//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//
বাগেরহাটের কচুয়া তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ, বাড়ছে পানি বাহীত রোগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ৬০ জন, জনবল সংকটের চলছে চিকিৎসা সেবা। ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি কাশিতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা।
বেশি করে বিশুদ্ধ খার পানি পান করা ,বাহিরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হওয়া। বেশি সমস্য দেখাদিলে খাবার স্যালাই খাওয়ার সহ রোদে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞ চিকিৎক।
ডায়রিয়া,জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ২০০জন। এরমধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাবেশি। গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪ শতাধিক রোগী। গড়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে কমপক্ষে ২৫ জন রোগী।
৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ শয্যা দিয়ে চলছে। ইউএইচএফপিও সহ ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও কাগজ কলমে আছে ১১জন এরমধ্যে অনুমতি ব্যতিত ছুটিতে আছে ২জন, ডেপুটেশনে বাহিরে আছে ২জন, ইউএইচএফপিও সহ ৬ জন চিকিৎক দিয়ে চলছে স্বাস্থসেবা। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি কমআছে।
ডায়রীয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফ্লোরে, বারান্দায় আছে চরকাঠী গ্রামের রাজিব দাসের কন্যা অপরাজিতা দাস (৩০মাস), মসনী গ্রামের মহিদুল মল্লিকের কন্যা আরফিন মল্লিক(১২মাস) মালিপাটন গ্রামের মোঃ মহাসিন শেখের পুত্র রহমান শেখ (২৪মাস) বারুইখালী গ্রামে রাফিন খোন্দকার(১৪মাস) সহ অনেক রোগী।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়রা পারভিন বলেন,সকালে এসই এপর্যন্ত ২২ জন রোগী দেখেছি এরমধ্যে ১০ ডায়রিয়ার রোগী দুই জন শিশুকে ভর্তি দিয়েছি।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাঃ মনিসংকর পাইক বলেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারনে ডায়রীয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বয়স্ক ও ছোট বাচ্চারা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। বেশি করে বিশুদ্ধ খার পানি পান করাতে হবে। বাহিরে বের হলে ছাতা নিয়ে বেরহতে হবে। বেশি সমস্য দেখাদিলে খাবার স্যালাই খেতে হবে। যে কোন সমস্য দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা সহ সাবধানে থাকতে হবে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউ এইচ এফ পি ও ডাঃ আ.স.মোঃ মাহাবুবুল আলম বলেন, আমাদের ৫০ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ বেডদিয়ে চালাতে হচ্ছে। ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও কাগজ কলমে আছে ১১জন। এরমধ্যে অনুমতি ব্যতিত ছুটিতে আছে ২জন, ডেপুটেশনে বাহিরে আছে ২জন, আমরা ৬ জন চিকিৎক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
