Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বিনোদন - দৈনিক বিশ্ব

উপহারের জন্য ৫০০ টাকা জমা দেবার নোটিশ দিয়েছে পাত্রের অধ্যক্ষ বাবা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষের ছেলের বিয়েতে উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা চেয়ে কর্মীদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের সব কর্মচারীকে আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে এই টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৪ জুন কলেজের প্রধান সহকারী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, ‘অত্র কলেজের সকল কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে আগামী ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়ের পুত্রের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনে আপনি নিমন্ত্রিত।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘এ উপলক্ষে সকল কর্মচারীকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ টাকা অত্র কলেজের মো. আবুল হোসেনের নিকট আগামী ৫ জুলাই শুক্রবারের মধ্যে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহসীন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ বিষয়ে কলেজের প্রধান সহকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেছেন, কলেজের কারও অনুষ্ঠান হলে এভাবেই নিমন্ত্রণ করা হয়।’

অধ্যাপক মো. মহসীন কবির আরও বলেন, ‘আমি কলেজের প্রধান সহকারী ও হিসাবরক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম আমার সব কলিগকে (সহকর্মী) কার্ড দিয়ে দাওয়াত করার জন্য। এভাবে টাকা চেয়ে নয়।’

তৃতীয় দফা বিয়ে করে সংসারী হবার ইচ্ছা অভিনেতা শাকিব খানের

//দৈনিক বিশ্ব বিনোদন ডেস্ক //

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তাঁর পরিবার। এক সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে নায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্র।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবের জীবনে থিতু হতে জোরেশোরে চলছে পাত্রী দেখাও। শাকিবের ঘনিষ্ঠজনেরা  বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তাঁর পরিবার।

মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। এবার জানা গেছে, পাশের জেলা হলো মুন্সিগঞ্জ। একাধিক সূত্রে  জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’সূত্রঃ প্রথম আলো

কি করি আর কি যে বলি বুঝে ওঠার আগেই আবার গুলিয়ে যাই- দেখেন তো আপনি বোঝেন কিনা–?

//বিনোদন প্রতিবেদক//

চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি।

.চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ।

.চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগীজ।

.একটু দামী খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দী আর দাম গ্রীক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা, বার্গার বা চকোলেট অর্ডার দেয়ার সময় কখনো কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরা আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসী ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেয়া মশলাটা আরবি। মশলাতে দেয়া মরিচটা ফারসি!

.বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসী।

.ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইতালিয়ান।

আর যদি দারোয়ান কে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি।

.এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ফারসি। ফলমূলে আনারস পর্তুগিজ, আতা কিংবা বাতাবিলেবুও। লিচুটা আবার চীনা, তরমুজটা ফারসি, লেবুটা তুর্কী। পেয়ারা-কামরাঙা দুইটাই পর্তুগীজ। পেয়ারার রঙ সবুজটা কিন্তু ফারসি।

.ওজন করে আসল দাম দেয়ার সময় মাথায় রাখবেন ওজনটা আরবি, আসল শব্দটাও আসলে আরবি। তবে দাম কিন্তু গ্রীক, আগেই বলেছি।

.ধর্ম কর্মেও একই অবস্থা। মসজিদ আরবি দরগাহ/ঈদগাহ ফারসি। গীর্জা কিন্তু পর্তুগীজ, সাথে গীর্জার পাদ্রীও। যিশু নিজেই পর্তুগীজ। কেয়াং এদিকে বর্মিজ, সাথে প্যাগোডা শব্দটা জাপানি। আর, মন্দিরের ঠাকুর হলেন তুর্কী।

.আর কি বাকি আছে? ও হ্যাঁ। কর্মস্থল! অফিস আদালতে বাবা, স্কুল কলেজে কিন্ডারগার্টেনে সন্তান। বাবা নিজে কিন্তু তুর্কী, যে অফিসে বসে আছেন সেটা ইংরেজি, তবে আদালত আরবি, আদালতের আইন ফারসি, তবে উকিল আরবি।.

ছেলে যে স্কুলে বা কলেজে পড়ে সেটা ইংরেজি, কিন্তু কিন্ডারগার্টেন আবার জার্মান!

.স্কুলে পড়ানো বই কেতাব দুইটাই আরবি শব্দ। যে কাগজে এত পড়াশোনা সেটা ফারসি। তবে কলমটা আবার আরবি। রাবার পেনসিল কিন্তু আবার ইংরেজি!

.পুরো স্ট্যাটাস মনে না থাকলে অন্তত এটা মনে রাখবেন যে মন শব্দটা আরবি।

.শব্দের কেচ্ছা-কাহিনী এখানেই খতম। তবে কেচ্ছাটা আরবি, কাহিনীটা হিন্দি, উভয়ের খতমটা আরবিতে। মাফ চাইলামনা বা সরি বললাম না, কারণ মাফটা আরবি আর সরিটা ইংরেজি।

এইসব রিসার্চ করার পরে তো আমি নিজেই আউলাই গেছি ভাই।

সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ভারতীয় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস মৃত্যুবরণ করেছেন।  তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

সোমবার তিনি মারা যান বলে তার মেয়ে নয়াব উদাস ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন পঙ্কজ উদাস।

৪০ বছরেরও বেশি সময় বলিউড মাতিয়েছেন বিখ্যাত এই গায়ক। হিন্দি ছবির গানে আশির দশককে মুগ্ধ করেছেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, ‘নিকলো না বেনাকাব’— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনে দাগ কাটে।

অভয়নগরে কলেজ শিক্ষক সমিতির সম্প্রীতি সফর ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ শফিকুল ইসলাম পিকুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোরের অভয়নগরে শিক্ষার গুণগত মান ও পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক সমিতির সম্প্রীতির সফর ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ভবদহ ডিগ্রি কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক সম্প্রীতি সফর ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, বিশেষ অতিথি নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, পল্লী মঙ্গল কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, আব্দুল ওহাব মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহাকাল পাইলট স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ  মোঃ ফাইসাল রশিদ,গাবখালী কলেজের সহকারি অধ্যাপক সেলিম হোসেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন কলেজের  শিক্ষক বৃন্দ, সাংবাদিক গাজী আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক সমিতির সদস্য ও নেতৃবৃন্দ ।

আজকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ১৭ বছর আগে চঞ্চলকে দিয়ে এ টি এম শামসুজ্জামান  চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন….!

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

১৭ বছর আগের কথা। সেই দিন হঠাৎ চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন গুণী অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। তাঁর অবস্থা দেখে সেই সময় শামসুজ্জামান তাঁর বন্ধুর কাছে চিঠি লিখে পাঠান। তাঁর সেই বন্ধু ছিলেন আজকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ টি এম শামসুজ্জামানের প্রয়াণদিবসে সেই চিঠি ফেসবুকে পোস্ট করেই তাঁকে স্মরণ করেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

আজ গুণী দুই অভিনয়শিল্পীদের প্রয়াণদিবস—গোলাম মুস্তাফা ও এ টি এম শামসুজ্জামান। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চঞ্চল ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি। গোলাম মুস্তাফা সাহেবের সঙ্গ লাভ বা তাঁর সঙ্গে অভিনয় করবার সৌভাগ্য আমার কখনো হয়নি। তবে ছোটবেলা থেকে তাঁর অভিনয় ও আবৃত্তির একনিষ্ঠ ভক্ত আমি।’

খুব কাছ থেকে এ টি এম শামসুজ্জামানকে পেয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে। জনপ্রিয় ‘ভবের হাট’ নাটকে চঞ্চল দীর্ঘ সময় মামা চরিত্রে এ টি এমকে পেয়েছেন। সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় সেই নাটকে আরও অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত হুমায়ূন ফরীদি, ফজলুর রহমান বাবু, মোশারফ করিম, বন্যা মির্জা, আ খ ম হাসান, শামীম জামানসহ আরও অনেকে। এ টি এমকে ঘিরে তাঁদের সবার সঙ্গে জমে উঠত আড্ডা।

সেই স্মৃতি স্মরণ করে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমাদের সবারই অসংখ্য ভালো লাগার এবং আনন্দের স্মৃতি রয়েছে এ টি এম ভাইয়ের সঙ্গে। “ভবের হাট” ধারাবাহিকের শুটিংয়ের তখন দৃশ্যধারণ চলছিল। দৃশ্যধারণের মধ্যে এ টি এম ভাই হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কপালে কী হয়েছে চঞ্চল?” বললাম, “কোনো একটা আঘাত পাওয়ার পর থেকে টিউমারের মতো শক্ত কী একটা যেন হয়েছে। অনেক দিন হয়ে গেল, কমছে না।”’

তখন চঞ্চলের কপালের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকেন। তখন এ টি এম শামসুজ্জামান বলেন, ‘সে কি! তোমার তো এখন কপাল খোলার সময়, কপালের যত্ন নাও। আমার বন্ধু ডাক্তার সেন, সে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান। আমি সেন মহাশয়কে একটা চিঠি লিখে দিচ্ছি। তুমি তাড়াতাড়ি দেখা করো তাঁর সঙ্গে। তিন-চার দিনের মধ্যে কপালটা ফাটিয়ে, জোড়া লাগিয়ে আবার আগের মতো ফ্রেশ কপাল বানিয়ে দেবে।’

সেই সময়ে যথারীতি এ টি এম শামসুজ্জামান একটা চিঠি লিখে চঞ্চলের হাতে দেন। পরে সেই চিঠি নিয়ে চঞ্চল ডাক্তার সেনের সঙ্গে দেখা করেন। চঞ্চল লিখেছেন, ‘সেন স্যার হলেন বিখ্যাত ডাক্তার সামন্ত লাল সেন। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেন স্যার আমাকে দেখেই চিনে ফেললেন। তারপর এ টি এম ভাইয়ের লেখা চিঠিটা পড়ে হাসতে লাগলেন।’

সেই চিঠিতে এ টি এম শামসুজ্জামান বন্ধু সেন অনেকটা রম্য লিখেছিলেন। বন্ধু বলে কথা। ১৭ বছর আগের সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘সেন, প্রীতস্তি কুশল রইল। চঞ্চলকে পাঠালাম। ও ইদানীং ওর অভিনয়ে আমাদের সবাইকে চঞ্চল করে তুলেছে। কপাল জোড় কদমে দৌড়াচ্ছে। সেই কপালে কী যেন হয়েছে। দেখে যদি মনে করেন ফাটিয়ে দেবেন। একবার ফাটলে আর ধরে কে ওকে। ভালো আছেন। ভালো থাকবেন। বউদিকে নমস্কার। বাকি পরিবারের সবাইকে ভালোবাসা।’ এ টি এম শামসুজ্জামান, ২৯ শে শ্রাবণ, ১৪১৩ বাংলা।

চঞ্চল লিখেছেন, ‘তারপর সত্যিই আমার কপালটা ফাটিয়ে দিলেন সামন্ত লাল সেন। এ টি এম ভাই যখন খুব অসুস্থ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, একদিন বৃন্দাবনদা, খুশি আর আমি তাঁকে দেখতে গেলাম। আমাদের দেখে তিনি আনন্দে কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘আল্লাহর রহমতে, সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ হইয়া যামু। আবার অভিনয় করমু, তোমরা রেডি হও।’ আমরা সত্যিই রেডি ছিলাম তাঁর অভিনয়ে ফেরার আশায়। কিন্তু প্রস্তুত ছিলাম না তাঁর চিরবিদায় নেওয়ার সংবাদ শোনার জন্য। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে সেই শেষ দেখা। আর সেন স্যারকে লেখা তাঁর হাতের লেখা চিঠিটা আগলে রেখেছি অনেক যত্নে, পরপারে শান্তিতে থাকুন হে কিংবদন্তি।’

রাজনীতি করলে মানুষ গালাগাল দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায়- তাই ইস্তফা দিলেন

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

সরকারি পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর এবার সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করলেন যাদবপুরের তৃণমূল সংসদ সদস্য টালিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেটি এখনো গ্রহণ করেননি। তিনি জানিয়েছেন, কোনো সংসদ সদস্য যদি ইস্তফা দিতে চান সে ক্ষেত্রে তাকে নিয়ম মেনে লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে হবে।

এদিকে বিধানসভা থেকে বের হয়ে সংসদ সদস্যপদ থেকে সরে আসার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি আমার জন্য নয়। কেননা রাজনীতি করলে আমাকে গালাগাল দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় মানুষ। জেনেশুনে কখনো কারও ক্ষতি করিনি আমি।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিক নই। আর কখনো রাজনীতিক হবও না। আমি সবসময় একজন কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। বিরোধী দলের কারও বিরুদ্ধে কখনো বাজে কথা বলিনি।

টালি তারকা বলেন, লোকসভায় কতদিন উপস্থিত থেকেছি আমি, সেসব নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা। এক মাস দিল্লিতে থাকলে মানুষ বলবে সংসদ সদস্য দিল্লিতে থাকেন, এখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে উপস্থিতি কম আমার। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে হয়।

 সোনার সাইকেল !

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণকার হিউ পাওয়ার। এই স্বর্ণকারের জীবনের উদ্দেশ্যই হলো বিলাসবহুল সোনার গহনা তৈরি করা। তবে পাওয়ার যে জিনিসটা নিয়ে গর্ব করেন সেটি হলো-পাহাড়ে চালানোর উপযোগী একটি সাইকেল।

২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনা দিয়ে এটি বানাতে তার খরচ হয়েছে চার কোটি টাকার মতো। আভিজাত্য বাড়াতে তিনি সাইকেলের চেইন, স্পোক ও পেডেলগুলোও মূল্যবান ধাতু দিয়ে মুড়িয়েছেন।

সব মিলিয়ে সাইকেলের দামটা সাধ্যাতীত মনে হলেও শিগগিরই এটি বেঁচে দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

WhatsApp অ্যাকাউন্ট হ্যাকার থেকে সুরক্ষিত রাখুন

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফরম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে। এ ছাড়া কমবেশি সবাই বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাপটিকে সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন কাজ। বর্তমানে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও অনলাইন শপিং অ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে সবাই কমবেশি চিন্তিত। কারণ অ্যাকাউন্ট হ্যাক থেকে শুরু করে অনলাইন প্রতারণা অনেক বেড়ে গেছে। জেনে নিন হ্যাকার থেকে বাঁচার উপায়-

টু স্টেপ অথেনটিকেশন

টু স্টেপ অথেনটিকেশন অন করা থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে। এটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ৬ সংখ্যার পিন চেয়ে থাকে। ফলে আপনার অজান্তে অন্য কেউ এই কাজগুলো করতে পারবে না।

টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপ্লিকেশনটি আইফোনে টাচ আইডি এবং ফেস আইডির মাধ্যমে ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ

এই ফিচারটি অন থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর কোনো চ্যাট বা সব চ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। সেন্ডার বা রিসিভার উভয়েই এই ফিচারটি ২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনের পর এটি আর দেখতে পাবেন না। ফলে তথ্য বেহাত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।

ভিউ ওয়ান্স

এই ভিউ ওয়ান্স ফিচারটি কোনো ফটো ও ভিডিও, রিসিভার একবার দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। ফলে ব্যবহারকারী আরও গোপনীয়তা পাবেন।

অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা আই ক্লাউড বা গুগল ড্রাইভে তাদের চ্যাট ব্যাকআপগুলো সুরক্ষিত করতে একটি অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপশন সিকিউরিটি যুক্ত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ ক্লাউডে মেসেজ এবং মিডিয়া সেভ করা হয়। ফলে এটি একটি এনক্রিপশন দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস

হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং ও গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারে না, তেমনি কাউকে না চাইলে গ্রুপে জয়েন করানো যায় না।

অ্যাডমিন কন্ট্রোল

এটি আদতে গ্রুপ সেটিং, যা অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে সেটিং পরিবর্তন করা ও গ্রুপে কে মেসেজ পাঠাতে পারবে তা নির্ধারণ করা যাবে। ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

টিকটকারদের জন্য সুখবর

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ইউটিউবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আবারও ভিডিও প্রকাশের সময় বাড়াচ্ছে টিকটক। বর্তমানে টিকটকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করা গেলেও নতুন এ উদ্যোগের আওতায় চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে ৩০ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করতে পারবেন নির্মাতারা।

ছোট আকারের ভিডিও তৈরি ও আদান-প্রদানের সুযোগ দিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও ধীরে ধীরে ভিডিও প্রকাশের সময় বাড়াচ্ছে টিকটক। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও ভিডিও প্রকাশের সময় বাড়াতে যাচ্ছে টিকটক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ম্যাট নাভার্না জানিয়েছেন, টিকটকের সর্বশেষ বেটা সংস্করণে ৩০ মিনিটের ভিডিও প্রকাশের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর এ সুবিধার কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে।

ম্যাট নাভার্নার তথ্যমতে, টিকটকের সর্বশেষ বেটা সংস্করণে ভিডিও প্রকাশ করতে গেলেই একটি পপআপ বার্তা দেখা যাচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘৩০ মিনিটের ভিডিও উপস্থাপন করা যাচ্ছে—আপনি এখন ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভিডিও প্রকাশ করতে পারবেন।’ তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি টিকটক।

২০১৬ সালে আকারে ছোট ভিডিও প্রকাশের সুযোগ দিয়ে যাত্রা শুরু করে টিকটক। শুরুতে ১৫ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রকাশ করা গেলেও ধীরে ধীরে প্রকাশের সময় বাড়িয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। নিয়মিত ভিডিও প্রকাশের সময় বাড়ানোর ফলে বর্তমানে ইউটিউবের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে টিকটক। সূত্র: বিজিআর ডটকম