়ায় যে যেখানে যা-ই নেতিবাচক বলুন, তা ওঁরা সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে নেন। শুধু তা-ই নয়, সেই অভিযোগ যত ছোটই হোক না কেন, তার হয়ে প্রচারও চালান।’’ বিরোধীদের ‘ক্ষমতা’র কথা বলতে গিয়ে তিনটি উদাহরণও দেন তিনি— ১. প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য হেলিকপ্টার বানাতো এইচএএল, সেই সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল এই বিরোধীরা। সেই এইচএএল এখন আরও উন্নতি করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ২. বিরোধীরা এলআইসির নামে খারাপ কথা বলেছিল। সেই এলআইসিও সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছে। ৩. ২০১৮ সালে বিরোধীরা এনডিএ সরকার পড়ে যাবে বলেছিল। তার পর আরও বেশি ভোট পেয়ে এনডিএ সরকার আবার ক্ষমতায় এসেছে।

মণিপুরে মানা গান্ধীর ছবিতে!

নেহরু, ইন্দিরা, মনমোহনের জমানায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতি ধারাবাহিক বঞ্চনা হয়েছে দাবি করে মোদী বৃহস্পতিবার তাঁর আমলের ‘উন্নয়নের খতিয়ান’ পেশ করেন। তার তা করতে গিয়ে অক্লেশে মনমোহন জমানায় কাজ শুরু হওয়া আগরতলা রেল প্রকল্পের পুরো কৃতিত্বও দাবি করেন মোদী। ইউপিএ সরকারের আমলে মণিপুরে ধারাবাহিক জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটত এমনকী সরকারি দফতরে মহাত্মা গান্ধীর ছবির টাঙানো যেত না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বুধবারের সেই মন্তব্যের— ‘‘মণিপুরে ভারতমাতাকে আপনারা হত্যা করেছেন।’’ মোদীর দাবি, ‘‘ওঁদের যা মনে আছে, সেটাই বলে ফেলেন। ওঁরা ভারত মাতাকে তিন টুকরো করেছেন।’’ এমনকি, ভারতকে ‘টুকড়ে টুকড়ে’ করার চক্রান্তকারীদের সঙ্গে বিরোধীরা হাত মিলিয়ে শিলিগুড়ির  ‘চিকেন নেক’ বিচ্ছিন্ন করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই ভারত থেকে আলাদা করতে চায় বলে দাবি করেন তিনি। যদিও কেন ৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা শুরু হলেও তিনি কেন সে রাজ্যে যাননি, তার ব্যাখ্যা দেননি মোদী।

উত্তর-পূর্বে ‘কংগ্রেসের অত্যাচার’

মোদীর দাবি ১৯৬৬ সালের ৫ মার্চ কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার মিজোরামে অসহায় মানুষের উপর বায়ুসেনার বিমান পাঠিয়ে বোমাবর্ষণ করিয়েছিল। যদিও ইতিহাস বলছে, সে সময় চিনের মদতেপুষ্ট মিজো বিদ্রোহীদের ঘাঁটির উপর হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। ১৯৮৪ সালে পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ঘাঁটি গড়া খলিস্তানী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন ব্লু স্টার’কে বৃহস্পতিবার ‘অকাল তখতের উপর হামলা’ বলেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে চিনা হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী নেহরুর রেডিয়ো ভাষণকেও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘নেহরু সে সময় তাঁদের (অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগরিক) ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সমাজবাদী পার্টিকে খোঁচা দিয়ে মোদীর মন্তব্য, ‘‘রামমনোহর লোহিয়া বলেছিলেন নেহরু ইচ্ছা করেই উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন করছেন না।’’ এমনকি, ইন্দিরা গান্ধীর সময় বেআইনি ভাবে ভারত মহাসাগরের কচ্চাতিভু দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিশ্বে শীর্ষ পাঁচে ভারত

অনাস্থা বিতর্কে মোদীর মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের সময় ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বে ১১ কিংবা ১২ নম্বরে ছিল। আমাদের সরকার দেশকে বিশ্বে শীর্ষ পাঁচের তালিকায় টেনে তুলেছে, বললেন মোদী। ওঁরা হয়তো ভাবেন, এ সব এমনি এমনি হচ্ছে। যেমন ওঁরা নিজেদের শাসনকালে বসে থাকতেন, আর ভাবতেন সব নিজে থেকে হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা যা করেছি, তা সম্ভব হয়েছে কঠোর শৃঙ্খলা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে।’’

Daily World News

শেখ হেলাল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কচুয়ায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প

ন্যাটোতে যোগ দিতে স্টলটেনবার্গ এর দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারবে তো ইউক্রেন..!

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্সে (ন্যাটো) যোগ দেওয়ার জন্য গত ৫-৬ বছর ধরেই তদবির চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এতদিন পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনো সাড়া না দিলেও এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ন্যাটো মহাসচিব জিনস স্টলটেনবার্গ।

মঙ্গলবার উত্তর ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টলটেনবার্গ।

বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে স্টলটেনবার্গ জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই কেবল ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রদানের ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে; তার আগে নয়।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এখানে(ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের টিকে থাকা। কারণ, যদি পুতিন এই যুদ্ধে জিতে যান— ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রশ্নটিই অবান্তর হয়ে যাবে। তাই এ যুদ্ধে জয়ী হওয়াই হলো ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রথম ও প্রধান পূর্বশর্ত।

অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনকে আপাতত সদস্যপদ না দেওয়া হলেও কিয়েভের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ন্যাটো এবং চলমান এই যুদ্ধে দেশটিকে সামরিক সহায়তা প্রদানও অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মূলত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরেই এই যুদ্ধের শুরু। ২০১৪ সালে রুশ বাহিনীর কাছে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ হারানোর পর থেকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য তদবির শুরু করেছিল কিয়েভ।

এই ইস্যুতে বিগত বছরগুলোতে কিয়েভকে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছে মস্কো, কিন্তু সেসবকে পাত্তা দেয়নি ইউক্রেন।

টানা প্রায় ৪ বছর এ ইস্যুতে মস্কো-কিয়েভের টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  সূত্র : আরটি

ওয়াগনার ও রুশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন রাজপথে, কি হবে ভবিষ্যৎ….!

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পথে এগোচ্ছে বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী। ইতোমধ্যে শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, মস্কোর পরিস্থিতি কঠিন।

রুশ সেনাদের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলা ওয়াগনার গোষ্ঠী ছিল ইউক্রেনে হামলার বড় হাতিয়ার। পরম বন্ধু হয়ে ঘাড়ে ঝুলে থাকা সেই অস্ত্রেই এখন রক্ত ঝরছে পিঠে।

বিশ্বাসঘাতক বন্ধুর মতো পেছন থেকে হামলা করেছে। অথচ রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনই (৬২) ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশ্বস্ত লেফটেন্যান্টদের একজন। যাকে পুতিনের বিশ্বস্ত বাবুর্চিও বলা হয়।

কিন্তু হঠাৎ করেই ফাটল ধরল! শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন পুতিনের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে আনল বলে এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে।

ওয়াগনার ও রুশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশ্বের সবার সামনে সোপ অপেরা হয়ে হাজির হয়েছে।

সর্বশেষ পর্বে চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে প্রিগোজিন বেশ কয়েকবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

ডিসকর্ডে ফাঁস হওয়া তথ্যের বরাতে ওই নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, প্রিগোজিন বাখমুত থেকে ইউক্রেনের সেনাদের সরে যাওয়ার বিনিময়ে কিয়েভকে রুশ সেনাদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

ক্রেমলিন যদি ওই নিবন্ধের কথা বিশ্বাস করে ফেলে, তাহলে প্রিগোজিন সত্যিই বিরাট বিপদে আছেন।

কিন্তু তথ্য চেপে যাওয়া বা ইচ্ছা করে ভুল তথ্য দেওয়া ইউরেশিয়া অঞ্চলে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী অভিজাত বাহিনীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার ঘটনাও নতুন নয়, যদিও পুতিনকে এতদিন এসব সামলাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।

কিন্তু প্রিগোজিনকে হয় এখন তিনি সামলাতে পারছেন না, বা তার ইচ্ছা নেই। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ক্রেমলিনের সর্বত্র তার নিয়ন্ত্রণ আর আগের মতো নেই।

তিনি রাশিয়ান রাষ্ট্রের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন, এবং দৃশ্যত তার কোনো উত্তরসূরীও নেই। এখন পুতিন ‍দুর্বল হয়ে পড়লে, তার শাসনামলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন আরও গুরুতরভাবে ওঠা শুরু করবে।

২০১৪ সালে প্রিগোজিন ভাড়াটে যোদ্ধাদের গ্রুপ ওয়াগনার প্রতিষ্ঠা করেন; এতে তার সঙ্গী ছিলেন রাশিয়ার বিশেষ সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক কমান্ডার দিমিত্রি উৎকিনও।

বাইরে থেকে দেখলে ওয়াগনারকে রাশিয়ার মূল সামরিক কাঠামো থেকে আলাদা মনে হবে না। এই বাহিনীর যোদ্ধারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নেন, গ্রুপটির অনেক যোদ্ধাই একসময় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে কাজও করেছেন। এছাড়াও এই বাহিনীর মূল কাজই থাকে সর্বত্র রাশিয়ার স্বার্থকে প্রসারিত করা।

২০২২ সালের মধ্যে ওয়াগনার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় নিজের অবস্থান পোক্ত করে ফেলেছে। কেবল ইউক্রেইনই নয়, এটি এখন সিরিয়া, সুদান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, লিবিয়া, মোজাম্বিক, মালি, ক্যামেরুন ও মাদাগাস্কারসহ অন্যত্রও বেশ সক্রিয়।

ক্রেমলিনে প্রভাব বিস্তারকারী বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং তাদের নেতাদের কার কেমন দাপট তা খালি চোখে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু মনে করা হয়, প্রিগোজিন যেহেতু ক্রেমলিনে ‘আউটসাইডার’ তাই মস্কোতে তার তেমন ক্ষমতা নেই, নিরাপত্তা পরিষদের মন্ত্রণালয় বা সংস্থাগুলোর প্রধানদের মধ্যে তার বন্ধু সংখ্যাও নগণ্য।

এখন তার হাতে থাকা সেনার সংখ্যাও আনুমানিক ৫০ হাজার, যার বেশিরভাগই হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর। সে তুলনায় রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীর সেনার সংখ্যা দৈত্যাকার। এমনকি পুতিনের ব্যক্তিগত রক্ষীর সংখ্যাও ৩ লাখের বেশি।

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে প্রিগোজিনের পক্ষে ক্রেমলিনকে বলির পাঁঠা বানানো প্রায় অসম্ভব, তার চেয়েও বেশি অসম্ভব পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

তবে ওয়াগনার ও প্রিগোজিন দুটোই ‍পুতিনের কাছে এখনও গুরুত্বপূর্ণ। রুশ প্রেসিডেন্ট সাধারণত তার ঘনিষ্ঠদের সহজে ত্যাগ করতে চান না।

জেনারেল সের্গেই সুরোভকিনকে নিয়োগ করে পুতিন সেই বার্তা আরও জোরালভাবে দিতেও চেয়েছিলেন। সুরোভকিন ওয়াগনার ও রুশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে লিঁয়াজোর দায়িত্বে ছিলেন। সুরোভকিন চাইলেই প্রিগোজিনকে গোলাবারুদ পাঠানো পিছিয়ে দিতে বা বন্ধ রাখতে পারতেন।

সামরিক বাহিনী এখন নতুন যোদ্ধা টানতে ওয়াগনারের আকর্ষণীয় চুক্তিতেও বাধ সেধেছে, যে কারণে প্রিগোজিন সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

সামরিক বাহিনীকে ঘিরে এই নাটক ক্রেমলিনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সহজ কথায়, এটা পুতিনকে তার সিদ্ধান্তের ভুলত্রুটি থেকে নিজেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলবে।

ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত পুতিন নিয়েছিলেন। পুতিনই ওয়াগনারকে বাখমুতে অভাবনীয় সাফল্য আনতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সবশেষে পুতিনই সমগ্র যুদ্ধ দেখভালের দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর কোন কর্মকর্তা পালন করবেন, তা ঠিক করে দিয়েছেন। গেরাসিমভ এই দায়িত্ব সুরোভকিনের কাছ থেকে নিয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে।

রাশিয়া অবশ্য ২০২২ সালে তাদের ‘সামরিক অভিযান’ শুরুর পর দায়িত্বে একের পর এক জেনারেল বদলেছে, অনেক জেনারেলকে যুদ্ধেও হারিয়েছে তারা।

২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশদের আগ্রাসন শুরু হয়। ইউক্রেনে রুশদের সর্বাত্মক আগ্রাসন ঘটে ২৪ ফেব্রুয়ারি। যা প্রিগোজিনের জীবনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। যুদ্ধ যত খারাপের দিকে গেছে প্রিগোজিনের ভবিষ্যৎ ততই সামনে এগিয়েছে।

ভাড়াটে ব্যবসায় নাম ওঠে তার। হয়ে ওঠেন রুশদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রের একটি গ্রুপের নেতা। ইউক্রেনীয়রা যত বেশি রুশ সেনাদের হত্যা করেছিল, মস্কোর তত বেশি ওয়াগনারের ভাড়াটেদের প্রয়োজন ছিল। সম্পদ ও চাকচিক্যের স্বাদ পেয়ে ক্ষমতার করিডোরে নিজের স্থান তৈরি করে ফেলেন প্রিগোজিন।

ফেসবুকে লাখ টাকার জ্যাকপট, মিলিয়ন ডলারের লটারি-তে  ক্লিক করলেই আইডি হ্যাক

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক ও র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে টাকা দাবি করার অভিযোগে আশরাফুল প্রত্যয় ওরফে লুনেটিক প্রত্যয় (২০) নামের এক হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সাভারের বাসস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আশরাফুল ‘লাখ টাকার জ্যাকপট’, ‘মিলিয়ন ডলারের লটারি’ ইত্যাদি লোভনীয় পুরস্কারের লিংক বিভিন্ন ব্যক্তির মেসেঞ্জারে পাঠান। কেউ সেই লিংকে ক্লিক করলেই আইডি হ্যাক হয়ে যায়। পরে র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে সেই আইডি উদ্ধারের নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আশরাফুল সাভার মডেল কলেজের শিক্ষার্থী। অনলাইনে তিনি পরিচিত লুনেটিক প্রত্যয় নামে। নিজেকে গেমার পরিচয় দিলেও তিনি মূলত হ্যাকার। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘প্রতিদিন ২০০ ডলার গেম খেলে টাকা আয়’—এমন ধরনের লোভনীয় লিংক পাঠান। লোভে পড়ে কেউ সেগুলো ক্লিক করলেই আইডি হ্যাকড হয়ে যায়। পরে র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে সেই আইডি উদ্ধারের জন্য জিডি, সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য ফির নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

পুলিশ জানায়, এই হ্যাকার সম্প্রতি ফাইয়াজ রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর মেসেঞ্জারেও এমন একটি লিংক পাঠান। সেই লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়ে যায়। পরে আইডি উদ্ধারের জন্য র‍্যাব কর্মকর্তা সেজে তাঁকে ফোন দেন আশরাফুল। আইডি উদ্ধারের জন্য ফাইয়াজের কাছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন হুমকিও দেন তিনি। পরে ফাইয়াজ অভিযোগ করলে সাভারের বাসস্টেশন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুই বন্ধু চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট// একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছে

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়ায় গেছেন শি জিনপিং। সোমবার অনানুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন এই দুই নেতা।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শি ও পুতিনের নৈশভোজে সাত প্রকারের খাবার ছিল। খাবারগুলোর মধ্যে ছিল, পূর্বাঞ্চলীয় সামুদ্রিক খাবার দিয়ে তৈরি একটি অ্যাপেটাইজার, কোয়েল ও মাশরুম দিয়ে তৈরি প্যানকেক, পাইয়ের সঙ্গে স্টার্জন মাছের স্যুপ এবং ডালিমের শরবত।

মূল খাবারের মধ্যে ছিল, চেরি সসের সঙ্গে হরিণের মাংস, পেচোরা নদী থেকে সংগৃহীত নেলমা মাছ (সাইবেরীয় সাদা স্যামন) ও সবজি। নৈশভোজের সমাপ্তি ঘটে পাবলোবা মিষ্টান্ন (ডেজার্ট) দিয়ে।

দুই নেতার ভোজে পানীয় হিসেবে ছিল দুই ধরনের ওয়াইন। একটি ছিল ২০২০ সালে প্রস্তুতকৃত ‘ইস্ট স্লোপ’ এবং ‘ওয়েস্ট স্লোপ’। রাশিয়ার ডিভনোমরস্কয় এস্টেট ওয়াইন কোম্পানি এগুলো উৎপাদন করেছে।