Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
কূটনৈতিক - দৈনিক বিশ্ব

মোদির শপথগ্রহণ শেষে নৈশভোজে খাবারের মেনুতে কিকি ছিল জেনে নিন

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে আটটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুরমু।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনৌত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচন্দ’, এবং আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র সিচেলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আতিফ।

তাদের জন্য নৈশভোজ সভার আয়োজন করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

শপথ অনুষ্ঠানে বাহারি পদের খাবার ছিল অতিথিদের জন্য।  গরম থেকে বাঁচতে নৈশভোজের মেনু এবং খাবারে আনা হয় টুইস্ট। পানীয়ের তালিকায় ছিল রিফ্রেশিং জুস, বিভিন্ন ধরনের শেক, স্টাফড লিচু, মটকা কুলফি, ম্যাঙ্গো ক্রিম এবং রায়তা।

রিফ্রেশিং পানীয়ের পর ডিনারের মেনুতেও ছিল নানান পদের আয়োজন। ছিল যোধপুরি সবজি যা রাজস্থানের একটি সুস্বাদু তরকারি, ডাল, ছিল মশলা এবং সুগন্ধযুক্ত ভেষজ দিয়ে তৈরি সিদ্ধ চালের পদ দম বিরিয়ানি। তালিকায় ছিল পাঁচ ধরনের রুটিও। এর সঙ্গে ছিল ডেডিকেটেড পাঞ্জাবি ফুড কাউন্টার। এরসঙ্গে ছিল বেশ কিছু দেশীয় পদ।

যারা বাজরা পছন্দ করেন, তাদের মেনুতে ছিল বাজরা খিচড়ি। এটি মুক্তা বাজারা থেকে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পদ। এর সঙ্গে ছিল নানান ধরনের সবজি।

পানীয় বিভাগটিও সমানভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। পাঁচ ধরনের জুস, তিন ধরনের রায়তা এবং দইয়ের ওপর একটি সাইড ডিশ ছিল। এই সব খাবার গরমে অতিথিদের ঠান্ডা রাখতে সহায়ক ছিল।

ডেজার্ট উৎসাহীদেরও নিরাশ করেনি এ নৈশভোজ। মেনুতে ছিল আট ধরনের ডেজার্ট। ছিল জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি, সাদা রসমালাই, দুধে ভেজানো ক্রিম, চার ধরনের ঘেওয়ার- এটি একটি ঐতিহ্যশালী রাজস্থানী মিষ্টি।

এবারের নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। দেশটির লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। কোনো দল যদি এককভাবে দল গঠন করতে চায় তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়। কিন্তু বিজেপি এবার পেয়েছে ২৪০টি আসন। তবে তাদের এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। তাই তাদেরকে সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমু।

শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়করি, নির্মলা সীতারামন, ড. এস জয়শঙ্কর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং পীযূষ গোয়েল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির প্রবীণ শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং, এইচএএম নেতা জিতন রাম মাঝি, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবং জিতিন প্রসাদ।

তৃতীয় মেয়াদে মোদির শপথ অনুষ্ঠান|| যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

শনিবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা। আগামীকাল রোববার উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদির অভিষেক আয়োজনে।

অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ভারতীয় প্রেসিডেন্টের আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া সফরকালে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যসম্পাদন এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, গত বুধবার টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আগ্রহী ভারত

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম’ বিষয়ে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের সক্ষমতার বিস্তৃত দিকগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহী ভারত, যার মধ্যে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও রয়েছে।

প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে ‘পরবর্তী স্তরে’ উন্নীত করার কথা বলেন ভারতের হাইকমিশনার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ দর্শনে গত এক দশক ধরে পরিচালিত ভারতীয় প্রতিরক্ষাশিল্পের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক সেমিনারে তুলে ধরেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, ওই দর্শনে পরিচালিত হওয়ায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতে বিপুল বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা রপ্তানিও বাড়িয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এই সেমিনারকে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিরক্ষাশিল্পের আগ্রহের প্রতিফলন এবং ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার একটি নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণচুক্তির বিষয়টিও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়ার অংশ।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম আর শামীমও সেমিনারে বক্তব্য দেন। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি আধা সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধিরাও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশেও সরকারিভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

সোমবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো- নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।

এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানি করতে ভারতের সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি লেখে বাংলাদেশ সরকার।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারেক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল দেশটি।

ইউক্রেন চরম দুর্নীতিতে পরে গেছে- জেলেনস্কির অবস্থান নড়বরে- পশ্চিমাদের সহায়তায় বাধা

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ইউক্রেনে দুর্নীতি নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য ফাঁস হলো, সেটা একটি জটিল গল্প। এই কেলেঙ্কারিটা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ঘিরে। ১ লাখ মর্টার সেলের (যার মূল্য ৪০ মিলিয়ন ডলার) কিনতে অর্থ পরিশোধ করা হলেও মর্টার সেলগুলো সরবরাহ করা হয়নি। এই কেলেঙ্কারির গল্প যখন সামনে এল, তখন দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকে ইউক্রেন এযাবৎকালের সবচেয়ে সেরা স্কোর করেছে।

টিআইয়ের সূচকে ইউক্রেনের এই অগ্রগতি থেকে বোঝা যায়, ঘনিষ্ঠজনসহ দুর্নীতি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভলোদিমির জেলেনস্কি যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন, তার কিছুটা অগ্রগতি ঘটেছে।

পক্ষান্তরে মর্টার সেল কেলেঙ্কারি পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয়, ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ও অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে দুর্নীতি কতটা বিস্তার লাভ করেছে ও কতটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই দুর্নীতি এমন এক সময়ে জেঁকে বসেছে, যখন ইউক্রেন বড় ধরনের অস্তিত্বের সংকটে রয়েছে।

এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো, দুর্নীতি ইউক্রেনের টিকে থাকা না-থাকার মূল প্রশ্নটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দুর্নীতিই ইউক্রেনের একমাত্র সমস্যা নয় কিংবা এটাই দেশটির সবচেয়ে বড় সমস্যা নয়। কিন্তু দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধারণার কারণে  ইউক্রেনের ভেতরের রাজনীতি যেমন জটিল হয়ে উঠছে আবার পশ্চিমা সমর্থনের ক্ষেত্রেও বড় বাধা তৈরি হচ্ছে।

দুর্নীতি ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিন্তু গত ১০ বছরে ইউক্রেন নিয়ে টিআইয়ের যে ধারণাসূচক, তাতে দেখা যায়, দেশটি দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি করে চলেছে। রাশিয়া ও আজারবাইজনকে বাদ দিলে ইউরোপের আর কোনো দেশে ইউক্রেনের মতো এতটা দুর্নীতি নেই।

দুর্নীতির এই মহামারির মধ্যেও দুই বছরের যুদ্ধে ইউক্রেন এখনো টিকে আছে। তারা রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে অবিস্মরণীয় প্রতিরোধক্ষমতা দেখিয়ে চলেছে। কিন্তু কর্তাব্যক্তিদের এসব কেলেঙ্কারিসহ অন্য যেসব দুর্নীতি তাতে বলা যায়, ইউক্রেনকে এখনো প্রতিনিয়ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। দুর্নীতি ইউক্রেনকে আরেকটি অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। আর সেটা ঘটছে সে সময়েই, যখন দেশটির টিকে থাকা না-থাকা পশ্চিমা অস্ত্র ও অর্থের ওপর নির্ভরশীল।

হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, জার্মানির প্রভাবশালী ডানপন্থী বিরোধী দল এএফডি ইউক্রেনকে আর অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা না দেওয়ার জন্য দুর্নীতির অকাট্য যুক্তি ব্যবহার করছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বলেছেন, তদারকির ঘাটতির মানে হচ্ছে, ইউক্রেনকে দেওয়া আমেরিকার সহায়তা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের পকেটে চলে যাওয়া।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে যখন ইউক্রেনকে সহযোগিতা দেওয়া না-দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক বাড়ছেই এবং দেশগুলোর নির্বাচনী প্রচারণায় সেটি অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে, তখন তহবিল তছরুপের এসব অকাট্য প্রমাণ ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে কঠিন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

জেলেনস্কির নড়বড়ে অবস্থান

পশ্চিমা সমর্থন অব্যাহত থাকা নিয়ে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হয়েছে, তখন দেশের ভেতরে জেলেনস্কির অবস্থানও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জেলেনস্কির অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল দুর্নীতি তিনি উচ্ছেদ করবেন। কিন্তু তার সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের দুর্নীতি সেই প্রতিশ্রুতির ওপর জোর আঘাত হানল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাকে শক্তিশালী করেছেন। কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের জন্য দমন-পীড়ন হচ্ছে।

বর্তমান কেলেঙ্কারি ইউক্রেনের রাজনৈতিক বিভাজনকেই গভীর করবে। যুদ্ধকৌশল নিয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী বিতর্ক যখন তুঙ্গে এবং এ বিষয়ে ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যকার মতবিরোধের বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে, সে সময়ে জেলেনস্কির কাছে রাজনৈতিক বিভাজন কাম্য কোনো বিষয় হতে পারে না।

জেলেনস্কি তাঁর সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনিকে বরখাস্ত করবেন কি না কিংবা সেই ক্ষমতা তাঁর আছে কি না, সেটা একদমই পরিষ্কার নয়। বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর সেনাপ্রধানকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। কিন্তু জালুঝনি সেটা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। জেলেনস্কি ও জালুঝনির মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিক্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ অভিযান তেমন কোনো সাফল্য বয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায়, সেটা চরম রূপ ধারণ করে।

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জেলেনস্কি তাঁর শীর্ষ জেনারেল জালুঝনিকে নিন্দা করেন। এর কারণ হলো জালুঝনি প্রকাশ্যে বলেন, যুদ্ধ অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। আরেকটি জল্পনা ডানা মেলেছে, জালুঝনি রাজনীতিতে আসতে চলেছেন এবং জেলেনস্কির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন। ডিসেম্বর মাসের এক জরিপ বলছে, ৬২ শতাংশ ইউক্রেনীয় বলছেন, তাঁরা জেলেনস্কিকে বিশ্বাস করেন আর জালুঝনির ওপর আস্থা রাখছেন ৮৮ শতাংশ।

দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি ও ইউক্রেনের ক্ষমতাকাঠামোর শীর্ষ পর্যায়ের রদবদলের খবর—দুইয়ের কোনোটাই রাশিয়ার সঙ্গে জয় তো দূরে থাক পরাজয় এড়াতে ইউক্রেনীয়রা একটা বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরি করতে পারছে—পশ্চিমাদের মধ্যে এই আস্থা আনবে না। আর এ ধরনের আস্থা ছাড়া, সহযোগিতার ব্যাপারটা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জোরালো অস্ত্র ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোর আইনসভা থেকে সহযোগিতা অনুমোদনের ব্যাপারটি দুর্বল হয়ে পড়বে।

এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো, দুর্নীতি ইউক্রেনের টিকে থাকা না-থাকার মূল প্রশ্নটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দুর্নীতিই ইউক্রেনের একমাত্র সমস্যা নয় কিংবা এটাই দেশটির সবচেয়ে বড় সমস্যা নয়। কিন্তু দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধারণার কারণে  ইউক্রেনের ভেতরের রাজনীতি যেমন জটিল হয়ে উঠছে আবার পশ্চিমা সমর্থনের ক্ষেত্রেও বড় বাধা তৈরি হচ্ছে।

দুর্নীতির কারণে ইউক্রেন ভেঙে যাচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে দুর্নীতি এমন বাজে একটা ব্যাপার, যার কারণ ইউক্রেন ভেঙে যেতে পারে। কেননা, দুর্নীতি ইউক্রেনের ভেতরে ও বাইরে বড় প্রভাব ফেলছে।

Daily World News

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাতে তিনি বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থনের পাশাপাশি একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ রোববার সকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্বে আমি বলতে চাই, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও অনেক ইস্যুতে আমাদের প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করার ঐকান্তিক ইচ্ছা আমি তুলে ধরছি।’

জো বাইডেন লিখেছেন, ‘সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। আর আমাদের এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর চিঠিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

পরে নরেন্দ্র মোদি তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি বাংলাদেশের জনগণকেও অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী এবং জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে সকালে গণভবনে গিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অভিনন্দন জানান তিনি।

সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনার নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের অভিন্ন আত্মত্যাগের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের পক্ষে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান। কথামতো শেখ হাসিনার নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার স্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাব// বাংলাদেশ ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোবে যদি ভরতের আপত্তি থকে

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছেন, তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ২১ ডিসেম্বর বলেছেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীবিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। আসন্ন নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে চীন কাজ করতে আগ্রহী। আশা করছি, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।

চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? বাংলাদেশ চীনের কাছে তিস্তা নদীর উন্নয়নসংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করেছে কি না। এই প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল এবং ব্যয় কত? এ সকল প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বিবেচনা করে দেখবে।

চীন বলছে নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পে কাজ শুরু হবে। কিন্তু চীন যেখানে তিস্তার কাজ করবে, তার থেকে শিলিগুড়ি করিডোর খুব দূরে নয়। শিলিগুড়ি করিডোরকে ভারত ‘চিকেন্স নেক’ নামেও অভিহিত করে। দেশটি মনে করে, তিস্তা উন্নয়নে কাজের নামে চীন এটাকে নিজেদের কবজায় নিতে চায়। এ কারণে ভারত তার চিকেন নেকের সামনে চীনের উপস্থিতি দেখতে চায় না। এ ক্ষেত্রে তিস্তায় চীনের কাজ নিয়ে ভারতের আপত্তি কতটুকু আমলে নেওয়া হবে?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, এ রকম অনুমাননির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। এ রকম কোনো প্রস্তাব যদি থাকে, তখন ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।

বিশ্ব সংস্থা বলেছে- দুই দেশেরই রাজধানী হবে জেরুজালেম

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থা বলেছে, দুই দেশেরই রাজধানী হবে জেরুজালেম।

জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের মহাপরিচালক তাতিয়ানা ভালোভায়া মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে বলা হয়, জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইনের ওপর ভিত্তি করে অপরিবর্তিত রূপে চূড়ান্তভাবে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাতিয়ানা বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী বানিয়ে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পাশাপাশি শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব সংঘাত শুরুর পর বিভিন্ন সময় দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলেছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একই কথা বলেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানালেও পরে তিনি সুর নরম করেছেন। গত অক্টোবরে তেল আবিব সফরের সময় তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে নিরাপদে, মর্যাদায় এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারে, আমাদের অবশ্যই সেই পথ অনুসরণ করতে হবে। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই একমাত্র পথ।’

ইসি-ইইউ বৈঠক/ পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক নিউজ//

পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

হোয়াইটলি বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশা করি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।

এ সময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি কোনো উত্তর দেননি।

বিকাল ৩টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে হোয়াইটলির সঙ্গে সাত দেশের রাষ্ট্রদূত, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়-সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের কমিশনাররা বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন এবং তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করেছেন; যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।