//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//
ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে আটটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুরমু।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনৌত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচন্দ’, এবং আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র সিচেলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আতিফ।
তাদের জন্য নৈশভোজ সভার আয়োজন করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
শপথ অনুষ্ঠানে বাহারি পদের খাবার ছিল অতিথিদের জন্য। গরম থেকে বাঁচতে নৈশভোজের মেনু এবং খাবারে আনা হয় টুইস্ট। পানীয়ের তালিকায় ছিল রিফ্রেশিং জুস, বিভিন্ন ধরনের শেক, স্টাফড লিচু, মটকা কুলফি, ম্যাঙ্গো ক্রিম এবং রায়তা।
রিফ্রেশিং পানীয়ের পর ডিনারের মেনুতেও ছিল নানান পদের আয়োজন। ছিল যোধপুরি সবজি যা রাজস্থানের একটি সুস্বাদু তরকারি, ডাল, ছিল মশলা এবং সুগন্ধযুক্ত ভেষজ দিয়ে তৈরি সিদ্ধ চালের পদ দম বিরিয়ানি। তালিকায় ছিল পাঁচ ধরনের রুটিও। এর সঙ্গে ছিল ডেডিকেটেড পাঞ্জাবি ফুড কাউন্টার। এরসঙ্গে ছিল বেশ কিছু দেশীয় পদ।
যারা বাজরা পছন্দ করেন, তাদের মেনুতে ছিল বাজরা খিচড়ি। এটি মুক্তা বাজারা থেকে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পদ। এর সঙ্গে ছিল নানান ধরনের সবজি।
পানীয় বিভাগটিও সমানভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। পাঁচ ধরনের জুস, তিন ধরনের রায়তা এবং দইয়ের ওপর একটি সাইড ডিশ ছিল। এই সব খাবার গরমে অতিথিদের ঠান্ডা রাখতে সহায়ক ছিল।
ডেজার্ট উৎসাহীদেরও নিরাশ করেনি এ নৈশভোজ। মেনুতে ছিল আট ধরনের ডেজার্ট। ছিল জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি, সাদা রসমালাই, দুধে ভেজানো ক্রিম, চার ধরনের ঘেওয়ার- এটি একটি ঐতিহ্যশালী রাজস্থানী মিষ্টি।
এবারের নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। দেশটির লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। কোনো দল যদি এককভাবে দল গঠন করতে চায় তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়। কিন্তু বিজেপি এবার পেয়েছে ২৪০টি আসন। তবে তাদের এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। তাই তাদেরকে সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমু।
শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়করি, নির্মলা সীতারামন, ড. এস জয়শঙ্কর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং পীযূষ গোয়েল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির প্রবীণ শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং, এইচএএম নেতা জিতন রাম মাঝি, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবং জিতিন প্রসাদ।