Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the post-views-counter domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dainikbiswa/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - দৈনিক বিশ্ব

বাগেরহাটে দুই দিন ব্যাপী তথ্যমেলার উদ্ভোধন

//বিশেষ প্রতিনিধি, জেনিভা প্রিয়ানা//

”তথ্যের অধিকার” সুশাসনের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাগেরহাটে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী তথ্যমেলা। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে তথ্যমেলার উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। তথ্যমেলায় জেলা পর্যায়ের ২৬টি সরকারি ও বেসরকারী ষ্টল থেকে তাদের সেবা ও তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে নাগরিকরা জানতে পারছে।

বাগেরহাট জেলা সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি অ্যাডভোকেট রামকৃষ্ণ বসুর সভাপতিত্বে তথ্যমেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা উপ পরিচালক ম্ঈুনুল ইসলাম, খুলনা টিআইবি কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বকসি, বাগেরহাট জেলা আনইজীবী সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মন্টু, বাগেরহাট প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, তথ্যমেলার আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. শাহ্ আলম টুকু প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিভিন্ন ষ্টল ঘোরে দেখেন।

বুধবার বিকাল ৩টায় তথ্যমেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কার্যক্রম উপস্থানা,দুনীতি বিরোধী ভিডিও প্রদর্শন, প্রশ্নোত্তর পর্ব, কুইজ ও প্রীতি বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়িদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

রূপসায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

//এম মুরশীদ আলী, রূপসা//

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন স্টেম এন্ড আইসিটি স্কিলস ফর দ্যা গার্লস অফ কোস্টাল এরিয়া (STEM & ICT Skills for the Girls of Coastal Area-SISGCA) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খুলনার রূপসা উপজেলার কমরেড রতন সেন কলেজিয়েট স্কুল ও নৈহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং, রোবটিক্স, বিজ্ঞান ও গণিতের উপর দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাস্তবিক সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগানোর মনোভাব সৃষ্টি ও প্রযুক্তি কর্মক্ষেত্রের জন্য দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার উৎসাহ দিতে গত ৩ অক্টোবর দিনব্যাপী শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রোজেক্ট প্রদর্শনী, স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, রোবটিক্স প্রতিযোগিতা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সাক্ষরতা, জ্ঞান, প্রয়োজনীয় দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, সচেতনতা তৈরীতে বিভিন্ন কার্যক্রম কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণপূর্বক ডিসপ্লে পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।

রূপসায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

উল্লেখিত প্রকল্পের নির্ধারিত দুটি স্কুল ছাড়াও রূপসা উপজেলার আরো ৮টি স্কুল এই ফেস্টে অংশগ্রহণ করে। যথাক্রমে- আজগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাজদিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বেলফুলিয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, শিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নৈহাটি গার্লস স্কুল ও কমরেড রতন সেন কলেজিয়েট গার্লস স্কুল। এরপর অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

রূপসায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
রূপসায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান।

সভায় অলিম্পিয়াডের সভাপতি ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন- শাখিরা আফরোজ দিপা। এ সময়  বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড মখলুক সাবির আহমেদ, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স বিভাগের প্রধান ডঃ মো. হেলাল আল নাহিয়ান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, সিনিয়র ডিরেক্টর কনা সফটওয়্যার ল্যাব লিঃ জাহিদুল আমিন, এক্সিকিউটিড সদস্য বিডিওএমএন নাসির খান সৈকত, কমরেড রতন সেন কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক সভাপতি এসএম রোমিও হোসেন পিয়াস প্রমূখ।

মহাবিশ্বের পঞ্চম বল আসলে কী?

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

২০১২ সাল। হাঙ্গেরিয়ান পদার্থবিদেরা ভীষণ উত্ফুল্ল। ছোট্ট একটা পরীক্ষা যে কখনোসখনো বড় ফল এনে দেয়, যা নাকি একেবারেই অপ্রত্যাশিত, এমন কিছু ঘটলে তো বিজ্ঞানীরা উত্ফুল্ল হবেনই। সেই গবেষকদের দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডেব্রেসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারের পদার্থবিদ আত্তিলা কার্জন্যাহরকে।

একটা ছোট্ট সাধারণ কণা ডিটেক্টর নিয়ে কাজ করছিলেন তাঁরা। হঠাত্ ডিটেক্টরে অন্য রকম একটা কণার সন্ধান পান বিজ্ঞানী দল। কণাটি খুব হালকা। ভর ৩৪টি ইলেকট্রনের সমান।

সেটার চরিত্র বোঝার জন্য চলল তথ্য-উপাত্ত নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু পদার্থবিদ্যার যে স্ট্যান্ডার্ড মডেল, তাতে যে কটি কণা ঠাঁই পেয়েছে, তার কোনোটির সঙ্গেই মেলে না কণাটির চরিত্র। তার মানে, স্ট্যান্ডার্ড মডেলের চেনাজানা গণ্ডির বাইরের কোথাও থেকে হাজির হয়েছে কণাটি!

তাহলে কি তাঁদের হিসাবে কোনো ভুল হলো? ভাবলেন বিজ্ঞানীরা। আবার তাঁরা পরীক্ষাটি করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

এবারও একই ফল। কী এই কণা? আবার শুরু হলো তাঁদের হিসাব-নিকাশ। শেষমেশ বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এলেন, এটাই ডার্ক ফোটন। সেটা আবার কী? ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জির নাম নিশ্চয় অজানা নয়। বাংলায় যাদের অনেকে গুপ্তপদার্থ ও গুপ্তশক্তি বলে।

সেই ডার্ক ম্যাটারের জন্য মহাবিশ্বে একধরনের বলের দরকার হয়। সেই বলের জন্য দায়ী যে কণা, সেটাই হচ্ছে ডার্ক ফোটন।

ডার্ক ফোটন নামটা নেওয়া হয়েছে আরেকটা বলবাহী কণা ফোটনের নাম থেকে। ফোটন হলো আলোর কণা। ইলেকট্রন, প্রোটনের কিংবা কোয়ার্কের মতো বস্তুকণা নয়। আমরা যে আলোর সাহায্যে দেখি, সেটা একই সঙ্গে কণা এবং তরঙ্গ প্রকৃতির। আলোর সেই কণাকেই ফোটন বলে। ফোটন আবার দুই রকমের-বাস্তব আর ভার্চ্যুয়াল ফোটন। পরমাণুর ভেতরে ইলেকট্রনরা যখন এক উচ্চ শক্তি স্তর থেকে নিম্ন শক্তি স্তরে নেমে আসে, তখন আমরা যে ফোটন দেখি, সেগুলো বাস্তব কণা। আবার বিদ্যুত্চুম্বকীয় বলের জন্য দায়ী কণারা হলো ভার্চ্যুয়াল ফোটন। একটা চার্জিত কণা যখন ত্বরিত হয় বা বৃত্তাকার পথে ঘোরে, তখন সেই কণা বিদ্যুত্চুম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ করে। আবার চার্জিত কণা বিদ্যুৎক্ষেত্র তৈরি করে। অর্থাত্ তার যে বৈদ্যুতিক প্রভাব, সেটা ছড়িয়ে রাখে শূন্যস্থানে। আরেকটি চার্জিত কণা যখন সেই বিদ্যুৎক্ষেত্রে আসে, তখন সে এক ধরনের বল অনুভব করে। সেই বলই হলো বিদ্যুত্চুম্বকীয় বল। এ কথা একটা চৌম্বকক্ষেত্রের জন্যও সত্যি। একটা চুম্বক তার চৌম্বকীয় প্রভাব ছড়িয়ে রাখে শূন্যস্থানের ভেতর। আরেকটা চৌম্বকীয় পদার্থ সেই ক্ষেত্রের ভেতর এলে চৌম্বক বল অনুভব করে। এটাও আসলে বিদ্যুত্চুম্বকীয় বল। বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই দেখিয়েছেন, চুম্বক আর বিদ্যুত্ একই বলের আলাদা রূপ। আর বৈদ্যুতিক চার্জ আর চুম্বক শূন্যস্থানে যে বল ছড়িয়ে রাখে, সেগুলো আসলে বিদ্যুত্চুম্বকীয় তরঙ্গ আকারে। আবার আলো, যার সঙ্গে আমাদের নিত্য বসবাস, সেটাও কিন্তু বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। পরমাণুর ভেতর প্রোটন আর ইলেকট্রনের ভেতর যে আকর্ষণ, যে কারণে ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘোরে, সেই আকর্ষণ বল আসলে একধরনের বিদ্যুত্চুম্বকীয় বলই। আর এই বিদ্যুত্চুম্বক যে তরঙ্গাকারে ছড়িয়ে পড়ে, তার পেছনে ভূমিকা রয়েছে ভার্চ্যুয়াল ফোটনদের।

মহাবিশ্বে আরও তিনটি বল সক্রিয়। সবল নিউক্লীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল আর মহাকর্ষ বল। সবল নিউক্লীয় বল ক্রিয়া করে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভেতর। নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন আর চার্জ নিরপেক্ষ নিউট্রন অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে। তাদের এই শক্তিশালী বন্ধনের রহস্য কী? বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে একসময় বিরাট ঝামেলায় পড়েছিলেন। পরে প্রমাণ হয়, এর পেছনে সম্পূর্ণ নতুন এক বল কাজ করে। বিজ্ঞানীরা এই বলের নাম দিলেন সবল নিউক্লীয় বল। চার বলের মধ্যে এই বলই সবচেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু পাল্লা খুব কম। পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ক্ষুদ্র আয়তনের মধ্যেই এর যত জারিজুরি। তার বাইরে এর বাহাদুরি চলে না। কিন্তু এই বলের জন্য দায়ী কোনো কণা আছে কি? বিজ্ঞানীরা একটা সময় মনে করতেন, মেসন নামের একধরনের কণা এই বলের বাহক হিসেবে কাজ করে। পরে তাঁরা জানতে পারেন, মেসন নিজেই মূল কণিকা নয়। এগুলো কোয়ার্ক দিয়ে তৈরি। মূল কণিকা নয় নিউট্রন কিংবা প্রোটনও। এরাও কোয়ার্ক তৈরি দিয়ে। নিউট্রন, প্রোটন আর মেসনের ভেতরে কোয়ার্কগুলোকে আটকে রাখে গ্লুয়ন নামের বলবাহী কণা। এই গ্লুয়নই সবল নিউক্লীয় বলের বাহক কণা।

হাইড্রোজেন কিংবা লোহা-বেশির ভাগ মৌলের নিউক্লিয়াস স্থিতিশীল। কিন্তু কিছু পরমাণুর নিউক্লিয়াস মোটেও সুখে-শান্তিতে থাকতে রাজি নয়। তাদের ভেতরের নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে যেন জন্মের আড়ি। সেই আড়ি থেকেই তাদের নিউট্রনগুলোর ভেতর ভাঙন ধরে। তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে ক্রমাগত কমে যায়, পরিবর্তন হয় পারমাণবিক সংখ্যা। এক পরমাণুর নিউক্লিয়াস ভেঙে পরিণত হয় আরেকটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে। কণা বিজ্ঞানীরা বলেন, এর পেছনে কাজ করে দুর্বল নিউক্লীয় বল। এই দুর্বল নিউক্লীয় বলের বাহক হলোW+, W- ও Z0 নামের তিনটি কণা।

চারটি বলের মধ্যে মহাকর্ষ সবচেয়ে দুর্বল। এর আকর্ষণ ক্ষমতা খুবই কম। কিন্তু বিস্তার অনেক বেশি, অসীম পর্যন্ত। এই বলের জন্য নিউটন বলেছিলেন বস্তুর ভর দায়ী। কিন্তু বস্তুর সেই ভরটা কোথায় থাকে, সেটা আজও মস্ত এক রহস্য। আইনস্টাইন বলেছিলেন, মহাকর্ষ হলো স্থান-কালের বক্রতার ফল। ভারী বস্তু তার চারপাশের স্থান-কাল বাঁকিয়ে দেয়। সেই বাঁকানো স্থান-কালের ভেতর আরেকটি বস্তু এসে পড়লে মনে হয়, বস্তু দুটো পরস্পরকে আকর্ষণ করছে। কিন্তু এই বল নিয়ে একটা ঝামেলা আছে। খুদে কণিকাদের জগতে এই বল কাজ করে না। আবার খুদে কণিকারা চিরায়ত বলবিদ্যার কোনো সূত্রই মানে না। তাই এদের জন্য তৈরি হয়েছে পদার্থবিদ্যার আরেকটা শাখা কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। সেই বলবিদ্যা দিয়ে মহাবিশ্বের পুরোটা আবার ব্যাখ্যা করা যায় না। ভারী বস্তুর প্রকৃতি ব্যাখ্যায় আজও নিউটন-আইনস্টাইনের বলবিদ্যাই কার্যকর। মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য ব্যাখ্যার জন্য ১৯৭০-এর দশকে তিন পদার্থবিদ স্টিভেন ওয়েনবার্গ, আবদুস সালাম ও শেলডন গ্ল্যাশো স্ট্যান্ড্যার্ড মডেল দাঁড় করান। সেই মডেলে স্থান পায় সব মূল কণিকার। বোসন আর ফার্মিয়ন এই দুই শ্রেণিতে ভাগ করে। ফার্মিয়ন শ্রেণির কণাগুলো সাধারণ বস্তুকণা আর বোসন কণাগুলো হলো বলবাহী কণা। কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড মডেলে মহাকর্ষ বলের স্থান কোথায়? এটার সমাধান আজও হয়নি। তবে কণা পদার্থবিদেরা একটা হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়েছেন। বলেছেন, এক কল্পিত বলবাহী কণার কথা, সেটা গ্র্যাভিটন। সেটার কারণেই নাকি বস্তু মহাকর্ষ বল অনুভব করে। কিন্তু সেই বলবাহী কণার দেখা আজও পাননি বিজ্ঞানীরা।

এখন যেটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, এই চার বলই কি নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা মহাবিশ্ব। তা হয়তো নয়। কারণ, মার্কিন বিজ্ঞানী ভেরা রুবিনের একটা তত্ত্ব। ১৯৭০-এর দশকে এই মার্কিন জ্যোতির্বিদ বললেন, এক আশ্চর্য কথা। মহাবিশ্বের মোট ভরশক্তির খুব সামান্য অংশই আমাদের কাছে ধরা দিয়েছে, মাত্র ৫ শতাংশ। বাকি ৯৫ শতাংশই রয়ে গেছে গুপ্ত অবস্থায়। আমাদের প্রচলিত পদার্থবিদ্যার জ্ঞান দিয়ে আপাতত সেগুলোর হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। পরে বিজ্ঞানীরা একটা তথ্য বের করতে পারলেন। সেই গুপ্ত ভরশক্তির ৬৮ শতাংশ গুপ্ত শক্তির (Dark Energy) আকারে থাকে, বাকি ২৭ শতাংশ গুপ্ত পদার্থ (Dark Matter)। কিন্তু কেন এই গুপ্ত ভরশক্তির অবতারণা?

সমস্যাটার সূত্রপাত ১৯৩০-এর দশকে। ডাচ বিজ্ঞানী ইয়ান ওর্ট ও মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রিত্জ জুইকি মহাকাশে অদৃশ্য এক মহাকর্ষ প্রভাবের সন্ধান পেলেন। সেই মহাকর্ষীয় প্রভাবের জন্য মহাবিশ্বের কোনো বস্তুই দায়ী নয়। অচেনা বস্তু থেকে তৈরি সেই মহাকর্ষ বলের প্রভাব অনেক অনেক বেশি। তবে কি তাঁদের হিসাবে ভুল ছিল? প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা সেটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাননি। ১৯৫৯ সাল, জ্যোতির্বিদ লুইস ভোল্ডারসের আরেকটি গবেষণা বিষয়টা নিয়ে আবার ভাবিয়ে তুলল বিজ্ঞানী মহলকে। এরপরই ভেরা রুবিন সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এই বিশাল পরিমাণ ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জিকে আমলে নিয়েই বিগ ব্যাং, মহাবিশ্বের প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা যায়। ব্যাখ্যা করা যায় আইনস্টাইনের মহাকর্ষও। সুতরাং গুপ্তপদার্থ ও গুপ্তশক্তি নিয়ে আর কারও সন্দেহ থাকে না।

বিশ্বব্যাপী ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে চার দশক ধরে। কিন্তু এদের সন্ধান মেলেনি। বিজ্ঞানীরা দৃশ্যমান জগতের মতো ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জিও নিয়ে একটা বৈজ্ঞানিক সিস্টেম তৈরি করতে চাচ্ছেন। এরই প্রথম প্রয়াস হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানীদের এই তত্ত্ব। তাঁরা মনে করেন, বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বল যেমন আমাদের চেনাজানা মহাবিশ্বকে দৃশ্যমান করছে, এর সম্পূর্ণ পরিচিতি তুলে ধরেছে আমাদের সামনে, তেমনি একটি বল নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা গুপ্ত ভরশক্তির জগেক। হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানীরা গুপ্তজগতের সেই বলটিকেই বলছেন ডার্ক ফোর্স বা গুপ্তবল, যা নাকি মহাবিশ্বের পঞ্চম বল হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। বল যদি থাকে তাহলে সেই বলের বাহকেরও দরকার। অর্থাৎ এর জন্যও একটা বলবাহী বোসন কণা থাকতে হবে। আত্তিলা কার্জন্যাহরকে আর তাঁর দলটি বলছে, তাঁদের আবিষ্কার করা সেই রহস্যময় কণাটি আসলে ডার্ক ফোর্সের বাহক। তাঁরা ২০১৫ সালে আবার একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তাতে তাঁরা দাবি করেন, পঞ্চম এই বল আর ডার্ক ফোটনই হবে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের মিসিং লিংক। প্রথম দিকে তাঁদের এই তত্ত্ব নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামাননি। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল গবেষক হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলটিকে যাচাই করে দেখেন। তাঁরা এতে কোনো খুঁত খুঁজে পাননি। এ কথাও তাঁরা ফলাও করে প্রচার করেছেন। তাতেই টনক নড়েছে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চম বল আর ডার্ক ফোটন নিয়ে বিশ্বের বড় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করবেন। হয় তাঁরা হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে প্রমাণ করবেন, নয়তো বাতিল হবে ৫ নম্বর বল আর গুপ্ত ফোটনের এই তত্ত্ব।

লেখক: সহসম্পাদক, বিজ্ঞানচিন্তা

সূত্র: পপুলার সায়েন্স

Daily World News

আগামীকাল ঈদ|| দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস আছে দেখে নিন ভিজা কাপড় দিয়ে

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

এলপিজি সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস অবশিষ্ট আছে তা বোঝার সহজ ও কার্যকর উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা। দরকার শুধু এক টুকরো ভেজা ন্যাকড়ার।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তা বুঝতে একটি ভেজা ন্যাকড়ার পানি ভালো করে ঝরিয়ে নিয়ে সেই ন্যাকড়াটি পেঁচিয়ে দিতে হবে সিলিন্ডারের গায়ে। এরপর মিনিটখানেক অপেক্ষা করলেই দেখা যাবে ন্যাকড়ার কিছুটা অংশ ভেজা থাকলেও কিছুটা অংশ শুকিয়ে যাবে। যে অংশটুকু ভেজা থাকবে, বুঝে নিতে হবে সেইটুকুই গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে সিলিন্ডারে।

এর কারণ জানান বিশেষজ্ঞরা- রান্নার সিলিন্ডারে ভরা থাকে এলপিজি বা লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। এ গ্যাসে ভরা অংশের উষ্ণতা খালি অংশের তুলনায় কিছুটা হলেও কম থাকে। ফলে এই অংশে জড়িয়ে রাখা ভেজা কাপড় তুলনামূলকভাবে দ্রুত শুষ্ক হয় ও বাকি অংশটি ভেজা থেকে যায়।

কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

যাদের যুক্তি পছন্দ তাদের পক্ষে জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্টকে উপেক্ষা করা অসম্ভব৷ সোমবার তার ৩০০তম জন্মবার্ষিকী ছিল৷ ‘চিরস্থায়ী শান্তি’র এই লেখকের দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক৷

১৭২৪ সালের ২২ এপ্রিল পূর্ব প্রুশিয়ার ক্যোনিগসব্যার্গে (বর্তমান রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ) জন্মেছিলেন কান্ট৷

দুনিয়াকে বুঝতে হলে যে আপনাকে পৃথিবী ভ্রমণে বের হতে হবে, তা নয়৷ কান্ট কখনও তার শহর ক্যোনিগসব্যার্গ ছেড়ে যাননি৷ কিন্তু তারপরও তিনি দুনিয়া নিয়ে যে দর্শন দিয়েছেন তাতে সমৃদ্ধ হয়েছে দর্শনশাস্ত্র৷

শুধু তাই নয়, ১৭ শতকে তার হাত ধরেই ইউরোপে এনলাইটেনমেন্ট বা আলোকায়ন যুগ শুরু হয়েছিল৷ এনলাইটেনমেন্ট ছিল একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে প্রথাগত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের শাসন থেকে মানুষকে মুক্ত করে সমাজকে মানবিকতার পথে পরিচালিত করা৷

কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত

কান্টকে সর্বকালের সেরা চিন্তাবিদদের একজন ধরা হয়৷ তার অনেক দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক৷ ১৭৯৫ সালে লেখা ‘অন পার্পেচুয়াল পিস’ প্রবন্ধে তিনি বিশ্বের সব প্রজাতন্ত্রের সমন্বয়ে ‘লিগ অফ নেশনস’ নামের একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন তৈরি পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ সেই পরামর্শ অনুসারেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ‘লিগ অফ নেশনস’ তৈরি হয়েছিল, যেটি আজকের জাতিসংঘ৷

কান্ট মনে করতেন, প্রতিটি মানুষের বিশ্বের যে কোনো দেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ তবে সেই দেশে তাকে সাদরে গ্রহণ করা হবে, বিষয়টা তেমন নাও হতে পারে৷

মানুষের মর্যাদা ও মানবাধিকারকে ধর্ম দিয়ে নয়, দার্শনিকভাবে যুক্তি দিয়ে বিচারের কথা বলতেন কান্ট৷

মানুষের উপর তার অগাধ বিশ্বাস ছিল৷ তিনি মনে করতেন, নিজের ও বিশ্বের সবার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের আছে৷ তাই তিনি মানুষকে এমনভাবে কাজ করতে বলতেন যেনস সেটা পরবর্তীতে সযে-কোনো সময় পৃথিবীর সবার জন্য আইন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে৷ আজকের বিচারে তার এই কথাটা এভাবে বলা যেতে পারে: আপনার শুধু তা-ই করা উচিত যেটা সবার জন্য ভালো হবে৷

১৭৮১ সালে প্রকাশিত কান্টের ‘ক্রিটিক অফ পিউর রিজন’ বইটি বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়৷ এই বইয়ে তিনি দর্শনের চারটি মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরেছেন: আমি কী জানতে পারি? আমার কী করা উচিত? আমি কী আশা করতে পারি? আর মানুষ কী?

তার আগে পৃথিবীতে আসা অনেক দার্শনিকের বিপরীত চিন্তা করতেন কান্ট৷ তিনি বলেছেন, মানুষের মন ঈশ্বরের অস্তিত্ব, আত্মা বা পৃথিবীর শুরুর মতো প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারে না৷

কান্টের সমসাময়িক জার্মান রোমান্টিক লেখক জ্যঁ পাউল (১৭৬৩-১৮২৫) বলেছিলেন, ‘‘কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত৷”

উপনিবেশবাদ ও দাসত্বের বিরোধী ছিলেন কান্ট৷

দৈনন্দিন জীবনে কঠোর নিয়মনীতি মনে চলতেন কান্ট৷ পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনেক সময় নিয়ে দুপুরের খাবার খেতেন, বিলিয়ার্ড খেলতে পছন্দ করতেন, আর খেলতেন কার্ড গেমস৷ থিয়েটারে যেতেও পছন্দ করতেন তিনি৷ আর চুল কাটার দোকানে কান্ট গল্প বলে সবাইকে আনন্দ দিতে পারতেন বলে জানা যায়৷

কান্টের ৩০০তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জার্মানিতে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ যেমন বন শহরে ‘আনরিজলভড ইস্যুস’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে৷ এছাড়া জুন মাসে বার্লিনে একটি অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স ও বছরের শেষ দিকে বন শহরে আন্তর্জাতিক কান্ট কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এই সম্মেলনটি কান্টের জন্মভূমি কালিনিনগ্রাদে করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে৷ Source DW

Daily World News

শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের দলীয় সিদ্ধান্তে

আবহাওয়া অফিস|| দাবদাহ নিয়ে দুঃসংবাদ

ডুবে যেতে পারে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিমান বন্দর

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

২৯ বছর আগে ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। জাপানের ওসাকা,কিয়োটো কোবের মতো ব্যস্ত শহর থেকে নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এটি।

ওসাকা স্টেশন থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসাকা বের ঠিক মাঝখানে দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর  তৈরি হয়েছে এ বিমানবন্দর।

কিন্তু যে দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর বিমান বন্দর তৈরি করা হয়েছে তা ক্রমেই সমুদ্রের তলায় ডুবে যাচ্ছে। এমনকি,মূল ভূখণ্ড থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে এ বিমানবন্দর। বিশেষজ্ঞদের দাবি,ইতোমধ্যেই কৃত্রিম দ্বীপের ৩৮ ফুটেরও বেশি ডুবে গেছে।

২০৫৬ সালের মধ্যে আরও ১৩ ফুট সমুদ্রের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

দুটি কৃত্রিম দ্বীপের ওপর বিমান বন্দর তৈরি করতে জাপান খরচ হয়েছিল ১৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। কৃত্রিম দ্বীপ দুটি নির্মাণ করতে প্রথমে সমুদ্র পৃষ্ঠের ওপর পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটি দেওয়া হয়। তার উপর গেঁথে দেওয়া হয়

১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২২ লাখ পাইপ।

জমির ভিত শক্ত করতে পাইপের ওপর মাটির সঙ্গে কাদা বালি মেশানো হয়। ওসাকা বের ওপর তৈরি দুটি কৃত্রিম দ্বীপের জমি ছিল ভেজা স্পঞ্জের মতো। সেই জমি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তারপর শুরু হয় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। ষাটের দশকে টোকিয়ো শহরের সঙ্গে কানসাই এলাকার বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে কোবে ওসাকা শহরের কাছা কাছি একটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা থেকেই এ বিমানবন্দর নির্মাণের পদক্ষেপ নেয় জাপান সরকার।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল ইটামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনঃনির্মাণ করে আরও বর্ধিত করা হবে। কিন্তু ইটামি  টোয়োনাকা শহরের কাছে এত উঁচু আবাসন রয়েছে যে বিমানবন্দর তৈরির জন্য ফাঁকা জমি পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। এমনকি সেখানকার বাসিন্দারাও আপত্তি জানাতে শুরু করেন। বিমানবন্দর তৈরি হলে শব্দদূষণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি জানান তারা। তাই সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

কোবে শহরে নতুন বিমানবন্দর তৈরির চিন্তাভাবনা করা হলেও সেই চিন্তা থেকে সরে আসে জাপান সরকার।

এরপর সমুদ্র পৃষ্ঠের ওপর দুটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।

১৯৮৭ সাল থেকে দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২৬০০ একর জমির ওপর কৃত্রিম উপায়ে দুটি দ্বীপ তৈরি করে তার ওপর তৈরি হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৯৯০ সালে কৃত্রিম দ্বীপ দুটি তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। সেতু নির্মাণের চার বছর পর সম্পূর্ণ ভাবে কার্যকর হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

১৯৯৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ভূমিকম্প হয় জাপানে। ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হোনসু দ্বীপে ৬,৪৩৪ জন মারা যান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়। কিন্তু কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত। এরপর ১৯৯৮ সালে এই এলাকায় আঘাত হানা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ও বিমান বন্দরের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

তবে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়,কয়েকটি বিমানের ইঞ্জিনের ভেতর পানি ঢুকে যায়। বিমানবন্দরের ভেতর আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যে সেতুর মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বিমান বন্দরের যোগাযোগ ছিল সেই সেতুর ওপর একটি ট্যাঙ্কার আছড়ে পড়ে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। দুদিন বিমান ওঠা নামা বন্ধ থাকে বিমানবন্দরে।

ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পর কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়। ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিলের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়। ২০১৬ সালের গণনা অনুযায়ী কানসাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। সেই সময় জাপানের তৃতীয় ব্যস্ততম এশিয়ার ত্রিশতম ব্যস্ত বিমান বন্দর হিসেবে নাম লেখায় কানসাই বিমানবন্দর।

তবে কৃত্রিম দ্বীপের প্রতিনিয়ত ডুবে যাওয়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে জাপান সরকারকে। তা হলে কী এই বিমান বন্দরটি কয়েক দশকের মধ্যে সমুদ্রের তলায় চলে যাবে?

না কি এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সূত্রঃ ফেসবুক

Daily World News

বুড়ামজুমদার যুব সংঘের পক্ষ থেকে ৫০ টি পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান

চীনা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার গুগলের প্রযুক্তি চুরির অভিযোগে গ্রেফতার

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি চুরির অভিযোগে চীনের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম লিনউই ডিং। ৩৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি লিও ডিং নামেও পরিচিত।

ফরাসি বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, লিনউই ডিং গুগলে চাকরি করতেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি গুগলের চাকরি ছেড়ে দেন। এর আগে প্রায় এক বছর ধরে তিনি চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি পাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মেরিক গারল্যান্ড আরও বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি চুরি বরদাশত করবে না বিচার বিভাগ। কারণ এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ারে বলেছেন, চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি আমেরিকার উদ্ভাবন চুরি করতে চেয়েছিল।

লিনউই ডিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে তিনি গুগলে যোগ দিয়েছিলেন। গুগলের সুপারকম্পিউটিং ডেটা সেন্টারগুলোতে সফটওয়্যারের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত তিনি।

ট্র্যাকিং করা হচ্ছে আপনার ফোনটিও – চেক করবেন যেভাবে….

//দৈনিক বিশ্ব ডেস্ক //

সারাদিনে কাজ, ব্যবসা-সম্পর্কিত কিংবা ব্যক্তিগত নানা কারণে আমরা ফোনের ব্যবহার করে থাকি। তবে ফোনে আমাদের সারাদিনের কর্মকাণ্ড যে সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না, সেটা সব সময় বোঝাও যায় না।

আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনাকে নানা উপায়ে ট্র্যাক করা সম্ভব। তবে আপনি যদি এ বিষয়ে খেয়াল রাখেন তাহলে এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

ফোন ট্র্যাকিং অনেক অপ্রত্যাশিত উপায়ে হতে পারে। আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসটিতে কারও প্রবেশের অধিকার থাকলে সহজেই সেই ব্যক্তি আপনার ফোনে লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচারটি সক্রিয় করতে পারবে।

আর অন্য কোনো ব্যক্তি ট্র্যাকিং চালু করেছেন কি না সেটা ডিভাইসের মালিক বুঝতেও পারবেন না। এতে করে অনেক অ্যাপ এবং ফোন অপারেটিং সিস্টেমের লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এ ছাড়া আপনার কর্মক্ষেত্র বা নিয়োগকর্তা দ্বারাও আপনার ফোনের ব্যবহার ট্র্যাকড হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসটি কোম্পানি থেকে ইস্যু করা থাকে। এমনকি আপনার স্মার্টফোনটি যদি একটি করপোরেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রেও আপনাকে ট্র্যাকিং সম্ভব৷

অনেকে ফোন ট্র্যাকিংয়ের কিছু লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ তারা লক্ষ্য করতে পারেন, ডিভাইসটি ধীর হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মক্ষমতায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন দেখা যায়। তবে ট্র্যাকিং করা হলে তা সব সময় এত সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে, আপনি বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন: *#61# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না তা জানাবে।

একইভাবে *#62# ডায়াল করে আপনি দেখতে পারবেন যে, কোনো ডাইভারশন সফ্টওয়্যার বিভিন্ন কল এবং টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কিনা।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় লোকেশন বার বন্ধ করে রাখুন। ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে ফোনের জিপিএস অপশনটি বন্ধ করে রাখতে হবে। যদি আসে, তাহলে ফোনে লগইন করা জি-মেইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে হবে। যদি ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইল ফোনের সেটে স্পাই অ্যাপ আছে।

সমাধান পেতে, ফোনের ডেভেলপার অপশনে চলে যান। সেখান থেকে রানিং সার্ভিস অপশনে গিয়ে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ চোখে পড়লে সোজা আন-ইনস্টল করে দিন।

ট্র্যাকিং হওয়ার বিষয় একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে ফোনের সেটিংসে যান এবং ‘লোকেশন’ সেটিংস অফ করে দিন। এটি ফোনকে আপনার অবস্থান সংগ্রহ করা বন্ধ করতে সাহায্য করবে। চাইলে ডিভাইসে একটি ভিপিএন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিকটিকে এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার অবস্থান গোপন রাখতে সাহায্য করবে।

এ ছাড়া নিরাপদ থাকতে ফোনকে ট্র্যাকিং থেকে রক্ষা করার জন্য একটি লক স্ক্রিন ব্যবহার এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বা ফাংশনাল প্যাটার্ন দিয়ে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। ফোন রুট করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অনেক সময় রুটের মাধ্যমে ফোনের এক্সেস পেয়ে যায়, এতে ফোনের তথ্যাদি চুরি হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ, যেমন স্প্যাম বক্সের জমা করা মেসেজ খোলা থেকে বিরত থাকুন।

যারা অ্যাপভিত্তিক ট্র্যাকিং সম্পর্কে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। তারা অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস-ভিত্তিক সেটিংস থেকে এটিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।

অ্যাপলের আইওএস-এর সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো সব ধরনের অ্যাপ কিংবা পৃথক অ্যাপের ক্ষেত্রে ট্র্যাকিং বন্ধ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

গুগলও সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রাইভেসি স্যান্ডবক্স নামে অনুরূপ একটি ফিচারের ঘোষণা করেছে। এটি থার্ড পার্টির কাছে ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর সীমিত করে আনে। এ ছাড়া এটি সব অ্যাপে ট্র্যাকিং কার্যক্রম চলার অনুমতি দেয় না।

Daily World News

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে আমতলী অনলাইন প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী

হোয়াটসঅ্যাপ না খুলেই ভুয়া মেসেজ ব্লক করবেন যেভাবে

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন নম্বর থেকে ভুয়া মেসেজ সবার ফোনে কমবেশি আসে। অনেকে আবার কৌতূহলবশত ভুয়া ওইসব মেসেজে পাঠানো ছবি, লিংক বা ভিডিওতে ক্লিক করে থাকেন।

মূলত এগুলো প্রতারক চক্রের কাজ। তাই ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষায় এসব অজানা লিংকে ক্লিক না করাই ভালো। তবে এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ব্লক ও রিপোর্ট অপশন।

যদিও এতদিন কোনো অপরিচিত নম্বর ব্লক করার জন্য ইউজারদের অ্যাপে গিয়ে মেসেজ খুলতে হতো। কিন্তু এবার মেটা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি এমন একটি ফিচার নিয়ে এসেছে, যার সাহায্যে চ্যাট উইন্ডোতে না ঢুকে সরাসরি ডিভাইসের লকস্ক্রিন থেকেই ব্লক করা যাবে সন্দেহজনক মেসেজ।

এ ক্ষেত্রে ‘ব্লক ফ্রম লকস্ক্রিন’ ফিচারের অধীনে কোনো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ মোবাইলে ঢুকলে লকস্ক্রিনে তার প্রিভিউ দেখানো হবে। যদি ইউজার মনে করেন সেটি একটি স্প্যাম মেসেজ তবে ‘ব্লক’ অথবা ‘ব্লক অ্যান্ড রিপোর্ট’ -এর মধ্যে যেকোনো একটি বিকল্প বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি নতুন ‘ব্লক ফ্রম লকস্ক্রিন’ ফিচারের জন্য একটি প্রমোশনাল ভিডিও শেয়ার করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে। এই ভিডিওতে দেখা যায়, হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কোনো মেসেজ ঢুকলে প্রথমে তার একটি প্রিভিউ মোবাইলের লকস্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে। এটি দেখে ইউজাররা সেটি দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মেসেজটি বৈধ নাকি স্প্যাম।

পরবর্তীতে মেসেজের কনটেন্ট সন্দেহজনক মনে হলে উক্ত বৈশিষ্ট্যের অধীনে তা সরাসরি লকস্ক্রিনের নোটিফিকেশন বার থেকেই ‘ব্লক’ বা ‘ব্লক অ্যান্ড রিপোর্ট’ করা যাবে। অর্থাৎ ইউজারদের এখন থেকে মেসেজ দেখার জন্য আর অ্যাপ খুলতে হবে না। প্রতারণামূলক মেসেজ এলে, প্রেরণকারী স্প্যামার বা স্ক্যামারদের বিরুদ্ধে সোজা লকস্ক্রিন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় নিয়ে অনেকেই দ্বন্দ্বে থাকতে পারেন, যে ‘ব্লক’ ও ‘ব্লক অ্যান্ড রিপোর্ট’ বিকল্প দুটির মধ্যে কি পার্থক্য। হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা যদি কেবল প্রেরককে ‘ব্লক’ করেন তবে প্রেরক আর প্রাপককে কল বা মেসেজ পাঠাতে পারবেন না। অন্যদিকে ‘ব্লক অ্যান্ড রিপোর্ট’ বিকল্প চিন্তা করলে ওই মেটা অ্যাপটি, সন্দেহজনক নম্বর থেকে প্রেরকের কাছ শেষ পাঁচটি মেসেজ রিভিউয়ের জন্য নেবে।

‘ব্লক ফ্রম লকস্ক্রিন’ ফিচারটি পর্যায়ক্রমে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মে ইউজারদের জন্যই রোল আউট করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অঞ্চলের ডিভাইসে এই বৈশিষ্ট্যটি পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে।

ফোনের লকস্ক্রিন থেকে ব্লক করবেন যেভাবে

মেসেজ আসার পর স্প্যাম কিনা তা দেখতে ডিভাইসের লকস্ক্রিন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নোটিফিকেশন রিভিউ চেক করুন। এবার কন্টেক্সচুয়াল মেনু দেখতে নোটিফিকেশন বারে লং প্রেস বা সোয়াইপ করুন৷ এখানে ‘ব্লক’ বিকল্প দেখতে পারবেন এতে ক্লিক করুন। সর্বশেষ প্রেরককে ‘ব্লক’ নাকি ‘ব্লক অ্যান্ড রিপোর্ট’ করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিন।

WhatsApp অ্যাকাউন্ট হ্যাকার থেকে সুরক্ষিত রাখুন

//দৈনিক বিশ্ব নিউজ ডেস্ক //

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফরম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে। এ ছাড়া কমবেশি সবাই বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যাপটিকে সুরক্ষিত রাখাও বেশ কঠিন কাজ। বর্তমানে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও অনলাইন শপিং অ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে সবাই কমবেশি চিন্তিত। কারণ অ্যাকাউন্ট হ্যাক থেকে শুরু করে অনলাইন প্রতারণা অনেক বেড়ে গেছে। জেনে নিন হ্যাকার থেকে বাঁচার উপায়-

টু স্টেপ অথেনটিকেশন

টু স্টেপ অথেনটিকেশন অন করা থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে। এটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করে। এর ফলে অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ৬ সংখ্যার পিন চেয়ে থাকে। ফলে আপনার অজান্তে অন্য কেউ এই কাজগুলো করতে পারবে না।

টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপ্লিকেশনটি আইফোনে টাচ আইডি এবং ফেস আইডির মাধ্যমে ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ

এই ফিচারটি অন থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর কোনো চ্যাট বা সব চ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। সেন্ডার বা রিসিভার উভয়েই এই ফিচারটি ২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনের পর এটি আর দেখতে পাবেন না। ফলে তথ্য বেহাত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।

ভিউ ওয়ান্স

এই ভিউ ওয়ান্স ফিচারটি কোনো ফটো ও ভিডিও, রিসিভার একবার দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। ফলে ব্যবহারকারী আরও গোপনীয়তা পাবেন।

অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা আই ক্লাউড বা গুগল ড্রাইভে তাদের চ্যাট ব্যাকআপগুলো সুরক্ষিত করতে একটি অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপশন সিকিউরিটি যুক্ত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ ক্লাউডে মেসেজ এবং মিডিয়া সেভ করা হয়। ফলে এটি একটি এনক্রিপশন দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস

হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং ও গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারে না, তেমনি কাউকে না চাইলে গ্রুপে জয়েন করানো যায় না।

অ্যাডমিন কন্ট্রোল

এটি আদতে গ্রুপ সেটিং, যা অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে সেটিং পরিবর্তন করা ও গ্রুপে কে মেসেজ পাঠাতে পারবে তা নির্ধারণ করা যাবে। ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া