Author: দৈনিক বিশ্ব
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
//বাগেরহাট প্রতিনিধি //
বাগেরহাটে সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সজীব বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা ছিলেন।
এসময় সজীবের সাথে থাকা আহত কামাল তরফদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, সজীব তরফদার দুপুরে বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
উপমহাদেশের বড় শ্মশান দিপালী উৎসব আজ
//পলাশ চন্দ্র দাস, বরিশাল//
বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় নতুন বাজার আদি শ্মশানে অনুষ্ঠিত দিপালী উৎসবকে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দিপালী উৎসব মনে করা হয়।
চতুর্দশি পূণ্য তিথিতে বরিশালে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় শুরু হবে কাউনিয়ার নতুন বাজার আদি শ্মশানের এই দিপালী উৎসব। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো শ্মশান এলাকা। রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি উৎসব চলাকালে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে শতাধিক পুলিশ সদস্য পাশাপাশি টহলে থাকবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব ও গোয়েন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহা শ্মশান রক্ষা কমিটির আহবায়ক মানবেন্দ বট্যাবেল ।
এই কমিটির নিজস্ব ১শ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালনে থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রতি বছরের মতো এবারও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মৃতদের স্বজনরা এই উৎসবে অংশ নিবেন। শ্মশান রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ২০৫ বছর ধরে চলা এই মহাশ্মশানে কাঁচা পাকা সমাধি মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার সমাধি রয়েছে। এ মুহূর্তে সমাধিগুলোকে রংতুলির আঁচড়ে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের বৈঠক শেষে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উৎসবের রাতকে শ্মশান এলাকা হাজারো প্রদীপ প্রজ্জলনে রাতকে দিনের আলোতে নিয়ে আসা হবে। কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, বিশিষ্ট দানবীর অমুত লাল দে, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি রয়েছে এই মহাশ্মশানে। বরিশাল নগরীর কাউনিয়াস্থ মহা-শ্মশান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সমাধীতে নতুন ভাবে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বজনরা। কেউবা মাটির সমাধী তৈরী করছেন, কেউ আবার পাকা সমাধীতে রংঙের আচর দিচ্ছেন। মা-বাবার সমাধিতে সাজ সজ্জার কাজ করতে আশা নগরীর ভাটিখানা নিবাসী শিপ্রা জানান। বছরের অন্যান্য সময় শ্মশানে এলেও দিপালী উৎসব উপলক্ষে তিনি তার প্রয়াত মা-বাবা, ঠাকুরমার সমাধীতে নতুন রূপে সাজাতে এসেছেন।নগরীর ভাটিখানার আরেক স্বজন গবিন্দ দাস নাথু বলেন, তিনি তার বাবা-মার সমাধী তৈরী করতে এসেছেন।
যাতে দিপালী উৎসবের দিন সেখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। এদিকে শ্মশানে অনেক সমাধী রয়েছে যার কোন স্বজন এখানে আসেন না কিংবা কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। তাদের সমাধীতে শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে রংঙের কাজ করা হচ্ছে।বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১:১২ মিনিটে ভু-চতুর্দশী শুরু হবে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ৩:৫২ মিনিটে শেষ হবে রাত ১২.১ মিনিটে শশ্মান কালিপূজা শুরু হবে।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এর আদ্যোপান্ত
//বিশেষ প্রতিবেদক//
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা সর্বপ্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে ধ্বং-স করেছিলো?
ঐতিহাসিক বিচারে নির্মোহ সত্যান্বেষণ।।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, গুপ্ত সাম্রাজ্য তথা ভারতীয় উপমহাদেশের এক সুপ্রাচীন নিদর্শন এবং প্রাচীন বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় ৪১৩ খ্রিস্টাব্দে। সেসময় এমন সুসজ্জিত ও পূর্ণাঙ্গ আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় না। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, সেসময় এই অঞ্চলে গুপ্তদের শাসনামল চলছিল। সেই অনুযায়ী, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সম্রাট কুমারগুপ্তকেই ধরে নেওয়া হয় যা পরবর্তীতে স্কন্ধগুপ্তের হাত ধরে আরও বিস্তৃত হয়। পরবর্তীতে পাল রাজাদের আমলে শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রগতি লাভ করে নালন্দা। ধর্মপালের সময়ে বিক্রমশীলা, সোমপুর ও ওদন্তপুরী প্রতিষ্ঠিত হলে তা নালন্দা মহাবিহারের জ্ঞানচর্চার গতিকে আরও ত্বরান্বিত করে৷ পাল রাজাদের আমলে বৌদ্ধ দর্শনের প্রভাবও বাড়তে থাকে।
নালন্দা ধ্বংসের আদ্যোপান্ত:
জ্ঞানবিজ্ঞানের পীঠস্থান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বহি:শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে একাধিকবার তবে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ একবার-ই হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখযোগ্য তিনটি আক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যানুযায়ী নালন্দা প্রথম আক্রান্ত হয় মিহিরকুলের নেতৃত্বে হুনদের দ্বারা, তারপর আক্রান্ত হয় বঙ্গাধীপতি শশাঙ্কের সেনাবাহিনী দ্বারা এবং পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় আফগান দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী দ্বারা।
চলুন এবার ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণ করি। আমাদের মূল অভিপ্রায় থাকবে মোটামুটি প্রাইমারি সোর্স থেকেই সত্যানুসন্ধান করার।
১/ হুনদের দ্বারা আক্রান্ত: প্রথমবার নালন্দা আক্রান্ত হয় গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্তের সময়ে। হুনরা মিহিরকুলের নেতৃত্বে ৪৫৫-৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নালন্দা আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময় শক, হুন, ইত্যাদি বহিরাগতরা প্রায়শই ভারত আক্রমণ করত। তবে স্কন্দগুপ্ত ও তার পরবর্তী রাজারা নালন্দাকে পুনরায় নির্মাণ করে আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন। কারণ তিব্বতীয় চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাং (জুয়ানযাঙ্গ) সপ্তম শতকে যখন ভারত ভ্রমণে আসেন তখন নালন্দা হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষকে পরিপূর্ণ ছিলো।
২/ বঙ্গাধীপতি শশাঙ্ক দ্বারা আক্রান্ত: দ্বিতীয়বার নালন্দা আক্রান্ত হয় বঙ্গাধীপতি শশাঙ্কের সেনাবাহিনী দ্বারা৷ সম্ভবত বঙ্গরাজ শশাঙ্ক মগধ আক্রমণের সময় নালন্দা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে নালন্দা ধ্বংস হয় নি। তাছাড়া শশাঙ্কের উদ্দেশ্যও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করা ছিলো না। যদি তা-ই হতো তবে বঙ্গের রাজধানী কর্ণসুবর্ণের নিকটে “রক্তমৃত্তিকা” মহাবিহারও ধ্বংস করে দিতেন। সপ্তম শতকেই ভারতে আসেন তিব্বতীয় চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙ (জুয়ানযাঙ্গ) এবং শীলভদ্রের অধীনে পড়াশোনাও করেন। তাঁর বর্ণনায় পাওয়া যায় সেসময় নালন্দার ১০০টি শ্রেণিকক্ষে প্রায় ২,০০০ শিক্ষকের অধীনে ২০,০০০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো। হিউয়েন সাং ভারত থেকে ফেরার সময় শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ তে যান এবং এর পর উড়িষ্যা দিয়ে চীনে ফিরে যান। শশাঙ্ক যদি বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন তবে হিউয়েন সাং কর্ণসুবর্ণে প্রবেশ করতে পারতেন না। উল্লেখ্য যে শশাঙ্ক যদি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসই করে দিতেন তবে হিউয়েন সাং ভারত থেকে ফেরার সময় ছয় শতাধিক ভারতীয় গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি নিয়ে যেতে পারতেন না। স্যামুয়েল বিল হিউয়েন সাঙের মূল রচনার ইংরেজি অনুবাদ করে “Si-Yu-Ki: Buddhist Records of the Western World” নামে প্রকাশ করেন। তাছাড়া বঙ্গাধীপতি শশাঙ্ক নালন্দা আক্রমণ করেছেন এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না প্রাথমিক সোর্স থেকে।
৩/ আফগান দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত: তৃতীয় আক্রমণ তথা ভয়ংকর ধ্বংসলীলা সংগঠিত হয়েছিল তুর্কী দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী কর্তৃক। নালন্দা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়, প্রচুর পুস্তক ও ভিক্ষুদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। কিছু ভিক্ষু তিব্বত/নেপালে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। এই জন্যই বাংলার প্রাচীনতম পুস্তক চর্যাপদ বাংলা/বিহারে পাওয়া যায় না; চর্যাপদ উদ্ধার করা হয় নেপাল থেকে। তুর্কী দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী যে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুড়িয়েছিলো তার প্রমাণ মোটামুটি সকল প্রাথমিক সোর্স থেকেই পাওয়া যায়।
★ বখতিয়ার খিলজির সেনাবাহিনীর হাতেই যে নালন্দা মহাবিহার ধ্বংস হয়েছিলো তার প্রমাণ হিসেবে ফারসি ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-সিরাজ তাঁর তাবাকাত-ই-নাসিরি গ্রন্থেই নথিভুক্ত করেছিলেন। এই বইটি ত্রয়োদশ শতকে রচিত, পরবর্তীতে ১৮৭৩ সালে সেটা মেজর এইচ.জি. রাভেট্রি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। মিনহাজ লিখেছেন,
“মুহাম্মদ-ই-বখত-ইয়ার দুর্গটি দখল করে এবং ভীষণ লুট করে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা ছিলো ব্রাহ্মণ এবং সকলের মাথা ছিলো মুণ্ডিত যাদের সবাইকেই হত্যা করতে৷ সেখানে বিশাল সংখ্যক পুস্তক ছিলো৷ যখন সবগুলো বই মুসলমানদের হাতে এলো এই বিষয়ক তথ্যের জন্য অনেক হিন্দুদের আনা হলো এবং সবাইকে হত্যা করা হলো। পরে, জানা গেলো এই দুর্গ এবং শহরটি ছিলো একটি কলেজ এবং হিন্দু ভাষায় এই কলেজকে বিহার বলা হতো৷ সেখানকার হাজার হাজার সন্ন্যাসীকে পুড়িয়ে মারা হলো এবং জীবতদের শিরোচ্ছেদ করা হলো। খিলজি তলোয়ারের মুখে বৌদ্ধদের উৎখাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো৷ সেখানকার লাইব্রেরি মাসব্যাপী পুড়েছিলো এবং দগ্ধ পুস্তকের ধোঁয়ায় আশেপাশের পাহাড়গুলো অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো।”
★ দ্বিতীয় সোর্স হিসেবে রয়েছে সুব্রহ্মণ্য রচিত “নালন্দাদহন” নাটিকা। তিব্বতীয় বজ্রযানী বৌদ্ধদের শাস্ত্র “পিটক” এ এই নাটিকাটি সংকলিত আছে। বজ্রযানী সকল পিটক উরগ্যেন লিংপার হাত ধরেই পূর্ণতা পেয়েছিলো। উরগ্যেন লিংপা বহু হারিয়ে যাওয়া শাস্ত্রগ্রন্থের পান্ডুলিপি সংগ্রহ করে সংকলন করতেন, তিনি চতুর্দশ শতকের ব্যক্তি। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে “নালন্দাদহন” নাটিকাটি অবশ্যই ত্রয়োদশ শতকের হবে যা প্রাথমিক সোর্স হিসেবে গ্রহণ করা যায়। নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, তুরষ্ক সেনাসমুদ্র নালন্দার রাজদ্বারে প্রবেশ করিল। তাহাদিগের যত অশ্বারোহী তরবারির অগ্রে ভিক্ষুদের কাটিতে ও পুড়াইতে লাগিল।
এক বরিষ্ঠ ভিক্ষু সেই ঘোর জঘন্য কার্য্যের বর্ণনা করিলেন : —
“তুরষ্কবর্গ বায়ুবেগে আসিল এবং তদীয় শত্রু চূর্ণ করিতে লাগিল। সহস্র সহস্র ভিক্ষুকে কাটিয়া তাহারা যেন হত্যাযজ্ঞব্রত ধারণ করিয়াছে।”
সেনাপতি পুস্তকালয় দহনে উদ্যত দেখিয়া পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষা ভিক্ষুণী ভাগেশ্বরী তাঁর কাছে প্রার্থনা করিলেন : —
“হে মহামতি মহাসেনাপতি! পুড়াইও না! শত সহস্র বিদ্বানের সাধনধনসঞ্চিত এই জ্ঞানভাণ্ডার পুড়াইও না। আমরা স্বল্পায়ু মানুষ, সাধনও স্বল্প; তথাপি কোটি কোটি জ্ঞাননিমগ্ন বিদ্বানের জ্ঞান দ্বারা বর্ধিত এই ভাণ্ডার অখিলহিতকারী। তোমাদিগের দেশের পণ্ডিতরাও এইসকল খণ্ডন করিতে পারেন। এ যে শাস্ত্রের অকৃত্রিম ভাণ্ডার!”
(নাটিকার অনুবাদক: Koyel Writes)
★ তৃতীয় সোর্স হিসেবে আচার্য ধর্মস্বামীর বায়োগ্রাফি ব্যবহার করা যায়। উনার বায়োগ্রাফী “Upasaka Chos-dar” এর মূল তিব্বতীয় পাণ্ডুলিপি ইংরেজি অনুবাদ করেন Dr. George Roerich যেটা ১৯৫৯ সালে জয়সাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পাটনা থেকে প্রকাশিত হয়। ধর্মস্বামী ১২৩৩/১২৩৪ সালে ভারতে আসেন এবং ওদন্তপুরীতে গিয়ে দেখেন সেটা একজন তুর্কী (এক আফগান সম্প্রদায়) সেনা কমান্ডারের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তুর্কী সেনারা বিক্রমশীলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তুর্কীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নালন্দার ৮০টি ছোট বিহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় রাজা বুদ্ধসেনার অর্থায়নে মাত্র দুটো বিহারের কার্যক্রম চলমান ছিলো। এগুলো পরিচালনা করতেন ৯০ বছর বয়স্ক সন্ন্যাসী রাহুল শ্রীভদ্র, আচার্য ধর্মস্বামী উনারই শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। আচার্য ধর্মস্বামী চাগ লোতস্বা নামেও পরিচিত ছিলেন।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে বখতিয়ার খিলজির সেনাবাহিনী দ্বারাই নালন্দার বড় বড় বিহারগুলো ধ্বংস হয় এবং খিলজি মারা যাওয়ার পরও তুর্কী সেনাবাহিনী নালন্দার সম্পূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছিলো। অনেকে বলার চেষ্টা করে তুর্কী আক্রমণের পরও নালন্দা টিকে ছিলো। আচার্য ধর্মস্বামী ১২৩৩/১২৩৪ সালে যখন নলন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণে আসেন তিনি দেখেন যে ৯০ বছর বয়স্ক রাহুল শ্রীভদ্র মাত্র ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা করছেন। তার উপস্থিতিতেই তুর্কী সৈন্যদের দ্বারা নালন্দা আবার আক্রান্ত হয় এবং সকল শিক্ষার্থী পলায়ন করে।
মন্তব্য: এই ছিলো মোটামুটি নালন্দা ও তার পার্শ্ববর্তী বিহারগুলোর ধ্বংসের প্রাথমিক ইতিহাস যেখানে ঘুরেফিরে বখতিয়ার ও তার সেনাবাহিনী এবং তার উত্তরসূরীদের জড়িত থাকার ইতিহাস স্পষ্ট। অনেকে বলে নালন্দা মহাবিহার কেবল বৌদ্ধ স্থাপনা, হিন্দুদের কোন অধিকার নেই। অথচ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় হিন্দু রাজা কুমারগুপ্তের সময় এবং নালন্দা চুড়ান্ত উৎকর্ষতা লাভ করে স্কন্দগুপ্তের হাত ধরে। পরবর্তীতে অষ্টম শতকে পাল রাজা ধর্মপাল আরও কিছু বিহার স্থাপন করে নালন্দাকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করেছেন। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নালন্দায় রাখা হিন্দু দেববিগ্রহগুলোরও অনাদর করতেন না। নালন্দার প্রত্নতাত্ত্বিক খননে গণেশ, চামুণ্ডা, উমা-মহেশ্বর, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, বুদ্ধ ও সূর্য বিগ্রহ পাওয়া যায়। কলমে: অনিক কুমার সাহা
এনআইডি কার্ড জালিয়াতি করে ও বোনের জেএসসি সনদপত্র ব্যবহার করে খুর্শিদা আক্তারের ডিপ্লোমা নার্সিং ডিগ্রী
//বিশেষ প্রতিবেদক//
মেজ বোনের জেএসসির সনদপত্র নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এক লাফে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় খুর্শিদা আক্তার ওরফে লাকি আক্তার। তিনি এখন যশোরের ডাক্তার মেজবাহ উর রহমান মেডিকেল টেকনোলজি কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ৭৫০১০০১৬০৪, সেশন: ২০১৯-২০।
বর্তমানে খুর্শিদা আক্তার নাম এবং দু’দফায় জন্মনিবন্ধন এবং নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র করার চেষ্টা করছে।
প্রতারণা ঘটনার শুরু বাগেরহাটের মোংলাতে। খুর্শিদা আক্তার ও মেজ বোন লাকি আক্তার দু’জনই বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌর এলাকার শফিক হালদারের মেয়ে। যাদের বর্তমান বৈবাহিক ঠিকানা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামে।
খুর্শিদা আক্তারের প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের ১ জুন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৩৩১৫১১০০ এবং জন্মনিবন্ধন নম্বর ১৯৯৬০১৫৮৬৪০১০০৯১২, সে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
অপরদিকে মেজবোন লাকি আক্তার লেখপড়া করেছেন ১১৪৯৯৮ চাঁদপাই মেশেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে, যার জেএসসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১১৩৩৩৫৭৫৩, সেশন ২০১১ এবং রোল নম্বর ছিল ২৪১৭৫১।
খুর্শিদা আক্তার তার মেজ বোন লাকি আক্তারের জেএসসির সনদপত্র নিয়ে আলহাজ শেখ আফসার উদ্দিন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা হতে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে একজন শিক্ষক ও সুপারের সহায়তায় অবৈধভাবে এসএসসি পাস করেন, যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১১১৩৩৩৫৭৫৩, সেশন-২০১৬-১৭, এদিকে, মেজ বোন লাকি আক্তার বড় বোনকে তার সনদপত্র (জেএসসির) সরবরাহ করায় নিজের নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করেছেন। এখন দু’বোনই চেষ্টা করছেন নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তনের জন্য। মেজ বোন লাকি আক্তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন কথা আক্তার লাকি। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৯৮ সালের ১ জুন। জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৯ সালের ৫ আগস্ট করেছেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনে ১৯৯৯ সালের জন্ম তারিখ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ তথ্য গোপনের পর কথা আক্তার লাকি নামের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৫৬৩১৯০১ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৯৯০১২৫০০১০৬২০০২। এখন দু’বোনের মধ্যে মেজ বোন জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন করতে পারলেও নানা কারণে আটকে রয়েছেন বড় বোন খুর্শিদা আক্তার। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্র মেজ বোন লাকি আক্তারের নাম বসিয়ে পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন।
সূত্র বলছে, তথ্য গোপন করে খুর্শিদা আক্তার পরবর্তীতে লাকি আক্তার নামে জন্মনিবন্ধন করেন, যার নম্বর ০১৯৮০১২৫০০১০৬২০০৩। এবং লাকি আক্তার নাম পরিবর্তন করে কথা আক্তার লাকি নামে যে জন্ম নিবন্ধন করেন তার নম্বর ১৯৯৯০১২৫০০১০৬২০০২। তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, দু’টি জন্ম নিবন্ধনের নম্বরই পরপর। ফলে দু’বোনই যে প্রতারণা করেছেন সেটি স্পষ্ট হয়েছে।
এদিকে ডাঃ মেজবাহ উর রহমান মেডিকেল টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ খুর্শিদার নিকট হতে মোটা টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় এবং খুর্শিদা আক্তারকে দ্রুত এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে বলেন। কিন্তু খুর্শিদা এনআইডি কার্ড সংশোধনে ব্যর্থ হলে অধ্যক্ষ মহোদয় খুর্শিদাকে দিয়ে https://gamitisa.com/tools/bd-oldnidcard লিংক ব্যবহার করে জালিয়াতি করে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করিয়ে নেন এবং সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে গলাবাজি করছেন। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সে একের পর মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন চেষ্টা করে আসছিলেন, কিন্তু সরোজমিনে তদন্তপূর্বক এটি সংশোধন যোগ্য নয় বলে বাতিল করা হয়েছে।
একের পর এক জালিয়াতি করেও বহাল তবিয়তে নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে সে তার কার্যছক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই, এবং বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। এভাবে এরা একসময় হয়ত সরকারী চাকুরিও করবে, প্রশ্ন এসে যায় দেশ-জাতি এদের কাছ থেকে কি আশা করবে…? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মকর্তারা কি এভাবেই জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে যাবে…?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর একটি হাসপাতালে আজ বুধবার দুপুরে তিনি মারা গেছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
৮২ বছর বয়সী মতিয়া চৌধুরী বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই আজ তাঁর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবারের একটি সূত্র।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তিনি সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে- নিহত ৮
//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //
পিরোজপুর সদরের কদমতলা এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে চার শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য।
বুধবার মধ্যরাত সোয়া ২টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন— পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শাওন মৃধা (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), ছেলে আবদুল্লা (৩), অপর ছেলে শাহাদত (১০) এবং শেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (২)।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি নেতাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা
//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে , বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার রাতে ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখা এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর ডা. শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয় চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের রায়ের পর আমরা আইনি দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের ক্ষেত্রে সংশোধন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ইসির সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের ১ অক্টোবরের আদেশে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির গেজেটে উল্লেখ করা নির্বাচনের ফলাফলের ১ নম্বর কলামের ১ নম্বর ক্রমিকের বিপরীতে ২ নম্বর কলামে ‘মো. রেজাউল করিম চৌধুরী’র পরিবর্তে ‘শাহাদাত হোসেন’ এবং ৩ নম্বর কলামে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের’ পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছিলেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা ‘কারচুপি’ করেছিলেন। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
মামলার এজাহারে শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।
অভয়নগরে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপিত
//মোঃ শফিকুল ইসলাম পিকুল, বিশেষ প্রতিনিধি//
‘সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২ অক্টোবর বুধবার বিকাল পাঁচটায় অভয়নগরের ইনস্টিটিউটের সামনে খুলনা যশোর মহাসড়কে পিএফ জি এর উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় |
মানববন্ধনে পি এফ জি সদস্যবৃন্দ শিক্ষক , সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন | উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন , হাঙ্গার প্রজেক্ট এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম , অভয়নগর পিএফজি এর সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ,বিএনপি নেতা মোল্লা হাবিবুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা বলেন শুধু অভয়নগরে নয় সারা বাংলাদেশের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে ।
সকলে মিলে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সংঘাত পরিহার করে ঐক্যের বাংলাদেশ গড়তে হবে।
সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কিকি করতে পারবে
//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //
আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রুর স্বাক্ষরকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-
ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।
ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।
ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।
ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।
ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।
ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।
ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।
ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা।
ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।
ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।
ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা।
ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।
ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।
ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।
উল্লিখিত ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না।
ডুমুরিয়ায় তরুন সংঘ ক্লাবের উদ্যেগে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের সহায়তা ও গাছের চারা বিতরন