বাগেরহাটের রামপালে ফিরোজ হত‍্যা মামলার পলাতক ৫ আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

বাগেরহাটের রামপালে ফিরোজ হত‍্যা মামলার পলাতক ৫ আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

বাগেরহাটের রামপালে চাঞ্চল্যকর ফিরোজ শেখ হত্যা মামলার ৫ জন এজাহারভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করছে র‌্যাব-৬। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রামপালের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রামপাল উপজেলার কাষ্টবাড়িয়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে মোঃ বজলু শেখ (২৫), ইনছান শেখের ছেলে ইমরান শেখ (২২), মৃত রজ্জব আলী শেখের ছেলে এনাম শেখ (৪২) ও তার ছেলে সুমন শেখ (২১) এবং জিয়া গাজীর ছেলে সাগর গাজী (২২)।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ফিরোজের স্ত্রী বাদী হয়ে  রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮ তারিখ ১৯/১২/২০২১ ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে মেজর এম রিফাত-বিন-আসাদ এবং লেঃ কমাঃ এম সারোয়ার হুসাইন এর নেতৃত্বে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ফিরোজ শেখের হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের’কে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলার রামপালের শ্রীকলস গ্রাম এলাকায় ফিরোজ শেখকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায় ফিরোজ স্থানীয় একজন সাবেক চেয়ারম্যান এর সমর্থক এবং তার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকতো বিধায় হত্যাকারীরা সাবেক চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ হওয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান এর ক্ষতি করার জন্য তাকে হত্যা করার নীল নকশা তৈরি করে।

এমতাবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার সময় ফিরোজ সাবেক চেয়ারম্যান এর সাথে কথাবার্তা শেষে সঙ্গীয় একই এলাকার হানিফ গাজী এবং আকবর গাজী নামক দুইজন ব্যক্তির সাথে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হত্যাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনা ও হত্যার ষড়যন্ত্র অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার সময় ফিরোজ  রামপাল উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের জনৈক আবু সাঈদ শেখের বাড়ির সামনে সরকারি পিচ ঢালা পাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে হত্যাকারীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে তাকে অতর্কিতভাবে হামলা করে।

পরবর্তীতে ফিরোজ জীবন বাঁচানোর জন্য দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হত্যাকারীরা পুনরায় তাকে ধরে ধারালো ছুরি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফিরোজ এবং তার সঙ্গী হানিফ’কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ফিরোজ মৃত্যুবরণ করে।

এ এইচ নান্টু, বিশেষ প্রতিনিধি//

পড়ুন দৈনিক বিশ্ব …

সমগ্র বাংলাদেশের বন্ধুদের সেতু বন্ধন তৈরি করে একে অপরের পাশে থাকতে হবে — ইলিয়াস মোল্লা এমপি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *