খুলনার রূপসায় কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেশিন দিয়ে প্রশংসা স্থাপন নির্বাহীর

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

খুলনার রূপসার বিভিন্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত ১০ নভেম্বর সকাল ১১ টায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ মেশিন দিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা। তারই প্রচেষ্টার জন্য রূপসার নারী শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো পেল প্রযুক্তিনির্ভর এক বৈপ্লবিক সমাধান।

বিতরণী সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কিশোরীদের ঋতুস্রাবের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার বাড়াতে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ মেশিন উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছর উন্নয়ন তহবিল হতে দেওয়া হয়। এ বছর প্রথম স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেশিন পাচ্ছে সৈয়দ আরশাদ আলী সবুরন্নেছা গার্লস কলেজ, যুগিহাটি খান মোহাম্মদপুর শিরগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমরেড রতন সেন বালিকা বিদ্যালয়, নৈহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় গুলিতে ১টি করে মেশিন দেয়া হয়েছে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তরুন কুমার বালা, উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. সাইদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা আশ্বাফুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- আইচগাতী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মাসুম বিল্লাহ, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল ইসলাম বিশ্বাস, নৈহাটী ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস, সাংবাদিক নেতা রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

রূপসায় ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

//এম মুরশীদ আলী//

খুলনা-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল এর নির্বাচনী প্রচারণা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রূপসা উপজেলা সদর কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম কামরুজ্জামান টুকু।

প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন- উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক শাহ আলম ভূইয়া।

রূপসায় ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কৃষক দলের ইউনিয়ন আহ্বায়ক ওলিয়ার রহমান খান এর সভাপতিত্ব এবং সেক্রেটারি মো. হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. সোহাগ সিকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মুন্না সরদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদশা জমাদ্দার, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক এস, এম. জাহিদর রহমান মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক জামিল সরদার, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল শেখ, ইউনিয়ন আহ্বায়ক রুহুল আমিন, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল হাওলাদার, নৈহাটি ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক মো. সেলিম সরদার, নৈহাটি ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক, ঘাটভোগ ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব বিধান পোদ্দার, টিএসবি ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. জসিম শেখ, টিএসবি ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান ঢালী, মো. বাকির হোসেন, রাজিব শেখ, মোতালেব শেখ, কাজী শহিদুল, হারুন অর রশিদ, দ্বীন ইসলাম, প্রবীর, হযরত, শাহিনুর, হেলাল, সৈয়দ মুস্তাইন।

আলোচনা শেষে রূপসার টিএসবি ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে এক বিশাল মিছিল উপজেলা সদর মেইন মেইন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে গাড়ির বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন…..

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক//

গাড়ির নাম্বার প্লেট শুধু একটি সনাক্তকরণ নম্বর নয়, এটি গাড়ির ধরন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেয়।

বাংলাদেশে গাড়ির নাম্বার প্লেটে শহরের নাম, সংখ্যা এবং একটি বাংলা বর্ণ থাকে, যা গাড়ির ক্যাটাগরি বা শ্রেণি নির্দেশ করে।

যেমন- ‘ঢাকা মেট্রো গ ১৫-৪৩২১’ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন এটি ঢাকা মহানগরীর একটি গাড়ি, আর ‘গ’ বর্ণটি গাড়ির ধরন সম্পর্কে জানায়।

চলুন, জেনে নিই এই বাংলা বর্ণগুলো কী বোঝায় এবং কীভাবে এগুলো গাড়ির শ্রেণি নির্ধারণ করে।

নাম্বার প্লেটের ফরম্যাট

বাংলাদেশে গাড়ির নাম্বার প্লেট একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ করে: শহরের নাম – গাড়ির ক্যাটাগরি (বাংলা বর্ণ) – গাড়ির নম্বর। যেমন- ‘ঢাকা মেট্রো ক ১১-১৬৯৭৮’-এ:

ঢাকা মেট্রো: গাড়িটি ঢাকা মহানগরীর আওতায় রেজিস্টার্ড।

ক: গাড়ির ক্যাটাগরি, যা এখানে প্রাইভেটকার নির্দেশ করে।

১১: রেজিস্ট্রেশন নম্বর।

১৬৯৭৮: গাড়ির সিরিয়াল নম্বর।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) গাড়ির ধরন, ইঞ্জিন ক্ষমতা এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্য অনুযায়ী এই বর্ণ নির্ধারণ করে।

মোট ১৯টি ক্যাটাগরি রয়েছে, যার মধ্যে একটি (‘য’) প্রধানমন্ত্রীর/ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গাড়ির জন্য সংরক্ষিত। বাকি ১৮টি জনসাধারণের গাড়ির জন্য।

বাংলা বর্ণ ও গাড়ির ক্যাটাগরি

নিচে বিআরটিএ নির্ধারিত বাংলা বর্ণ এবং তাদের দ্বারা নির্দেশিত গাড়ির ধরন দেওয়া হলো:

ক: প্রাইভেটকার (৮০০ সিসি)

খ: প্রাইভেটকার (১০০০-১৩০০ সিসি)

গ: প্রাইভেটকার (১৫০০-১৮০০ সিসি)

ঘ: জিপগাড়ি

চ: মাইক্রোবাস

ছ: ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও লেগুনা

জ: মিনিবাস

ঝ: বড় বাস বা কোস্টার বাস

ট: বড় ট্রাক

ঠ: ডাবল কেবিন পিক-আপ

ড: মাঝারি ট্রাক

ন: ছোট পিক-আপ

প: ট্যাক্সি ক্যাব

ভ: প্রাইভেটকার (২০০০+ সিসি)

ম: পণ্য পরিবহন ও ডেলিভারির জন্য পিক-আপ

দ: প্রাইভেট/নিজস্ব সিএনজি চালিত অটোরিকশা

থ: ভাড়ায় চালিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা

হ: মোটরবাইক (৮০-১২৫ সিসি)

ল: মোটরবাইক (১৩৫-২০০ সিসি)

ই: ভটভটি টাইপের(ছোট ও হালকা) ট্রাক

য: প্রধানমন্ত্রী/ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গাড়ি

এই বর্ণগুলো দেখে সহজেই বোঝা যায় গাড়িটি কোন ধরনের— ব্যক্তিগত পরিবহন, বাস, ট্রাক নাকি মোটরসাইকেল।

এছাড়া ইঞ্জিন ক্ষমতা এবং ব্যবহারের ধরন (ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক) সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।

যে কারণে এই বর্ণগুলো জানা জরুরি

নাম্বার প্লেটের বাংলা বর্ণ জানা থাকলে গাড়ির শ্রেণি, ইঞ্জিন ক্ষমতা এবং রেজিস্ট্রেইশন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

এটি গাড়ি সনাক্তকরণ, নিরাপত্তা এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়ক।

যেমন- একটি ট্যাক্সি ক্যাব (‘প’) আর প্রাইভেটকার (‘ক’, ‘খ’, ‘গ’, ‘ভ’) আলাদা করা যায়, যা যাত্রী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময়ও গাড়ি সম্পর্কে ধারণা পেতে উপকার হয়।

আধুনিক প্রযুক্তি ও গাড়ির নিরাপত্তা

নাম্বার প্লেটের পাশাপাশি গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন ‘ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ ব্যবহার হচ্ছে।

গাড়ির নাম্বার প্লেটে থাকা বাংলা বর্ণ শুধু একটি অক্ষর নয়, এটি গাড়ির পরিচয় ও বৈশিষ্ট্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

বিআরটিএ’র নির্ধারিত এই বর্ণগুলো জানা থাকলে রাস্তায় গাড়ি দেখেই বুঝতে পারবেন এটি কোন ধরনের যানবাহন।

তাই গাড়ি কিনতে বা রাস্তায় কোনো গাড়ি দেখলে নাম্বার প্লেটের বাংলা বর্ণের দিকে একটু নজর দিন, গাড়ির ধরন সম্পর্কে জানতে পারবেন সহজেই!

তথ্যসূত্র: ১৯৬৫০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়), ডিসেম্বর ২৭ , ২০২২ পৃষ্ঠা ১২৬।

রূপসায় ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রূপসায় টাইফয়েড টিকা প্রথমদিন পেল ১৯৯৫ জন শিক্ষার্থী

 

বিনা পাসপোর্টেও ভারতে বৈধভাবে থাকার নতুন নিয়ম

//দৈনি বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে ভারতে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্য কোনো ভ্রমণ নথি ছাড়াই সেখানে থাকতে পারবেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা ব্যক্তিরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কোনো ব্যক্তি—হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান—যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা নিপীড়নের আশঙ্কায় ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর আগে প্রবেশ করেছেন, তারা বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন। বৈধ পাসপোর্ট বা নথি নিয়ে যারা এসেছিলেন কিন্তু যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এ নিয়মের বাইরে থাকবেন।’

 

এনবিআর বিলুপ্ত|| নতুন দুটি বিভাগ তৈরির অধ্যাদেশ পাশ

//দৈনিক বিশ্ব//

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ ‘রেভিনিউ পলিসি ডিভিশন’ এবং ‘রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন’ তৈরির অধ্যাদেশ পাশ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) ২০২৫ নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

অধ্যাদেশটিতে আনা সংশোধনী অনুযায়ী, নতুন দুটি বিভাগের মধ্যে ‘রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের’ প্রধানের পদে এনবিআরের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ‘রেভিনিউ পলিসি ডিভিশনেও’ সরকার চাইলে এনবিআর অথবা যোগ্যতা সম্পন্ন অন্য কোনো বিভাগ থেকে নিয়োগ দিতে পারবে।

আগের অধ্যাদেশে ‘রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের’ প্রধান পদে রাজস্ব আহরণ সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞদের ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়ার কথা থাকলেও সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব আহরণ সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে, এরকম কোনো যোগ্য সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে নিয়োগ দেবে।’ এর মাধ্যমে মূলত এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই এই বিভাগের প্রধান নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

একইভাবে, ‘রেভিনিউ পলিসি ডিভিশনের’ প্রধান হিসেবে আগে ‘উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে’ নিয়োগের কথা বলা ছিল। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘সরকার সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি, পরিকল্পনা, রাজস্ব নীতি বা ব্যবস্থাপনা কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তাকে রেভিনিউ পলিসি ডিভিশনে নিয়োগ দিতে পারবে।’

ফলে এক্ষেত্রে সরকার চাইলে এনবিআর অথবা অন্য কোনো বিভাগের যোগ্য কর্মকর্তাকে এ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। এ ছাড়া উভয়-বিভাগে কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

গত মে মাসে সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন অধ্যাদেশ জারির পরে এনবিআরের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাদের আন্দোলনের মুখে পরবর্তীতে অধ্যাদেশটি সংশোধন করা হয়।

কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল, অধ্যাদেশটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে দুটি বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয় এবং রাজস্ব কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে আসার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে।

রাজ্জাক সভাপতি, তৌহিদ সম্পাদক রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন

//আঃ রাজ্জাক শেখ, খুলনা ব্যুরো//

রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাবের এক সভা গতকাল বিকালে ক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে (২০২৫-২৭) ক্লাবের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সভাপতি আ: রাজ্জাক শেখ, (জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক অবজারভার, দৈনিক খোলা কাগজ), সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোয়াজেম হোসেন, (জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সিনিয়র রির্পোটার), কার্যকরী সহ-সভাপতি এস এম নুর ইসলাম, (জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ সিনি: স্টাফ রিপোর্টার), সাধারণ সম্পাদক মো: তৌহিদ উদ্দিন শেখ, (দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন), যুগ্ম-সম্পাদক মো: মামুন শেখ (জাতীয় দৈনিক আমার বার্তা ও আলোকিত বাংলাদেশ), কোষাধ্যক্ষ মো: শামীম চোধূরী, (স্টাফ রিপোটার্র দৈনিক আজকের কন্ঠস্বর), সাংগঠনিক সম্পাদক  মো: গোলাম রব্বানী, (স্টাফ রির্পোটার দৈনিক জন জাগরণ), আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মো: রায়হান আলী, (জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন খুলনা ব্যুরো), দপ্তর সম্পাদক  ফালগুনি দাস ( জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার). প্রচার সম্পাদক গোলাম হোসেন ডালিম, (অপরাধ তথ্যচিত্র), নির্বাহী সদস্য এইচ এম রোকন  (দৈনিক পূর্বাঞ্চল নিজস্ব প্রতিবেদক), নির্বাহী সদস্য খাঁন শফিকুল ইসলাম, (সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক সূবর্ণ নিউজ), নির্বাহী সদস্য ফ ম আইয়ুব আলী (দৈনিক প্রবর্তন), নির্বাহী সদস্য মো: মিরাজ শেখ, (দৈনিক গণবার্তা), সদস্য মোল্লা জাহাঙ্গির আলম, (জাতীয় দৈনিক বাংলার দুত স্টাফ রিপোর্টার), মো: মাহাবুব আলম (জাগরণী টিভি খুলনা প্রতিনিধি), বাণীব্রত মজুমদার (প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক বিশ্ব), মোঃ ফিরোজ শেখ (খুলনার বাণী স্টাফ রিপোর্টার), মো:  কুরবান শেখ, (দৈনিক আজকের কন্ঠস্বর, রূপসা প্রতিনিধি), রাণী শিকদার, জাতীয় দৈনিক বাংলার দুত রূপসা প্রতিনিধি)।

রূপসায় আইন-শৃঙ্খলা সভায়  ঘরেই অনলাইন জিডি করার পরামর্শ

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় সভাপতি নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা বলেন- রূপসা খেয়াঘাটে যাত্রী উঠানামা পন্টুন সমস্যার সমাধান এবং রূপসা বাস স্ট্যান্ড সহ অন্যান্য স্ট্যান্ড এলোমেলো গাড়ি রাখা থেকে সরে সারিবদ্ধভাবে রাখার নির্দেশ প্রদান করা হবে। তাছাড়া মাদক-জুয়া নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে সকলকে সচেতন করতে হবে। প্রত্যেক শিশু জন্মের পর জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতা করা বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদকে গুরুত্ব দিতে বলেন। বাজার তদারকি এবং চলমান বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থেকে রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তাছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম শুরু করা হবে। যাদের বয়স ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত তারাই এ টিকা নিতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে তিনি ৩০ জুলাই সকাল ১১টায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা মাসিক সভায় বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মাজেদুল হক কাওসার।

আইন-শৃঙ্খলা সভায় রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ঘরে বসে কিভাবে অনলাইনে জিডি করা যায়, সে বিষয়ে ভিডিও প্রজেক্টের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখিয়ে দেন। হাতের মোবাইল ফোনের প্লে স্টোর থেকে অনলাইন জিডি সার্চ করে এপ্লিকেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে সহজে জিডি করতে পারবেন এবং অন্যদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে আহবান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কুদ্দুস, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, আনসার-ভিডিপি সহকারি কর্মকর্তা বিপুল গাজী, রূপসা পল্লী বিদ্যুৎ ব্রাঞ্চ এজিএম প্রকৌশলী মো. এ হালিম খান, সামন্তসেনা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শফি উদ্দিন নেছারী, মুক্তিযোদ্ধা হাসান মাহমুদ, আইচগাতী ইউনিয়ন (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. মাসুম বিল্লাহ, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল ইসলাম বিশ্বাস, টিএসবি ইউনিয়ন (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. আসাফুর রহমান ও চেয়ারম্যান প্রতিনিধি, জামায়াত ইসলামী উপজেলা আমীর মাওলানা হাবিবুল ইসলাম, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মো. ওবাইদুল্লাহ সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মো. ফাহাদ গাজী, তামিম হাসান লিওন, শামিল হাওলাদার, সজল ইসলাম এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, এনজিও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

‘এ-চালান’ এর মাধ্যমে অনলাইনে শুল্ক-কর জমা দেওয়ার সুবিধা চালু হলো 

//দৈনিক বিশ্ব//

অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে নতুন অর্থবছরের শুরুতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট শুল্ক-করাদি অটোমেটেড চালান সিস্টেমের (এ-চালান) মাধ্যমে অনলাইনে সরাসরি সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। চালু হওয়া এ ব্যবস্থায় আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্টরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যে কোনো সময় শুল্ক-কর পরিশোধ করতে পারবেন।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সিস্টেমের মাধ্যমে এনবিআরের কাস্টমস সিস্টেম অ্যাসিকুডা ওয়ার্ল্ড এবং অর্থ বিভাগের আইবিএএস++ প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সফল প্রযুক্তিগত সংযুক্তি (ইন্টিগ্রেশন) সম্পন্ন হয়েছে। ফলে অফলাইন বা অনলাইন উভয় উপায়ে করদাতারা নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি সরকারি কোষাগারে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি তহবিলে জমা হবে এবং রাজস্ব খাতে সরকারের তাৎক্ষণিক ব্যয় সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।

 

আগে আটিজিএস পদ্ধতির মাধ্যমে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শুল্ক-কর জমা দিলেও তা কোষাগারে পৌঁছাতে কয়েক দিন সময় লাগত, যার ফলে সরকারের আর্থিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতো। নতুন ব্যবস্থায় সেই বিলম্ব দূর হয়ে ২৪ ঘণ্টা, সাত দিন যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর পরিশোধ ও পণ্য খালাস সম্ভব হবে।

এ-চালান সিস্টেমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট, এমক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদি মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে। পাশাপাশি দেশের ৬১ ব্যাংকের ১১,৭০০ শাখা থেকে চেক ক্লিয়ারিং বা অ্যাকাউন্ট ডেবিটের মাধ্যমেও শুল্ক-কর জমা দেওয়া যাবে। পরিশোধ শেষে সিস্টেম জেনারেট করা রসিদ নম্বর দিয়েই বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ১ ও ২ জুলাই প্রশিক্ষণের পর ৩ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতিতে শুল্ক-কর আদায় শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে ৭৫টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ১৩ কোটির বেশি টাকার রাজস্ব সরাসরি কোষাগারে জমা হয়। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল কমলাপুর আইসিডিতে এবং পরবর্তীতে পানগাঁও কাস্টম হাউসে এ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৭ জুলাই থেকে ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস স্টেশনেই এ-চালান সিস্টেম চালু হবে। এনবিআর মনে করে, এই উদ্যোগ রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে, পণ্য খালাসের গতি বাড়াবে এবং সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা নিয়ে আসবে।

 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রূপসার একমাত্র ইয়াসিন এর কবর জিয়ারতকরেন নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা

//এম মুরশীদ আলী : রূপসা//

২০২৪ শে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রূপসার একমাত্র ইয়াসিন। তাঁর পরিবারের সাথে গত ৩ জুলাই সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন- নবাগত নির্বাহী অফিসার সানজিদা রিক্তা এবং রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান। তাকে স্মরণ রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা প্রতিনিধি দল নৈহাটি রহিমনগরস্থ কবরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শেষে রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক তামিম হাসান লিয়ন বলেন- শহীদ ইয়াসিন ছিলেন, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরূদ্ধে আমাদের চলমান আন্দোলনের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর আত্মত্যাগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি আরও বলেন- আমরা বিশ্বাস করি, শহীদদের স্মৃতি রক্ষা করা এবং তাঁদের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য- ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ ইয়াসিন রূপসার ইতিহাসে একটি গৌরবময় নাম।

এসময় উপস্থি ছিলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হাওলাদার, সংগঠক তামিম হাসান লিয়ন, সদস্য ফাহাদ গাজী, সদস্য তরিকুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মেহেরাব মেহেরাব হোসেন, মেরাজ আলি হালদার, সোহান সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী।

হাজার বছরের বট ছায়ায় কৃষকের বিশ্রামে বাধা হচ্ছে একটি পরিবার

//এম মুরশীদ আলী//

কৃষক বিশ্রামের হাজার বছরের বট ছায়া ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে একটি পরিবার, এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনাটি রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন ডোমরা ২ নং ওয়ার্ডের পুটিমারী এলাকায়। ১০/১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের হাজার হাজার বিঘা জমিতে শত শত কৃষক প্রতিদিন শ্রমবিনিময়ে উপর্জনের নির্ভরশীল ক্ষেত্র। এ বিলে ধানের ফলণ, মৎস্য চাষ, তরিতরকারি সহ নানাবিদ ফসল উৎপাদনে দেশের ঘাটতি পূরণে সহয়তা করে। অথচ বাদশা শেখ ও তার পরিবারটির অত্যাচারে মাঠের কৃষকরা বট বৃক্ষের শান্তির ছায়া আশ্রয়স্থল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাজার বছরের বট ছায়ায় কৃষকের বিশ্রামে বাধা হচ্ছে একটি পরিবার

ক্ষুব্ধ কৃষকরা হলেন- শাহ আলম, মো. কামাল শেখ, হেকমত, আসগর আলী, মো. আইয়ুব আলী, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম, হাসান গাজী, ইমদাদুল ইসলাম, সবুজ, মনোয়ারা বেগম, আনজিরা বেগম, খুরশিদা বেগম, জোসনা বেগম, শারমিন বেগম, শিল্পি বেগম, সেলিনা বেগম প্রমূখ।

তারা বলেন- ডোমরা উত্তরপাড়া বিলে হাজার বছরের এ বট বৃক্ষ, কে রোপন করেছেন? তা না জানলেও তৎকালীন সময়ে দুইব্যাক্তি তাদের ৮ শতক জমি কৃষকের বিশ্রামের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ব্যবহার করেনি, যা পূর্বপুরুষ থেকে শুনে আসছি। পরবর্তীতে এ স্থানটি ডোমরা মৌজায় ১৯২২ সালে প্রজাসত্ব থেকে পিএস, ১৯৩০ সালে কালেক্টর বাহাদুর নামে রেকর্ড সহ খাস-খতিয়ান ভুক্ত হয়। যাহা (কালামের মার বটতলা) নামে পরিচিত। কতিপয় ব্যাক্তিদ্বয়ের দানের জমির উপর বট বৃক্ষের ছায়া আজও বিদ্যমান।

এলাকার সৌন্দর্য রক্ষার্থে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্র ও সংগঠক তামিম হাসান লিয়ন বলেন- বটবৃক্ষের নিচের জমি ছেড়ে দিতেই হবে। এ অধিকার কৃষক ও পর্যটনের জন্য। বহু বছরের এ বটবৃক্ষ দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছুটে আসে। মনোরম ফাকা যায়গায় এই বটের ছায়ার নিচে শান্তির বাতাস উপভোগে স্বস্তি পায়। এতে এলাকার ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এই সৌন্দর্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। ছাত্ররা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন- আমি এ পরিবারের সাথে কয়েকবার বসেছি এবং বলেছি এখানে প্রতিদিন শত শত কৃষক বট ছায়ার নিচে বসে। সেখানে ঘর বাধা, একাধিক কুটার পালা, গরুর গোবর-প্রস্রাব ইত্যাদি অপরিস্কার দুর্গন্ধ সৃষ্টির ফলে বিশ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বরং তোমাদের জমিতে গিয়ে এগুলো করো। তাছাড়া গ্রামের ছেলে-মেয়েরা প্রতিনিয়ত খেলাধুলা করে থাকে। তার পরেও শুনলো না ওরা ! অনেক চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আর কিছু বলি না।