Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
নির্বাচন - দৈনিক বিশ্ব

নৈহাটি কালীবাড়ি বাজার নির্বাচন ৭ ডিসেম্বর মূল্যবান ভোটটি পেতে প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

রূপসা উপজেলার নৈহাটি কালীবাড়ি বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন দীর্ঘ ১০ বছর পর, অর্থাৎ দ্বি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ নির্বাচনে ঐ বাজারের ২১৪ জন দোকানদারই ভোট অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তাদের ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৭ ডিসেম্বর-২০২৪ সকাল ৯ টায় থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট অধিকার চলবে। নির্বাচনে ৭ টি পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাঙ্খিত প্রার্থীদের মধ্যে কে কে হবেন বিজয়ী এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নির্বাচনে যথাযথ পদের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যথাক্রমে- শাহ জামান প্রিন্স (চেয়ার) প্রতীক, মো. হালিম মোড়ল (হরিণ) প্রতীক, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদুল ইসলাম (আনারস) প্রতীক। তাছাড়া সহ-সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন- মো. সাব্বির শেখ (দেয়াল ঘড়ি) প্রতীক, ইব্রাহিম হোসেন হিবু (ছাতা) প্রতীক, মো. ওমর ফারুক (মোমবাতি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যথাক্রমে- মীর জাকির হোসেন (টেলিভিশন) প্রতীক, মুহাঃ মুক্তাদির বিল্লাহ (মোটরসাইকেল) প্রতীক, আব্দুস সালাম মল্লিক (আপেল) প্রতীক, মো. ইসলাম ফকির (মোরগ) প্রতীক, মো. রেজওয়ান শেখ (বই) প্রতীক, দিপঙ্কর সাহা (টেলিফোন) প্রতীক। তাছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন- এসএম মিকাইল হোসেন (হাতি) প্রতীক, মো. মারুফ বিল্লাহ (কাপ-পিরিচ) প্রতীক, মো. তারিক (তালা চাবি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কোষাধ্যক্ষ পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন- মো. রাশেদুজ্জামান রাকিব (দোয়াত কলম) প্রতীক, মো. হাসিব মোল্লা (গরুর গাড়ী) প্রতীক, নাহিদ পারভেজ হাকিম (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী হলেন- মো. ওমর ফকির (মাছ) প্রতীক ও মো. ফেরদাউস (গোলাপফুল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া প্রচার সম্পাদক পদে মো. রনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচন পরিচালনায় কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল কাদের শেখকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সাংবাদিক তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণু, মো. আসলাম শেখ ও মো. বিল্লাল হোসেন।

কালীবাড়ি বাজারের উপদেষ্টা এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রয়েল আজমের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১০ বছর পর এ বাজারে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে , বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার রাতে ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখা এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।

এর আগে, গত ১ অক্টোবর ডা. শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয় চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের রায়ের পর আমরা আইনি দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের ক্ষেত্রে সংশোধন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

ইসির সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের ১ অক্টোবরের আদেশে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির গেজেটে উল্লেখ করা নির্বাচনের ফলাফলের ১ নম্বর কলামের ১ নম্বর ক্রমিকের বিপরীতে ২ নম্বর কলামে ‘মো. রেজাউল করিম চৌধুরী’র পরিবর্তে ‘শাহাদাত হোসেন’ এবং ৩ নম্বর কলামে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের’ পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছিলেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা ‘কারচুপি’ করেছিলেন। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

মামলার এজাহারে শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।

ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা সুরঞ্জন ঘোষ

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি //

ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা সুরঞ্জন ঘোষ ।

১১জুলাই  বৃহস্পতিবার সকালে প্রিজাইডিং আফিসার ও উপজেলা যুবউন্নয়ন বর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান এর অফিস কক্ষে স্কুলের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য,দাতা সদস্য ও  শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সভাপতি পদে দুইজন প্রার্থী হওয়ায় গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হয়।

ভোট গ্রহন শেষে প্রিজাইডিং আফিসার সকলের উপস্থিতে ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষনা করেন। আওয়ামীলীগ নেতা

সুরঞ্জন ঘোষ পেয়েছেন ৬ ভোট তার নিকটতম প্রার্থী রেক্সসনা আক্তার পেয়েছেন ৩ ভোট। উপজেলা  যুব উন্নযন কর্মকর্তা  মো: কামরুজামান নির্বাচন পরিচালনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের চলমান এড‍্যাহক কমিটির সভাপতি আ: হালিম রাজু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রভাত কুমার বৈধ‍্য, উপজেলা পরিষদের ভাইন্স চেয়ানম্যানসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

আসন্ন যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়বেন

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

যুক্তরাজ্যে জাতীয় নির্বাচনে এবার বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে থেকে লেবার পার্টি থেকে আছেন ৮ জন এবং কনজারভেটিভ থেকে ২ জন।

লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আফসানা বেগম, রুমী চৌধুরী উইথহাম, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী, নাজমুল হোসাইন। তাদের মধ্যে রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক এবং আফসানা বেগম এপি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন।

ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনি লড়াইয়ে আছেন লন্ডনের দক্ষিণে টটেনহাম আসনে আতিক রহমান এবং ইলফোর্ড সাউথ আসনে সৈয়দ সাইদুজ্জামান। ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ছয়জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন।

ইলফোর্ড সাউথে গোলাম টিপু, বেডফোর্ডে প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, হেকনি সাউথে মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, আলট্রিচহাম অ্যান্ড সেল ওয়েস্টে ফয়সাল কবির, ম্যানচেস্টার রসলমোতে মোহাম্মদ বিলাল এবং স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসনে হালিমা খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইলফোর্ড সাউথ আসনে রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ ফরহাদ।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের মনোনয়নে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাবিনা খান। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে নাজ আনিস মিয়া ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার আসনে লড়ছেন। গ্রিন পার্টির মনোনয়নে ইলফোর্ড সাউথে সাইদ সিদ্দিকী, ওল্ডহাম ওয়েস্ট অ্যান্ড রয়টনে সাইদ শামসুজ্জামান শামস এবং লেস্টার সাউথ আসনে শারমিন রাহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সোশ্যালিস্ট পার্টির হয়ে ফোকস্টোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম। এছাড়াও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১১ ব্রিটিশ নাগরিক। হলবর্ন অ্যান্ড প্যানক্রাসে লড়ছেন ওয়েইছ ইসলাম। বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি গ্রিনে আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ ও সাম উদ্দিন। পপলার অ্যান্ড লাইম হাউসে এহতেশামুল হক। স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বোতে ওমর ফারুক ও নিজাম আলী। ইলফোর্ড সাউথে নূরজাহান বেগম।

নিউক্যাসল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্টে হাবিব রহমান। বেক্সিল অ্যান্ড ব্যাটেলে আবুল কালাম আজাদ। ওল্ডহাম ওয়েস্ট, চেটারটন অ্যান্ড রয়স্টোনে রাজা মিয়া। যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে ছোট-বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।

ডুমুরিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন। চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি//

খুলনার ডুমুরিয়ায়  ৯ জুন রবিবার  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত  হয়েছে।

উপজেলা ১৪ ইউনিয়নে ১০৮ কেন্দ্র এ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে এলাকার ভোটার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে  আসেন।  ১৪ ইউনিয়ন ১৪ জন নির্বাহী ম‍্যাজিষ্ট্রেট সহ পুলিশ প্রশাসনের টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ঘোড়া  প্রতীকে ৭০ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস‍্য গাজী এজাজ আহম্মেদ পুনরায় চেয়ারম্যান  নির্বাচিত হয়েছেন।  তার নিকটতম প্রার্থী এ‍্যাড. মুনিমুর রহমান নয়ন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন   ৩৯ হাজার ৪১৫ ভোট, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা  পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ  সম্পাদক প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ (তালা) প্রতীকে ৫২ হাজার ৫৭২ ভোট,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিনা পারভীন রুমা   (কলস )প্রতীকে ৫৫  হাজার ৮৩৫ ভোট পেয়ে পুনরায়  নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন ।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন  ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩  জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

মোদির শপথগ্রহণ শেষে নৈশভোজে খাবারের মেনুতে কিকি ছিল জেনে নিন

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে আটটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুরমু।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনৌত, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচন্দ’, এবং আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র সিচেলিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আতিফ।

তাদের জন্য নৈশভোজ সভার আয়োজন করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

শপথ অনুষ্ঠানে বাহারি পদের খাবার ছিল অতিথিদের জন্য।  গরম থেকে বাঁচতে নৈশভোজের মেনু এবং খাবারে আনা হয় টুইস্ট। পানীয়ের তালিকায় ছিল রিফ্রেশিং জুস, বিভিন্ন ধরনের শেক, স্টাফড লিচু, মটকা কুলফি, ম্যাঙ্গো ক্রিম এবং রায়তা।

রিফ্রেশিং পানীয়ের পর ডিনারের মেনুতেও ছিল নানান পদের আয়োজন। ছিল যোধপুরি সবজি যা রাজস্থানের একটি সুস্বাদু তরকারি, ডাল, ছিল মশলা এবং সুগন্ধযুক্ত ভেষজ দিয়ে তৈরি সিদ্ধ চালের পদ দম বিরিয়ানি। তালিকায় ছিল পাঁচ ধরনের রুটিও। এর সঙ্গে ছিল ডেডিকেটেড পাঞ্জাবি ফুড কাউন্টার। এরসঙ্গে ছিল বেশ কিছু দেশীয় পদ।

যারা বাজরা পছন্দ করেন, তাদের মেনুতে ছিল বাজরা খিচড়ি। এটি মুক্তা বাজারা থেকে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পদ। এর সঙ্গে ছিল নানান ধরনের সবজি।

পানীয় বিভাগটিও সমানভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। পাঁচ ধরনের জুস, তিন ধরনের রায়তা এবং দইয়ের ওপর একটি সাইড ডিশ ছিল। এই সব খাবার গরমে অতিথিদের ঠান্ডা রাখতে সহায়ক ছিল।

ডেজার্ট উৎসাহীদেরও নিরাশ করেনি এ নৈশভোজ। মেনুতে ছিল আট ধরনের ডেজার্ট। ছিল জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি, সাদা রসমালাই, দুধে ভেজানো ক্রিম, চার ধরনের ঘেওয়ার- এটি একটি ঐতিহ্যশালী রাজস্থানী মিষ্টি।

এবারের নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। দেশটির লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। কোনো দল যদি এককভাবে দল গঠন করতে চায় তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়। কিন্তু বিজেপি এবার পেয়েছে ২৪০টি আসন। তবে তাদের এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। তাই তাদেরকে সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমু।

শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়করি, নির্মলা সীতারামন, ড. এস জয়শঙ্কর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং পীযূষ গোয়েল। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির প্রবীণ শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং, এইচএএম নেতা জিতন রাম মাঝি, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবং জিতিন প্রসাদ।

রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হাবিবের বিজয়

//নিজস্ব প্রতিনিধি//
রূপসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৭১১ ভোটের ব্যবধানে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ছিল দোয়াত-কলম।

এই উপজেলায় ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে হাবিব পেয়েছেন ২৫
হাজার ৭৭৭ ভোট।বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাতুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে ৬৫ টি ভোট কেন্দ্রে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন তিনজন। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন দুইজন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাতুল  ইসলাম
জানান, চেয়ারম্যান পদে (দোয়াত-কলম) প্রতীকে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট এবং( কাপ-পিরিচ) প্রতীক নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ পেয়েছেন ২৪
হাজার ৬৬ ভোট। বেসরকারি ফলাফলে এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে গতকাল বিভিন্ন কেন্দ্রের তথ্যনুযায়ী এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ, oঅবাধ, নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কোন প্রকার সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ যোবায়ের (তালা) নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯,৮০২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা হিরন আহম্মেদ (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১৭,৭৩৬ ভোট। অপর দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সারমিন সুলতানা রুনা(প্রজাপতি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৬৬৯৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারহানা আফরোজ মনা(কলস) পেয়েছেন ২৭,৭০৬ ভোট।

টানা তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন কিন্তু বিভাবে এবং কত আসন পেলেন

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

  • ২০১৪ সালে ২৮২ আসন পেয়ে সরকার গড়েছিলেন মোদি। পাঁচ বছর পর পেয়েছিলেন ৩০৩ আসন।
  • জোট সরকার চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা মোদির নেই। এবারই প্রথম তাঁকে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে।

আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পাশে নিজের নামটিও তিনি খোদাই করতে চলেছেন। যদিও নেহরুর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে তিনি ব্যর্থ হলেন। পারলেন না ‘চার শ পার’ স্লোগান সার্থক করে রাজীব গান্ধীর রেকর্ড টপকে যেতে।

গতকাল মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল মোদির দল বিজেপি এককভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও তাদের এনডিএ তিন শ আসনও ছুঁতে পারল না। প্রবলভাবে উঠে এল কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট। টানা এক দশক পর তারা মোদির বিজেপির একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাল। সরকার গড়লেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে এখন থেকে হতে হবে পরমুখাপেক্ষী। তাঁর ঘাড়ে প্রতিনিয়ত শ্বাস ফেলবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া।

ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৮৬ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২ ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি। এর অর্থ, বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে প্রধানত দুই শরিক নীতীশ কুমারের জেডি–ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।

কংগ্রেস স্বভাবতই এই ফলে উৎফুল্ল। গতকাল বিকেলে দলীয় দপ্তরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। গোটা নির্বাচনটাই বিজেপি লড়েছিল মোদির নামে। যাবতীয় গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন মোদি। এটা ছিল তাঁর পক্ষে অথবা বিপক্ষের গণভোট। জনতা তাঁর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।

খাড়গে ও রাহুল দুজনেই জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে বুধবার (আজ)। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ওয়েনাড ও রায়বেরিলি, দুই জেতা আসনের কোনটি রাখবেন কোনটি ছাড়বেন—সেই সিদ্ধান্তও সবার সঙ্গে আলোচনার পর নেবেন বলে রাহুল জানান। দুই নেতাই বলেন, এই জয় জনতার জয়।

এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আগামী দিনগুলোয় প্রশাসক নরেন্দ্র মোদিকে নতুনভাবে আবির্ভূত হতে হবে। সেই ভূমিকা কোনো দিন তিনি পালন করেননি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সরকার ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। কারও ওপর নির্ভর করতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে কখনো অন্য কারও মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি। ২০১৪ সালে সরকার গড়েছিলেন ২৮২ আসন পেয়ে। পাঁচ বছর পর পান ৩০৩ আসন। এবার এক ঝটকায় তা ২৪০– এ নেমেছে। সরকার গড়ার এই যে ৩২টি আসন ঘাটতি, তা মেটাতে হবে জেডি–ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর সমর্থন নিয়ে। এদের কাউকেই উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করার মতো অবস্থায় মোদির বিজেপি থাকবে না; বরং সারাক্ষণ তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। দাবি মানতে হবে। পছন্দের মন্ত্রিত্বও দিতে হবে। না হলে জোট ছাড়ার প্রচ্ছন্ন শঙ্কার মধ্যে থাকতে হবে। নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর অতীত মোদির জানা। বারবার তাঁরা জোটে এসেছেন, বেরিয়েও গেছেন। নাইডু এবার আরও শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান। অন্ধ্র প্রদেশে একার ক্ষমতাতেই সরকার গড়ার মতো অবস্থায় তিনি। মোদি তাঁকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন যে গণনা চলাকালীনই তাঁকে ফোন করে জানিয়ে দেন, তাঁর শপথে নিজে উপস্থিত থাকবেন। চন্দ্রবাবু শপথ নেবেন ৯ জুন, ওই দিনটিই মোদি বেছে রেখেছিলেন তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার জন্য।

জোট সরকার চালানোর কোনো অভিজ্ঞতাই মোদির নেই। জোটের ধর্ম কেমন, তা–ও তাঁর অজানা। টানা ১০ বছর দাপিয়ে তিনি শাসন করেছেন। কারও তোয়াক্কা না করে সরকার চালিয়েছেন। পুরোপুরি নিজের ইচ্ছেমতো। সেই উঁচু মাথা হেঁট করে অনমনীয় চরিত্র নমনীয় করে শরিকদের যাবতীয় আবদার মেনে শাসন করার কায়দা তাঁকে শিখতে হবে। আত্মমগ্ন ও কর্তৃত্ববাদী কোনো শাসকের পক্ষে রাতারাতি এই রূপান্তর কঠিন। সেই কঠিন কাজই মোদিকে রপ্ত করতে হবে। এমন মোদিকে কেউ কখনো দেখেনি। সে দিক দিয়ে তিনি নিজেই চমকপ্রদ দ্রষ্টব্য হয়ে উঠবেন।

এই ভোট ও তার ফল নরেন্দ্র মোদির কয়েকটি স্বপ্নও খানখান করে দেবে। যেমন তাঁর সাধের ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি। তিনি ভেবেছিলেন, প্রথম দুবারের মতো একক ক্ষমতায় তৃতীয়বার সরকারে এলে এই নীতি চালু করে দেবেন। ইন্ডিয়া জোট শুরু থেকেই ওই নীতির বিরোধী। এনডিএর শরিকদেরও তাতে মত থাকবে কি না, সন্দেহ। একইভাবে বানচাল হয়ে যাবে বহু প্রচারিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়টিও। দুটি সিদ্ধান্ত বলবৎ করতে গেলে সংবিধান সংশোধন জরুরি। সে জন্য প্রয়োজন সংসদের দুই–তৃতীয়াংশ সমর্থন; এই ফলের পর যা আশা করা বৃথা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ‘ইলেকটোরাল বন্ড’ কিছুটা পাল্টে নতুন করে আনার পরিকল্পনা মোদির ছিল। সেই আশাও জলাঞ্জলি দিতে হবে। ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলও এরপর সরকারি অডিটের আওতার বাইরে রাখা মোদির পক্ষে সম্ভবপর হবে কি না, বলা কঠিন। বিরোধীদের উপস্থিতি সোয়া দুই শর বেশি হওয়ায় অর্ধেক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ তাদের দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, গত পাঁচ বছর হীনবল বিরোধীদের যে দাবি মোদি কর্ণপাত করেননি, তা এবার মেনে নিয়ে লোকসভার ডেপুটি স্পিকারের পদটি দিতে হবে বিরোধীদের। ৯৯ আসন পাওয়া কংগ্রেসকে দিতে হবে বিরোধী নেতার পদ, যা পেতে গেলে ৫৫ আসন জিততে হয়। গতবার যা ছিল মোদির দাক্ষিণ্য।

দেখার বিষয় আরও আছে। পাঁচ বছর ধরে মোদি সরকার ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগ, এনআইএর যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। তাদের দল ভাঙানো ও দল গঠনের মতো কাজে লাগিয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। রাহুল নিজেই গতকাল বলেছেন, কংগ্রেসকে বিপদে ফেলতে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শক্তিশালী বিরোধীদের চাপে এই প্রবণতা কতটা বজায় থাকে, সেটাও দেখার। স্পষ্টতই এত দিন মোদির সরকার এদের যেভাবে ব্যবহার করে এসেছে, তাতে তাদের রাশ টানতেই হবে। এত দিন ধরে যে বিশেষণে মোদি ভূষিত হয়েছেন, সেই ‘স্বৈরতন্ত্রী’ তকমা বজায় রাখতে তিনি পারবেন কি?

এই ফল জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নতুন করে ফিরিয়ে আনল। হিন্দি বলয়ে যে দল প্রায় মুছে গিয়েছিল, কিছুটা হারানো জায়গা তারা ফিরিয়ে আনল। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান ও বিহারে। পাঞ্জাবের প্রতিষ্ঠিত সব কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে চলে গেলেও একার ক্ষমতায় তারা অধিকাংশ আসন জিতেছে। মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে জমি খুঁজে নিয়েছে। ব্যর্থতা তাদের অবশ্যই আছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশে কিছুই প্রায় করতে পারেনি। কিন্তু আসনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করে ১০০ ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া দলটাকে চনমনে করে তুলবে। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করতে প্রিয়াঙ্কাকে রায়বেরিলি থেকে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনা যখন রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় মহা ধুমধামের সঙ্গে বিজেপি তাদের দলীয় দপ্তরে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করল। দৃশ্যত উৎফুল্ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহাস্য মুখে অভিবাদন গ্রহণ করলেন। যদিও মনে খচখচানি তাঁর থাকারই কথা। দলের ৩৭০ পাওয়া তো দূরের কথা, জোটকে ৩০০ পাইয়ে দিতেও তিনি ব্যর্থ। শুধু কি তাই? যে বারানসি থেকে গতবার তিনি সাড়ে ৪ লাখের বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন, সেখানে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছেন মাত্র দেড় লাখ ভোটে। নরেন্দ্র মোদির কাছে দুটোর কোনোটাই সম্মানের নয়।

আজ ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচন|| ব্যাপক প্রস্তুতি|| মূল্যবান ভোটের অপেক্ষায় প্রার্থী

||এম মুরশীদ আলী||

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ ৫ জুন ৬ষ্ঠ ধাপে। খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্রগুলির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সকল ভোট কেন্দ্রে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী’র অংশগ্রহনের মধ্যে ভোটারদের ভোট গ্রহন হবে। রূপসায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৬ জন। তাদের জন্য ৬৫ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সরকারী ভাবে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে স্বতস্ফুতভাবে ভোটারগণ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবে।

নির্বাচনে প্রার্থীগণ হলেন- আব্দুল অদুদ মোড়ল (ঘোড়া), এসএম হাবিবুর রহমান (দোয়াত-কলম), মো. কামরুজ্জামান (আনারস), মো. কামাল উদ্দীন (টেলিফোন), মো. নোমান ওসমানী (মোটরসাইকেল), সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ (কাপ-পিরিচ)। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে- মো. আব্দুল্লাহ যোবায়ের (তালা), মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার (বই), মো. হিরন সেখ (টিউবওয়েল) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- ফারহানা আফরোজ (কলস), শারমীন সুলতানা রুনা (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে এ ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার, সহকারী রিটার্ন অফিসার জান্নাতুল ইসলাম জানান- আইচগাতী ইউনিয়নে ১৫ টি ভোটকেন্দ্র ভোটার সংখ্যা ৩৯৬১১ জন, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ১০ টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২২২২৩ জন, নৈহাটী ইউনিয়নে ২০ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪৮৮৩৮ জন, টিএসবি ইউনিয়নে ৭ টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬০৮৯ জন, ঘাটভোগ ইউনিয়নে ১৩ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩০৫৯৫ জন। সর্বমোট রূপসা উপজেলায় ৬৫ টি ভোটকেন্দ্রে ১৫৭৩৫৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটারের ৭৭৬৪৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৭৯৭১১জন।

রূপসায় নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান জানান- সকল প্রকার সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলার জন্য ৬ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- আরিফুর ইসলাম, মো. আজাহার আলী, দীপা রানী সরকার, শরীফ শাওন, সুমাইয়া সুলতানা এ্যানি এবং অপ্রতীম কুমার চক্রবর্তী।

রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক জানান- নির্বাচন কে সুষ্ঠ এবং অর্থবহ করতে থানা পুলিশ সহ জেলা পুলিশের ১৮/২০ টি ভ্রাম্যমাণ পুলিশ টিম দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া ৩ টি র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিম এবং বিজিবির ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের পূর্ব দিন থেকে নির্বাচনের পরবর্তী দিন পর্যন্ত তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য টহল দিতে থাকবে।

রূপসার সামন্তসেনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ-পিরিচ) পক্ষে উঠান বৈঠক

//এম মুরশীদ আলী//

রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জুন। চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক  অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ এর (কাপ-পিরিচ) প্রতীকের পক্ষে উঠান বৈঠক গত ২ জুন বিকেলে, নৈহাটি ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড সামন্তসেনা পাইক পাড়া এলাকায় মো. নজরুল ইসলাম পাইকের বাড়ি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।

উঠান বৈঠকে মো. নজরুল ইসলাম পাইকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্ত‌ি‌যোদ্ধা এমএম মুজিবুর রহমান, সা‌বেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আঃ মজিদ ফকির, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবিএম কামরুজ্জামান, জেলা কৃষকলীগ নেতা মুহাসিন হোসেন পাইক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন- সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ এর সহধর্মীনী (অব:) প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার।

উঠান বৈঠকে মো. হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন- আওয়ামীলীগ নেতা আঃ গফ্ফার শেখ, জিএম মালেক, শাহ নেওয়াজ কবির টিংকু, মোকছেদ ফকির, রুদ্রনীল শুভ প্রমূখ।

পাইকপাড়ায় উঠানে বৈঠক আয়োজন করে- হোসেন পাইক, নয়ন পাইক, বখতিয়ার পাইক সহ অনেকে। যুবকদের ডাকে শত শত নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মূলক উঠান বৈঠক সফল করে তোলেন।