//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া//
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় চুরির ও চেতনা নাশক ঔষধ প্রযোগ করে সর্বশ্ব লুটের রহস্য উদঘটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুমুরিয়া থানা চত্তরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বিপিএম জেলা আন্ত চক্রের ৮ সদস্য ও মালামাল উদ্ধার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য তুলে ধরেন।
সম্প্রতি উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করে চুরির ঘটনা ঘটায় ডুমুরিয়া থানাসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন মহল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে তৎপর হয়ে উঠে। এবং কঠোর অভিযানে নামে । অভিযান বেরিয়ে আসে অনেক বিচিত্র তথ্য । জেলা পুলিশ সুপার আরও বলেন, ডুমুরিয়ায় একের পর এক ঘটনায় প্রথমতঃ আমাদের কাছে বিচ্ছিন্ন মনে হতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি এ ধরনের অভিনব চুরির ঘটনা অন্যান্য উপজেলাসহ যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলাতেও সংঘঠিত হচ্ছে। তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে বিভাগীয় ভাবে তদন্ত শুরু করি।
একই সাথে কঠোর অভিযানে নেমে পড়ি। আর এ অভিযানে আন্ত জেলা চক্রের মোট ৮জন আটক করতে সক্ষম হয়েছি । তাদের দেয়া তথ্যে’র ভিত্তিতে বেশ কিছু র্স্বনের অলংকার যেমন ৩টি রুলি (বালা), ৪টি আংটি, ১টি চেইন, কিছু রোপার ১ জোড়া নুপুর ও খাডু,৭টি মোবাইল সেট, ১টি হাতুড়ি ও স্ক্রু ডাইভার, একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন সাতক্ষীরা সদরের ধুলহর বেড়বাড়ি এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), একই জেলার পাটকেলঘাটার চৌগাছা গ্রামের মৃত শেখ আলফাজ উদ্দিনের ছেলে শেখ পলাশ আহমেদ (৪৫) ও আশাশুনির রাধারআটি এলাকার সামাদ মিস্ত্রীর ছেলে সুমন মিস্ত্রী (৩০), তালার জেটুয়া গ্রামের মৃত সামেদ আলী আকুঞ্জীর ছেলে জিয়াউর আকুঞ্জি ওরফে জিয়া (৪০), ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া গ্রামের শেখ রুহুল আমিনের ছেলে শেখ আরিফুল ইসলাম (৩৪), যশোর ঝিকরগাছার মধুখালি হাটখোলা এলাকার মৃত গোলাম মন্ডলের ছেলে রমজান আলী মন্ডল ওরফে মনা (৫১) ও বেনাপোল পোর্ট থানার কায়েডা এলাকার মৃত বজলু মোড়লের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৬) একই থানার কাগজপুর খেদাপাড়া এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৩৩)।
বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বিফ্রিং’র তিনি বলেন, চক্রের সদস্যদের আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে কিছু চোরাই অলংকার, মোবাইল ফোন দোকানে বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করা হবে। আবার ওই চোরদের সহায়তাকারী হিসেবে স্থানীয় ভাবে অনেকের নাম উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করছি। তাই তদন্তের স্বার্থে আর আপনাদের বেশি কিছু জানাতে পারছি না।
ব্রিফিং কালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ কনি মিয়া, ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরীসহ পুলিশ সদস্য গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থত ছিলেন ।
