মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গোৎসব রূপসায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় প্রস্তুত

//এম মুরশীদ আলী,  রূপসা//

“গজে এসে দেবী দোলায় যাবেন” এ উপলক্ষে রূপসায় শারদীয় দুর্গোৎসব ৭৪টি মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে। এ মন্দির এলাকায় প্রশাসনিকভাবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পূজার উৎসব বিজয়া দশমী বিহিত পূজা সমাপনে বিসর্জন প্রশস্তা পূজার মধ্যে শেষ হবে। ষষ্ঠীর দিন সকালে ‘দুর্গা মায়ের’ মুখ উন্মোচিত করা হয় এবং এ সময় লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতীকে নিয়ে দেবীদুর্গা মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু জানান- দেবী গজে (হাতি) পিঠে চড়ে আগমন অত্যন্ত শুভ আর দোলা (পালকি) গমন অশুভ শাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়।
রূপসা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারমধ্যে আইচগাতী ইউনিয়নে ১০টি, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ৭টি, নৈহাটী ইউনিয়নে ১২টি, টিএসবি ইউনিয়নে ১১টি ও ঘাটভোগ ইউনিয়নে ৩৪টি মণ্ডপে পূজা আজ থেকে শুরু হচ্ছে দেবী-দর্শন, ভক্তদের অঞ্জলি। সন্ধ্যায় থাকছে আরতি।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন জানান, যে সকল পূজা মন্দিরে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই, সেই সকল মন্দিরে নৈশকালীন পাহারা ব্যবস্থা আছে এবং প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পূজা শান্তিপূর্ণ সম্পন্নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল ও ভ্রাম্যমান টিম গঠন করা হয়েছে। আশা করি সকল সম্প্রদায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দূর্গা পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।

আনসার ভিডিপি (অতিরিক্ত) কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম জনান- রূপসায় অধিক গ্রুরুত্বপূর্ন ২৫টি মন্দিরে ৮ জন করে আনসার ও ভিডিপি নিরাপত্তার জন্য থাকবে। তাদের মধ্যে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, তাছাড়া ভিডিপি পুরুষ সদস্য ৪ জন ও মহিলা সদস্য ২ জন থাকবে। তাছাড়া সাধারণ মন্দির গুলিতে ৬ জন করে নিরাপত্তার জন্য থাকবে। তাদের মধ্যে আনসার সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, ভিডিপি পুরুষ সদস্য ৩ জন ও মহিলা সদস্য ২ জন থাকবে। এ সকল সদস্যদের গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে পূজার ৬ দিন দিবারাত্রে কঠোর প্রহর ও নিরাপত্তা বিষয়ে ট্রেনিং ও ব্রিফিং প্রদান করা হয় এবং উপযুক্তদের পূজার মন্দিরে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহতি করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা বলেন- দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীরা যাতে প্রতিমা দর্শন করতে পারে, সে জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আনসার-ভিডিপি, টহল পুলিশ সহ সাদা পোশাকে পুলিশ, র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিম এবং সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করবে বলে জানান।

রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

//আঃ রাজ্জাক শেখ, খুলনা ব্যুরো//

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও যুবনেতা মহিউদ্দিন লিটুর আয়োজনে রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম  কামরুজ্জামান টুকু, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়  মুন্না সরদার,  টিএসবি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এইচ এম কামরুল ইসলাম, রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আ:রাজ্জাক শেখ, সাধারণ সম্পাদক  খান শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ উদ্দীন শেখ, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম হোসেন ডালিম, সদস‍্য গোলাম রব্বানী, রাণী শিকদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শামীম চৌধুরীসহ অনেকেই।

বাগেরহাটের মংলায় পবিত্র কুরআন কে অবমাননা করায় সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

বাগেরহাটের মোংলায় সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ জুলফিকার আলী পবিত্র আল-কোরআনকে অবমাননা করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাওহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শাপলা চত্বর থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেট চত্বরে এসে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য ও দাবিসমূহ:

বিক্ষোভ সমাবেশে তাওহিদী জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মোঃ হোসেন, পাওয়ার হাউস জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মোংলা কবরস্থান জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা আব্দুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস।

বক্তারা বলেন, “যদি কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করে, তবে সে কখনো কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। যে কোরআনকে অবমাননা করে, সে নাস্তিক ও মুরতাদ।”

তারা দাবি করেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় রিমঝিম চত্বরে বিএনপির সমাবেশে মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী পবিত্র আল-কোরআনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং বলেন, “কোনো মুসলমান কোরআনের অবমাননা মেনে নিতে পারে না।”

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম:

বিক্ষোভকারীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোঃ জুলফিকার আলীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তারা বলেন, “যদি তাকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে সাধারণ মুসলিম ও তাওহিদী জনতা ঘরে বসে থাকবে না।”

এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

উপমহাদেশের বড় শ্মশান দিপালী উৎসব আজ

//পলাশ চন্দ্র দাস, বরিশাল//

বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় নতুন বাজার আদি শ্মশানে অনুষ্ঠিত দিপালী উৎসবকে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দিপালী উৎসব মনে করা হয়।

চতুর্দশি পূণ্য তিথিতে বরিশালে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় শুরু হবে কাউনিয়ার নতুন বাজার আদি শ্মশানের এই দিপালী উৎসব। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো শ্মশান এলাকা। রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি উৎসব চলাকালে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে শতাধিক পুলিশ সদস্য পাশাপাশি টহলে থাকবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব ও গোয়েন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহা শ্মশান রক্ষা কমিটির আহবায়ক মানবেন্দ বট্যাবেল ।

এই কমিটির নিজস্ব ১শ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালনে থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রতি বছরের মতো এবারও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মৃতদের স্বজনরা এই উৎসবে অংশ নিবেন। শ্মশান রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব বিশিষ্ট সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ২০৫ বছর ধরে চলা এই মহাশ্মশানে কাঁচা পাকা সমাধি মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার সমাধি রয়েছে। এ মুহূর্তে সমাধিগুলোকে রংতুলির আঁচড়ে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন,  পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের বৈঠক শেষে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উৎসবের রাতকে শ্মশান এলাকা হাজারো প্রদীপ প্রজ্জলনে রাতকে দিনের আলোতে নিয়ে আসা হবে।  কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, বিশিষ্ট দানবীর অমুত লাল দে, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি রয়েছে এই মহাশ্মশানে। বরিশাল নগরীর কাউনিয়াস্থ মহা-শ্মশান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সমাধীতে নতুন ভাবে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন  স্বজনরা। কেউবা মাটির সমাধী তৈরী করছেন, কেউ আবার পাকা সমাধীতে রংঙের আচর দিচ্ছেন। মা-বাবার সমাধিতে সাজ সজ্জার কাজ করতে আশা নগরীর ভাটিখানা নিবাসী শিপ্রা জানান। বছরের অন্যান্য সময় শ্মশানে এলেও দিপালী উৎসব উপলক্ষে তিনি তার প্রয়াত মা-বাবা, ঠাকুরমার সমাধীতে নতুন রূপে সাজাতে এসেছেন।নগরীর ভাটিখানার আরেক স্বজন গবিন্দ দাস নাথু বলেন, তিনি তার বাবা-মার সমাধী তৈরী করতে এসেছেন।

যাতে দিপালী উৎসবের দিন সেখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। এদিকে শ্মশানে অনেক সমাধী রয়েছে যার কোন স্বজন এখানে আসেন না কিংবা কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। তাদের সমাধীতে শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে রংঙের কাজ করা হচ্ছে।বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী বুধবার দুপুর  ১:১২ মিনিটে  ভু-চতুর্দশী শুরু হবে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ৩:৫২ মিনিটে শেষ হবে রাত ১২.১ মিনিটে শশ্মান কালিপূজা শুরু হবে।

Daily World News

ডুমুরিয়ায় কন্দল ফসল উন্নযনে কৃষক প্রশিক্ষণ

দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে গেলেন স্বামীগৃহ

//এম মুরশীদ আলী//

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা এবং কৈলাসে ফিরলেন দেবী দুর্গা। এই দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে গেলেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি-শঙ্খ ঘণ্টা আর ঢাক-ঢোলের বাজনায় বাজলো দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। ৫ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষ দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় উৎসব শেষ হলো।

সারাদেশের ন্যায় রূপসা উপজেলা এলাকায় মন্ডপে মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে হিন্দু ধর্মের সর্বোবৃহৎ দূর্গোৎসব। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭৪টি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেলের দিকে এ উপস্থিতি হয় ভিড়ে পরিণত। উৎসবকে ঘিরে রূপসায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদ সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেন। তিনি জানান- দুর্গোৎসব ঘিরে পদচারনায় মুখরিত মণ্ডপে মানুষের মাঝে ছিল বিপুল আনন্দ। দেবী মায়ের কাছে প্রার্থনা, দেশ জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সুখ ও সমৃদ্ধি হোক।

বিজয়ার দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ করা এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। দশমী মানেই দুর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া অপেক্ষায় থাকতে হবে আরো একটি বছর। সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় “দোলায় এসে দেবী ঘোটকেই যান” মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। এতে করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, এমনটা মনে করেন হিন্দুধর্মের অনুসারীরা।

নবমীতে এসেই পূজার ষোলোকলা পূর্ণ হয় এবং বিদায়ের সুর বাজে। দশমীতে বিদায় জানানো হয়। এবার নবমীতেই দর্পণে বিসর্জন হয়েছে। শনিবার মহা নবমী তিথিতে বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এদিন সকালে ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে দেওয়া হয় আহুতি। দশমীর বিহিত পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

পূজা দিতে আসা ভক্তরা বলেন, আমাদের সব কষ্ট দূর করে দেবী দুর্গা চলে যাবেন। এক বছর পর মা আবার আসবেন। মায়ের কাছে দেশের জন্য কল্যাণ কামনা করেছি। তিনি যেন উন্নতি আর প্রগতিতে আমাদের জীবন ভরিয়ে দেন। বিশ্বজুড়ে যেন শান্তি ফিরে আসে। বন্ধ হয় মানুষে মানুষে সব হানাহানি।

Daily World News

দুর্গোৎসবের  সমাপনী ও বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

দুর্গোৎসবের  সমাপনী ও বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা/

রূপসার তিলক কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দির কর্তৃক আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপনী ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আলোচনা সভা গত ১৩ অক্টোবর সকালে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মো. হাফিজুর রহমান।

এ সময় সম্মানিত অতিথি ছিলেন রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।

মন্দির কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ মিত্র’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- রূপসা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনসার আলী বিশ্বাস, কালাম গোলদার, ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব দিদারুল  ইসলাম, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক  কৃষ্ণ গোপাল সেন, রূপসা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গণেশচন্দ্র পাল।

মন্দির কমিটির সদস্য সচিব পরিতোষ দত্তের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন-  সেলিম রেজা, জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম, মাসুম রেজা, মঞ্জু শিকারী, জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহিন ভূইয়া, মাসুম হাওলাদার, দেবপ্রসাদ পাল, তাপস কুমার দে, মলয় কুমার ঘোষ, উজ্জ্বল কুমার মিত্র, প্রশান্ত কুমার সাহা, বিধানচন্দ্র পাল, শামিম মোল্যা, ফরহাদ হোসেন, কবির শেখ, ইমরান খন্দকার, মহব্বত শেখ, ইকরাম, জামিল মিজান, সাইফুল আলী, আকরাম রাজু, শাওন ভূইয়া, নুর, মাহাবুবুর রহমান, আলামিন, শাকিল প্রমূখ।

মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গোৎসব || রূপসায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

“দোলায় এসে দেবী ঘোটকেই যাবেন” এ উপলক্ষে রূপসায় শারদীয় দুর্গোৎসব ৭৪টি মণ্ডপে শুরু হলো। যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব। এ জন্যে মন্দির এলাকায় প্রশাসনিকভাবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পূজার উৎসব বিজয়া দশমী বিহিত পূজা সমাপনে বিসর্জন প্রশস্তা পূজার মধ্যে শেষ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু জানান- রূপসা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা ৯ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারমধ্যে আইচগাতী ইউনিয়নে ১০টি, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ৭টি, নৈহাটী ইউনিয়নে ১২টি, টিএসবি ইউনিয়নে ১০টি ও ঘাটভোগ ইউনিয়নে ৩৫টি মণ্ডপে হচ্ছে এ পূজা।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপুল গাজী জনান- রূপসায় অধিক গ্রুরুত্বপূর্ন ২৬টি মন্দিরে ৮ জন করে আনসার ও ভিডিপি নিরাপত্তার জন্য থাকবে। তাদের মধ্যে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, তাছাড়া ভিডিপি পুরুষ সদস্য ৪ জন ও মহিলা সদস্য ২ জন থাকবে।

বাকি মন্দির গুলিতে ৬ জন করে নিরাপত্তার জন্য থাকবে। তাদের মধ্যে আনসার সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ১ জন, ভিডিপি পুরুষ সদস্য ৩ জন ও মহিলা সদস্য ২ জন থাকবে। এ সকল সদস্যদের গত ৮ অক্টোবর উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে পূজার ৫ দিন দিবারাত্রে কঠোর প্রহর ও নিরাপত্তা বিষয়ে ট্রেনিং ও ব্রিফিং প্রদান করা হয় এবং উপযুক্তদের পূজার মন্দিরে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কে রূপসা থানায় গত ৮ অক্টোবর সকালে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহতি করেন- খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, রূপসা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপটেন নাহিদুল ইসলাম নাবির, রূপসা থানা ওসি তদন্ত (ভারপ্রাপ্ত ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। তাঁনরা বলেন- এ বছর রূপসায় ৭৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে দর্শনার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারে, সে জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আনসার-ভিডিপি, টহল পুলিশ সহ সাদা পোষাকে পুলিশ, র‌্যাবের ভ্রাম্যমান টীম এবং সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করবে বলে জানান।

কচুয়ায় ৪৪টি মন্দিরে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে

//শুভংকর দাস বাচ্চু, কচুয়া, বাগেরহাট//

বাগেরহাটের কচুয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয়া দূর্গোৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ উপজেলার বিভিন্ন দূর্গা মন্দির নিয়মিত ভাবে পরিদর্শন করেছেন। তিনি মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষা, পাহার ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা চালু রাখার সহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৪৪টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৭/৮টি পূজা মন্দির রয়েছে। ৮অক্টোবর সায়ংকালে শ্রীশ্রী শারাদীয় দুর্গাদেবীর বোধনের মাধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজা। নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মন্দিরের প্রতিমাকে আকর্ষনীয় করার জন্য ভাস্করেরা আপন মহিমা দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছরের ন্যয় এবছরও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা অনুষ্ঠানের জন্য ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

উপজেলার সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা বাধাল ইউনিয়নের মসনী সর্বজনীন দূর্গামন্দিরে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্টিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলা বাধাল বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, কচুয়া সদর দূর্গা মন্দির, রঘুদত্তকাঠী ভক্ত নিমাই সেবা আশ্রম, ভান্ডারকোলা সর্বজনীন দূর্গা মন্দির, সাইনবোর্ড বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে বৃহৎ আকারে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

রূপসায় মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

মহানবী হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) এর মর্যাদাকর শানে বিয়াদবিমূলক কটুক্তি করেছে রূপসার ভবানিপুর গ্রামের অন্তর বৈরাগী ও ভারতের রামগিরি মহারাজ। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ করে কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

রূপসা উপজেলার সর্বস্তরের তাওহিদী জনতা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- মাওলানা শফিউদ্দীন নেসারী এবং সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আ: হান্নান।

আঃ রউফ শিকদারের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন- মাওলানা রফিকুল ইসলাম,মুসা লস্কর, মওলানা মঞ্জুরুল ইমাম, হাফেজ মাওলানা জামাল উদ্দীন, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আঃ রহিম শিকদার, মাওলানা আলামিন, মাওলানা হুসাইন, মাওলানা ওহিদুল্লাহ, মো. তরিকুল ইসলাম, তামিম হাসান লিওন, হাসিব আল মাওদুধ, আঃ মান্নান শেখ, পারভেজ হাসান রিপন, হাফেজ মাওলানা আরাফাত হোসেন, মুরাদ হাসান রাজু, আবদুল্লাহ শেখ, সাহিদুল শেখ, ডাঃ ইরাদদ আলী, মাওলানা ওলিউল্লাহ, মনির ঢালী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মো. রায়হান, সিরাজুল শিকদার, হুমায়ূন শিকদার, আঃ ওহিদ শিকদার প্রমূখ।

দূর্গা পুজার প্রস্তুতি সভা রূপসায় অনুষ্টিত

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

শারদীয় দূর্গা পুজা উদযাপন উপলক্ষে রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভা গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- সহকারি কমিশনার (ভুমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, রূপসা সেনাবাহিনী ক্যাম্প ইনজার্চ ক্যাপ্টেন মো. তানজিম হোসাইন, রূপসা থানা ওসি মো. এনামুল হক, রূপসা পল্লীবিদ্যুৎ ব্রাঞ্চ এজিএম মো. এ হালিম খান।

রূপসা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বিকাশ মিত্র, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, জামায়াতে ইসলামি উপজেলা শাখার আমির মাওলানা লবিবুল ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন উপজেলা শাখার সহ সভাপতি আব্দুল হাফিজ শেখ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য লিটন বিশ্বাস খোকন, আইচগাতি ইউয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ মাসুম বিল্লাহ, শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউল বিশ্বাস, নৈহাটী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস শেখ, টিএসবি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাফুর রহমান, ঘাটভোগ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক জিএম আসাদুজ্জান, রূপসা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি খান আব্দুর জব্বার শিবলী, ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বাসুদেব রায় চৌধুরী, নৈহাটী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পিন্টু গোপাল দে, টিএসবি পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জু হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার নন্দী, পূজা পরিষদ নেতা অশোক কুমার কর্মকার, বাসুদেব পাল, সুব্রত বাগচী, ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস, নীল মনি বিশ্বাস, সঞ্জয় কুমার ধর, অপূর্ব কুমার মন্ডল, আশিষ কুমার কর, অনাদি রায়, রাম কৃষ্ণ পাল, সুজন সাহা, শিবপদ বসু সঞ্জিত মজুমদার, শিমুল অধিকারী, প্রাণ গোপাল বিশ্বাস প্রমূখ।