তিন ধাপে এডিপির ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করায় মৌকারা পীর তড়িঘড়ি করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়

//স্টাফ রিপোর্টার //

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকারা মাদ্রাসা পীর মাও. নেছার উদ্দিন একি কাজ দেখিয়ে তিন ধাপে এডিপির ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ নেন। অথচ টাকা নিয়ে কোন কাজ করেননি এ পীর। এ নিয়ে গত সংখ্যায় সবুজপত্র পত্রিকায় ও সবুজপত্র অনলাইন টিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর মাও. নেছার উদ্দিন তড়িঘড়ি করে উপজেলা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় উপস্থিত প্রতিজন সাংবাদিককে দুই হাজার টাকা দিয়ে তার মাদ্রাসার জন্য আরো টাকা ছান মানুষের কাছে। যা শাক দিয়ে মাছ ডাকার মতন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌকারা মাদ্রাসায় মাও. নেছার উদ্দিন পীরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম দুনীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যার কারণে ছারছিনা দরবার শরীফ সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়। এক সময় সারাদেশে প্রথম স্থানে থাকা মাদ্রাসাটি পড়াশোনা মান কমে গিয়ে পিচিয়ে পড়েন। যা বর্তমানে ৯ম কিংবা ১০ম রয়েছে। বাধ্যতামূলক লিল্লাহ বোডিংয়ে ৪৫০ জন ছাত্রদের প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন ভাতা নিয়ে নিম্নমানের খাবার পরিবেশ করেন। ভয়ে কোন ছাত্র মুখ খুলছে না। নিরবে কেঁদে যাচ্ছেন তারা। শিক্ষকরাও থাকেন ভয়ে।

পীর মানে আমরা জানি আল্লা ওয়ালা ব্যাক্তি। যার কোন দুনিয়াবি লোভ লালসা থাকবে না। টাকার পিছনে ছুটবেন না। টাকাই তার পিছনে ছুটবে। মৌকারা মাদ্রাসার পীর মাও. নেছার উদ্দিনের বিষয়ে উল্টো। গত (৪ আগস্ট) শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে যে ভাবে মানুষের কাছে টাকা চাচ্ছেন। মনে হয় তিনি একজন টাকা ওয়ালা পীর। টাকা ছাড়া কিছু বুঝেন না তিনি। তার নানা অনিয়ম দুনীতি ও অপকর্মের কারণে বর্তমানে মাদ্রাসাটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *