শাকিব খান একজন ধর্ষক- তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

বুধবার বিকালে চলচ্চিত্রের তিন সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।

লিখিত অভিযোগে ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়নের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো।

সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়। (মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯)। সেই ঘটনার সূত্র ধরে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।’

অভিযোগের বিষয়ে শাকিব খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া তার মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির পরিচালনা করছিলেন আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা হিসেবে যুক্ত ছিলেন সিবা আলী খান। তাদের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনো অভিযোগের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। সূত্র: যুগান্তর

Daily World News

 

খুলনায় ডাক্তার ও এএসআইয়ের মধ্যকার ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ভুল চিকিৎসায় মেয়ের হাতের আঙুল পড়ে যাওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ও বিচার দাবি করলেন এএসআইয়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি মেয়ের সুচিকিৎসা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চিকিৎসকের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এই ঘটনায় বুধবারও সংবাদ সম্মেলন করেছেনপুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ‘ড. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার স্বামীর নামে যে এজাহার দিয়েছেন তাতে ঘটনার সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১০টা বলা হয়েছে। ডা. বাহার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘটনার সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা। আসলে ঘটনার সময় কখন? আমার কাছে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৪ মিনিটের একটি ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ডাক্তার সম্পূর্ণ সুস্থ ও অপারেশন থিয়েটার ভাঙচুরের আলামত নেই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কখন মারধর ও ভাঙচুর হলো?’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি ও মেয়েকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না তার ফলে আমার মেয়ের হাতের যে অবনতি হচ্ছে এই দায়ভার কে নেবে? শুধু আমার মেয়ে নয়, কয়েক ডাক্তাররা মিলে কর্মবিরতি দিয়ে যে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিয়ে জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন এই দায়ভার কে নেবে?’

তিনি দাবি করেন, ‘আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। আমার মেয়ের যেন অতি দ্রুত সুচিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হোক। আমাকে হয়রানি ও স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যে হয়রানি করা হলো তার জন্য ড. নিশাত আব্দুল্লাহর গ্রেফতার ও কঠোর বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ওরা আমার স্বামীর ওপর হামলা করেছে। কিন্তু আমার স্বামী বা আমরা কোনও ডাক্তারের ওপর হামলা করিনি। বিএমএর কর্মকর্তারা শুধুমাত্র এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই যে কর্মবিরতি পালন করছেন সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও রাষ্ট্রীয় আচার-আচরণের পরিপন্থিও বটে।’

এদিকে, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনার সব হাসপাতালে বুধবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মবিরতি চলছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে ওই এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলার বিষয়ে সোনাডাঙা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশের এএসআইয়ের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছে। আর এএসআই-এর স্ত্রী বাদী হয়ে ডা. নিশাতসহ দুই চিকিৎসকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও মেয়ের ক্ষতিপূরণ দাবি মামলা দিয়েছেন। থানায় দুটি অভিযোগই নথিভুক্ত করা হয়েছে।

বাগেরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট উদ্যোক্তা গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা 

//নিজস্ব প্রতিবেদক//

বাগেরহাটে গ্রাহকদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যাত্রাপুর বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার উদ্যোক্তা হাদিউজ্জামান পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুর থেকে গ্রাহকেরা সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারের অবস্থিত ব্যাংকটির কার্যালয়ে ভিড় করেন। এ সময় অনলাইনে নিজের হিসাবে টাকা না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। হাদিউজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে টাকা আদায় করার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং ইনচার্জ ও অন্য কর্মচারীদের কাছে দাবি জানান তাঁরা।

এ ঘটনায় হাদিউজ্জামান ও তাঁর পরিবারের লোকজন কয়েক দিন ধরে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। একাধিকবার কল করে হাদিউজ্জামানের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

ইসলামী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার ব্যবস্থাপক শেখ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বাগেরহাট মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। অভিযুক্ত উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

শেখ তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হয়। বিষয়টি ব্যাংক উদ্বোধনের সময় আমরা বলেছি। এ ছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে গিয়েও গ্রাহকদের জানিয়েছেন। উদ্যোক্তারা প্রতারণার মাধ্যমে জমা স্লিপ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে উদ্যোক্তাদের ব্যাংকের স্লিপ ব্যবহার করার কোনো ‍নিয়ম নেই। গ্রাহকদের মধ্যেও কেউ কেউ অতিরিক্ত লাভের জন্য তাঁকে টাকা দিয়েছেন।’ ভবিষ্যতে এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের এই ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।

গ্রাহকদের দাবি, ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওই শাখায় টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন তাঁরা। ব্যাংক থেকে জমা রসিদও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকের উদ্যোক্তা হাদিউজ্জামান এই টাকা মূল শাখায় জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন।

এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে শাখাটি খোলা হয়। তানিশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাদিউজ্জামান এটি নেন। আমাদের ২ হাজার ৬০০ জনের মতো গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের ডিপোজিটের পরিমাণ ৬ কোটি টাকার ওপরে। এসব গ্রাহকের জমা দেওয়া টাকা আমরা নিয়মানুযায়ী ব্যাংকে জমা দিয়েছি। কিন্তু কিছু গ্রাহকদের টাকা ব্যাংকের উদ্যোক্তা হাদিউজ্জামান নিজে নিয়ে অন্য খাতে ব্যয় করেছেন। এই টাকার বিপরীতে উদ্যোক্তা নিজে ও আমাদের দিয়ে গ্রাহকদের ব্যাংকের স্লিপ দিয়েছেন।’

হাদিউজ্জামানের নেওয়া গ্রাহকদের টাকার পরিমাণ দেড় কোটির মতো হতে পারে জানিয়ে আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘হাদিউজ্জামান দুই মাস ধরে ব্যাংকে আসেন না। গ্রাহকেরা টাকা নিতে এলে অন্য গ্রাহকদের টাকা দিয়ে সমন্বয় করতে বলেন। আমরা সেভাবেই করেছি। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে অনেক চেষ্টা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব জমি বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করে দেবেন।’

সাবানা বেগম নামের এক নারী গ্রাহক বলেন, ‘সাড়ে চার লাখ টাকা রেখেছিলাম ব্যাংকে। এই টাকার লাভে আমার সংসারের বেশির ভাগ খরচ চলত। কিন্তু ব্যাংকে এসে জানলাম, আমার হিসাবে কোনো টাকা জমা নেই। আমাদের অন্য কোনো আয় নেই। স্বামী পঙ্গু। হাঁটতে পারেন না। এখন আমাদের সংসার কীভাবে চলবে ভেবে পাই না।’

যাত্রাপুর এলাকার মনোয়ারা বেগম, তাঁর চাচা ও ফুফু মিলে ২৩ লাখ টাকা রেখেছেন ব্যাংকটিতে। মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আজ এসে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখি, হিসাবে কোনো টাকা নেই। এত টাকা হারিয়ে পরিবারের সবাই এখন খুবই চিন্তিত। কী হবে জানি না।’

বাগদিয়া এলাকার আজিজুল হক নামের একজন কৃষক ৫০ হাজার টাকা রেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এসে শুনছি, টাকা নেই। এভাবে হলে কীভাবে আমরা টাকাপয়সা সঞ্চয় করব?’

কিসিং ডিভাইস….! চীন এটা কি তৈরী করল…!

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

ভিডিওকলে সঙ্গীকে চুমু দেওয়া যাবে, আর সেই চুমুতে বাস্তব চুমুর স্বাদও মেলবে, এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে চীন। খবর সিএনএনের।

উষ্ণ আর নড়াচড়া করতে পারে এমন সিলিকন ঠোঁটযুক্ত এক অদ্ভুত চীনা ডিভাইস নিয়ে এসেছে চীনের চাংঝো ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব মেকাট্রনিক টেকনোলজি।

চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে ডিভাইসটির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, যেখানে দূরে থাকা দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকারা বাস্তব চুমুর স্বাদ পাবেন।

ডিভাইসটিতে প্রেসার সেন্সর ও সিলিকন ঠোঁট নাড়াতে পারে এমন যন্ত্র রয়েছে। ফলে সেটি ব্যবহারকারী ঠোঁটের চাপ, নড়াচড়া ও তাপমাত্রা অনুযায়ী ‘বাস্তবিক চুম্বনের’ অনুভূতি তৈরি করতে পারে। চুম্বনের সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীর শব্দও অনুকরণ করতে পারে।

চীনের নতুন এই ডিভাইস নেটদুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ডিভাইসটি নিয়ে রসিকতা করলেও, অনেকে একে ‘অশ্লীল’ বলেছেন। অপ্রাপ্তবয়স্করাও এটি কিনতে ও ব্যবহার করতে উৎসাহ পেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে।

সিএনএন জানিয়েছে, কারো সঙ্গে চুম্বনে প্রথমে ব্যবহারকারীকে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং ডিভাইসটিকে মোবাইলের চার্জিং পোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এর পর অপরপ্রান্তের সঙ্গীর সঙ্গে অ্যাপে যুক্ত হলে উভয়ে ভিডিও কল করতে পারবে এবং চুম্বন আদান-প্রদান করতে পারবে।

বইমেলায় বোমা হামলার হুমকির চিঠি

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনায় বাংলা একাডেমি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডগ স্কোয়াড নিয়ে বিশেষ এ অভিযান চালায় পুলিশ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নামে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার কাছে একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকিসংবলিত চিঠি আসে।

উড়োচিঠিতে এ হুমকি দেওয়া হলেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

মো. সাইফুল ইসলাম নামের স্বাক্ষরে বুধবার ওই উড়োচিঠি পাঠানো হয়। তাতে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বোমা হামলার হুমকির বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি কোনায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে চিরুনি অভিযান চালানো হয়।

বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অতীতে এ ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলো দেশে বেশ কিছু নাশকতা চালিয়েছে। তাই জঙ্গিদের হুমকি নিয়ে আমরা আতঙ্কিত।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার কাছে এ চিঠি পৌঁছায়। মাওলানা সাইফুল ইসলাম নামের এতে স্বাক্ষর রয়েছে। এ ঘটনায় গতকালই শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, মেলায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই। তবে সব কিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই জঙ্গি সংগঠনের নামে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি এলো।

পুলিশ সূত্র বলছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও থেকে ওই চিঠি পোস্ট করা হয়।

হাতে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, রাজধানীর কয়েকটি হোটেলে দেহব্যবসা বন্ধে পুলিশ বরাবর আবেদন করা হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তারা পাকিস্তানের করাচি পুলিশ সদর দপ্তরের মতো বাংলাদেশের পুলিশ সদর দপ্তরে বোমা মেরে পুলিশ হত্যা করতে চায়। এর জন্য সুযোগের অপেক্ষায় আছে তারা। পুলিশ ওই দেহব্যবসা বন্ধ না করলে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলায় বোমা মেরে বইপ্রেমীদের হত্যা করা হবে। কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয়েছে, বইপ্রেমীরা দেহব্যবসার বিরুদ্ধে কিছু লেখেনি। ওই চিঠির নিচে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তাতে সাইফুল ইসলাম নামের ব্যক্তির স্বাক্ষরের পর আনসার আল ইসলাম ও বাংলাদেশ জেএমবি লেখা রয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

 

জাতিসংঘে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোট দেয়নি

 

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বছরপূর্তির আগের দিন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে অনতিবিলম্বে রাশিয়াকে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

১৪১ ভোটে পাশ হওয়া প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। আরও ৩১ দেশ এ প্রস্তাবে ভোট দেয়নি।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়াসহ সাত দেশ। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোটদাতা হিসাবে রাশিয়া পাশে পেয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়াকে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভোটদানে বিরত দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, কঙ্গো, আর্মেনিয়া ও ভিয়েতনাম।

সাবেক সোভিয়েত রাশিয়াভুক্ত কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানও এ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল।

দক্ষিণ এশিয়ার বাকি তিন দেশ আফগানিস্তান, নেপাল ও ভুটান প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনা চারটি প্রস্তাবের একটির পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ, বাকি সবকটিতেই ভোটদানে বিরত থেকেছে।

পেনাল্টির নিয়ম কি এবং কেন বদলে যেতে পারে

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের পেনাল্টি নেওয়ার সময় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করার জন্য আলোচনায় এসেছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার এ আচরণে পরবর্তী সময়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে গণমাধ্যমে।

এর পর জানা যায়, বদল আসছে পেনাল্টির নিয়মে। স্পট কিক নেওয়ার সময় কোনো গোলরক্ষক যেন ‘মাইন্ডগেম’ খেলতে না পারেন, সে জন্য নতুন নিয়ম আনছে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড।

মাইন্ডগেম কথাটার মাহাত্ম্য গেল কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হাড়ে হাড়ে সেটি টের পেয়েছেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। আর যদি বলা হয় কে এই মাইন্ড গেমার? অকপটে বলে দেওয়া যাবে— আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কাতার বিশ্বকাপে মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে শতভাগ সফল এ আর্জেন্টাইন বাজপাখি।

বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকার শুটআউটে বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়ে মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে জিতেছিলেন মার্টিনেজ। শুটআউটের শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব দেখান তিনি। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট করতেও অনেক কিছু করেছেন তিনি।

কিংসলে কোম্যানের মনোযোগ নষ্ট করার জন্য পেনাল্টির আগে তাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন মার্টিনেজ। রেফারির সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বারবার রেফারিকে বলতে থাকেন, বল ঠিকমতো জায়গায় বসানো হচ্ছে কিনা, তা যেন রেফারি খেয়াল রাখেন।

কোম্যানের মতো একই ফাঁদে পড়েন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা অরেলিয়েন শুয়ামেনি। শট নেওয়ার ঠিক আগেই মার্টিনেজ বল তুলে দূরে ছুড়ে ফেলেন। মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে হেরে পেনাল্টি মিস করেন শুয়ামেনি ও কোম্যান দুজনেই। ফলে বিশ্বকাপ জিতে যায় আর্জেন্টিনা। মার্টিনেজের এসব কাজ ঠিক মেনে নিতে পারছে না ফিফা। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমনটি না করতে পারে, সে কারণে পেনাল্টি নিয়মে আনা হতে পারে বড়সড় পরিবর্তন। এমনটিই জানা যাচ্ছে।

অবশ্য নিয়মে বদল হলেও তার কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন মার্টিনেজ। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আধুনিক নিয়মের সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ফিফা যদি নতুন নিয়ম চালু করে, তাতেও আমার কোনো সমস্যা নেই।’

কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লোব জেতা এই গোলরক্ষক বলেন, ‘কোপা আমেরিকার পরে আমি বলেছিলাম— আমার পক্ষে আবার পেনাল্টি বাঁচানো সম্ভব কিনা তা আমার জানা নেই। যে শট বাঁচানোর ছিল, তা বাঁচিয়েছি। কুড়ি বছর বাদে আবার আমি পেনাল্টি বাঁচাতে পারব কিনা জানি না। কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপে আমি পেনাল্টি বাঁচিয়েছি এবং দলকে জিতিয়েছি। এটিই আমার কাছে যথেষ্ট।’

প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘মারবার্গ’ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটতে না কাটতেই আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘মারবার্গ’ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও-হু)।

আফ্রিকার দেশ ‘ইকুয়াটোরিয়াল গিনি’তে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি পাওয়া গেছে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে এই ভাইরাসের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে আরও ১৬ জনের দেহে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক। ভাইরাসটি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সংক্রমণ অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে ২০০ জন সন্দেহভাজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে প্রথম ধরা পড়ে ভাইরাসটি। গত বছরের জুলাইয়ে ঘানায় ভাইরাসটিতে আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ১৯৬৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভাইরাসটির আক্রমণে ৪৭৪ জন রোগীর মধ্যে ৩৭৯ জনই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ।

বাদুড় থেকে আসা ‘মারবার্গ ভাইরাস’ ইবোলার মতোই মারাত্মক আকার ধারণ করে। ইবোলার তুলনায় অধিক প্রাণঘাতী। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি। এটি ইবোলার থেকেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।

‘মারবার্গ ভাইরাস’র কিছু লক্ষণ রয়েছে। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, পায়খানা, বমি-বমি ভাব, প্রচণ্ড জ্বর, পেশিতে ব্যথা থাকে। এছাড়াও এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো। হাতে পায়ে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে রক্তক্ষরণের লক্ষণও দেখা দেয়। ইবোলার মতো মারবার্গ একটি ফিলোভাইরাস। ফলে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়।

অ্যাঙ্গোলা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ঘানা, গিনি, কেনিয়া, উগান্ডা এবং জিম্বাবুয়েতে অতীতে এই ভাইরাসের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

প্রিন্সেস ডায়ানার ৩২বছর আগের বেগুনি গাউন নিলামে উঠছে,দাম জানেন…?

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

কোটি মানুষের প্রিয় এক নাম প্রিন্সেস ডায়ানা। শুধু মাত্র ব্রিটেনের রাজ পরিবারের পুত্রবধূ হিসাবে নয় সুন্দর, ফ্যাশন এবং সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এখনো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন প্রিন্সেস ডায়ানা।

১৯৯৭ সালে ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৩৬ বছরের প্রিন্সেস ডায়ানা। মৃত্যুর এতো বছর পরও বিশ্ববাসীর কাছে বহুল চর্চিত নাম প্রিন্সেস ডায়ানা।

সম্প্রতি তার একটি বেগুনি গাউন নিলামে উঠেছে।  চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ‘সোথেবিস’-এ অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম।

প্রিন্সেস অফ ওয়ালেসের নিলামে ওঠা এই গাউনটি বেগুনি সিল্কের এবং মখমলের যুগলবন্দিতে তৈরি হয়েছে। স্ট্র্যাপলেস এই বল গাউনটি ডায়ানার বিখ্যাত সব পোশাকগুলোর মধ্যে পড়ে না ঠিকই। কিন্তু এই পোশাকটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য কম নয়।

১৯৯১ সালে একটি রাজকীয় পোর্টেট আঁকার জন্য ডায়ানা এই গাউনটি প্রথম পরেছিলেন। তারপর ১৯৯৭ সালে ডায়ানার মৃত্যুর কিছু দিন আগে একটি বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’-এ বেগুনি গাউনটি পরেই তার একটি ছবি বেরিয়েছিল।

চলতি মাসের শেষের দিকে যে গাউনটির নিলাম হতে চলেছে, সেটির আনুমানিক মূল্য রাখা হয়েছে ৮০ হাজার ডলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মধ্যে।

এর আগেও ডায়ানার প্রায় ৮০টি পোশাক নিলাম করে কয়েক কোটি টাকা উঠেছিল। সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল ‘এডস ক্রাইসিস ট্রাস্ট’ এবং ‘রয়্যাল মার্সডেন’ হাসপাতালের তহবিলে। এবারও ডায়ানার এই বেগুনি গাউনটি নিলাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হলেন আব্দুস সাত্তার

//অনলাইন নিউজ ডেস্ক//

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে এবার বহিষ্কার করল বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক বহিষ্কার করা হয়।

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

গত ১১ ডিসেম্বর আব্দুস সাত্তার জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে দল থেকে তার পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছেন। তার বয়স হয়েছে। তাছাড়া আমার বাবা টানা ২৭ বছর জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। দলের সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের পর থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির কোনো ব্যাপারেই তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় নাই। তাই সম্মান থাকতে আমার বাবা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।’

আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯১ সালে এবং ১৯৯৬ সালের দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে তাকে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী করা হয়। সূত্র: যুগান্তর