চাপাতির কোপে ব্যবসায়ী বিল্লাহ আহত

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

রামপালের কৈগর্দাসকাটির চরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয়ে বাঁধা দেওয়ায় মৎস ঘের ব্যাবসায়ী বিল্লাল শেখ (৩৩) কে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত বিল্লাল খুমেক হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রামপাল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আহত বিল্লালের ভাই মনিরুল শেখ।

জানা গেছে, উপজেলার কৈগর্দাসকাটি গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ গত ৮ জানুয়ারি বুৃধবার দুপুর ১ টার সময় বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সাদা মাছের ঘের কিনতে বের হন। ওই সময় প্রতিপক্ষ কৈগর্দাসকাটি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী আ. হামিদ ও একই গ্রামের সাবজেল ফকির ব্যাবসায়ী বিল্লালের পথরোধ করে।

এসময় তারা বলে তোর জন্য আমরা ব্যাবসা করতে পারছি না। তুই থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাদের ক্ষতি করছিস। তোকে আজ ছাড়বো না। এই বলে হুকুম দেয় ধর, ওকে শেষ করে দে। এ সময় তার সাথে থাকা একই গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে খায়রুলের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে সজোরে মাথা বরাবর কোপ দেয়। এ সময় তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী কাবেদুল, তহুর মোল্লা, বোরহান মোল্লা, ইয়াছিন গাজী, শাহাদাৎ গাজী, তহিদুল ফারাজী, বেল্লাল শেখ, জাহিদুল মোল্লা, কালা নুরোল, আলম সানা, আব্বাসসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা দা, রড নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

সন্ত্রাসীরা ভিকটিম বিল্লালকে মৃত ভেবে কৈগর্দাসকাটির সরকারি রাস্তার উপর ফেলে রেখে বীরদর্পে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিল্লালের কাছে থাকা সাড় ৮ লক্ষ নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিল্লাল কে গুরুতর আহত করা হলেও তার স্বজনেরা কোপের ভয়ে কাছে গিয়ে ঠেকাতে পারেনি।

আহত বিল্লাল কে বুৃধবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে প্রথমে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ৯ জানুয়ারি খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার ভাই মনি জানিয়েছেন, সিটি স্কানের রিপোর্টে মাথার খুলি কেটে মগজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্লালের। তার শরীরের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পেসাব ও মলদ্বার থেকে রক্ত যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র জানায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল কেনাবেচার একাধিক সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রকাশ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয় ও বহন করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, আহত হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। স্বজনেরা মামলা করতে এলে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।

Daily World News

বাগেরহাটে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে আরেক ভাইয়ের থানায় অভিযোগ

বাগেরহাটের মংলাায় দিগরাজ এলাকায় ৭ বছরের শিশু ট্রেনের কাটা পড়ে নিহত

বাগেরহাটে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে আরেক ভাইয়ের থানায় অভিযোগ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে অহংকারী ও অত্যারি স্ত্রী,র পরামর্শে গর্ভ ধারীনি ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাকে বাড়ি তাড়িয়ে দিয়েছে মেঝ ছেলে ও পুত্রবধু। দেয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জানুয়ারী উপজেলার বিষখালি গ্রামের মৃত সুনীল কুমার এর বাড়ীতে। আর এ ঘটনয় বৃদ্ধার ছোট ছেলে জগবন্ধু দাস ভাবি ও ভাইয়ে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

দায়ের কৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায় ,জগবন্ধু দাস (৪৫) একটি ঔষদ কোম্পনির বিক্রয় প্রতিরিধি,যশোরে স্বপরিবারে বসবাস করেন। বড় ভাই বিষ্ণুপদ দাস কানাডা প্রবাসী, স্বপরিবারে বিদেশে থাকেন। তারা দুই ভাই যৌথভাবে তাদের বৃদ্ধা মায়ের বসবাস করবার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে বৃদ্ধা মাতা কানন বালা দাস (৯০) কে দেখাশোনা করবার জন্য বোন সোমা রানী দাস থাকতেন।

মেঝ ভাই বাদল দাস ও তার অহংকারী স্ত্রী দীপা বালা দাস বসত ঘরটি দখল করতে গত ৩রা জানুয়ারি গভীর রাতে তাদের বোন ও মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বাড়িতে প্রবেশ করে। জোরপূর্বক ঘরের সমস্ত মালামাল বের করে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দেন। ১০াদন অতিক্রম হলেও অত্যাচারি পুত্রবধু ও পাষান ছেলে বৃদ্ধ মাকে এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।

জগবন্ধু আরো বলেন, তাদের মেজ ভাই ও ভাবি দীর্ঘদিন ধরে তাদের উপর নির্যাতন করে আসছে। তাদের উপর মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগে জানান। এমন কি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এখনো হুমকী থামকী অব্যাহত রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হলেও মায়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষে কামনা করেন।

এ দিকে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে এমন আচরণ এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিষ খালি গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীপা বালা দাসের পিতার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। বাদল দাস ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে বাদল দাসের ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বাদল দাসের আগেও দিপা স্বামী পরিবর্তন করেছে। সেই সংসারেও দীপার ২২ বছরের বিবাহিত একটি মেয়ে আছে।

তারা জানান, বিয়ের পর দীপা এলাকায় আসার কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন কারণে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার শুরু করে। এমনকি পার্শ্ববর্তী মানুষের সঙ্গে তাদের বিরোধ শুরু হয়। সেই বিরোধের জের ধরে পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জড়িয়ে একাধিকবার দীপা বাদী হয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জানান, দীপা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ হলেই সে হাতিয়ার হিসেবে সাধারণ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার মিথ্যা মামলা ও হয়রানিতে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ জানান, বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাটে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

বাগেরহাটের মংলাায় দিগরাজ এলাকায় ৭ বছরের শিশু ট্রেনের কাটা পড়ে নিহত

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোংলায় ট্রেনের নিচে পড়ে মরিয়ম (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের দিগরাজ রেল ক্রসিংয়ে রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দায়িত্বরত লাইনম্যান রেলগেইট না ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের।

নিহতের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ২ সন্তানকে নিয়ে মোংলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে বাগেরহাট যাওয়ার সময় দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। তখন যাত্রীবাহী বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তার কোল থেকে শিশু মরিয়ম ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়েযায়। স্থানীয়রা দৌড়ে এসে ট্রেনটি চলে গেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শামিম হাসান বলেন শিশুটি এখানে আসার আগেই মারাগেছে।

দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বে থাকা গেটম্যান শাহিনের অবহেলায় তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সড়ক খুলে দেয়।

মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে এবং গেটম্যান শাহিনের অবহেলার বিরুদ্ধে রেল পুলিশ ব্যাবস্থা নিবে।

বাগেরহাটে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালি গ্রামে ছেলে ও পুত্রবধূ বিরুদ্ধে বৃদ্ধা শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে  দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধা কানন বালা দাস (৯০) এর ছেলে জগবন্ধু দাস (৪৫) বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জগবন্ধু দাস বিষ খালি গ্রামের মৃত সুনীল কুমার দাসের ছেলে।

অভিযোগে জগবন্ধু দাস জানান ,  আমি যশোরে একটি ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত আছি এবং সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করি। বড় ভাই কানাডা প্রবাসী বিষ্ণুপদ দাস স্বপরিবারে বিদেশে থাকেন। আমরা বাড়িতে না থাকায় আমিও আমার কানাডা প্রবাসী ভাই আমার বৃদ্ধা মায়ের বসবাস করবার জন্য  কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে যৌথভাবে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করি। আমরা চাকরির কারণে বাইরে থাকায় আমার বৃদ্ধা মাতাকে দেখাশোনা করবার জন্য আমার বোন সোমা রানী দাস মায়ের কাছে রাখি।

কিন্তু আমার মেঝ ভাই বাদল দাস ও তার স্ত্রী দীপা বালা আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আমাদের  বসত ঘরের প্রতি লোভের বসবর্তী হয়ে গত ৩রা জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় আমার বোন ও মাতাকে ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে। তারা গায়ের জোরে ও পেশি শক্তির বলে আমাদের যৌথ নির্মাণাধীন পাকা ঘরে অনধীকার প্রবেশ করে। পরে আমাদের বসত ঘরে থাকা সকল মালামাল বের করতে বাধ্য করে। এক সপ্তাহ অতিক্রম হলেও আমার বৃদ্ধ মা এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।

জগবন্ধু আরো বলেন, এর আগে আমার মেজ ভাই ঢাকায় চাকরি করতো। তার স্ত্রী আমাদের এলাকায় বসবাস করত। সে বিভিন্ন সময় আমি ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেছে। সে আমার বৃদ্ধা মাকে মারধরসহ একাধিক অভিযোগ করেছে। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এ বিষয়ে আমার মেজ ভাই কোন প্রতিবাদ করেনি।

তিনি আরো বলেন, এলাকার এক শ্রেণীর স্বার্থন্বেষী ও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থেকে আমার পরিবার ও এলাকার সাধারণ মানুষের নামে ইতিপূর্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এখনো সে বিভিন্ন প্রভাবশালী দিয়ে আমাদের হুমকি-ধমকি প্রদান করছে।  আমরা আমার মাকে নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদ আরিফ জানান, বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক।  বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বাগেরহাটে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিকে কেন্দ্র করে আট বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নারীসহ আহত ২৫ জন

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে সদরের চিরুলিয়া বিষ্ণুপর বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটিকে কেন্দ্র করে একই দলের রুহুল মেম্বর গ্রুপের ৮ বাড়িতে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষ মাসুম মোল্লা ও মোস্তাফিজ মোল্লাগ্রুপ। উভয় পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার(০৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে এই হামলা,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দিন বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,গত ৫আগস্টের পর থেকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোক জনের মাঝে একাধিক বার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে গত 6 জানুয়ারী সোমবার রাতে কুলিয়াইড় ভিআইপি মেড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের মাধ্যমে এই হামলার অভিষেক হয়। এত মোস্তাফিজ গ্রুপের পাচজনআহত হয়।

ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে ও বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর মোস্তাফি ও মাসুমের নেতৃত্বে শ্যকরা মুলঘর ও বারুই পাড়ার শতাধিক লোকজন রুহুল মেম্বর ও তার ৭ ভাইয়ের বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।এ সময় ৫ টি বসতঘর, 4টি রান্না ঘর,২টি গোয়াল ঘর,২টি জ্বালানী কাঠের ঘর এবং ঘরে থাকা ফ্রিজ,,আলমিরাসহ মূল্যবান জিনিস পত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লুটে নেয় নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান মালামাল।

আগুন নেভাতে যেয়ে, শেখ ছায়েল উদ্দিন(৬০) মোহাম্মদ শেখ(৫৫) কামরুল শেখ(৫৩), নজরুল শেখ(৫০) মনি শেখ(৪৮) ইসমাইল শেখ(৪৫) ইসমাল এর স্ত্রী(২৪)হেণা আক্তার (৩৩) মনিরা বেগম(৪৫) রুহুল আমিন(৬২)সহ আরো অনেকে পতিপক্ষের ইটের আঘাতে জখম হয়। এর মধ্যে ছায়েল উদ্দিন এর অবস্থা আশঙ্কা জনক তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতি পক্ষের প্রতিবাদের মুখে মোস্তিাফিজ গ্রপের মোহ্ম্দ মোল্লা(৪৫), তুহিন(৩৫) কেরামত(৫৪) ও মামুন(৩৮) রুহুল মেম্বার গ্রুপেরলোকজনের হামলায় জখম হয়। এর মধ্যে মামুনের শঙ্কা জনক।

স্থা্নীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছে, হামলার স্থান থেকে একটু অদুরেই চিরুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনের ব্রিজের উপর পুলিশ ও সেনা বাহিনীর উপস্থিতিস থাকলে ও ওই মূহূর্তে প্রশাসনের কোন দল হামলা কারিদের নিভৃত করতে যায় নাই।

রুহুলের পরিবারের সদস্যরা জানান,কয়েক দিন ধরে মোস্তাফিজের লোকজন আমাদেরকে মারধরের চেষ্টা করছিল। এর জন্য আমাদের পুরুষরা গা ঢাকা দিয়েছিল। পুরুষরা বাড়ী না থাকায় তারা বাড়ীর মধ্যে এসে আমাদের সবশেষ করে দিয়ে গেল। রুহুল মেম্বর স্ত্রী রজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী রুহুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চায়।এটাই আমাদের দোষ,আর এ কারণেই প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ইমরান,কামরান, মাহবুব, মাসুমসহ বহিরাগত ২শ থেকে আড়াইশো লোকজন তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

রুহুল মেম্বরের ছোট বোন ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার ভাই তালিম ভাইয়ের গ্রুপ করিছিলো। প্রতিপক্ষরা বাড়িতে হামলা করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা বলেছি, ঘরে শিশুরা আছে, তাও কোন ছাড় দেয়নি, আগুন দিয়ে দিছে।পুলিশ-আর্মি দাড়ায়ে রইছে, আমাদের বাড়ি পোড়ায়ে দেল, কোন সাহায্যই করেণি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আগের দিনের ঘটনা নিয়ে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন,রুহুল মেম্বরের ভাই আওয়ামী লীগের ক্যাডার শেখ রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে সোমবার রাতে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী ঢাল শড়কি ও ধারালো দা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয় আমাদের ৫ নেতা কর্মীকে আহত করে। এসময় তারা আমাদের ৫টি মটর সাইকেল ও একটি অটো গাড়িসহ একটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের নেতা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুম মোল্লা বলেন, সোমবার রাতে ভাংচুর করা মোটরসাইকেল নিয়ে আজ দুপুরে থানায় যাচ্ছিল, আমার ভাই মামুন মোল্লা। তখন রুহুল মেম্বরের লোকজন তার উপর হামলা করে। আমরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছিলাম। এরই মধ্যে বিকেলে আমার আরেক ভাই মাহমুদ মোল্লাকে কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষরা। সন্ধ্যার দিকে তারা ঢাল শরকি নিয়ে আবারও বের হয়, তখন পুলিশও ছিল। এসময় আমাদের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করে, পরে তারা নিজেরা বাড়িতে আগুন দেয়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ বলেন, বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গেল পরশুও মারামারি হয়েছে। এর জেরেই আজ দুইপক্ষে আবার মারামারি করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত্য কোন পক্ষ কো আভিযোগ দায়ের করে নাই।

Daily World News

বাগেরহাটে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

বাগেরহাটে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সহায়তায় ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তৌহিদুল আরিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপ-পরিচালক জনাব আব্দুল কাদের এবং বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সাইদুর রহমান।

ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও তাকিয়া তাহসিন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেন, সদস্য ইয়াছির আরাফাত, জুম্মান শেখ, মিলন শেখ, রেদোয়ান ইসলাম, রাতুল ইসলাম, শৈশব সাহা, সাজিদ হোসেন, নিয়ামুল ইসলাম, শারমিন সুমনা প্রমুখ।

শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে প্রায় শতাধিক অসহায় মানুষ শীত নিবারণের জন্য কম্বল পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে অনুপ্রাণিত করেন এবং ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং সমাজের অবহেলিত ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

বাগেরহাটে ১১ কেজি হরিণের মাংস সহ ৬ পর্যটক আটক

//বিশে ষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোংলায় হরিণের গোসসহ ৬ জন পর্যটককে আটক করেছে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে মোংলার ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে দুই নারীও রয়েছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মো. রবিন, তাইজুল ইসলাম, সোহেল হোসেন এবং সাইফুল ইসলাম। এছাড়া মুক্তা ও কল্পনা নামে দুই নারীও রয়েছেন।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশনের কর্মকর্তা সুরঞ্জিত জানান, আটককৃতরা সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার লাউডোব রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার তারা সুন্দরবনের করমজল ও হাড়বারিয়া এলাকা ঘুরতে যান। তখন তারা ১১ কেজি হরিণের মাংস ক্রয় করেন এবং মোংলা ফেরিঘাট এলাকায় এসে মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা মাইক্রোবাসটি তল্লাশি চালিয়ে হরিণের মাংসসহ তাদের আটক করেন।

বন কর্মকর্তা সুরঞ্জিত আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জব্দকৃত মাংস, মাইক্রোবাস এবং আটককৃতদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাগেরহাট কারাগার থেকে ৬৪ ভারতীয় জেলে মুক্তি পেয়েছে

//বিশে ষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে বাগেরহাট কারাগারে আটক ৬৪ ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এসব জেলেদের বিশেষ নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের বাসে করে মোংলায় নেয়া হয়েছে। একই দিন পটুয়াখালী কারাগার থেকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে ৩৩ জন ভারতীয় জেলেকে।

বাগেরহাট ও পটুয়াখালী কারগার থেকে মুক্তি পাওয়া  এই ৯৭ জেলেকে ভারতে হস্তান্তরের জন্য মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তাদের হেফাজতে নিয়েছে। ভারতীয় এসব জেলেকে দুই দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় আগামী ৫ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারত জলসীমার শুন্যরেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হস্তান্তর করা হবে। একই সময়ে ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশী ৭৮ জন জেলেকে মুক্তি দিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বি এন মুশফিক-উস সালেহীন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ৪৮ জন ও ২১ নভেম্বর ১৬ জন ভারতীয় জেলেকে আদালতে মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে আটক রাখা হয়।

একই ভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে ৩৩ জন ভারতীয় জেলেকে আদালতে মাধ্যমে পটুয়াখালী কারাগারে আটক রাখা হয়। বাংলাদেশ-ভারত বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় বাগেরহাট ও পটুয়াখালী কারাগারে আটক থাকা ৯৭ ভারতীয় জেলেকে সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তি দিয়ে তাদের হস্তান্তরের জন্য কোস্টগার্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।

এখন ৯৭ ভারতীয় জেলেকে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের হেফাজতে রেখে তাদের দুই দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় আগামী ৫ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারত জলসীমার শুন্যরেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হস্তান্তর করা হবে। এসময়ে ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশী ৭৮ জন জেলেকে মুক্তি দিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট কারাগারের সামনে উপস্থিত থাকা ভারত থেকে আসা এসব করামুক্তি জেলেদের স্বজনরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বাগেরহাটে আন্তঃজেলা মালিক সমিতির খামখেয়ালি ও পেশীশক্তির শিকার শরনখোলা ও মোড়েলগঞ্জবাসি

//বিশে ষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, কোচ মালিক সমিতির সেচ্চাচারী ও পেশীশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শরণখোলা থেকে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে শরণখোলা গামী বিভিন্ন পরিবহন ২ জানুয়ারি দুপুরে বাগেরহাটে আটকিয়ে দিয়েছে মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।

যেটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিক। সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৫-৬ টি পরিবহন গাড়ি বাগেরহাট টার্মিনালে আটকিয়ে তার যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এতে শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাগেরহাট জেলা সেনাক্যাম্পের হস্তক্ষেপের সমাধানহয়েছে বলে জানা গেছে।

মালিক সমিতির আহবায়ক মশিউর রহমান সেন্টু গত ২৪ ডিসেম্বর শরণখোলায় পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি ইস্যু করে যে শরণখোলা থেকে বিভিন্ন পরিবহনের একটি করে গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারবে বলে তারা জানায়।

তবে বিষয়টির প্রতি কোন সমর্থন ব্যক্ত করেননি শরণখোলা মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষ।

রামপালে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

বিশেষ প্রতিনিধি: জেনিভা প্রিয়ানা||

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

বুধবার (১জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় রামপাল সরকারি কলেজ গেট থেকে রামপাল উপজেলা ছাত্রদল ও রামপাল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। উক্ত র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হাসান গাজনবী, সদস্য মোফাজ্জল হুসাইন বাদল, ইমরান হাওলাদার তুহিন, রফিকুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত শেখ প্রমুখ।

এ সময় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইস্যুতে স্লোগান দেন।একই দিনের সকাল সাড়ে ১০ টায় ছাত্রদলের অপর একটি অংশ উপজেলার ফয়লাহাটের খুলনা-মোংলা মহাসড়কে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রামপাল উপজেলা  ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. মেহেদী হাসান, যুগ্নআহবায়কহাফিজুর রহমান হাফিজ, ইব্রাহিম আকঞ্জি, মিলন লস্কর, মেহেদী হাসান, সাবেক সদস্য, সাগর শেখ, শহিদুল শেখ, আশিকুজ্জামান সুমন, আহাদ শেখ প্রমুখ।