//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//
বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে, যখন দেশজুড়ে চলছে আনন্দ-উৎসব আর আনন্দ শোভাযাত্রার রঙে রাঙা সকাল, ঠিক তখনই বাগেরহাটের কচুয়ায় এক মায়ের কোল ভরল ফুটফুটে পুত্রসন্তানে। নতুন বছরের সূর্য উঠতেই নতুন প্রাণের আগমনে খুশির জোয়ার বইল গোটা পরিবারে।
কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের দোবারিয়া এলাকার ফারহানা আক্তার বিথী ও মেহেদী সরদার দম্পতির দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে নববর্ষের দিন সকালে। ১৪ এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বাগেরহাট শহরের ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিকে’ সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তান—একটি পুত্র।
১৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ফারহানাকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. রিফফাত আরা শীলা জানান, ‘নববর্ষের এ বিশেষ মুহূর্তে নতুন প্রাণের আগমনে আমরাও আনন্দিত। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।’
শিশুর খালামণি ফারজানা আক্তার সাথী আবেগময় কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের দুই বোনের সংসারে কোনো ভাই ছিল না। বাবা সব সময় দোয়া করতেন—আমাদের ঘরে যেন ছেলে সন্তান আসে। আজ সেই প্রার্থনা কবুল হয়েছে। আমার প্রথম সন্তানও ছেলে, আজ বোনেরও ছেলে সন্তান এলো।’
শিশুটির নানি হালিমা বেগম বলেন, ‘বাংলা নববর্ষে আমার মেয়ের ঘরে ছেলে সন্তান এসেছে—এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
মা ফারহানা আক্তার বিথী বলেন, ‘আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেছেন। নববর্ষে এমন উপহার পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’
এদিকে, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম সমদ্দার জানান, নববর্ষের প্রথম প্রহরে (৫টা ৪৫ থেকে ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত) জেলা হাসপাতালে কোনো শিশুর জন্ম হয়নি।

