স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: বিএনপি নেতা হেলাল

//আ. রাজ্জাক শেখ, খুলনা//
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন,
শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষিত জাতি গঠন করতে হবে।
দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে শিক্ষার গুণগত মান এবং মানসম্মত শিক্ষা একান্ত দরকার।

দেশের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পাসের হার প্রতি বছর বাড়লেও শিক্ষার্থীর মেধা সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দেশের ও সমাজের অনেকেরই।

দীর্ঘ ১৭ বছরে বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে তাদের হামলা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেনি ঐ স্বৈরাচারী সরকার।
তারপরও আমরা সবকিছু ভুলে কোনো সহিংসতার পথে যায়নি। বিএনপি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিয়ে ভাবে আর ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে। উন্নয়নের সকল কাজ করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে। সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে দিন-রাত কাজ করছে বিএনপি। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রূপসার আলাইপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা নূর মোহাম্মদ শিকদারের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু,
আব্দুর রশিদ শেখ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এনামুল হক সজল।

আলাইপুর কলেজের সভাপতি শামীম মোহাম্মদ শিকদারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্লা সাইফুর রহমান, সদস্য সচীব জাবেদ হোসেন মল্লিক, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম কামরুজ্জামান টুকু,
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু,
শিক্ষক আল মামুন সরকার, নুরনাহার, সুধাংশু গাইন, দিবা কর্মকার, দীপঙ্কর হালদার, সুজন বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ শীল, তরিকুল ইসলাম, মনি শংকর নাগ, বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান,ইউনুস আলী সিকদার, বিকাশ মিত্র, হুমায়ুন কবীর শেখ, এসএম এ মালেক, আব্দুস সালাম মল্লিক, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আনোয়ার হোসেন খান, দিদারুল ইসলাম, মিকাইল বিশ্বাস, সৈয়দ নিয়ামত আলী, কামরুল ইসলাম কচি,সাইফুল পাইক, প‍্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, মিন্টু শেখ, আব্দুল্লাহ সিকদার, মুন্না সরদার, সৈয়দ কামরুজ্জামান নান্টু, আবু সাঈদ, হালিম হাসান, মাসুদ খান, জহিরুল হক সারাদ, ইফতেখার আহমেদ, শাহিনুর রহমান, নাসির শেখ, মোরশেদ আলম, হাকিম গাজী, রউপ শিকদার, মনির লস্কর, শিবলু লস্কর,
ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান, ইসরাইল বাবু প্রমৃখ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো: আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক আবুল বাশার ও খান কবীর হোসেন।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রূপসায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

খুলনা প্রতিনিধি:

ভারতে ইসলাম ধর্ম ও রাসূল (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি রামগিরি মহারাজ ও রূপসায় অন্তর বৈরাগী কর্তৃক কটূক্তি   করার প্রতিবাদে রূপসা উপজেলায়  বিক্ষোভ সমাবেশ  ও প্রতিবাদ মিছিল করেন বিভিন্ন ইসলামীক সংগঠনের ছাত্র -জনতা।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৩টায় মিছিলটি আলাইপুর  কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কাজদিয়া সরকারী উচ্চ মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত  হয়।

আয়োজক কমিটির  আহবায়ক সামন্তসেনা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আ:হান্নান এর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সামন্তসেনা  দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো:  শফিউদ্দিন।

আলাইপুর বাসী, পুটিমারী  যুব সমাজ, ভবানীপুর যুব সমাজ  ও উপজেলার তাওহিদী জনতার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা হেকমত হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন  উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক  ইমাম পরিষদের সদস‍্য হাফেজ মাওলানা জামাল উদ্দীন,  ইমাম পরিষদের ঘাটভোগ ইউনিয়ন শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক  মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম পরিষদ ঘাটভোগ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা জামসেদ হোসাইন, মাওলানা মুফতি মনজুরুল ইমাম, হাফেজ শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আ: রহিম শিকদার,  হাফেজ আবু মুছা।

আ: রউপ   শিকদারের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আলামিন হোসাইন, মাওলানা অহিদুল্লাহ, মাওলানা তরিকুল ইসলাম,মাওলানা মফিজুল ইসলাম,মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আ:রহিম,  মো: মুছা লস্কর,  মো: রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সদস‍্য মো: আমিনুল ইসলাম, তামিম হাসান লিয়ন,  মো:  আসিফ আল মাহদুদ, মুরাদ হাসান রাজু, সাহিদুল শেখ, মনির ঢালী,মো: রায়হান মুন্সী, সিরাজুল শিকদার, হুমায়ুন শিকদার, অহিদ শিকদার, হাসান, জিহাদ,ইমাম জাহিদুল ইসলাম,নুর ইসলাম, আ:হান্নান, মো:আবদুল্লা,  মো: আহম্মদ শেখ, রাজিব মোল্লা প্রমূখ।

খুলনায় এবার ৯৯১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আনন্দময় হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর সাথে সামাজিক সৌর্হাদ্য যুক্ত হলে একটি প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপিত হবে। ভালোবাসা আর সাম্যের বন্ধন নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই উৎসবে অংশ নেব।

ডিসি আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তাঁর সম্মেলনকক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রস্তুতিসভায় জানানো হয়, এবার খুলনা জেলার মহানগরসহ ৯৯১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনা মহানগরে ১০১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

স্বরাষ্ট্র এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সকল পূজামন্ডপে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এর সাথে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর পূর্ব হতে পূজার দিনগুলোতে টহল দেবে। পূজাম-পে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘন্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

খুলনার পুলিশ সুপার টি, এম, মোশাররফ হোসেন জানান, প্রশাসন ও স্থানীয়দের সাথে চমৎকারভাবে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আনন্দের সাথে যাতে পূজা উদযাপিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হবে।

পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর পূর্ব হতে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে সকলের মনে আরও সাহস সঞ্চার হবে। একই সাথে তারা হয়রানিমূলক মামলা হতে পরিত্রাণের আহবান জানান।

খুলনা জেলার ৯৯১টি পূজাম-পের মধ্যে মহানগরে ১০১টি, বটিয়াঘাটায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি পূজাম-পে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় খুলনা সদর ও মহানগরের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোঃ আলিফ, নৌবাহিনীর লেঃ কমান্ডার এম এস আরেফীন, কোস্টগার্ডের লেঃ কমান্ডার নূরুজ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মীর আলিফ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, র‌্যাব, এনএসআই প্রতিনিধি, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহাসহ খুলনার নয়টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

Daily World News

জাতীয়করণ দাবীতে শিক্ষকদের রূপসায় মানববন্ধন

খুলনার রূপসায় বিএনপির আয়োজনে ঈদে মিলাদুন নবী পালিত

//আ: রাজ্জাক শেখ//

রূপসা উপজেলা সদর জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা উল বারী লাভলু।
প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম কামরুজ্জামান টুকু।
টিএসবি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সৈয়দ নিয়ামত আলীর সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মুন্না সরদার এবং এইচএম কামরুল ইসলাম কচির পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তাফসিরুজ্জামান,
সৈয়দ মাহমুদ আলী।
বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবু সরদার, আকরাম গোলদার, আজিজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, খান ওলিয়ার রহমান, অহিদুজ্জামান চঞ্চল, সৈয়দ শাহিনুর রহমান, বিল্লাল শেখ, আইয়ুব আলী, হাফিজুর রহমান, জুয়েল আহমেদ বাদশা, মহিউদ্দীন লিঠু, বাদশা শেখ, জাহিদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, কাজী আব্দুল কুদ্দুস, বাদশা আলমগীর, আবু দাউদ দানিস, হীরক গোলদার, ইমরান শেখ,আবুল কাশেম, ওয়ালিদ শেখ, সাইদুল ইসলাম, রমজান গোলদার, আরাফাত শেখ, রুবাই গোলদার, সোহাগ সরদার, ফেরদাউস শেখ, মাহবুবুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, জিয়াউর রহমান, জি এম শাহরুখ, রবিউল ইসলাম, বাবুল শেখ, মশিউর রহমান, সাইফুল কাজী, মাসুদ শেখ, রবি সরদার,সাহেব আলী শেখ,
নয়ন,রুবেল, অপু, রহমান,ফাহাদ, দিপ্ত,নাজমুল, রায়হান প্রমূখ।

রূপসায় শিক্ষার্থী চৈতীর আত্মহত্যার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

//আঃ রাজ্জাক শেখ, খুলনা//

রূপসার নৈহাটি মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতীকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মঙ্গবার (১০সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় উক্ত বিদ‍্যালয়ের সামনে রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

শিক্ষার্থীর  মৃত্যুর জন্য দায়ী  শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান,তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা ও শিক্ষিকা কাকলি গাইন সহ দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত ফাইরুজ মাহমুদ চৈতীর পিতা ফিরোজ পাশা,মাতা নুর নাহার শেখ, ইউপি সদস্য রেশমা আক্তার,এলাকাবাসী আশরাফ আলী রাজ,হুমায়ূন কবীর রাজা,নিজাম উদ্দীন,মনিরা বেগম, হাফিজুর রহমান,পিয়াস শেখ, সাব্বির শেখ,হাসান মল্লিক,সাদমান,মোঃ সিদ্দিক, মোঃ তুহিন, আরমান শেখ, রেজাউল করিম, ফারুক,জনী,শফিক, হিরা শেখ,সুমন ঘোষ,প্রিন্স শেখ,আঃ হালিম,রিয়াদ শেখ,সৌমিত্র দেবনাথ,ওবায়দুল্লাহ মল্লিক,শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাসেল হাওলাদার,মোঃ ইউসুফ,ইব্রাহিম খলিল, মোঃ সিয়াম,লাবন্য আক্তার জ্যেতি,সুমাইয়া আক্তার ফাতেমা,সাদিয়া আক্তার লামিয়া,মারুফা,সুমাইয়া সুলতানা,মুন্নী খাতুন,সাহারা আক্তার তৃষা,শান্তনা দাস, জ্যেতি রানী পাল,সুমা খাতুন,আসাদুজ্জামান রাফি,রাহুল কুমার দাস,অর্পন পাল,আজিম শিকদার, রাজ্জাক প্রমূখ।

উল্লেখ্য– রূপসা উপজেলার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী ফাইরুজ মাহমুদ নীদ চৈতির সাথে একই বিদ‍্যাল য়ের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারই সূত্র ধরে শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে চৈতি গভর্বতী হয়।

পরে  বিবাহের জন‍্য চাপ দিলে শিক্ষক মাহাবুব বিয়ে করতে  অস্বীকার করে। তাদের মধ‍্যে বিরোধ শুরু হয়। শিক্ষার্থী গত ২৪জুলাই চৈতী গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত‍্যা করে।

পরবর্তীতে তার মৃত‍্যুর ঘটনা খুজতে গিয়ে পাওয়া যায় ডায়রীতে লেখা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক এবং কেনো সে মারা গেল। এঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

ছাত্রীর মাতা নুরনাহার  বেগম  বাদী হয়ে আদালতে শিক্ষকদের নামে মামলা দায়ের  করেন। এছাড়া ও তিনি ঐ শিক্ষক ও বিদ‍্যাল য়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন।

এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তারা চৈতির হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে জড়িতদের কঠোর শাস্তি ও  বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।

রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হাবিবের বিজয়

//নিজস্ব প্রতিনিধি//
রূপসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৭১১ ভোটের ব্যবধানে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ছিল দোয়াত-কলম।

এই উপজেলায় ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে হাবিব পেয়েছেন ২৫
হাজার ৭৭৭ ভোট।বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাতুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে ৬৫ টি ভোট কেন্দ্রে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন তিনজন। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন দুইজন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাতুল  ইসলাম
জানান, চেয়ারম্যান পদে (দোয়াত-কলম) প্রতীকে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট এবং( কাপ-পিরিচ) প্রতীক নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ পেয়েছেন ২৪
হাজার ৬৬ ভোট। বেসরকারি ফলাফলে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে গতকাল বিভিন্ন কেন্দ্রের তথ্যনুযায়ী এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ, oঅবাধ, নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কোন প্রকার সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ যোবায়ের (তালা) নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯,৮০২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা হিরন আহম্মেদ (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১৭,৭৩৬ ভোট। অপর দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সারমিন সুলতানা রুনা(প্রজাপতি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৬৬৯৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারহানা আফরোজ মনা(কলস) পেয়েছেন ২৭,৭০৬ ভোট।

মানবিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান

আ: রাজ্জাক শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি:

খুলনার রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান। তিনি একজন মানবিক  মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।  বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। তিনি রূপসায় যোগদানের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলতার সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  ও সহকারী কমিশনার ভূমির  দায়িত্ব পালন করেন।

এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। যোগদানের পর থেকে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোন অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন।

জানা গেছে,  এ উপজেলায় যোগদানের কিছুদিন পর শুরু হয় জাতীয় সংসদ  নির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করেন। তার নজরদারির কারণে নির্বাচনী পরবর্তী সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মনোরম  পরিবেশে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগ করতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কারণে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  উপজেলায় ইভটিজিং,মাদক,খাবার হোটেল, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল,  লোকাল ট্রাক চলাচল, অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন; অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। রাস্তাঘাট নির্মাণ, সরকার কর্তৃক বরাদ্দ সকল উপহার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিসহ ঘর হস্তান্তরে রয়েছে তার বিশেষ সুনাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, শত বছর বেঁচে থাকুক মানবিকতার এমন মহৎ মানুষটি। রূপসায় দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়া খরচ বাবদ দিয়ে যাচ্ছেন হাজারও টাকা। এমন দৃষ্ঠান্ত রয়েছে অনেক।

উপজেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহহীনদের ঘর দেওয়া কার্যক্রম তার কার্যালয় থেকে সরাসরি পরিচিত হয়ে আসছে।

এ প্রকল্পে উপকারভোগীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা, আইন-শৃঙ্খলা মিটিংসহ সরকারি যাবতীয় অনুষ্ঠান  পালন করতে দেখা গেছে। এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম কোনো ধরনের ঝামেলা বিহীনভাবে চলে আসছে।

এছাড়াও তার কার্যালয়ে কোন ধরনের অভিযোগ আসলে ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। ইউএনও কোহিনুর জাহান সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

খুলনায় এস আই আনিছুরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক সহ তিন কার্যালয়ে অভিযোগ

//খুলনা ব্যুরো//

বাংলাদেশ পুলিশের উপ পরিদর্শক আনিসুর রহমান এবং কনস্টেবল নুরুজ্জামান নান্নুর  বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে অযথা শরূীর তল্লাশি, বিভিন্ন প্রকার অশালীন কথাবার্তা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন সহ সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ এনে খুলনা জেলা প্রশাসক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার ও রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল সোমবার  এসকল অভিযোগ দায়ের করেন খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতীর যুগিহাটি এলাকার মোঃ সোহান মোড়ল সহ আরো ১০ জন ব্যক্তি।  এস আই  আনিসুর রহমান এবং কনস্টেবল নুরুজ্জামান নান্নু বর্তমানে খুলনার রূপসা উপজেলার ১নং আইচগাতীর পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত আছেন।

এসব অভিযোগে তারা উল্লেখ্য করেন, এস আই আনিছুর রহমান ও কনস্টেবল নুরুজ্জামান নান্নু  পুলিশে চাকরি করার সুবাদে এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষদের এবং বিভিন্ন সময়ে- অসময়ে সামাজিক ও বংশীয় লোকদের দাঁড় করিয়ে অযথা শরীর তল্লাশির নামে বিভিন্ন প্রকার অশালীন কথাবার্তা এমনকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সামাজিক মান সম্মান ও  হেয় প্রতিপন্ন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করে আসছে।

এছাড়া আরো উল্লেখ্য করেন, এইভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এই ইউনিয়নে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নিরীহ লোকদের হয়ারনী করে আসছে। এতে করে শান্তিপ্রিয় মানুষের শাস্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে।

এবিষয়ে খুলনা  জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করা

মোঃ সোহান মোড়ল  জানান, এস আই আনিছুর রহমান ও তার সহযোগী কনষ্টেবল নুরুজ্জামান নান্নু আমাদের গ্রামে এসে আমাকে সহ এলাকার অনেককেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।তাই বাধ্য হয়ে আমি সহ আমরা ১০ জন লিখিত অভিযোগ করেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।

যদিও এসকল অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, বিশ্বস্ত সোর্সের তথ্যানুযায়ী অভিযোগকারী ব্যাক্তি মাদক ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত। তাই তাকে তল্লাশি করা হয়। কিন্তু তিনিই আবার এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং আমাকে ফাঁসানোর জন্যই  এমনটা করেছে বলে তিনি জানান।

রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাব এর শুভ যাত্রা

//আঃ রাজ্জাক শেখ, খুলনা ব্যুরো//

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় রবিবার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে কমিটির ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার আব্দুর রাজ্জাক শেখকে সভাপতি ও সুবর্ণ নাগরিক নিউজের প্রকাশক ও সম্পাদক ডাঃ খান মোঃ শফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনঃ

সহ-সভাপতি এস-এম নূর ইসলাম দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ, সহ-সভাপতি শেখ মাহাবুব আলম ‘বাংলাদেশ সমাচার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম ‘জাতীয় দৈনিক বাংলার দূত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তৌহিদ উদ্দিন শেখ ‘দৈনিক দক্ষিনাঞ্চল প্রতিদিন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মামুন শেখ ‘জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ রায়হান ‘জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন, দপ্তর সম্পাদক ফাল্গুনী দাস ‘বাংলাদেশ সমাচার, প্রচার সম্পাদক, মোঃ ফিরোজ শেখ ‘খুলনার বানী, নির্বাহী সদস্য এইচ এম রোকন ‘দৈনিক পূর্বাঞ্চল,নির্বাহী সদস্য মিলন সাহা ‘আজকের সারাদেশ, নির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ আরিফুল ইসলাম ‘খুলনার বানী, সদস্য বিএম রাকিব হাসান ‘এশিয়ান টেলিভিশন, বাণী ব্রত মজুমদার সম্পাদক ও প্রকাশক ‘দৈনিক বিশ্ব, মোঃ আব্দুল মান্নান ‘জাতীয় দৈনিক গণতদন্ত, তরুন কান্তি পাইক ‘দৈনিক বিশ্ব, মোঃ মিরাজ শেখ ‘দৈনিক গণ বার্তা, কুরবান শেখ ‘দৈনিক বিশ্ব।

খুলনায় সেতুর সাথে ধাক্কায় কার্গো জাহাজ ডুবিতে নিখোজ-২ ভিডিও

 আ: রাজ্জাক শেখ,খুলনা:

খুলনার রূপসা রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে ড্যাপ সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জাহাজের ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রূপসা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ দুইজন হলেন, বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাখায়েত।

খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, রূপসা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক তিনটি টিম নৌযান নিয়ে রূপসা নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে নদীর পাশে আমি বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে দেখি একটি জাহাজ রূপসা রেল সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। কিছু মানুষ সাতরে উঠলেও শুনেছি দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।

জাহাজের ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকা মো. রাজিব বলেন, ইঞ্জিন  হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজটি পিলারের সাথে ধাক্কা লাগে। আমাদের দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

টিএলএন-১ কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গো জাহাজটি রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। কার্গো জাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত নিখোঁজ হয়।

তিনি জানান, কার্গো জাহাজে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার বোঝাই করে তারা নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।