আসন্ন যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়বেন

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

যুক্তরাজ্যে জাতীয় নির্বাচনে এবার বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে থেকে লেবার পার্টি থেকে আছেন ৮ জন এবং কনজারভেটিভ থেকে ২ জন।

লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আফসানা বেগম, রুমী চৌধুরী উইথহাম, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী, নাজমুল হোসাইন। তাদের মধ্যে রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক এবং আফসানা বেগম এপি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন।

ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনি লড়াইয়ে আছেন লন্ডনের দক্ষিণে টটেনহাম আসনে আতিক রহমান এবং ইলফোর্ড সাউথ আসনে সৈয়দ সাইদুজ্জামান। ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ছয়জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন।

ইলফোর্ড সাউথে গোলাম টিপু, বেডফোর্ডে প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, হেকনি সাউথে মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, আলট্রিচহাম অ্যান্ড সেল ওয়েস্টে ফয়সাল কবির, ম্যানচেস্টার রসলমোতে মোহাম্মদ বিলাল এবং স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসনে হালিমা খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইলফোর্ড সাউথ আসনে রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ ফরহাদ।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের মনোনয়নে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাবিনা খান। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে নাজ আনিস মিয়া ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার আসনে লড়ছেন। গ্রিন পার্টির মনোনয়নে ইলফোর্ড সাউথে সাইদ সিদ্দিকী, ওল্ডহাম ওয়েস্ট অ্যান্ড রয়টনে সাইদ শামসুজ্জামান শামস এবং লেস্টার সাউথ আসনে শারমিন রাহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সোশ্যালিস্ট পার্টির হয়ে ফোকস্টোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম। এছাড়াও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১১ ব্রিটিশ নাগরিক। হলবর্ন অ্যান্ড প্যানক্রাসে লড়ছেন ওয়েইছ ইসলাম। বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি গ্রিনে আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ ও সাম উদ্দিন। পপলার অ্যান্ড লাইম হাউসে এহতেশামুল হক। স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বোতে ওমর ফারুক ও নিজাম আলী। ইলফোর্ড সাউথে নূরজাহান বেগম।

নিউক্যাসল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্টে হাবিব রহমান। বেক্সিল অ্যান্ড ব্যাটেলে আবুল কালাম আজাদ। ওল্ডহাম ওয়েস্ট, চেটারটন অ্যান্ড রয়স্টোনে রাজা মিয়া। যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে ছোট-বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।

ভিএফএসে ভিসা ফাইলঃ ভুক্তভোগীরা জিম্মি, অভিযোগ ও হতাশা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গাড়ি চালিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা জাকির হোসেনের দিনকাল। আরো নির্ভার, স্বচ্ছন্দ জীবনের আশায় স্বপ্ন বোনেন ইতালি যাওয়ার। এক বন্ধুর মাধ্যমে ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করেন। গ্রামের বাড়িতে জমি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকায় নুলস্তা (ওয়ার্ক পারমিট) হাতে পান।

ভিসা আবেদন করতে ফিরে আসেন দেশে। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। বিপত্তির শুরু ভিসার দীর্ঘসূত্রতায়। নিয়ম অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করতে হয়।

কিন্তু জাকিরের অপেক্ষা ফুরায় না ৯ মাসেও। এর মধ্যে ইউএইর ভিসার মেয়াদও শেষ। ইতালির ভিসাও যদি না পান, তাহলে পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে তাঁকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে জাকির বলেন, ‘আমার জমিজমা বিক্রি করে দিয়েছি।

দুবাইয়ের ভিসাও শেষ। এখন আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমার সবই শেষ।’

শুধু জাকির হোসেন নন, এমন লাখো ইতালি গমনেচ্ছু মানুষের ঘরে ঘরে এখন শুধুই কান্না, হতাশা আর হাহাকার। গত ২৭ মার্চ ঢাকাস্থ ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসাপ্রার্থীর পাসপোর্ট।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এই দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে ভিএফএসের কাছে জিম্মি হয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এক লাখের বেশি ভিসাপ্রত্যাশী ও তাঁদের পরিবার।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ভিসাপ্রত্যাশী এরই মধ্যে বিপুল অর্থ ইতালিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এক হিসাবে জানা গেছে, শুধু নুলস্তা পেতেই এক লাখ ১১ হাজার ভিসাপ্রার্থীর কাছ থেকে ইতালিতে চলে গেছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার। এমনকি দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে ইতালির ভিসার প্রত্যাশায় ঘুরে ঘুরে দিন কাটছে তাঁদের। ফলে তাঁদের উপার্জনও থমকে গেছে। সাধারণত ইতালি গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কৃষি ভিসার আবেদন করে থাকেন। বাকি ৪০ শতাংশ স্পন্সর ভিসার। কৃষি খাতে ভিসার জন্য ১৪ লাখ টাকা এবং স্পন্সর ভিসার জন্য ১৯ লাখ টাকা লাগে। তবে নুলস্তা পেতে সংশ্লিষ্ট কম্পানিতে ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়। সে হিসাবে এরই মধ্যে নুলস্তা পেতে ইতালিতে চলে গেছে প্রায় ৮০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আট হাজার ৮৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)। এ ছাড়া ভিএফএসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাবদ এসব কর্মীর খরচ হয়েছে অন্তত ২২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে আরো কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা দালালদের পকেটে ঢুকেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। এভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ইতালিতে চলে গেলেও দেশে পড়ে আছেন হতভাগ্য ভিসাপ্রার্থীরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা পড়েছে আরো ৯ হাজার ৬০০টি। ফলে ইতালিতে কর্মী পাঠানো ছাড়াই নুলস্তা বাবদ আরো বিপুল অর্থ চলে গেছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপেও জানা গেছে, কেউ কেউ অর্ধেকের বেশি টাকা এরই মধ্যে ইতালিতে সংশ্লিষ্ট কম্পানি এবং আইনি পরামর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিশোধ করে রেখেছেন।

ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাসের সূত্র মতে, ২০২২ সালের ৩৫ হাজার ও ২০২৩ সালের ৭৬ হাজার নিয়ে মোট এক লাখ ১১ হাজার পাসপোর্ট জমা নেয় ভিএফএস গ্লোবাল। গত ২৭ মার্চ ভিসাপ্রার্থীদের মানববন্ধনের পর ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আটকে থাকা পাসপোর্ট বিতরণের আশ্বাস দেন। এর পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। উল্টো দিন দিন বড় হচ্ছে আটকে থাকা পাসপোর্টের সংখ্যা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভিএফএসের মাধ্যমে সব মিলে ২৫০ থেকে ৩০০টি ভিসা আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। বিপরীতে ভিসা নিষ্পত্তির পর পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ১৫০টি।

অভিবাসন খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নুলস্তার সত্যতা যাচাইয়ের কারণে দীর্ঘসূত্রতার দোহাই দেওয়া হলেও মূলত কাজটি খুবই সহজ। এটি যাচাই করা মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ব্যাপার। এর জন্য সাত থেকে আট মাস বা এক বছর সময় লাগাটা অযৌক্তিক। এর ফলে বৈধ পথ ছেড়ে অবৈধ পথেই পা বাড়াচ্ছেন ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীরা। এর দায় ভিএফএস গ্লোবাল এড়াতে পারে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ভিএফএস গ্লোবালের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। খুব দ্রুত এগুলোর সমাধান হবে।’ বিদেশগামী কর্মীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় জোরালোভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ইউরোপের শ্রমবাজারে ভিসা প্রক্রিয়ার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভিএফএস গ্লোবাল। বাংলাদেশসহ ১৪৭টি দেশে তারা ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তারা তাদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে ঢাকা বাদে বাকি দুই জেলায় শুধু প্রিমিয়াম সার্ভিস দেয় ভিএফএস গ্লোবাল। ঢাকায় প্রিমিয়াম সার্ভিসের পাশাপাশি সাধারণ সার্ভিসও চালু রয়েছে। তবে প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি। প্রতিবেশী দেশ ভারত প্রিমিয়াম সার্ভিসে যে সেবা দিচ্ছে, তার থেকে অনেক অনুন্নত সেবা দিয়েই কর্মীপ্রতি তিন হাজার ৮৯৯ টাকা বেশি নিচ্ছে ভিএফএস, যা বছরে গিয়ে দাঁড়ায় সাত কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

ভিসার আশায় মাসের পর মাস অপেক্ষায় থাকা ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ঠিক কী কারণে ভিসা পেতে এই দীর্ঘসূত্রতা? এর উত্তর খুঁজতে অনুসন্ধান করা হয়। এতে উঠে আসে দালালচক্রের সঙ্গে যোগসাজশে ভিএফএসের অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়াবহতা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিসা আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতেও কর্মীপ্রতি গুনতে হয় লাখ টাকা।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে সামনে আসে একটি নথি। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট রাত ১২টা ৪৯ মিনিট থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত স্লট ওপেন করে ৭৮টি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং দেওয়া হয়। ভিএফএসের ব্যবস্থাপক সাবিকুন্নাহারের ইউজার আইডি (ভিএফএস গ্লোবাল সাবিকুন্নাহ) ব্যবহার করা হয়। এমনকি সব অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয় একই আইপি অ্যাড্রেস (১০.১৫০.১০০.১৯) থেকে। এই অ্যাপয়েন্টমেন্টের একটি শিটও  হাতে এসে পৌঁছেছে। এখানে দেখা যায়, ‘এন্ট্রি নেম’-এর জায়গায় কোনো কর্মীর নাম নেই। সব জায়গায় লেখা ‘এলোকেশন ফর সেন্টার’। এমনকি ‘এন্ট্রি কলাম নেম’-এর জায়গায় ‘টোটাল সিটস’ লেখা রয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে অর্থাৎ অফিস চলাকালে স্লট ওপেন করা হয়ে থাকে। মধ্যরাতে স্লট খোলার বিষয়টি অস্বাভাবিক। এতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট জালিয়াতিতে ভিএফএসের যুক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ভিএফএসের অনিয়মের এখানেই শেষ নয়। সাধারণত চট্টগ্রাম কার্যালয়ে দিনে ২০ জনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। গত ৬ মে অতিরিক্ত ২০ জন ভিসাপ্রত্যাশী ভিএফএস চিটাগংয়ের অসংগতিপূর্ণ তথ্য সংবলিত মেসেজ পান, নিয়ম ভেঙে তাঁরাও একই দিনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সুযোগ পান।

অনুসন্ধান বলছে, ভিসাপ্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে ভিএফএস। একজন ভিসাপ্রার্থীকে নুলস্তা পাওয়ার পর পাসপোর্ট জমা দিতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভিএফএসের কাছে আবেদন করতে হয়। এ সময় আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) আসে, যার মেয়াদ থাকে তিন মিনিট। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, তাঁদের ফোনে এই ওটিপি আসতে ৯ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। ততক্ষণে আবেদনের প্রক্রিয়াটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। অথচ দালালের মাধ্যমে আবেদনে ওটিপির দরকার পড়ে না।

গত ১২ মে বিকেল ৩টায় ছদ্মবেশে আবেদনকারী সেজে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে নাফি টাওয়ারে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের কার্যালয়ের সামনে যায় অনুসন্ধানী দল। কিছুক্ষণ অবস্থান করতেই দেখা মেলে ওয়াহাব শিকদার নামের এক দালালের। জানতে চান অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে কি না। হ্যাঁ-সূচক জবাব দিতেই তিনি নিয়ে যান জমাদ্দার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের একটি অফিসের নিচে। সেখানে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর বস মামুন শেখের সঙ্গে।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে কী করতে হবে জানতে চাইলে মামুন শেখ নিজ থেকেই একে একে বলতে থাকেন করণীয় কী। তিনি এ সময় বলেন, ‘নুলস্তা যদি সঠিক হয় তাহলে আপনারা ডেট পাবেন। আমি আপনাকে বলি, মেইল করতে পয়সা লাগে না। কিন্তু আপনার প্রক্রিয়া জানতে হইব। লোক থাকতে হইব। আমরা ২৫ হাজার টাকা নিই। প্রথম যেদিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেব সেদিন আমরা পাঁচ হাজার টাকা নেব। বাকি ২০ হাজার টাকা আমরা পরে নিই। টাইম আমার ১৫ দিনও লাগে ২০ দিনও লাগে। কিন্তু আমরা ১০০ শতাংশ পাই।’ মামুন যে এরই মধ্যে অর্থের বিনিময়ে অনেককে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দিয়েছেন, এর কয়েকটি নমুনাও দেখালেন।

ভিসার আশায় ঘরে ঘরে হাহাকার

ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাচ্ছেন বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ তালিকায় অন্যতম অবস্থান বাংলাদেশের। সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে ডুবে মারা যান আটজন বাংলাদেশি। সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ‘ডিক্রেটো ফ্লুসি’র অধীনে বিপুলসংখ্যক কর্মী নিচ্ছে ইতালি। ইতালিতে সাধারণত বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা অনেক বেশি। বৈধ পথে সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অনেকের মনে আশার সঞ্চার হলেও ভিএফএসের কাছে জিম্মি হয়ে লাখো কর্মী এখন হতাশায় নিমজ্জিত। ফলে অনেকে আবার পা বাড়াচ্ছেন অবৈধ পথে।

১৩ মে সরেজমিনে গেলে ভিএফএস গ্লোবাল কার্যালয়ের সামনে কথা হয় সৌদিপ্রবাসী মানিকগঞ্জের সিংগাইয়ের বাসিন্দা শাহিন খানের সঙ্গে। ১০ লাখ টাকা জমা দিয়ে নুলস্তা পেয়েছিলেন। এরপর ভিসা পেতে সৌদি থেকে দেশে ফিরে গত বছরের ৮ অক্টোবর পাসপোর্ট জমা দেন ভিএফএসে। কদিন পর পর খোঁজ নিতে আসেন। এদিনও তিনি হতাশ হয়ে বের হন ভেতর থেকে।

শাহিন খান বলেন, ‘৯ মাসেও পাসপোর্ট ফেরত পাইনি। সামনের মাস পর্যন্ত সৌদি আরবের ভিসা রয়েছে। এখন যদি আমার ভিসা না দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দেয় তা-ও সৌদি যেতে পারব। নইলে দুই কুলই হারাতে হবে। পাসপোর্টের আশায় এ পর্যন্ত অনেকবার এসেছি। তাদের কাছে এলে বলে—আমরা আপনাকে জানাব, তখন আসবেন। এখন কবে যে জানাবে সেটাই তো বলে না। আগামী মাসের ৬ তারিখের আগে যদি আমি পাসপোর্ট ফেরত না পাই, তাহলে আমার সব দিক শেষ হয়ে যাবে।’

দিনভর সেখানে অবস্থান করে আরো কয়েকজন ভুক্তভোগীর দেখা পায় । তাঁদের মধ্যে আছেন সিংগাইরের আরেক ভুক্তভোগী মো. শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমি ইতালি যাব বলে এখন কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছি না। ৯ মাস ধরে আমার পাসপোর্ট আটকে রয়েছে। হয় আমাদের ভিসা দিক, না হয় পাসপোর্টগুলো ফেরত দিয়ে দিক। পাসপোর্ট ফেরত দিলেও আমরা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারি। এখন তো কোনো কিছুই করতে পারছি না।’

শরীয়তপুরের বাসিন্দা মাসফিক জামান বলেন, ‘আমরা এলে শুধু বলে, পাসপোর্ট ফেরতের মেসেজ যেদিন আসবে সেদিন আসবেন। আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতেই দেয় না। কবে যে পাসপোর্ট ফেরত পাব তারও কোনো ধরনের তথ্য তারা দিচ্ছে না। আমরা না যেতে পারছি ইতালি, না দেশে কিছু করতে পারছি। সব জায়গায় টাকা-পয়সা দিয়ে আমরা বসে আছি।’

দুবাইফেরত নোয়াখালীর জাকির হোসেন জানান, দালালকে টাকা দিয়েও পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সময় এক দালালকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এখন সে ইতালি চলে গেছে। আমার পরিচিত একজন ২০ হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্ট বের করতে পেরেছে। কিন্তু সে আমাকে সেই দালালের পরিচয় দিচ্ছে না। আমি জমি বিক্রি করে ১৩ লাখ টাকা দিয়ে নুলস্তা নিয়েছি। ভিসা না পেলে আমার সব শেষ হয়ে যাবে।’

ভিএফএসের প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে বছরে লোপাট ৭ কোটি টাকা

ভিএফএস গ্লোবালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিসা প্রসেসিং বাবদ সাধারণ সার্ভিসে ১৭ হাজার ৯৮০ টাকা এবং প্রিমিয়াম সার্ভিসে ২২ হাজার ৩১৮ টাকা নিয়ে থাকে। প্রিমিয়াম সার্ভিসে কর্মীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি ছবি তোলা এবং ফরম পূরণ করে দেওয়া হয়। সঙ্গে একটি মাফিন কেক, লেক্সাস বিস্কুট ও ফ্রুটিকা জুস দিয়ে আপ্যায়ন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রিমিয়াম সার্ভিসের মধ্যে একটি বড় সার্ভিস হলো হোম ডেলিভারি। অর্থাৎ কেউ যদি বাসা থেকে তার কাগজপত্র ভিএফএস গ্লোবালে পাঠিয়ে দিতে চায় এবং তার পাসপোর্ট বাসায় দিয়ে যাবে এই সার্ভিস নিতে চায়, তবে সে এই সার্ভিসটি নিতে পারবে।

সেবার মানে বড় ফারাক থাকার পরও ভারতের চেয়ে কর্মীপ্রতি তিন হাজার ৮৯৯ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে প্রতিদিন তিনটি শহরে ৭০ জনকে প্রিমিয়াম সার্ভিস দিয়ে থাকে ভিএফএস গ্লোবাল। মাসে ২২ দিন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ থেকে দেখা যায়, প্রিমিয়াম সার্ভিসের নামে প্রতিদিন দুই লাখ ৭২ হাজার ৯৩০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, যা প্রতি মাসে গিয়ে দাঁড়ায় ৬০ লাখ চার হাজার ৪৬০ টাকা এবং বছরে সাত কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২০ টাকা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিসাপ্রত্যাশীদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহ করে না ভিএফএস। অ্যাপয়েন্টমেন্ট কবে পাবেন, তাঁদের পাসপোর্ট এত দিন আটকে রাখার কারণ, আদৌ ভিসা সরবরাহ করা হবে কি না—এসব বিষয়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের কিছুই অবগত করে না সংস্থাটি। এমনকি ভিএফএসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুদে বার্তা ছাড়া আর কোনো মাধ্যমও নেই। ফলে মাসের পর মাস এমন দোটানায় পড়ে নাজেহাল হয় আবেদনকারী বা তাঁর পরিবার।

সেবার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরো তারতম্য লক্ষ করা গেছে। ভিএফএস গ্লোবাল ভারত ও বাংলাদেশের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলাদেশে ছয় মাসের মধ্যে নুলস্তার মেয়াদ থাকলে ভিএফএস গ্লোবালে আবেদন করতে পারে। তবে ভারতে নুলস্তার মেয়াদ ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেলে তারা সরাসরি ভিএফএস গ্লোবালের অফিসে যোগাযোগ করতে পারে। সে সময় তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়। ভারতে ভিএফএস গ্লোবালের ডাইনামিক ডিজিটাল ভেরিফিকেশন নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারীরা তাঁদের ভিসা কার্যক্রমের কাগজপত্রে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা ভিসা প্রক্রিয়ার মধ্যে ঠিক করে ফেলতে পারেন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই সফটওয়্যার আনা হয়নি। ভারতে একজন কর্মীর ভিসা প্রক্রিয়া হতে সময় নির্ধারণ করা হয় ৯০ দিন, অর্থাৎ তিন মাস। আর বাংলাদেশে ভিসা প্রক্রিয়ায় সময় নির্ধারণ করা হয় ১২০ দিন, অর্থাৎ চার মাস।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে ভিএফএস কার্যালয়ে গেলে কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। একাধিকবার চেষ্টার পর ফোনে পাওয়া যায় ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শান্তনু ভট্টাচার্যকে। মধ্যরাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট চালু করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, ‘এ রকম স্লট ওপেনই হয়নি। এই তথ্য সঠিক নয়। স্লট কখনোই ম্যানুয়ালি ওপেন হয় না।’

চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ২০ জনের অ্যাপয়েন্টের বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, ‘এভাবে বললে তো হয় না।’ এরপর এ বিষয়ে কথা বলতে আপত্তি জানান তিনি। তবে তিনি এ বিষয়ে সরাসরি অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

জানতে চাইলে অভিবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর চেয়ারপারসন ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘যাঁরা অনিয়মের পথ ধরে যাচ্ছেন তাঁরা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দালালকে অর্থ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইতালি যেতে চান, তাঁদের জন্য যে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করা হচ্ছে তা বৈধ পথের অভিবাসনের একটি বড় অন্তরায়। এ ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার বিএমইটির মাধ্যমে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত সমাধান বের করতে পারে। আমাদের আইনি ব্যবস্থা আছে। সেটার প্রয়োগ করতে হবে। সরকার চাইলে অবশ্যই এর প্রতিকার আসবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

Daily World News

ডক্টরেট ডিগ্রি পেল ম্যাক্স নামের বিড়াল

ব্রিটিশ রাজা চার্লস ক্যান্সারে আক্রান্ত

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোস্টেট বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জানুয়ারির শেষে চার্লস যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখনই তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে তিনি প্রোস্টেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত নন। ঠিক কোন ধরনের ক্যান্সারে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।

তবে বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার থেকে রাজার নিয়মিত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। রাজা তার চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি আশাবাদী এবং যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রকাশ্যে যেসব আনুষ্ঠানিকতায় রাজা অংশগ্রহণ করে থাকেন, সেগুলো আপাতত স্থগিত থাকবে এবং তার চিকিৎসার এই সময়টায় রাজ পরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা তার হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি সাংবিধানিক দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন এবং নথিপত্রে সই করা বা ব্যক্তিগত সাক্ষাতের বিষয়গুলোও যথারীতি চলবে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন রাজা তৃতীয় চার্লস। তার বয়স এখন ৭৫ বছর।

চার্লসের ক্যান্সার এখন কোন পর্যায়ে বা তার সুস্থ হতে কতদিন লাগতে পারে, সেসব বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বাকিংহাম প্যালেস।

হঠাৎ কি কারণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এর বাসভবন কালো কাপড়ে ঢাকা

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। সুনাকের এই বাসভবনটি ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতিকে পাশ কাটিয়ে উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়ায় পরিবেশকর্মীরা প্রতিবাদস্বরূপ এটি করেছে।

রয়টার্সের খবরের বলা হয়, গ্রিনপিস ইউকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির বিভিন্ন ছবি। একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইয়র্কশায়ারে কালো কাপড়ে ঢাকা সুনাকের বাসভবনের ছাদের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রিনপিস ইউকের চারজন কর্মী, আর নিচের লনে দুজন কর্মী হাতে একটি কালো কাপড়ের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।

সেই ব্যানারে লেখা— ‘ঋষি সুনাক, কোনটি গুরুত্বপূর্ণ— তেলের মুনাফা নাকি আমাদের ভবিষ্যৎ?’

সকাল ৯টার দিকে গ্রিনপিস ইউকের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয় এই ছবি। তার পরও অন্তত ২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেছেন প্রতিবাদকারীরা। পরে ইয়র্কশায়ার পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।

প্রিন্সেস ডায়ানার ৩২বছর আগের বেগুনি গাউন নিলামে উঠছে,দাম জানেন…?

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

কোটি মানুষের প্রিয় এক নাম প্রিন্সেস ডায়ানা। শুধু মাত্র ব্রিটেনের রাজ পরিবারের পুত্রবধূ হিসাবে নয় সুন্দর, ফ্যাশন এবং সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এখনো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন প্রিন্সেস ডায়ানা।

১৯৯৭ সালে ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৩৬ বছরের প্রিন্সেস ডায়ানা। মৃত্যুর এতো বছর পরও বিশ্ববাসীর কাছে বহুল চর্চিত নাম প্রিন্সেস ডায়ানা।

সম্প্রতি তার একটি বেগুনি গাউন নিলামে উঠেছে।  চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ‘সোথেবিস’-এ অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম।

প্রিন্সেস অফ ওয়ালেসের নিলামে ওঠা এই গাউনটি বেগুনি সিল্কের এবং মখমলের যুগলবন্দিতে তৈরি হয়েছে। স্ট্র্যাপলেস এই বল গাউনটি ডায়ানার বিখ্যাত সব পোশাকগুলোর মধ্যে পড়ে না ঠিকই। কিন্তু এই পোশাকটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য কম নয়।

১৯৯১ সালে একটি রাজকীয় পোর্টেট আঁকার জন্য ডায়ানা এই গাউনটি প্রথম পরেছিলেন। তারপর ১৯৯৭ সালে ডায়ানার মৃত্যুর কিছু দিন আগে একটি বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’-এ বেগুনি গাউনটি পরেই তার একটি ছবি বেরিয়েছিল।

চলতি মাসের শেষের দিকে যে গাউনটির নিলাম হতে চলেছে, সেটির আনুমানিক মূল্য রাখা হয়েছে ৮০ হাজার ডলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মধ্যে।

এর আগেও ডায়ানার প্রায় ৮০টি পোশাক নিলাম করে কয়েক কোটি টাকা উঠেছিল। সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল ‘এডস ক্রাইসিস ট্রাস্ট’ এবং ‘রয়্যাল মার্সডেন’ হাসপাতালের তহবিলে। এবারও ডায়ানার এই বেগুনি গাউনটি নিলাম প্রায় কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বরিস জনসন জিতেগেলেন দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে 

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

শেষরক্ষা হল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে জিতে গেলেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু দিন ধরেই প্রবল অস্বস্তিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁরই নিজের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো আজ স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুরু হয় ভোট। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গণনার ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা)। দেখা যায়, জিতেছেন বরিস। ফলে দলীয় নেতৃত্ব এব‌ং প্রধানমন্ত্রীর পদে অন্তত এক বছর থাকছেন তিনি (এক বার আস্থাভোট হওয়ার পরে এক বছরের আগে আর আস্থাভোট করা যায় না)।

কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতাদের একাংশ মনে করছিলেন, দেশের মানুষের কাছে তো বটেই, টোরিদের নেতা হিসেবেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বরিস। তাই আস্থাভোটের মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। টোরি এমপি-দের সেই সিদ্ধান্ত গত কালই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কনজ়ারভেটিভদের পার্লামেন্ট কমিটির নেতা গ্রাহাম ব্র্যাডি। আজ ভোটের আগে দলীয় এমপি-দের সঙ্গে কথা বলেন বরিস। দাবি করেন, এখনও তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।

শেষরক্ষা হল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে জিতে গেলেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু দিন ধরেই প্রবল অস্বস্তিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁরই নিজের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো আজ স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুরু হয় ভোট। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গণনার ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা)। দেখা যায়, জিতেছেন বরিস। ফলে দলীয় নেতৃত্ব এব‌ং প্রধানমন্ত্রীর পদে অন্তত এক বছর থাকছেন তিনি (এক বার আস্থাভোট হওয়ার পরে এক বছরের আগে আর আস্থাভোট করা যায় না)।

কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতাদের একাংশ মনে করছিলেন, দেশের মানুষের কাছে তো বটেই, টোরিদের নেতা হিসেবেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বরিস। তাই আস্থাভোটের মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। টোরি এমপি-দের সেই সিদ্ধান্ত গত কালই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কনজ়ারভেটিভদের পার্লামেন্ট কমিটির নেতা গ্রাহাম ব্র্যাডি। আজ ভোটের আগে দলীয় এমপি-দের সঙ্গে কথা বলেন বরিস। দাবি করেন, এখনও তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।

শেষরক্ষা হল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে জিতে গেলেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু দিন ধরেই প্রবল অস্বস্তিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁরই নিজের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো আজ স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুরু হয় ভোট। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গণনার ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা)। দেখা যায়, জিতেছেন বরিস। ফলে দলীয় নেতৃত্ব এব‌ং প্রধানমন্ত্রীর পদে অন্তত এক বছর থাকছেন তিনি (এক বার আস্থাভোট হওয়ার পরে এক বছরের আগে আর আস্থাভোট করা যায় না)।

কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতাদের একাংশ মনে করছিলেন, দেশের মানুষের কাছে তো বটেই, টোরিদের নেতা হিসেবেও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বরিস। তাই আস্থাভোটের মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। টোরি এমপি-দের সেই সিদ্ধান্ত গত কালই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কনজ়ারভেটিভদের পার্লামেন্ট কমিটির নেতা গ্রাহাম ব্র্যাডি। আজ ভোটের আগে দলীয় এমপি-দের সঙ্গে কথা বলেন বরিস। দাবি করেন, এখনও তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।

আস্থাভোটে জিততে বরিসকে যে বিষয়গুলি সাহায্য করেছে তা হল— প্রথমত, নির্বাচনী মুখ হিসেবে বরিসের গ্রহণযোগ্যতা এখনও অটুট রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। দ্বিতীয়ত, বরিসের অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে কে বসবেন, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এক সময়ে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনককে বরিসের যোগ্য উত্তরসূরি ভাবা হলেও তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী লিজ় ট্রাস অথবা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ছাড়া আর কোনও নামও সে ভাবে সামনে আসছে না। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, দলে বরিসের আস্থাভাজন এমন অনেক এমপি রয়েছেন, যাঁরা এ বার প্রথম ভোটে জিতেছেন কার্যত বরিসের কাঁধে ভর করেই। তাঁরা কোনও ভাবেই বরিসের আনুগত্য থেকে সরে আসবেন না বলেই মনে করা হচ্ছিল। ভোটের ফলাফলেও সেই আনুগত্যের প্রতিফলন দেখা গেল।

গত মাসেই পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটিশ আমলা সুজ়ান গ্রে-র রিপোর্ট (সু গ্রে রিপোর্ট) প্রকাশ্যে আসে। তার পর থেকেই তোলপাড় ব্রিটিশ রাজনীতি। ২০২০ সালে ব্রিটেন জুড়ে যখন কড়া কোভিড বিধি জারি ছিল, সেই সময়ে খাস প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ম ভেঙে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমে বিষয়টি অভিযোগের পর্যায়ে থাকলেও সু গ্রে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায়, সব অভিযোগই সত্যি। ২০২০ সালের জুন মাসে নিয়ম ভেঙে নিজের জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার জন্য ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছে বরিসকে। একা বরিস নন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী এবং ঋষি সুনক-সহ সরকারের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েক জন ব্যক্তিরও জরিমানা হয়েছে একই কারণে। প্রথমে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত সেই সব পার্টির কথা অস্বীকার করলেও রিপোর্ট পেশের পরে সমস্ত কিছুর দায় নিজে নেন বরিস। তবে পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, তিনি সামনে তাকাতে চান।

গত শুক্রবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনকালের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে সাধারণ মানুষের বিদ্রুপের শিকার হন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই আস্থা ভোটের সিদ্ধান্ত নেন টোরি এমপি-দের একাংশ।

Daily World News

অনন্ত আম্বানীর হবু বধূ কে এই রাধিকা মার্চেন্ট

 

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে যা বললেন এরদোগান

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে রাশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ সুইডেন-ফিনল্যান্ড। বরাবরই দেশ দুটির ন্যাটো সদস্য পদের বিরোধিতা জানিয়ে আসছে তুরস্ক। এবার ন্যাটো নিয়ে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সুইডেন ও  ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর শনিবার এরদোগান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ সময় সুইডেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেন এরদোগান।

ফোনে এরদোগান ২০১৯ সালে সিরিয়ায় অনুপ্রবেশের পর তুরস্কের উপর আরোপিত অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত বলে জানান।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং চরম বামপন্থী রেভুলেশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি-সি) সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছে তু্রস্ক।

তুরস্কের আপত্তি শর্তেও আঙ্কারার অবস্থান ন্যাটো যোগদান প্রক্রিয়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে পশ্চিমা নেতারা আস্থা প্রকাশ করেছেন।

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানের মতোই পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এরই ধারবাহিকতায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাজপ্রমের ইউরোপীয় সহায়ক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মস্কো।

মূলত ইউক্রেন একটি প্রধান গ্যাস ট্রানজিট রুট বন্ধ করার একদিন পর এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রশাসন। আর এতে করে বেকায়দায় পড়েছে ইউরোপ। রুশ গ্যাসের বিকল্প নিশ্চিত করতে ইউরোপের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। আজ শুক্রবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে যাওয়া রুশ গ্যাসলাইনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে তীব্র গ্যাস-সংকটে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ফলে গ্যাসের বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করার চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউরোপজুড়ে বেড়ে গেছে গ্যাসের দাম।

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে মস্কো ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোও সামনে শীত মৌসুমের আগে নিজেদের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের মজুদ পূরণের জন্য কার্যত হন্যে হয়ে দৌড়াচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, রাশিয়া গত বুধবার রাতে গ্যাজপ্রমের ইউরোপীয় সহযোগী সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার মধ্যে গ্যাজপ্রম জার্মানিয়াও রয়েছে। মূলত জ্বালানি সরবরাহ সুরক্ষিত রাখার জন্য জার্মানি গত মাসে ট্রাস্টিশিপের অধীনে এটি চালু করেছিল। এছাড়া ইউরোপে রুশ গ্যাস বহনকারী ইয়ামাল-ইউরোপ পাইপলাইনের পোলিশ অংশের মালিকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মস্কো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারী বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এসব কোম্পানির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না বা তারা রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের কাজে অংশ নিতে পারে না।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব কোম্পানির নাম রাশিয়ার সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত সেইসব দেশের যারা ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আরও ভালোভাবে বললে, এসব দেশের বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।

ইউরোপে রাশিয়ার জ্বালানির শীর্ষ গ্রাহক জার্মানি। দেশটি বলছে, গ্যাজপ্রম জার্মানিয়ার কিছু সহযোগী সংস্থা নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস পাচ্ছে না। জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেস্ট্যাগকে বলেছেন, ‘গ্যাজপ্রম ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মানে কিছু সহায়ক সংস্থা রাশিয়া থেকে আর গ্যাস পাচ্ছে না।’

কিয়েভ যে ট্রানজিট পয়েন্টটি বন্ধের দাবি করেছে সেটি দিয়ে সাধারণত ইউরোপে রাশিয়ার মোট গ্যাসের প্রায় ৮ শতাংশ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ওই লাইন দিয়ে দিয়ে মূলত অস্ট্রিয়া, ইতালি, স্লোভাকিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশে গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

English Dainikbiswa

করাচিতে বোমা বিস্ফোরণ

একজন ভারতীয় বৃটিশ নারী রাণী এলিজাবেথের চেয়েও ধনী…!

//আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক//

ভারতীয় এই নারী তাঁর ধনসম্পদের কারণে বেশ আলোচিত। অক্ষতা মূর্তি, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের স্ত্রী। সম্প্রতি তাঁর আবাসিক কর মওকুফ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। এর মাঝেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস ২০২১ সালের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অক্ষতা মূর্তির নাম রেখেছে। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ধনকুবের অক্ষতা মূর্তি যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চেয়েও সম্পদশালী।

ভারতের ধনী পরিবারের জন্ম অক্ষতা মূর্তির। তাঁর বাবা এন নারায়ণ মূর্তি (৭৫) প্রযুক্তি জায়ান্ট ইনফোসিস-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮১ সালে স্ত্রী সুধা মূর্তির কাছ থেকে ১৩০ ডলার ধার নিয়ে তিনি এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। ওয়াল স্ট্রিটে নাম যুক্ত করা প্রথম ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এটি।

অন্যদিকে অক্ষতার মা সুধা মূর্তি (৭১) পেশায় প্রকৌশলী। ভারতের খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরসের প্রথম নারী প্রকৌশলী ছিলেন তিনি। সুধা মূর্তি যখন টাটায় যুক্ত হন, তখন প্রতিষ্ঠানটিতে নারী প্রকৌশলী নিয়োগ না দেওয়ার নিয়ম ছিল। তিনি এ নিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে টাটার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।

ঋষি সুনাক ও অক্ষতা মূর্তির পরিচয় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ পড়ার সময়। সেখানেই প্রণয়, এরপর ২০০৯ সালের আগস্টে ভারতে তাঁদের বিয়ে হয়। ওই বিয়ের আসরে রাজনীতিক, শিল্পপতি, তারকাসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

অক্ষতা মূর্তি পেশায় একজন স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার। ২০১০ সালে তিনি তাঁর নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড অক্ষতা ডিজাইনস গড়ে তোলেন। এ ছাড়া বাবার কোম্পানি ইনফোসিসে ৪২ বছর বয়সী এ নারীর নামে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার রয়েছে। ২০১৩ সালে ঋষি সুনাকের সঙ্গে যৌথভাবে কাতামারান ভেঞ্চারস নামে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অক্ষতা মূর্তি। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।

English Dainikbiswa

বোরোদিয়াংকার পরিস্থিতি বুচার হত্যাকান্ডের থেকে মারাত্মক

ইউক্রেনে রুশ বিমানবাহিনীর তৎপরতা কি কমে গেল….!

//আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ইউক্রেনে ব্যাপকভাবে আঘাত হানবে রাশিয়া। নিজেদের শক্তিশালী বিমানবাহিনীকে দ্রুত মাঠে নামিয়ে ইউক্রেনের আকাশে নিজ যুদ্ধবিমানের আধিপত্য প্রদর্শন করবে মস্কো। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আকস্মিক রুশ অভিযান শুরুর আগে এমনটাই আভাস দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

হামলা শুরুর পর আট দিন পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে ইউক্রেনে রুশ বিমানবাহিনীর তত্পরতা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের আভাসের বিপরীত চিত্রই যেন দেখা গেছে। যুদ্ধে নিজের বিমানশক্তিকে এখন পর্যন্ত জোরালোভাবে খাটায়নি দেশটি। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে আল–জাজিরা ও দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনসের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর শক্তির ফারাক বেশ বড়। রাশিয়ার হাতে ১৩২টি বোমারু বিমান রয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের কোনো বোমারু বিমান নেই। রাশিয়ার ৮৩২টি যুদ্ধবিমানের বিপরীতে ইউক্রেনের রয়েছে ৮৬টি। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পরিবহন উড়োজাহাজের সংখ্যাও যথাক্রমে ৩৫৮ ও ৬৩।

রাশিয়া–ইউক্রেন দুই দেশের বিমানবাহিনীর অন্যান্য অস্ত্রের তুলনামূলক চিত্রটাও অনেকটা একই। তবে ড্রোনের সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ইউক্রেন। দেশটির ৬৬টি ড্রোনের বিপরীতে রাশিয়ার রয়েছে মাত্র ২৫টি।

হামলা শুরুর পর মার্কিন গোয়েন্দাদের মতো আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সমর বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, শুরুতেই ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টা করবে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো। ‘দ্য মিস্ট্রিয়াস কেস অব দ্য মিসিং রাশিয়ান এয়ার ফোর্স’ শিরোনামে যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমেই প্রতিপক্ষের বিমানবাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা ‘প্রত্যাশিত একটি পদক্ষেপ’। ১৯৩৮ সাল থেকে প্রায় সব যুদ্ধে এমনটিই দেখা গেছে। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনে।

রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক শক্তিতে ব্যাপক ফারাক থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর বেশ তত্পরতা দেখা যাচ্ছে। তারা আকাশ ও স্থলপথে রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে স্বল্প পরিসরে পাল্টা প্রতিরক্ষামূলক হামলা পরিচালনা করছে। যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও এখন পর্যন্ত সফল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। দেশটির ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষিপ্ত রকেট যেমন রুশ যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তেমনি রুশ পাইলটদের জীবনের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।

জেনসের কর্মকর্তা গ্যারেথ জেনিংস বলেন, বিশাল সংখ্যার কারণে রাশিয়ার বিমানবাহিনী শক্তি–সামর্থ্যের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তারপরও ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তত্পরতা রুখতে ও রুশ বাহিনীকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আকাশে যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা দরকার, সেটি রাশিয়া অর্জন করতে পারেনি।

বর্তমানে রুশ বিমানবাহিনীর সীমিত তৎপরতার কারণ কী, তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা নেই মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নিজেদের যুদ্ধবিমান ও পাইলটদের বড় ঝুঁকির মুখে ফেলার ইচ্ছা নেই রাশিয়ার।

অপর দিকে রাশিয়ার ভাবগতিকে বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যায়িত করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেন পলিসির রুশ সেনাবাহিনীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ রব লি। তাঁর মতোই অনেকটা মত সাবেক ফরাসি সেনা কর্মকর্তা মিশেল গোয়ার। তাঁর কথায়, ‘রাশিয়ার বিমানবাহিনীর দক্ষতার ঘাটতি এই সংঘাতে বিস্ময় জাগানো কারণসমূহের একটি।’

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার স্থলবাহিনীর সঙ্গে বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে ঘাটতি দেখছেন কোনো কোনো সামরিক বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, ইউক্রেনে রুশ স্থলবাহিনীকে কয়েকটি বড় দলে পাঠানো হয়েছে। দলগুলোর কয়েকটিকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষায় রাশিয়ার বিমানবাহিনীর নজরদারি দেখা যায়নি। এর মধ্যে আবার তুরস্কের ড্রোন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাওয়ায় শক্তি বেড়েছে ইউক্রেনের। ফলে অরক্ষিত রুশ সেনারা আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মস্কোসমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গত আট বছরের লড়াই থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। যদিও লড়াই চলছে মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো পুরোনো ধাঁচে। অপর দিকে সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ায় স্থলযুদ্ধ কৌশলের সঙ্গে বিমান ও ড্রোন হামলার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সক্ষমতার জানান দিয়েছে তারা। সিরিয়ার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও ‘নির্ভুলতা, নমনীয়তা ও আন্তঃকার্যক্ষমতার’ দিক দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিমানবাহিনীর চেয়ে রুশ বিমানবাহিনী অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন ফরাসি সেনা কর্মকর্তা মিশেল গোয়া।

যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার বিমানশক্তি ব্যবহারে অনাগ্রহ অবাক করেছে অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ডেভিড ডেপতুলাকে। তিনি বলেন, কোনো যুদ্ধে একাধিক বাহিনীর সমন্বয় করা যে অতটা সহজ না, তা রাশিয়া বুঝতে পেরেছে। এ বিষয়ে তাদের যতটা দক্ষ মনে করা হচ্ছিল, আদতে তেমনটা তারা নয়।

রাজধানী কিয়েভ ও অন্য শহরগুলোতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এসব স্থানে বিমান হামলা চালাতে রাশিয়াকে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, বেশি নিচু থেকে হামলা চালালে যুদ্ধবিমানগুলো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আওতায় এসে ধ্বংস হতে পারে। অপর দিকে অনেক উঁচু থেকে হামলা হলে বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান এফএমইএসের গবেষণা প্রধান পিয়েরে রাজউক্স বলেন, ‘আপনারা বুঝতে পারছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরস্পরবিরোধী উদ্দেশ্যের পেছনে ছুটছেন। একদিকে নিজের ক্ষমতা জাহির করছেন। অপর দিকে যেকোনো মূল্যে (যত ক্ষয়ক্ষতিই হোক) একটি শহর দখলের মতো সীমাকেও অতিক্রম করছেন না।’

রুশ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার সক্ষমতার অভাব থাকতে পারে বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরইউএসইর উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন ব্রঙ্ক। রুশ বিমান হামলা দেরিতে শুরুর এটিও একটি কারণ হতে পারে বলে ধারণা তাঁর।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, সিরিয়ায় রুশযুদ্ধবিমানগুলো হামলা চালাতে প্রায়ই আনগাইডেড মিসাইলের ওপর নির্ভর করত। এ থেকে এই ইঙ্গিত মিলছে, রাশিয়ার পাইলটরা শুধু লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার সঙ্গে কম পরিচিতই নন, দেশটির বিমানবাহিনীতে এমন প্রযুক্তির অভাবও রয়েছে। আবার ভুলবশত নিজেদের সেনাদের ওপরই হামলার শঙ্কা জোর বিমান হামলার ব্যাপারে দেশটির বিমানবাহিনীর অনাগ্রহের আরেক কারণ বলে মনে করেন জাস্টিন ব্রঙ্ক।

এদিকে আপাতত ইউক্রেনে রুশ বিমানবাহিনী ততটা তত্পর না হলেও, শিগগিরই এমন পরিস্থিতি না–ও থাকতে পারে বলে মনে করছেন ব্রঙ্ক।

তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা, মস্কো টাইমস, রয়টার্স ও এএফপি

পড়ুণ দৈনিক বিশ্ব

English Dainikbiswa

সরকার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিনাশে বদ্ধপরিকর : ড. হাছান মাহমুদ