কিশোরীকে ‘আই লাভ ইউ’ বলায় এক বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত!

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

বছর তেরোর এক কিশোরীকে ‘আই লাভ ইউ’ বলায় বছর তিরিশের এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে।

মামলাটি ২০১৫ সালের। ওই সময় কিশোরী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। অভিযোগ, তখন থেকেই কিশোরীকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতেন ওই ব্যক্তি। ওই বছরেরই ১৭ এপ্রিল মায়ের সঙ্গে বইয়ের দোকানে গিয়েছিল কিশোরী। ফেরার পথে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি কিশোরীর খুব কাছে চলে আসেন। তাঁকে দেখেই কিশোরী চিৎকার করতে শুরু করে। কিশোরীর চিৎকারে ঘটনাস্থল থেকে পালান ওই ব্যক্তি।

তাঁকে এক ঝলক দেখেই কিশোরীর মা চিনতে পারেন। ওই ব্যক্তি তাঁদের এলাকারই। কিশোরী তার মাকে জানিয়েছিল, ১৫ দিন ধরে ওই ব্যক্তি তার পিছু নিচ্ছিল। তাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলে। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। সেই অভিযোগ পেয়েই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

যদিও সেই সময় অভিযুক্ত দাবি করেছিল, কিশোরীর বাবা মত্ত ছিলেন। মদ খেয়ে এলাকায় ঝামেলা করতেন। তিনি প্রতিবাদ করায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসিয়েছে কিশোরীর পরিবার।

সেই মামলাটি শুক্রবার মুম্বইয়ের আদালতে ওঠে। আদালত তখন জানায়, অপরাধের প্রকৃতি দেখে এবং যে হেতু ওই ব্যক্তি স্বভাবত অপরাধী নন, তাই এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল।

 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন// খুলে গেল স্বপ্নের দ্বার

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেদিনের অপেক্ষায় ছিলেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া কেন্দ্র করে প্রমত্তা পদ্মার দুই পারে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। এই মাহেন্দ্রক্ষণে যুক্ত হলেন ‘পদ্মাকন্যা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১২টায় পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গত তিন দিন ধরেই পদ্মাপার এলাকা সেজেছে বর্ণিল রূপে। নানা রঙ-বেরঙের ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পদ্মাপার। পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রমত্তা পদ্মায় লাল-সবুজের ৮০টি নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার নেতৃত্বে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। জাতীয় তিন নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘাতকের বুলেটে নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সেতু নির্মাণের সময় আমাদের অনেক ষড়যন্ত্র পোহাতে হয়েছে। অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে। আমার ছেলে জয়, মেয়ে পুতুল, শেখ রেহানা, রেদোয়ান মুজিব, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।

শেখ হাসিনা এ সময় দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, যারা এই পদ্মা সেতুর জন্য জমি দান করেছেন, তাদের এ ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন কেন্দ্র করে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যেন দম ফেলার ফুরসত নেই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে শুধু তাই নয়, কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে মাওয়া এবং ওপারের শরীয়তপুর-মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন জানান দিচ্ছে শনিবারের প্রস্তুতির।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে শুরু করে আশপাশের সংযোগ সড়ক কোথাও বাদ নেই যেখানে পড়েনি ব্যানার-ফেস্টুনের ছোঁয়া।

শুধু রাজনীতিবিদই নয়, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে নিজেদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু:  বিরোধীদলীয় নেতা

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটা দেশের সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাঙালির গর্বের আরেকটি নতুন সংযোজন পদ্মা সেতু। প্রত্যাশা ও প্রতিজ্ঞার মেলবন্ধন পদ্মা সেতু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এত সমস্যা মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এ সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক লাইফ লাইন রূপে কাজ করবে। বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠা, কৃষি সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং আত্মনির্ভরতার এক অনন্য সোপান উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আজ আর স্বপ্ন নয়। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন, অনেক বড় সফলতা এবং অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। এই অর্জনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির নতুন যুগে প্রবেশের দারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ নতুন এক পরিচয়ে পরিচিত। যে পরিচয় সম্মানের গৌরবের সফলতায় এবং সক্ষমতার। খরস্রোতা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। এটা আমাদের অহংকার।

বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, বহু বিস্ময় ও রেকর্ডের জন্ম দেওয়া সেতুটির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে আর পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে দেশের মানুষ। পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হোক নতুন পালক, এ প্রত্যাশা করেন রওশন এরশাদ।

Daily World News

রাত পোহালেই উদ্বোধন স্বপ্নের সেতু পদ্মা, দুর্ভোগ কমবে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

দেশের যে ২০ অঞ্চলে ঝড় হতে পারে

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

দেশের ২০ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনায় ৫২, ময়মনসিংহে ৪০, ফরিদপুরে ৩৯ এবং বরিশাল ও বদলগাছী ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আগামি শনিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুূর অক্ষ বিহার, পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

Daily World News

রাণীশংকৈলে আ’লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

রূপসায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পদ্মা এই সেতুতে দৈনিক চলবে ৭৫ হাজার যানবাহন

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু মহাধুমধামে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী শনিবার (২৫ জুন)। এদিন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এরপর সরকারপ্রধান পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন এবং সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

পদ্মা সেতু গতকাল (২২ জুন) বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু হস্তান্তর করেছে।ইতোমধ্যেই সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে এ সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। এর আগেই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সেতুটি বুঝে নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।

স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ২১ জেলাকে সংযুক্ত করবে এই সেতু।উপকৃত হবে অন্তত তিন কোটি মানুষ। দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে এই সেতু দিয়ে।

জনসাধারণের জন্য ২৬ জুন পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে কাজ ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু করে সরকার। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির আয়ুষ্কাল ১০০ বছর।

পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের ২১টি জেলা। এই সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ সরাসরি উপকারভোগী হবে।

Daily World News

কচুয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা

ডুমুরিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ ফুটবল টুনামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

ঋণ গ্রহীতাদের বিশেষ ছাড় ও সুযোগ দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

নিয়মিত ঋণকে খেলাপি করার প্রচলিত নীতিমালায় আরও বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের কিস্তির আকার ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও ওই গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। শিল্প, কৃষি খাতে মেয়াদি ঋণ, চলতি মূলধন ঋণসহ সব ধরনের ঋণে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাব, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও এটি আপলোড করা হয়েছে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে ঋণখেলাপি করার নীতিমালা শিথিল করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঋণ বা ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে না পারলেও যাতে গ্রাহকদের খেলাপি করা না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

সার্কুলারে বলা হয়, করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব এখনো মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ সব ধরনের পণ্য ও পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে ঋণগ্রহীতারা তাদের প্রদেয় ঋণের কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধ করতে পারছেন না। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধের নীতিমালা করা হয়েছে।

বড় শিল্পে বিতরণ করা ঋণ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত থাকলে ওইসব ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে প্রদেয় কিস্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৬০ শতাংশ এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৭৫ শতাংশ আলোচ্য ত্রৈমাসিকের শেষ কার্যদিবসে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না।

তবে এপ্রিল পর্যন্ত কোনো ঋণখেলাপি থাকলে তারা এ সুবিধা পাবেন না। কিস্তির বাকি অর্থ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও এক বছর বাড়ানো যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তি বা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কিস্তি নির্ধারণ করে তা পরিশোধ করা যাবে। ফলে মেয়াদি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ল।

কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও কৃষি খাতে বিতরণ করা মেয়াদি ঋণ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত থাকলে সেগুলোর বিপরীতেও বিশেষ ছাড় মিলবে। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ জুনের মধ্যে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৩০ শতাংশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৪০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে তাদের খেলাপি করা যাবে না। তবে এপ্রিলে এ খাতের কোনো ঋণ খেলাপি থাকলে তারা এ সুবিধা পাবেন না।

এতে বলা হয়, ১ এপ্রিলে যেসব চলমান ঋণ নিয়মিত রয়েছে সেগুলো জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনটি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করলে ওই ঋণকে খেলাপি করা যাবে না।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত জেলা- সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে কৃষিঋণ খেলাপি করার ক্ষেত্রেও বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চলে বিতরণ করা কৃষি ঋণের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করা না হলে কোনো গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না।

অতি ক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিতরণ করা মেয়াদি ঋণের মধ্যে যেগুলো ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কিস্তি পরিশোধে ছাড় পাবেন। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই গ্রাহকদের খেলাপি করা যাবে না।

এ খাতের চলতি মূলধন ঋণের মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়েছে, কিন্তু পরিশোধিত হয়নি বা খেলাপি হওয়ার পর নবায়নও করা হয়নি। ঋণের সীমাও অতিক্রম হয়ে গেছে। ওইসব ঋণের সীমার বেশি অংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে তা নবায়ন করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, ওইসব নিয়মের মধ্যে কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের ঋণকে যথানিয়মে খেলাপি করা যাবে। এ নীতিমালার আওতায় যেসব ঋণগ্রহীতাকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাদের ঋণের বিপরীতে ১ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় বা আরোপ করা যাবে না। বিশেষ সুবিধায় নবায়ন করা ঋণসহ অন্যান্য সময়ে নবায়ন করা ঋণের বিপরীতেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

পুতিন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে যে দেশগুলোকে আহ্বান জানালেন

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাণিজ্যিক জোট ব্রিকসের সদস্য ব্রাজিল, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করে।

বৃহস্পতিবার চীনে ব্রিকসের ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের আগে জোটটির বাকি সদস্যগুলোকে এ আহ্বান জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার ব্যবসা-বাণিজ্য ‘নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক মিত্র সর্বোপরি ব্রিকস সদসভুক্ত দেশগুলোর’ দিকে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে।

পুতিন আরও বলেছেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের ‘কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে’ যেখানে পশ্চিমা দেশগুলো ‘বাজার অর্থনীতির সাধারণ নিয়মগুলো, মুক্ত বাণিজ্য, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অলঙ্ঘনীয়তাকে উপেক্ষা করে’।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ায় ভারতের চেন স্টোর খোলা এবং রাশিয়ার বাজারে চীনের অটোমোবাইল ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির তেল কেনার পরিমাণ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে চীন ও ভারত।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ব্রিকসের মিত্রদের নিয়ে রাশিয়া ‘বিকল্প আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার মেকানিজম’ এবং ডলার-ইউরোর ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি ‘আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মূদ্রা’ ব্যবস্থা তৈরির কাজ করছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পদ্মা সেতু উদ্বোধন সেতুর পথে ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ২দিন বন্ধ থাকবে

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

আসছে ২৫ জুন মহা ধুমধামে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুটির সংযুক্ত সড়ক-মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক চলাচল শুক্রবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত দুই দিন বন্ধ থাকবে।

বুধবার এক বিবৃতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ দুইদিন ঢাকা মহানগরী থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়াগামী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ২৪ জুন শুক্রবার সকাল থেকে ২৬ জুন রোববার পর্যন্ত সেতু সংযুক্ত সড়ক-মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরী এলাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়াগামী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকগুলোকে আগামী ২৬ মে সকাল পর্যন্ত পাটুরিয়া দৌলতদিয়া এবং চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ফেরিতে চলাচলের অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু সংযুক্ত সড়ক-মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখতে এর আগে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ডিএমপি এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছে।

এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৯২০ জন নিহত

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

আফগানিস্তানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা বিভিন্ন পোস্টে ধ্বংসস্তুপ, ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং আহত মানুষদেরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল এবং সাতটি হেলিকপ্টার ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুভূত হয় বলে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও  বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প অনভূত হয়েছে।

তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র বিলাল কারিমী বুধবার একটি টুইটারবার্তায় জানান, দূর্ভাগ্যজনকভাবে, গত রাতে এক তীব্র ভূমিকম্পে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় কয়েকশ’ মানুষ হতাহত হয়েছে এবং অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমি সব সাহায্য সংস্থাকে দ্রুত সেখানে তাদের দল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি।

মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানায়, ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৯ মাত্রার।

ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।

গত ১০ বছরে, দেশটিতে ভূমিকম্পে সাত হাজার জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা গেছে। ভূমিকম্পে দেশটিতে বছরে গড়ে ৫৬০ জন মারা যায়।

পদ্মা সেতু কেন বাঁকা প্রশ্ন এসেছে- উত্তরও দিয়েছেন প্রকৌশলীগন

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

পদ্মা সেতু শুরুর আগের ইতিহাস কম বড় নয়- যা সবারই জানা। হয়েছিল অনেক কথা।  ‘এই সেতু হবে না, হলেও টিকবে না’- ছিল এমন নানা মন্তব্য, মাথা কাটার মতো নানা গুজবও ছড়িয়েছিল। সব গুজব, রটনা ও চ্যালেঞ্জকে পেরিয়েই পদ্মার উপর বসলো ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে জোড়া লাগল রাজধানীর।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আসছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা পাড়ি দিয়ে উদ্বোধন হবে সেতুটির। সাথে রয়েছে জমকালো আয়োজন।

এর আগেই পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ও এর নানা প্রকৌশলগত তথ্য নিয়ে চলছে আলোচনা। চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়।

এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, পদ্মা সেতু বাঁকা কেন? সোজা করলে তো দৈর্ঘ্য কমতো, ফলে যে ব্যয় নিয়ে এতো সমালোচনা সেটা কিছুটা কমতো! কারণ রড-সিমেন্ট কম লাগতো।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কি বিষয়টি খেয়াল করেননি? নাকি অন্য কোনো সমস্যা ছিল?

প্রশ্ন যুক্তিযুক্ত, কারণ পদ্মা সেতুর নকশার দিকে তাকালে একে বাঁক দেখা যাবে।

অনেকেই ভাবতে পারেন, কেবলমাত্র সৌন্দর্য রক্ষার্থে পদ্মা সেতুকে বাঁকা করে বানানো হয়। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়।

এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেতুটি সোজাও হতে পারত। কিন্তু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা ইচ্ছে করেই সেতু বাঁকা করে নকশা করেছেন।

এমনটা করার প্রধান কারণ দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রয়াত বরেণ্য প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান ছিলেন এই বিশেষজ্ঞ।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে  তিনি বলেছিলেন, ‘সেতুটি যদি আমরা আকাশ থেকে দেখি তাহলে বোঝা যায়, সেতুটি ডাবলি কার্ভড। অর্থাৎ ডানে-বাঁয়ে দুবার সামান্য বাঁকানো। এমনটা শুধু পদ্মা সেতুর বেলায় করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা জাপানে  লম্বা লম্বা মহাসড়কও এভাবে বাঁকিয়ে তৈরি করা হয়েছে।’

এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছিলেন, এটি মূলত করা হয় চালকদের কথা চিন্তা করে। একদম সোজা সেতু হলে চালকেরা সেতুতে উঠে একঘেয়েমিতায় ভোগেন। ক্লান্তি ও জড়তায় ড্রাইভিং থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। অনেকের তো স্টিয়ারিং একইভাবে ধরে রাখার কারণে ঝিমুনি আসে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। কিন্তু একটু বাঁকানো হলে চালকদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। এর মাধ্যমে তাদের মাথা সচল থাকে শতভাগ। এড়ানো যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

শুধু চালকের মনোযোগ টিকিয়ে রাখার জন্যই নয়; বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইট সরাসরি যেন চালকের চোখে না পড়ে সে বিষয়টিও মাথায় রেখেছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। সেতু বাঁকা থাকলে আলো সরাসরি চোখে পড়বে না। তাতেও দুর্ঘটনার শঙ্কা কমে যাবে।

বিশেষজ্ঞরা আরো বেশ কিছু কারণ জানিয়েছেন পদ্মা সেতু বাঁকা বানানোর।

শুধু পদ্মা সেতু নয়; যে কোনো বড় সেতুই বাঁকা বানানোই যুক্তিযুক্ত।

এর কারণ হিসেবে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা – একটি সেতুকে তিন ধরনের ওজন বহন করতে হয়- নিজস্ব ওজন; যানবাহনের ওজন; নদীর বা প্রাকৃতিক দূর্যোগের চাপ বা ওজন।

সেতুতে গাড়ি ওঠার সময় কম্পনজনিত চাপ সৃষ্টি হয়। বাঁকা করে তৈরি করা হলে এটি পুরো সেতুতে ছড়িয়ে পড়ে ফলে কম চাপ পড়ে। সোজা হলে পুরো সেতুতে ছড়ায় না। নির্দিষ্ট স্থানে ব্যাপক কম্পন ও চাপ পড়ে। ফলে সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

সেতু বাঁকা করে তৈরি হলে এতে যানবাহনের লোডগুলো সঠিকভাবে প্রতিটি পিলারে আরোপিত হয়।

এছাড়া নদীতে স্রোতের সময় পিলারে প্রচন্ড চাপ পড়ে, কিন্তু বাঁকা হলে চাপ কম পড়ে। মাটিতে সব জায়গায় সমান চাপ থাকে, তাই বাঁকা করলে ভূমিকম্পের সময় সব পিলার কাঠামো ধরে রাখতে পারে।

আরেকটি বড় কারণ বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলারগুলো সেতুর কাঠামোকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

এসব কারণে বড় সেতু যেমন পদ্মা সেতু বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কোনো বিষয় নেই। সেতুকে বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্যই এমন বুদ্ধি। তাতে খরচ বাড়লেও আপত্তি নেই।

Daily World News

ডোমারে কৃষি কর্মকর্তা দম্পতির বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ

ডুমুরিয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুনা মন্ডল কৃষি দপ্তরের শ্রেষ্ঠত্বপুরষ্কার পেলেন