Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
আইন-আদালত - দৈনিক বিশ্ব

রূপসায় ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী আটক

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

খুলনার রূপসায় ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি আরমানকে গত ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) রাতে গ্ৰেপ্তার করেছে রূপসা থানা পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়- আরমান শেখ (৩২) খুলনা রূপসার আইচগাতি ইউনিয়ন দুর্জনীমহল গ্রামের আমজেদ শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় জিডি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়।

উল্লেখিত- আসামি আরমান শেখ ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী গত ২২ অক্টোবর রূপসা আইচগাতী ইউনিয়ন দুর্জনীমহল গ্রামস্থ খালা বাড়ী বেড়াতে যায়। তার খালা ক্লিনিকে কাজ করে এবং খালু একজন ভ্যান চালাক। পরের দিন সকালে খালা-খালু যে যাহার কাজে বাড়ীর বাহিরে চলে যায়। ঐ সময় থেকে শিক্ষার্থী মেয়েটি তাদের বাড়ীতে একা ছিল এবং বিকেল ৩ টার দিকে ঘরে একা বসে থাকা অবস্থায় আসামী আরমান শেখ কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ব্যাপারে রূপসা থানা (ভারপ্রাপ্ত) ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান- ধর্ষণ মামলার আসামী আরমান শেখ কিছুদিন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে আটক করতে সক্ষম করা হয়। পরে আসামী আরমানকে খুলনা কোট হাজতে প্রেরণ করা হয়।

রূপসায় ১১ পিচ ইয়াবাসহ দু’জন আটক করেছে পুলিশ

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন এলাকায় পুলিশের এক বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে ১১ পিচ ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক হয়।

পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই মো.ওহিদুর রহমান জানান- আমার নেতৃত্বে এ এস আই রতন সহ সঙ্গীয় ফোর্স গত ১৭ অক্টোবর দুপুর ১ টার দিকে, শ্রীফলতলা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করি। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় যাত্রীসহ একটি ভ্যানগাড়ি থামাই, সাথে সাথে সামনে বসা দুজন দৌড়ে পালানো চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক ধরে শরীর তল্লাশির মধ্যে ১১ পিচ ইয়াবা উদ্ধারপূর্বক আটক করা হয়।

আসামিরা হলো- আইচগাতি ইউনিয়নের শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে তানভির আহম্মেদ তৌকির (২২) এর কাছে ৬ পিচ ইয়াবা এবং শীরগাতি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজির ছেলে হাসান গাজি (২৩) এর কাছে ৫ পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় তারা স্বীকার করে যে তারা মাদক বেচা কেনা করে থাকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়।

সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কিকি করতে পারবে

 //দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রুর স্বাক্ষরকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা।

ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা।

ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।

ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা।

ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা।

ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা।

ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা।

উল্লিখিত ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না।

Daily World News

ডুমুরিয়ায় তরুন সংঘ ক্লাবের উদ‍্যেগে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের সহায়তা ও গাছের চারা বিতরন

মেধাবী ছাত্রী চৈতির অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষক; ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রী ফাইরুজ মাহমুদ নিদ (চৈতি)। তার অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান ও তার স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা এবং শিক্ষিকা কাকলি গাইন সহ দোষীদের ফাঁসির দাবিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য- রূপসার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে গত জুলাই মাসের ২৪ তারিখে চৈতি নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে প্রয়াত ছাত্রী চৈতীর মাতা নুরনাহার বাদী হয়ে আদালতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের উক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।

নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ফাইরুজ মাহমুদ চৈতীর পিতা ফিরোজ পাশা, মাতা নুর নাহার শেখ, ইউপি সদস্য রেশমা আক্তার, আশরাফ আলী রাজ, হুমায়ূন কবীর রাজা, নিজাম উদ্দীন, মনিরা বেগম, হাফিজুর রহমান, পিয়াস শেখ, সাব্বির শেখ, হাসান মল্লিক, সাদমান, মো. সিদ্দিক, মো. তুহিন, আরমান শেখ, রেজাউল করিম, ফারুক, জনী, শফিক, হিরা শেখ, সুমন ঘোষ, প্রিন্স শেখ, আঃ হালিম, রিয়াদ শেখ, সৌমিত্র দেবনাথ, ওবায়দুল্লাহ মল্লিক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাসেল হাওলাদার, মো. ইউসুফ, ইব্রাহিম খলিল, মো. সিয়াম, লাবন্য আক্তার জ্যেতি, সুমাইয়া আক্তার ফাতেমা, সাদিয়া আক্তার লামিয়া, মারুফা, সুমাইয়া সুলতানা, মুন্নী খাতুন, সাহারা আক্তার তৃষা, শান্তনা দাস, জ্যেতি রানী পাল, সুমা খাতুন, আসাদুজ্জামান রাফি, রাহুল কুমার দাস, অর্পন পাল, আজিম শিকদার, রাজ্জাক প্রমূখ।

ব্যবসায়ী আমজাদ নিকারীসহ ভোমরা সীমান্তে দুইজন আটক

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ কালে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারমান এস এম আমজাদ হোসেনসহ দু’জনকে আটক করেছে। এ সময় রবিশালের আরও এক নেতাও আটক হন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দিকে তাদেরকে আটক করে বিজিবি। আটককৃত অপর ব্যক্তি হলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন ওরফে (খোড়া টুটুল)

সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এমন মানুষ ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। এর ভিত্তিতে সীমান্তের তল­াশি চৌকিতে বিশেষ নজর রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, সকাল ১০টার দিকে নীরব হোসেন ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া দুপুরে ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পদত্যাগী চেয়ারমান এস এম আমজাদ হোসেনের শত শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সম্পদের একাংশ দেশে, একাংশ বিদেশে।

সংস্থাটি তথ্য অনুযায়ী, সম্পদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি। বেলজিয়াম, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এসব দেশেও রয়েছে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ।

খুলনা অঞ্চলের এই ব্যবসায়ী স্থানীয় ভাবে আমজাদ নিকারি নামে পরিচিত ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে গৃহস্থের কাছ থেকে মাছ কিনে বাজারে বিক্রি করতেন বলে নামের সঙ্গে ‘নিকারি’ শব্দটি যুক্ত হয়। আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে ফ্রোজেন ফিস রপ্তানি শুরু হলে, শুরুতেই তিনি সেই ব্যবসায় যুক্ত হন। গঠন করেন নিজের গ্রামের নামে লকপুর গ্র“প।

অভিযোগ আছে বিদেশে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ রপ্তানির নামে তার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় অপদ্রব্য রপ্তানি করে এই খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। তিনি বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। খুলনা শহরে তার রয়েছে একধিক বাড়ি, আবাসিক হোটেল ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে লকপুর ফিশ প্রসেস কোম্পানি লিমিটেড, বাগেরহাট সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শম্পা আইস এ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড, রূপসা ফিশ এ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মুন স্টার ফিশ লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, খুলনা অ্যাগ্রো এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড, ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেড, মেট্রো অটো ব্রিকস্ লিমিটেড, খুলনা বিল্ডার্স।

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

//আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম//

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পিওএম) কামরুল হাসান এবং তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদক অনুসন্ধান করে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর নামে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে। গত মাসে দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হয় আদালতে। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি হাটহাজারী বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার প্রসিকিউশন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে বদলি করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানার আসামিদের জন্য সরকারি বরাদ্দের খাবার বিতরণ না করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিল তুলে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঢাকার সাভারে ১০৭ শতক জায়গার ওপর সাভার সিটি সেন্টার নামে ১২ তলা ভবনের চারজন অংশীদারের একজন। সেখানে তিনি কাগজ-কলমে সাত কোটি ৫২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ভবনের বেজমেন্টে ৯০টি, প্রথম তলায় ১৪০টি, দ্বিতীয় তলায় ১৪৬টি, তৃতীয় তলায় ৮৯টি ও চতুর্থ তলায় ১০৩টি দোকান এবং ৫ হাজার বর্গফুটের ফুডকোর্ট, পঞ্চম তলায় অফিস ও ষষ্ঠ তলায় ৬৭টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বাজার মূল্যে এ সম্পদের মূল্য শতকোটি টাকারও বেশি।

ঢাকার সাভারে মার্কেট ছাড়াও সাভার সিটি টাওয়ার নামে একটি ১০ তলা আবাসিক ভবনেরও অংশীদার। সেখানে ৫৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এভাবেই চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সম্পদ আর সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। এছাড়া কামরুল চট্টগ্রাম নগরের উত্তর হালিশহর, নাসিরাবাদ, চান্দগাঁও এলাকা এবং ঢাকার সাভারে ১৫৪ শতক জমি ও দুটি বাড়ি কিনেছেন। ব্যাংকে ১ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বন্ড ও এফডিআর রয়েছে।

তার স্ত্রী সায়মার নামে রয়েছে পাঁচটি জাহাজ। চট্টগ্রামের হালিশহরে ৪০ শতক জমি রয়েছে। মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ক্রয় দেখানো হলেও বর্তমান বাজারে সেই জমির মূল্য ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকে তার নামে ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও দেড় কোটি টাকায় কেনা পাঁচটি জাহাজ রয়েছে।

একইভাবে চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে অভিজাত খুলশী আবাসিক এলাকায় ‘ফয়জুন ভিস্তা’ অ্যাপার্টমেন্টের অষ্টম তলায় সি-৭ নামে ২ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও ১৩৬ বর্গফুটের পাড়ি পার্কিং থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।।

সোয়া সাত লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ও মাত্র ২৫ হাজার টাকায় পার্কিং স্পেস কিনেছেন-আয়কর নথিতে এমন দাবি করলেও খুলশীতে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি নগরের পশ্চিম নাসিরাবাদ মৌজায় সাত শতক ভূমির ওপর চার তলাবিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে।

অবশেষে আলোচিত পিস্তল বাবু’কে আটক করেছে র‌্যাব-৮

মাহমুদুল হাসান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবুকে গতকাল ৬ই জুলাই অনুমানিক সতেরো ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি,ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয়।আলোচিত পিস্তল বাবু পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার শাপলাখালী গ্রামের মোফাজ্জেল ও মোছাঃ শিল্পি বেগমের ছেলে।

র‌্যাব-৮,সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী ১৭ বছরের ধর্ষিতা তরুনী ঘটনার দিন গত ১১ই জুন সকাল আনুমানিক সারে আটটায় প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম তার কলেজে গমন করে। কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ০৩ নং আসামী সোহেল তাকে অটোরিক্সাযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওয়ানা হয়। কিন্তু তাকে তার বাড়ির সামনে না নামিয়ে একটু দূরে জনৈক আমির সিকদারের বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ভিকটিম পায়ে হেটে রওয়ানা হলে আসামী বাবু ও তার সহযোগী ২ নং আসামী সুমন তার পিছু নেয় এবং দাড় করিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পথরোধ করে। পরে আসামীরা ভিকটিমকে হাত ধরে টেনে জনৈক আমির সিকদার এর টিনশেড ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। আসামীরা ঘরে থাকা এক মহিলাকে বের করে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ০১ নং আসামী ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ০২ নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ০২ জন আসামীরা রাস্তা থেকে ০৩ নং আসামীকে ডেকে নিয়ে আসে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। ০৩ নং আসামীকে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করানোর সময় ০১ নং আসামী ভিডিও ধারণ করে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ০৩ নং আসামীর নিকট হতে নগদ ৪,৫০০/- টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। পরে ঐ তরুনী বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করে ( থানার মামলা নং-১৯ তারিখঃ ১৪/০৬/২০২৪ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারা। বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসলে র‌্যাব আত্মগোপনে থাকা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৭ই জুলাই র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র‌্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পটুয়াখালীর বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাগুরায় কলেজ ছাত্র তীর্থ রুদ্র হত্যার মুল আসামী গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরা।

মাগুরায় তীর্থ রুদ্র হত্যায় গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম তাইহান ইসলাম আমান (২১) । সে মাগুরা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সদর হাসপাতাল পাড়ার জিয়াউল ইসলাম ওরফে জিবুর ছেলে।

মাগুরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) এস এম মোবাশ্বের হোসাইন শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, গত ১ জুলাই সোমবার ভোরে আল-আমিন মাদ্রাসা ট্রাস্ট সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড় থেকে তীর্থ রুদ্র নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । এ সময় একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয় । এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা নিমাই চন্দ্র রুদ্র বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তীর্থ হত্যার পর থেকেই মাগুরা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে । এ অভিযানের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার শত্রুজিতপুর এলাকা থেকে আসামি তাইহান ইসলাম আমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগুরা সদরের কাশিনাথপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মধুর বসতবাড়ির একটি পুরানো টিনের রান্না ঘর থেকে তীর্থের ব্যবহৃত বাজাজ ডিসকভার-১২৫ সিসির একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত নাম্বার প্লেটটি উদ্ধার করা হয় শহরের খানপাড়া কাচা বাজার এলাকার একটি টিনের চালা থেকে এবং চাবি উদ্ধার করা হয় আসামি আমানের বাড়ি থেকে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটির নম্বর মাগুরা-হ ১২-৭৮৪৮ । তিনি আরোও জানান, তীর্থ হত্যাকাণ্ডে আরোও কেউ জড়িত আছে কিনা গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

উল্লেখ্য,মাগুরা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব দোয়ার পাড় এলাকার আল-আমীন টাস্ট্র দাখিল মাদরাসার পশ্চিম পাশের পুকুর পাড়ে থেকে গত মঙ্গলবার সকালে তীর্থ রুদ্র (১৮ ) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত তীর্থ রুদ্র পৌরসভার নান্দুয়ালী এলাকার নিমাই চন্দ্র রুদ্রের ছেলে । সে মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজর ছাত্র এবং ২০২৪ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী ছিল।

পাঠাও-এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমকে হত্যা করে তার পিএ হাসপিল- চুরি করে নেয় মিলিয়ন ডলার – জানুন বিস্তারিত

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই তার লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টায়রেস হাসপিল (২৫) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

সোমবার (২৬ জুন) নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

আদালতের এই রায়ের আগে হাসপিল দাবি করেছিলেন, ফরাসি প্রেমিকাকে খুশি করার জন্য দামি উপহার কেনার জন্য ফাহিমের টাকা চুরি করেন। চুরির কথা প্রকাশ পেলে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যেত—তাই তিনি ফাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে বিচারকেরা তার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

তবে কেন বিচারকেরা হাসপিলের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তা হত্যার দীর্ঘ পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের ধরনেই বোঝা যায়। হাসপিল কতটা শীতল রক্তের অধিকারী ছিলেন তা তার পরিকল্পনা ও হত্যার কায়দায় ফুটে উঠেছে। আদালতের রায়ের বিবরণীতে সেসব বিস্তারিত উল্লেক করা হয়েছে।

হত্যার পরিকল্পনা

টাইরেস হাসপিল ২০১৮ সালে ফাহিম সালেহের টাকা চুরি করার পরিকল্পনা শুরু করেন। কিন্তু ২০২০ সালের জুলাইয়ে এসে তার পরিকল্পনাটি হত্যার সিদ্ধান্তে রূপ নেয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফরাসি প্রেমিকার জন্য দামি উপহার কেনার জন্য সালেহের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করেন।

হাসপিল টাকা চুরির জন্য একটি ভুয়া করপোরেট আইডি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সালেহ টাকা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। হাসপিল তখন চুরির টাকা পরিশোধে সম্মত হন। তবে পরে তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন। একটি ভুয়া পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফাহিমের আরও টাকা চুরি করা শুরু করেন। এভাবে তিনি প্রায় ৪ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। একপর্যায়ে তিনি ফাহিমের সব টাকা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনের আশায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

হাসপিল সোশ্যাল মিডিয়াতে সালেহের অবস্থানের ওপর নজরদারি শুরু করেন। হত্যাকাণ্ড গোপন করার জন্য কয়েক সপ্তাহ প্রযুক্তি, অস্ত্র, টেজার এবং রক্ত পরিষ্কার নিয়ে গবেষণা করেন। পরিচয় গোপন করার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক কেনেন, যাতে সালেহ তাঁকে চিনতে না পারেন।

অন্তত তিনটি পৃথক অনুষ্ঠানে জনাব সালেহকে হত্যার পরিকল্পনা করে হাসপিল। ২০২০ সালের মার্চে নাইজেরিয়ার লাগোসে সে ছুরি নিয়ে সালেহর পিছু নিয়েছিল। তবে হত্যা করেনি। এরপর নিউইয়র্কে ফিরে সালেহকে দুইবার হোপওয়েল জংশনেও পিছু নেন। সালেহর বাড়ি পুড়িয়ে ফেলার বা দৌড়ানোর সময় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হত্যায় ব্যক্তিগত সহকারী দোষী সাব্যস্তপাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হত্যায় ব্যক্তিগত সহকারী দোষী সাব্যস্ত

২০২০ সালের মে মাসে হাসপিল সালেহকে তাঁর বাড়িতে হত্যা করবেন বলে ঠিক করেন। তিনি ঘাড়ে ছুরিকাঘাতে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৭ জুন হাসপিল হোম ডিপো ঠিকাদার ব্যাগ, একটি সুইফার ওয়েটজেট এবং একটি করাত কেনেন।

হাসপিল সালেহের বাসা থেকে রাস্তার অপর পার্শ্বের বিল্ডিংয়ে একটি খালি অ্যাপার্টমেন্টের কৌশলে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি এমনভাবে নেস্ট ক্যামেরা বসান যাতে সালেহের বিল্ডিংয়ের যাবতীয় কিছু নজরদারি করা যায়।

হত্যাকাণ্ডের আগের দিনগুলোতে হাসপিল জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রেমিকার জন্মদিন পালন ও তাকে উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তিনি পার্টি বেলুন, বড় কেক, বিলাসবহুল হ্যান্ডব্যাগ, জুতা, প্রাইভেট ইয়ট ট্যুর এবং চুরি করা টাকা দিয়ে সোহোতে একটি বিলাসবহুল এয়ানবিএনবি ভাড়া নেন।

হত্যাকাণ্ড

২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল প্লাস্টিকের হেলমেট, বেসবল ক্যাপ এবং সানগ্লাস পরে সালেহের সঙ্গে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের লিফটে প্রবেশ করেন। এ সময় বেচারা সালেহ হাসপিলের এমন পোশাক দেখে কোভিড সতর্কতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে রসিকতা করেছিলেন। তবে লিফটের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপিল আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।

হাসপিল প্রথমে পেছন থেকে ফাহিম সালেহকে টেজার মেশিনের শক দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন। এরপর তার ঘাড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।

হত্যাকাণ্ড গোপন করতে হাসপিল মিনি ভ্যাকুয়াম মেশিন দিয়ে অ্যান্টি-ফেলন আইডেন্টিফিকেশন ডিস্ক (এএফআইডি) শূন্য করে ফেলেন। কেননা ওই ডিস্কে একটি সিরিয়াল নম্বর থাকে যা অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে।

এরপর আনুমানিক বেলা ৩টায় হাসপিল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে একটি উবারে করে নিউজার্সিতে যান। হাডসন নদীর জল কতটা গভীর ও সেখানে কীভাবে আলামত ডুবিয়ে দেওয়া যেতে পারে—তা নিয়ে তিনি আগেই গবেষণা করেন। ওই নদীতে তিনি পরের দিন একটি আবর্জনার ক্যানে অনেক আলামত ফেলে দেন।

হাসপিল পরের দিন ১৪ জুলাই সালেহর মরদেহ টুকরো টুকরো করতে এবং ঘটনাস্থল পরিষ্কার করতে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। তারপরে তিনি করাত দিয়ে সালেহের শরীরকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন এবং সেগুলো আগেই কিনে রাখা ব্যাগে ভরেন। এ সময় করাতের ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে তিনি চার্জার কিনতে চলে যান।

হাসপিল যখন বাইরে যান তখন সালেহর কাজিন তাকে দেখতে এসেছিল কারণ বিগত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কোনো সাড়া পায়নি। এ সময় তিনি অ্যাপার্টমেন্টে চাচাতো ভাইয়ের টুকরো টুকরো এবং শিরশ্ছেদ করা দেহ আবিষ্কার করেন এবং পুলিশকে ডাকেন।

এদিকে হোম ডিপো থেকে ফিরে আসার পর হাসপিল সালেহের অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন এবং প্রেমিকার জন্মদিনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

হত্যার পরের দিনগুলোতে হাসপিল ‘খণ্ডিত দেহ’, ‘ফাহিম সালেহ’ এবং ‘নিউইয়র্কে টেক সিইওর হত্যা’ লিখে ওয়েব সার্চ করেন। এবং গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত হাসপিল সালেহর পেপাল থেকে টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন।

ফকিরহাটের লকপুরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র গোলাবারুদ সহ গ্রেফতার- ১

জেনিভা প্রিয়ানা, বিশেষ প্রতিনিধি || 

বাগেরহাটে ফকিরহাট অস্ত্রসহ ৩০ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত ইমরান (৩০) উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের ছোটখাজুরা নিকারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ফকিরহাটের লকপুরে দেশি-বিদেশি অস্ত্র গোলাবারুদ সহ গ্রেফতার- ১

ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইমরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক, চুরি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ৩০ টি মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার তৎপরতা অব্যাহত রাখে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ইমরান বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

এ সময় তার নিকট থেকে একটি দেশিয় পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ও চায়না রাইফেলের গুলি এবং বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ডাকাত ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে পূর্বের ৩০টি ও বর্তমানের একটিসহ (আরও একটি অস্ত্র মামলা) মোট ৩১টি মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।