বাগেরহাটে ছাত্রদল নেতা সাওনের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাকিবের ওপর হামলা

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম. সাকিবের ওপর  সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই রাতেই আহত ছাত্র নেতাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি, কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

আহত কে. এম. সাকিব মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘোষিয়াখালী গ্রামের বিল্লাল খলিলাফার বড় ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।

২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র নেতা কে.এম. সাকিব  বলেন, গতকাল রাতে ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে ঘষিয়াখালী থেকে মল্লিকের বের এলাকায় যাওয়ার জন্য কিছু লোক যায়। ঘাটের ট্রলার মালিকরা বলেন, জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করছে।

তখন বিষয়টি জানতে গেলে, জাহিদের লোকজন ছাত্রদল নেতা সাওন নেতৃত্বে, রনি, সবুজ, তুহিন, মারজান ও মো. রাফি আমার উপর হামলা করে। তাদের মারধরে আমার মাথা ফেটে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে হামলাকারীরা। হামলাকারীদের বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলার মল্লিকের বেড় এলাকায়।

সাকিব আরও বলেন, ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটটি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছিল আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। সরকার পতনের পর বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় আবারও ঘাটে চাঁদাবাজী শুরু হয়েছে। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এর আগেও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল চাঁদাবাজরা।

ঘাটের দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মল্লিকের বাজারে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবদল নেতা রয়েছেন, সাকিব তাকে গালিগালাজ করেছেন। এর কারণেই ছাত্রদলের ছেলেরা সাকিবকে দু-একটা চরথাপ্পড় দিয়েছে। যেহেতু যুবদল নেতা এখন ক্ষমতায়, তাই তার নাম না বলে আমার নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম. সাকিব হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সংকটমুক্ত। আমরা আশাবাদী, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, মারধরের খবর শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাকিবকে বাগেরহাট ২৫০ শহর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলায় হওয়ায় কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় আহত সাকিবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ দেয়নি।

চাপাতির কোপে ব্যবসায়ী বিল্লাহ আহত

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

রামপালের কৈগর্দাসকাটির চরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয়ে বাঁধা দেওয়ায় মৎস ঘের ব্যাবসায়ী বিল্লাল শেখ (৩৩) কে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত বিল্লাল খুমেক হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রামপাল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আহত বিল্লালের ভাই মনিরুল শেখ।

জানা গেছে, উপজেলার কৈগর্দাসকাটি গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ গত ৮ জানুয়ারি বুৃধবার দুপুর ১ টার সময় বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সাদা মাছের ঘের কিনতে বের হন। ওই সময় প্রতিপক্ষ কৈগর্দাসকাটি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী আ. হামিদ ও একই গ্রামের সাবজেল ফকির ব্যাবসায়ী বিল্লালের পথরোধ করে।

এসময় তারা বলে তোর জন্য আমরা ব্যাবসা করতে পারছি না। তুই থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাদের ক্ষতি করছিস। তোকে আজ ছাড়বো না। এই বলে হুকুম দেয় ধর, ওকে শেষ করে দে। এ সময় তার সাথে থাকা একই গ্রামের ইলিয়াসের ছেলে খায়রুলের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে সজোরে মাথা বরাবর কোপ দেয়। এ সময় তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী কাবেদুল, তহুর মোল্লা, বোরহান মোল্লা, ইয়াছিন গাজী, শাহাদাৎ গাজী, তহিদুল ফারাজী, বেল্লাল শেখ, জাহিদুল মোল্লা, কালা নুরোল, আলম সানা, আব্বাসসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা দা, রড নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

সন্ত্রাসীরা ভিকটিম বিল্লালকে মৃত ভেবে কৈগর্দাসকাটির সরকারি রাস্তার উপর ফেলে রেখে বীরদর্পে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিল্লালের কাছে থাকা সাড় ৮ লক্ষ নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিল্লাল কে গুরুতর আহত করা হলেও তার স্বজনেরা কোপের ভয়ে কাছে গিয়ে ঠেকাতে পারেনি।

আহত বিল্লাল কে বুৃধবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে প্রথমে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ৯ জানুয়ারি খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার ভাই মনি জানিয়েছেন, সিটি স্কানের রিপোর্টে মাথার খুলি কেটে মগজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্লালের। তার শরীরের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পেসাব ও মলদ্বার থেকে রক্ত যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র জানায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল কেনাবেচার একাধিক সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রকাশ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল ক্রয় ও বহন করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, আহত হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। স্বজনেরা মামলা করতে এলে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।

Daily World News

বাগেরহাটে বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে আরেক ভাইয়ের থানায় অভিযোগ

বাগেরহাটের মংলাায় দিগরাজ এলাকায় ৭ বছরের শিশু ট্রেনের কাটা পড়ে নিহত

বাগেরহাটের মংলাায় দিগরাজ এলাকায় ৭ বছরের শিশু ট্রেনের কাটা পড়ে নিহত

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোংলায় ট্রেনের নিচে পড়ে মরিয়ম (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের দিগরাজ রেল ক্রসিংয়ে রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দায়িত্বরত লাইনম্যান রেলগেইট না ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের।

নিহতের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ২ সন্তানকে নিয়ে মোংলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে বাগেরহাট যাওয়ার সময় দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। তখন যাত্রীবাহী বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তার কোল থেকে শিশু মরিয়ম ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়েযায়। স্থানীয়রা দৌড়ে এসে ট্রেনটি চলে গেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শামিম হাসান বলেন শিশুটি এখানে আসার আগেই মারাগেছে।

দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বে থাকা গেটম্যান শাহিনের অবহেলায় তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সড়ক খুলে দেয়।

মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে এবং গেটম্যান শাহিনের অবহেলার বিরুদ্ধে রেল পুলিশ ব্যাবস্থা নিবে।

বাগেরহাটে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিকে কেন্দ্র করে আট বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নারীসহ আহত ২৫ জন

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটে সদরের চিরুলিয়া বিষ্ণুপর বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটিকে কেন্দ্র করে একই দলের রুহুল মেম্বর গ্রুপের ৮ বাড়িতে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষ মাসুম মোল্লা ও মোস্তাফিজ মোল্লাগ্রুপ। উভয় পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার(০৮ জানুয়ারি)সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে এই হামলা,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দিন বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,গত ৫আগস্টের পর থেকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোক জনের মাঝে একাধিক বার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে গত 6 জানুয়ারী সোমবার রাতে কুলিয়াইড় ভিআইপি মেড়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের মাধ্যমে এই হামলার অভিষেক হয়। এত মোস্তাফিজ গ্রুপের পাচজনআহত হয়।

ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে ও বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর মোস্তাফি ও মাসুমের নেতৃত্বে শ্যকরা মুলঘর ও বারুই পাড়ার শতাধিক লোকজন রুহুল মেম্বর ও তার ৭ ভাইয়ের বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।এ সময় ৫ টি বসতঘর, 4টি রান্না ঘর,২টি গোয়াল ঘর,২টি জ্বালানী কাঠের ঘর এবং ঘরে থাকা ফ্রিজ,,আলমিরাসহ মূল্যবান জিনিস পত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লুটে নেয় নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান মালামাল।

আগুন নেভাতে যেয়ে, শেখ ছায়েল উদ্দিন(৬০) মোহাম্মদ শেখ(৫৫) কামরুল শেখ(৫৩), নজরুল শেখ(৫০) মনি শেখ(৪৮) ইসমাইল শেখ(৪৫) ইসমাল এর স্ত্রী(২৪)হেণা আক্তার (৩৩) মনিরা বেগম(৪৫) রুহুল আমিন(৬২)সহ আরো অনেকে পতিপক্ষের ইটের আঘাতে জখম হয়। এর মধ্যে ছায়েল উদ্দিন এর অবস্থা আশঙ্কা জনক তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতি পক্ষের প্রতিবাদের মুখে মোস্তিাফিজ গ্রপের মোহ্ম্দ মোল্লা(৪৫), তুহিন(৩৫) কেরামত(৫৪) ও মামুন(৩৮) রুহুল মেম্বার গ্রুপেরলোকজনের হামলায় জখম হয়। এর মধ্যে মামুনের শঙ্কা জনক।

স্থা্নীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছে, হামলার স্থান থেকে একটু অদুরেই চিরুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনের ব্রিজের উপর পুলিশ ও সেনা বাহিনীর উপস্থিতিস থাকলে ও ওই মূহূর্তে প্রশাসনের কোন দল হামলা কারিদের নিভৃত করতে যায় নাই।

রুহুলের পরিবারের সদস্যরা জানান,কয়েক দিন ধরে মোস্তাফিজের লোকজন আমাদেরকে মারধরের চেষ্টা করছিল। এর জন্য আমাদের পুরুষরা গা ঢাকা দিয়েছিল। পুরুষরা বাড়ী না থাকায় তারা বাড়ীর মধ্যে এসে আমাদের সবশেষ করে দিয়ে গেল। রুহুল মেম্বর স্ত্রী রজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী রুহুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চায়।এটাই আমাদের দোষ,আর এ কারণেই প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ইমরান,কামরান, মাহবুব, মাসুমসহ বহিরাগত ২শ থেকে আড়াইশো লোকজন তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।

রুহুল মেম্বরের ছোট বোন ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার ভাই তালিম ভাইয়ের গ্রুপ করিছিলো। প্রতিপক্ষরা বাড়িতে হামলা করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা বলেছি, ঘরে শিশুরা আছে, তাও কোন ছাড় দেয়নি, আগুন দিয়ে দিছে।পুলিশ-আর্মি দাড়ায়ে রইছে, আমাদের বাড়ি পোড়ায়ে দেল, কোন সাহায্যই করেণি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আগের দিনের ঘটনা নিয়ে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন,রুহুল মেম্বরের ভাই আওয়ামী লীগের ক্যাডার শেখ রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে সোমবার রাতে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী ঢাল শড়কি ও ধারালো দা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয় আমাদের ৫ নেতা কর্মীকে আহত করে। এসময় তারা আমাদের ৫টি মটর সাইকেল ও একটি অটো গাড়িসহ একটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে।

মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের নেতা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুম মোল্লা বলেন, সোমবার রাতে ভাংচুর করা মোটরসাইকেল নিয়ে আজ দুপুরে থানায় যাচ্ছিল, আমার ভাই মামুন মোল্লা। তখন রুহুল মেম্বরের লোকজন তার উপর হামলা করে। আমরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছিলাম। এরই মধ্যে বিকেলে আমার আরেক ভাই মাহমুদ মোল্লাকে কুপিয়ে রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষরা। সন্ধ্যার দিকে তারা ঢাল শরকি নিয়ে আবারও বের হয়, তখন পুলিশও ছিল। এসময় আমাদের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করে, পরে তারা নিজেরা বাড়িতে আগুন দেয়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ বলেন, বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গেল পরশুও মারামারি হয়েছে। এর জেরেই আজ দুইপক্ষে আবার মারামারি করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত্য কোন পক্ষ কো আভিযোগ দায়ের করে নাই।

Daily World News

বাগেরহাটে ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

কচুয়ায় গণপিটুনিতে রাসেল নামে এক যুবক নিহত

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

বাগেরহাটের কচুয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনিতে রাসেল শেখ (৩৮) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের বাড়ির সামনে গণপিটুনির শিকার হন রাসেল শেখ ও তার সহযোগী রাজিব। পরে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, মহিদ পাইকের বাড়িতে চাঁদার টাকা চাইতে গেলে রাসেল ও তার সহযোগী গণপিটুনির শিকার হন। নিহত রাসেল শেখ ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। এ ঘটনায় আহত রাজিব স্থানীয় সেলিম শেখের ছেলে। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মহিদ পাইকের ভাই জাহিদ পাইক বলেন, আমার ভাই মহিদ পাইকের কাছে রাসেল শেখ বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করত। সপ্তাহখানেক আগে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ৫ জানুয়ারি আরো টাকা জোগাড় করে রাখার জন্য শাসিয়ে যায়। যদি টাকা না রাখা হয়, ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়।  সোমবার বিকেলে রাসেলসহ ৫-৬ জন ধারালো দা-কুড়াল নিয়ে মহিদের বাড়িতে ঢোকে এবং টাকা দাবি করে। এ সময় বাড়ির নারীরা চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এসে তাদের ঘিরে ফেলে গণপিটুনি দেয়। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও রাসেল ও রাজিব গুরুতর আহত হয়।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনি শঙ্কর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম জানান, রাসেলের নামে কচুয়ায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে  একাধিক মামলা রয়েছে। পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাগেরহাট কারাগার থেকে ৬৪ ভারতীয় জেলে মুক্তি পেয়েছে

//বিশে ষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে বাগেরহাট কারাগারে আটক ৬৪ ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এসব জেলেদের বিশেষ নিরাপত্তায় কোস্টগার্ডের বাসে করে মোংলায় নেয়া হয়েছে। একই দিন পটুয়াখালী কারাগার থেকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে ৩৩ জন ভারতীয় জেলেকে।

বাগেরহাট ও পটুয়াখালী কারগার থেকে মুক্তি পাওয়া  এই ৯৭ জেলেকে ভারতে হস্তান্তরের জন্য মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তাদের হেফাজতে নিয়েছে। ভারতীয় এসব জেলেকে দুই দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় আগামী ৫ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারত জলসীমার শুন্যরেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হস্তান্তর করা হবে। একই সময়ে ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশী ৭৮ জন জেলেকে মুক্তি দিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বি এন মুশফিক-উস সালেহীন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ৪৮ জন ও ২১ নভেম্বর ১৬ জন ভারতীয় জেলেকে আদালতে মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে আটক রাখা হয়।

একই ভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে ৩৩ জন ভারতীয় জেলেকে আদালতে মাধ্যমে পটুয়াখালী কারাগারে আটক রাখা হয়। বাংলাদেশ-ভারত বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় বাগেরহাট ও পটুয়াখালী কারাগারে আটক থাকা ৯৭ ভারতীয় জেলেকে সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তি দিয়ে তাদের হস্তান্তরের জন্য কোস্টগার্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।

এখন ৯৭ ভারতীয় জেলেকে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের হেফাজতে রেখে তাদের দুই দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় আগামী ৫ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারত জলসীমার শুন্যরেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হস্তান্তর করা হবে। এসময়ে ভারতের কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশী ৭৮ জন জেলেকে মুক্তি দিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট কারাগারের সামনে উপস্থিত থাকা ভারত থেকে আসা এসব করামুক্তি জেলেদের স্বজনরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মংলায় মৎসঘের দখল করে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট

বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা||

বাগেরহাটের মোংলায় উপজেলার পল্লীতে খামার মালিককে মারপিট করে ৮ একর আয়তনের একটি মাছ ঘের (মাছের খামার) দখল করে পানি সেচ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার মাকোরঢোন গ্রামে পাকখালী এলাকায় এই মাছের ঘের দখল ও মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ঘের মালিক তাহাবুর মল্লিক স্থানীয় বাবুল শেখসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

মাছের খামারটির মালিক তাহাবুর মল্লিক জানান, তিান উপজেলার মাকোরঢোন গ্রামের পাকখালী এলাকার নিভেন্দ্র নাথ ঢালীর কাছ থেকে বছর চুক্তিতে ৮ একর জমি লিজ নিয়ে খামার করে মাছ চাষ করি। বুধবার দুপুরে মাকোরঢোন গ্রামের মো. বাবুল শেখের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে মাছের ঘেরটি দখল করে মাছের ঘেরের পানি সেচ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এরপর দখলকারিরা তাকে মাছের খামার থেকে তাড়িয়ে দেয়। বিকালে তিনি বাবুল শেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই জমির প্রকৃত মালিক নিভেন্দ্র নাথ ঢালী জানান, আমার জমি তাহাবুর মল্লিককে এক বছরের জন্য লিজ দিয়েছি। সে  জমিতে মাছও চাষ করছিলেন। বুধবার দুপুরে বাবুল শেখ নামের এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে এসে ঘেরটি দখলে নিয়ে পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে গেছে।

এদিকে বাবুল শেখ দাবি করেন, তাহাবুর যে জমিতে মাছ চাষ করছিল সেই জমি তার। সে অবৈধ ভাবে এতোদিন তার জমিতে মাছ চাষ করছিলেন। তবে তার ওপর কোন হামলা বা মাছ লুটের ঘটনা ঘটেনি।

মোংলা থানার ভারপ্রাপক কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, মাছ ঘের দখল করে পানি সেচ দিয়ে মাছ লুট করার অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে জমি সক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আদালতে কোন রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  তবে সেখানে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাগেরহাটে ডিআইজির ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসী হামলা, চার নারী আহত

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে ডিআইজি ভাইায়ের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বাবু নামের এক পাতি নেতা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কুলিয়াদাইড় গ্রামে বাবু সরদারের নেতৃত্বে অনন্ত রাজবংশীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম হন মৃত্তিকা রাজবংশী নামে এক গৃহবধূ। মৃত্তিকা রাজবংশী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের অনন্ত রাজবংশীর স্ত্রী। হামলায় বাকি আহতরা হলেন অহনা রাজবংশী, কল্পনা রাজবংশী ও চন্দনা রাজবংশী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত্তিকা রাজবংশীর স্বামী অনন্ত রাজবংশী বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত বাবু সরদারের ভাই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকেন বলে অনন্ত রাজবংশী অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্ত রাজবংশীর ছোট ভাই সুকুমার রাজবংশীর স্ত্রীর সাথে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এতে সুকুমারের স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয় ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান করে। এর কিছুক্ষণ পরেই বাবু সরদারের নেতৃত্বে স্থানীয় সামাদ, জাহাঙ্গীর, আশিস, মিলন, খোকন, ভগিরথ, হৃদয় ও জয় কৃষ্ণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেআইনিভাবে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বাড়িতে মহিলাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা গৃহবধূ মৃত্তিকাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে এছাড়া অহনা, কল্পনা ও চন্দনাকে মারধর করে ও পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা বেআইনিভাবে বসত ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবু সরদারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা রূপসায় সাব্বির নামে এক যুবককে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

//বিশেষ প্রতিনিধি//

খুলনা রূপসায় সাব্বির (২৭) নামের এক যুবক সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছে। গতকাল রাতে রূপসা উপজেলার জয়পুর গামের হেলার বটতলা ঈদগাহ ময়দান রোডে এই গুলির ঘটনা ঘটে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৭টার সময় স্থানীয় কৃষক কাদেরের পুত্র সাব্বির মোটরসাইকেল যোগে তার বাড়ি সামনে পৌঁছাইলে দুটি মোটরসাইকেলের চারজন যুবক প্রথমে তার প্রতিরোধ করে এবং তাকে তাদের গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করে। সাব্বির বিষয়টি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ছেড়ে পাঠানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ১টী গুলি করে। গুলিটি তার শরীরের পিছনে লেগে সে মারাত্মক যখম প্রাপ্ত হয়। স্থানীয়লোকজন তাকে প্রাথমিক অবস্থায় রূপসা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতিতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। আহত সাব্বির ইতিপূর্বে ডেইলি ভিত্তিতে কাজ করতো অতি সম্প্রতি যে ব্যবসা করছে বলে স্থানীয় জানান ,তবে তিনি কিসের ব্যবসা করেন সে ব্যাপারে তারা কিছু জানাতে পারেননি।

খবর পেয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম ও কিসমত খুলনা ফাঁড়ির আইসি এস আই শফিকুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলির প্রকৃত ঘটনায় কেউ কোনো কিছু স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। তবে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে মাদক বিকিকিনি নিয়ে এই গুলির ঘটনা ঘটতে পারে।

কচুয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটক -১

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মঘিয়ার আইউব আলী শেখের ছেলে নাইমুল শেখকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার উপজেলার মঘিয়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে রায়হান বাদী হয়ে ওবায়দুল শেখ (৩৫), আইয়ুব আলী ফকির (৪৫), সাখাওয়াত ফকির (৫৬) নাইমুল শেখকে (৩০) ও সপ্না বেগম (৫৫)কে আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে মঘিয়া ইউনিয়নের ওবায়দুল শেখ এর নেতৃত্বে নাঈম শেখসহ স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় হামলা, চাঁদাবাজ, ঘের দখল, লুটপাটসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৩ ডিসেম্বর সকালে মঘিয়া ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার (৬৮) স্ত্রীর নামে সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে জমিতে চাষাবাদ করতে আসে ওবায়দুল শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী। এতে গোলাম মোস্তফা ও তার দুই ছেলে জমিতে চাষাবাদের কাজ করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী মোঃ ওবায়দুল শেখ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে গোলাম মোস্তফা তার বড় ছেলে আল ইমরান ও ছোট ছেলে রায়হান রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গোলাম মোস্তফাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার মেজো ছেলে গোলাম মর্তুজা বলেন, আমার পিতা ও বড় ভাইকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখন করেছে। এখনো আমার পিতা গুরুতর মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি জানান, আমার পরিবার কোন রাজনীতির দলের সাথে সম্পৃক্ততা নয়। সন্ত্রাসীরা আমার মায়ের নামের সম্পত্তি দখল করতে এসে বেআইনিভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এর সঠিক বিচার ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলায় আমরা নাইমুল শেখকে আটক করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। আরো জানান, আটক নাঈম শেখের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

Daily World News

কচুয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ যুবক আটক

রামপালে হামলায় ১৬ ভূমিহীন আহত