বাগেরহাটে মোংলায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের অপসারণ দাবিতে  বিহ্মোভ মিছিল করেছে মোংলা পৌর বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠন ও নাগরিক কমিটির  নেতারা।

বুধবার (১২ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার সামনে এ বিহ্মোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিকালে পৌর বিএনপি‍‍`ও নাগরিক কমিটির  উদ্যোগে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সামনে জড়ো হয়  বিহ্মোভকারীরা। মোংলা উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং করে ইউএনও। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের অপসারণ দাবি করেন তারা।

বাগেরহাটে মোংলায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

বিহ্মোভকারীরা জানায়,  মোংলা  উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন একজন আওয়ামী লীগের এজেন্ট। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশ্রয়দাতা।  আজ উপজেলা কার্যালয়ে ইউএনও আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং করছিলো। বিএনপি ও নাগরিক কমিটি মোংলা কিভাবে বিতাড়িত করা যায় এবিষয়ে কথপোকথন চলছিলো। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাবার পর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন এখনও আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন। আওয়ামী লীগের লোকদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিহ্মোভকারীরা সকলে  দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার  অপসারণের দাবি জানায়। এ সময়  বিএনপি ও নাগরিক কমিটির  অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিতি ছিলেন।

বাগেরহাটে রামপালে ফেসবুক আইডি দিয়ে কুৎসা রটনা ও সামাজিকভাবে মান সম্মান ক্ষুন্নের অভিযোগ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

রামপালে ফেসবুক আইডি দিয়ে কুৎসা রটনা ও সামাজিকভাবে মান-সম্মান ক্ষুণ্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজনগর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের পক্ষে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য মো. জালিনুর হাজরা।

জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বাঁশেরহুলা গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. জালিনুর হাজরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, রাজনগর গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে আবু হানিফা গত ইং ১০-০২-২৫ তারিখে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করেন। পোষ্টে তিনি জালিনুর হাজরা, মো. মাসুদ গাজী ও আওয়াল হাজরার নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন কমেন্ট করে মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করেন। এছাড়াও সে বিভিন্ন অপপ্রচার করে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপসহ নিরাপত্তা কামনা করেছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে আবু হানিফা হাওলাদারের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুক পোষ্টে যা লেখা হয়েছে তা সত্যি। জালিনুর বড় ঘের করে। সে ঘেরে বড় বড় কল বসিয়ে ঘেরে পানি তুলে ভিতরের ছোট ছোট ঘের ভাসিয়ে মাছ নিয়ে নেয়। এতে এলাকার লোকজনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এলাকায় ১৮ টি সরকরি খাল বেধে মাছ চাষ হচ্ছে। জালিনুর তার ঘেরের পাশের খাল বাধ দিতে গেলে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির ছাত্র দলের ৪ নেতা কর্মী আহত ঘটনায় মামলা

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

রামপালের কুমলাই গ্রামের লোহারডাঙ্গি মৎস্য ঘেরে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার কুমলাই গ্রামের মো. হাবিবুল্লাহর ছেলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাদী হয়ে রামপাল থানায় মামলাটি করেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ইংরেজি ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা পৌনে ১১ টায় উপজেলার কুমলাই গ্রামের লোহারডাঙ্গি মৎস্য ঘেরের বাসায় কাজ করছিলেন শেখ সোহেলসহ অন্যান্যরা। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী খান ফকরুল, খান বিলাল, খান ইকবাল, খান উজ্জ্বল, খান নুরুজ্জামান, খান নাজমুল, খান রেজাউল, খান ইব্রাহীম, হালিমা বেগম,রোজিনা বেগম,তানিয়া বেগম, খাদিজা বেগম, তরফদার ফিরোজ, খান হাবিবুল্লাহ, খান হাবিব, ফকির বায়েজিদ, শাফায়েত মীরসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন আসামী সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় গুরুতর আহত হন শেখ সোহেল(৩৫), শেখ মিরাজ কুদ্দুস (২৪), শেখ আবু সাইদ (৪২) ও শেখ ফেরদাউস (৩০)। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুমেক হাসপাতালে ভার্তি করা হয়। আহতরা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা ও মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করি। বাকীদের ধরার জোর চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত -১৫

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেপাড়া বাজারে ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে দেপাড়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। হামলায়। হামলায় বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মোঃ লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে লিয়াকত হোসেনকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং লিয়াকত হোসেনের ভাই শওকত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলায় আহত লিয়াকত হোসেন জানান, আসন্ন ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দেপাড়া বাজার থেকে ধোপাখালি যাচ্ছিলাম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে কাদের, আলমগীর, শিমুল, শ্রমিক লীগ নেতা সুমন, আফজাল হাওলাদার, হেদায়েত, ইস্কান্দার, ফজু, হুমায়ুন ইশারাত মেম্বার সহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসীরা  পূর্ব পরিকল্পিত মোতাবেক রামদা, লোহার রড, ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমিসহ আমার ১৫জন দলীয় নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরো জানান, আসন্ন বিএনপির সভাপতি পদে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আফজাল হোসেন ও তার নাতি শ্রমিক লীগ নেতা সুমন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। এ হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

হামলার ঘটনায় কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনা শুনেছি। বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি।

ঘটনার বিয়ে আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ও তার কোন নেতৃবৃন্দ জড়িত নন বলে জানান।

এ ঘটনায় কচুয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাশেদুল ই্সলাম বলেন, হামলার ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উক্ত ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত -১০

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের চিতলমারীতে কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিবির মাস্টার গ্রæপ ও মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রæপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রæয়ারী) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার চরচিংগুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টুংগিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, কিবির মাস্টার গ্রæপের আরিফুজ্জামান (৪৫), দবির শেখ (৪০), ভুলু মোল্লা (৫০) ও আব্দুল আলী (৩০)। মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রæপের আহতরা হলেন খাদিজা বেগম (২৯), ইউনুছ শেখ (৫৫), ওসমান শেখ (৪০), কদম আলী (৪৫) ও শাহিদা বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে আরিফুজ্জামান ও খাদিজা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কিবির মাস্টার জানান, মঙ্গলবার কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ছিল। তার পক্ষের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন শাহিন শেখ। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান কচির পক্ষের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন অহিদুজ্জামান ঠান্ডা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন মো. ইউনুছ। দুপুর ২ টার দিকে ৫০টি ভোট বাকি থাকতে কচির লোকজন যখন বুঝতে পারে তারা ঠকে যাবে, তখন তারা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৬ থেকে ৭ জনকে আহত জখম করে।

মোস্তাফিজুর রহমান কচি জানান, তার পক্ষের লোকজন জয়লাভ করেছে। এমনটা শুনতে পেরে কিবির মাস্টারের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে ৭ থেকে ৮ জনকে গুরুতর জখম করেছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টুংগিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চিতলমারী উপজেলা শাখার আহবায়ক মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস বলেন, ‘সম্মেলন কেন্দ্রের ৫০০ গজের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটেনি। কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী কিবির মাস্টারের ছেলে ও তার লোকজনের উপর দুর্বৃত্তরা হামলা হামলা চালিয়েছে। এর সাথে আওয়ামী মাইন্ডের লোকজনও জড়িত আছে। যদি বিএনপির লোকজন জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংহঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

চিতলমারী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাগেরহাটের চিলতমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে ওলামা লীগ সভাপতির জাতীয় পতাকা উত্তোলন

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারায় যখন দেশ চলছে- তখন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে অমানবিক আচরণের ঘটনা ঘটেছে।

ঘন্টার পর ঘন্টা শিক্ষার্থীরা রোদ-তাপে দাড়িয়ে অসুস্থ হওয়ার পর অবশেষে অতিথিরা আসেন। এক মঞ্চে ইউএনওর পাশে থেকে ওলামা লীগের উপজেলা সভাপতি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। উপস্থাপক তৃপ্তির ঢেকুর তুলে নীতিবাক্যের বক্তব্য দিয়ে অতিথিদের নানা অলংকরণ-উপাধিতে ভূষিত করে মঞ্চে ডাকেন। ততক্ষণে ক্ষিদেয় অনেক শিক্ষার্থীর পেটে ব্যাথা শুরু হয়। মাথা ঘুরে মাটিতে বসে পড়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার একমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে অতিথি বরণের এমন অমানবিক ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহীসহ অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দদের খুশি করতে আয়োজকদের সময়জ্ঞান বহির্ভূত এই অমানবিক আচরণ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। চিতলমারী সরকারি সামছুন্নেছা মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইদিন ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

৭ম শ্রেণি, ৮ম শ্রেণি, ৯ম, শ্রেণীসহ ভুক্তভোগী অন্যান্য শিক্ষার্থী জানায়, অনেক ইচ্ছে ছিল বিদ্যালয়ের দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে অনেক আনন্দ হবে। কিন্তু এখন সব আনন্দ হারিয়ে গেছে। কারণ- সকাল ০৯টার আগে স্কুলে এসে অতিথিদের বরণ করার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছি। এখন বাজে প্রায় সোয়া ১১টা। কিন্তু ইউএনও কিংবা অতিথিদের দেখা নেই। আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে মাটিতে বসে পড়েছি। এই যদি হয় সময়ানুবর্তীতার শিক্ষা- তাহলে ভবিষ্যতে আমরা কেমন মানুষ হবো?

৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শুনেছি এই স্কুলের সভাপতি ইউএনও সাহেব। তিনিই যদি সময় মতো অনুষ্ঠানে না আসেন। আর ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা রোদে-তাপে অভুক্ত অবস্থায় দাড়িয়ে থেকে কষ্ট পাই- তাহলে কী শেখার আছে? কী করার আছে? আমরা তো অসহায়- একদিকে স্কুলের এই অনুষ্ঠানের নিয়ম অমান্য করলে খারাপ হবে। আরেকদিকে বাড়িতে বসেও থাকতে পারিনা।

ভুক্তভোগী ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী  বলে, এই অনুষ্ঠানের চিঠিতে সকাল ০৯টায় শুভ উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য আটটার দিকে বাড়ি হতে শুধু চা-বিস্কুট খেয়ে স্কুলে আসি। কিন্তু এখন ১১টা বাজে। অতিথিরা আসেননি। প্রচন্ড খিদেয় পেটে ব্যাথা করছিল। বার বার পানি খেয়েছি। আর সহ্য হচ্ছে না। এটাও এক ধরণের অত্যাচার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইকে বার বার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আগমনের কথা ঘোষণা করেন বিদ্যালয়ের আওয়ামীঘেষা সহকারী শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান। এইকথা বলে তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা শিক্ষার্থীদের রোদে-তাপে এসেম্বলী ও গেটের দুইপাশে দাড়িয়ে থাকতে নির্দেশনা দেন। এই অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া, বাংলাদেশ ওলামা লীগের চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইদ্রিসুর রহমানকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএনওর পাশে দাড়িয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করতে দেখা যায়। তখন উপজেলা বিএনপির কোন নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়না। জানা যায়, এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিকে কৌশলে বাদ রেখে এই অনুষ্ঠানসূচি তৈরী করেন, সহকারী শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান।

এই বিষয়ে চিতলমারী সরকারি সামছুন্নেছা মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ মল্লিক বলেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে দুব্যর্বহার- কৌশলে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন, সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, কোচিং বানিজ্য, গাইডবই বানিজ্য সহ অসংখ্য অনিয়ম রয়েছে। তার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ বা অভিযোগ করলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মিছিল সহ নানাভাবে লেলিয়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ বিষয়ে চিতলমারী সরকারি সামছুন্নেছা মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে ফোন দিলে তিনি পোন রিসিভ করেননি।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার খান জানান, কত ঘন্টা ধরে শিক্ষার্থীরা দাড়িয়ে কষ্ট পাচ্ছিল সেটা তার জানা নেই। কোন শিক্ষার্থী অসুস্থতার বিষয়ে তাকে জানায়নি বলে জানান।

চিতলমারী সরকারি সামছুন্নেছা মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল জানান, আমি এই বিষয় জানিনা কিছু তবে ব্যাবস্থা নিচ্ছি আমি।

Daily World News

বাগেরহাটে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে বৃত্তি প্রদান

নির্বাচন শেষে ভেদাভেদ ভুলে যান- তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করুন, লায়ন ডঃ শেখ ফরিদুল ইসলাম

বাগেরহাটের রামপালে স্মার্ট ক্লাইমেট কৃষি মেলায় পণ্য প্রসাধনী আলোচনা সভা

বাগেরহাটে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে বৃত্তি প্রদান

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাগেরহাট জেলা পরিষদ এর আয়োজিত সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাষ্কর দেবনাথ বাপ্পি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ফকরুল হাসান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আই সিটি সাদিয়া ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান,সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, এলজিইডি বাগেরহাট প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান,বাগেরহাট প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাগেরহাট এর সহ-সমন্বয়ক এর আব্দুল্লাহ আল রুমান সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে এস এস সি, এইচ এস সি,মেডিকেল ও  বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যায়ে ২০২৩ সালে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে মোট ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

নির্বাচন শেষে ভেদাভেদ ভুলে যান- তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করুন, লায়ন ডঃ শেখ ফরিদুল ইসলাম

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

নির্বাচন শেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে যান, তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করুন। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ইলেকশন হবে। দীর্ঘদিন পর দেশে গণতন্ত্র চর্চা শুরু হয়েছে।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে এখন আর গণতন্ত্র চর্চায় বাধা নেই। কথাগুলো বলেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বাগেরহাট -২ (সদর – কচুয়া) আসনে নির্বাচনী মনিটরিং টিমের আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। সোমবার (১০ নভেম্বর) জেলা সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্যাগীদের নির্বাচিত করার জন্য আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে নেতা নির্বাচন করার জন্য ভোটের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য অনেক অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অভিযোগগুলো সব ব্যক্তিগত এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে। কোন দলের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে এজন্য সর্বক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দরকার।

লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ৩১ দফায় কৃষকের কথা বলা হয়েছে, দিনমজুর ও ছাত্রদের কথা বলা হয়েছে। যারা প্রশাসনে কাজ করছে তাদের কথাও বলা হয়েছে। আপনারা এগুলো পড়বেন এবং জানবেন। আপনারা যদি দলকে ভালোবাসেন তারেক রহমানকে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই ৩১ দফা পালন করার চেষ্টা করবেন। তারেক রহমান যে স্বপ্ন দেখছেন ৩১ দফা পালনেই আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।

বাগেরহাটের রামপালে স্মার্ট ক্লাইমেট কৃষি মেলায় পণ্য প্রসাধনী আলোচনা সভা

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের রামপালে স্মার্ট ক্লাইমেট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের মাঠে এসে শেষ হয়।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাগারহাট জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডক্টর মনির হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, প্রেসক্লাব রামপাল এর সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, কৃষকবৃন্দ মেলার স্টল পরিদর্শন করেন এবং বক্তব্য দেন। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১১ টি স্টলে তাদের ম্মার্ট প্রযুক্তি ও কৃষি পণ্য প্রদর্শন করেন।

উপকূলীয় উপজেলা রামপাল লবণাক্ত এলাকা হওয়ায় লবন সহিষ্ণু জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধি, শাক সবজি চাষ ও ফলের গাছ লাগানোর পরামর্শ প্রদান করেন।

অপারেশন ডেভিল হান্ট|| মোংলায় গভীর রাতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতা কর্মীরা গ্রেফতার

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের পৃথক অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে।

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার অনিক মাহমুদ জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত গভীররাতে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৩), মো. ডালিম (৫২), মো. শফিকুর রহমান (৭২), বিধান চন্দ্র রায় (৬৬)-কে আটক করা হয়।

বিধান চন্দ্রের কাছ থেকে ১টি দোনালা বিদেশি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, অপরদিকে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে মোংলার কুমারখালী ও গোয়ালেরমেঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সাইফুল শেখকে আটক করেছেন পুলিশ।