ডুমুরিয়ায় সঙ্গীত গুরু রবীন্দ্রনাথ মল্লিকের মৃত্যুতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠি

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি//

ডুমুরিয়ায় সঙ্গীত গুরু রবীন্দ্রনাথ মল্লিকের মৃত্যুতে এক  স্মরণ সভা ২৭ জুন  বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শহীদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ডুমুরিয়া উপজেলার সাংষ্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,  উদীচী, খেলাঘর, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, ধ্রুব পরিষদ, পরশমনি সংগীত একাডেমী, সপ্তসুর সংগীত নিকেতন, তরঙ্গ সংগীত একাডেমী,তপোবন সংগীত বিদ্যালয়, সৎসঙ্গ বাণী নিকেতন সংগীত বিদ্যালয়, বাকার  একাডেমি,  বান্দা সংগীত একাডেমি,  শ্রী মা  একাডেমি,  শ্রেয়ান সংগীত একাডেমি,  আলাপ সংগীত নিকেতন, দোতারা জগত, শ্রুতি সুর-সঙ্গীত বিদ্যালয়,  সৃষ্টিশীল নৃত্যকলা একাডেমি, স্বপ্ন সংগীত একাডেমি,  বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, শোভনা  সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ,  ধান কুল সাহিত্যিক গোষ্ঠী, জ‍্যেতি আলোচনা চক্র, রংধনু – সাহিত্য -সংষ্কৃতি পরিষদ,  শিল্পী কল্যাণ পরিষদ,  রংপুর গ্রুপ থিয়েটার, ডুমুরিয়া থিয়েটার বিপ্লবী চারু বসু  স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত  স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ড.সন্দীপক মল্লিক।

স্মরন সভায় বক্তব‍্য দেন খুলনা গনশিল্পী সংস্থা”র সভাপতি মিনা মিজানুর রহমান,  বিশিষ্ট বেতার ব্যক্তিত্ব   তাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইন্স চেয়ারম‍্যান প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ,  শোভনা ইউপি  চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈধ‍্য, এ‍্য‍াড.   মোঃ নজরুল ইসলাম  সাষ্কৃতিক ব‍্যক্তিত্ব শেখ আমজাদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন শফিক আহমেদ।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ “তম জন্ম বার্ষিকী পালন

তরুণ কান্তি পাইক, নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের  জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৮মে সকাল ৯টায় রূপসার  পিঠাভোগ রবীন্দ্র সংগ্রহ শালায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো:হেলাল মাহমুদ শরীফ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন  জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন
 বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা পুলিশ সুপার মো:সাইদুর রহমান পিপিএম(বার),
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো:  ইউসুব আলী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আতিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার সরদার মাহাবুবুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান অধ‍্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান।
মূখ‍্য আলোচক ছিলেন  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ‍্যাপক
ড. তানভীর দুলাল।
অনুষ্ঠান স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান।
এর আগে অতিথিবৃন্দ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা অনু‌ষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

রূপান্তরের আয়োজনে আস্থা প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা অনু‌ষ্ঠিত হয়।

শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুবদের ‌ত্রৈমা‌সিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৫ এপ্রিল সকা‌লে বাউফল রি‌পোটার্স ইউ‌নি‌টির সভাক‌ক্ষে উপজেলা যুব ফোরামের আহ্বায়ক মুনতা‌সির তাস‌রিফ এর সভাপতিত্ব অনু‌ষ্ঠিত হয়।সভা সঞ্চালনা ক‌রেন প্রক‌ল্পের প্র‌জেক্ট অ‌ফিসার গোলাম মোস্তফা।

সভায় সুচনা বক্তৃতা ক‌রেন জেলা সমন্বকারী অনুপ রায়।

রূপান্তরের আয়োজনে যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা

//নিজস্ব প্রতিনিধি //

রূপান্তরের আয়োজনে আস্থা প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী ‌মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা অনু‌ষ্ঠিত হয়।

শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুবদের ‌ত্রৈমা‌সিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৬ এপ্রিল সকা‌লে মির্জাগঞ্জ সম‌ন্বিত ই‌কো শিশু স্বাস্থ্য কে‌ন্দ্রের  সভা ক‌ক্ষে উপজেলা যুব ফোরামের আহ্বায়ক মো. আদনান হো‌সেন শাও‌ন এর সভাপতিত্বে অনু‌ষ্ঠিত হয়।

সভা সঞ্চালনা ক‌রেন প্রক‌ল্পের প্র‌জেক্ট অ‌ফিসার গোলাম মোস্তফা।

সভায় সুচনা বক্তৃতা ক‌রেন জেলা সমন্বকারী অনুপ রায়।

কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত

//দৈনিক বিশ্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

যাদের যুক্তি পছন্দ তাদের পক্ষে জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্টকে উপেক্ষা করা অসম্ভব৷ সোমবার তার ৩০০তম জন্মবার্ষিকী ছিল৷ ‘চিরস্থায়ী শান্তি’র এই লেখকের দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক৷

১৭২৪ সালের ২২ এপ্রিল পূর্ব প্রুশিয়ার ক্যোনিগসব্যার্গে (বর্তমান রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ) জন্মেছিলেন কান্ট৷

দুনিয়াকে বুঝতে হলে যে আপনাকে পৃথিবী ভ্রমণে বের হতে হবে, তা নয়৷ কান্ট কখনও তার শহর ক্যোনিগসব্যার্গ ছেড়ে যাননি৷ কিন্তু তারপরও তিনি দুনিয়া নিয়ে যে দর্শন দিয়েছেন তাতে সমৃদ্ধ হয়েছে দর্শনশাস্ত্র৷

শুধু তাই নয়, ১৭ শতকে তার হাত ধরেই ইউরোপে এনলাইটেনমেন্ট বা আলোকায়ন যুগ শুরু হয়েছিল৷ এনলাইটেনমেন্ট ছিল একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে প্রথাগত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের শাসন থেকে মানুষকে মুক্ত করে সমাজকে মানবিকতার পথে পরিচালিত করা৷

কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত

কান্টকে সর্বকালের সেরা চিন্তাবিদদের একজন ধরা হয়৷ তার অনেক দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক৷ ১৭৯৫ সালে লেখা ‘অন পার্পেচুয়াল পিস’ প্রবন্ধে তিনি বিশ্বের সব প্রজাতন্ত্রের সমন্বয়ে ‘লিগ অফ নেশনস’ নামের একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন তৈরি পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ সেই পরামর্শ অনুসারেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ‘লিগ অফ নেশনস’ তৈরি হয়েছিল, যেটি আজকের জাতিসংঘ৷

কান্ট মনে করতেন, প্রতিটি মানুষের বিশ্বের যে কোনো দেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ তবে সেই দেশে তাকে সাদরে গ্রহণ করা হবে, বিষয়টা তেমন নাও হতে পারে৷

মানুষের মর্যাদা ও মানবাধিকারকে ধর্ম দিয়ে নয়, দার্শনিকভাবে যুক্তি দিয়ে বিচারের কথা বলতেন কান্ট৷

মানুষের উপর তার অগাধ বিশ্বাস ছিল৷ তিনি মনে করতেন, নিজের ও বিশ্বের সবার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের আছে৷ তাই তিনি মানুষকে এমনভাবে কাজ করতে বলতেন যেনস সেটা পরবর্তীতে সযে-কোনো সময় পৃথিবীর সবার জন্য আইন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে৷ আজকের বিচারে তার এই কথাটা এভাবে বলা যেতে পারে: আপনার শুধু তা-ই করা উচিত যেটা সবার জন্য ভালো হবে৷

১৭৮১ সালে প্রকাশিত কান্টের ‘ক্রিটিক অফ পিউর রিজন’ বইটি বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়৷ এই বইয়ে তিনি দর্শনের চারটি মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরেছেন: আমি কী জানতে পারি? আমার কী করা উচিত? আমি কী আশা করতে পারি? আর মানুষ কী?

তার আগে পৃথিবীতে আসা অনেক দার্শনিকের বিপরীত চিন্তা করতেন কান্ট৷ তিনি বলেছেন, মানুষের মন ঈশ্বরের অস্তিত্ব, আত্মা বা পৃথিবীর শুরুর মতো প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারে না৷

কান্টের সমসাময়িক জার্মান রোমান্টিক লেখক জ্যঁ পাউল (১৭৬৩-১৮২৫) বলেছিলেন, ‘‘কান্ট পৃথিবীর আলো নয়, তিনি একটি দীপ্তিমান সৌরজগত৷”

উপনিবেশবাদ ও দাসত্বের বিরোধী ছিলেন কান্ট৷

দৈনন্দিন জীবনে কঠোর নিয়মনীতি মনে চলতেন কান্ট৷ পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অনেক সময় নিয়ে দুপুরের খাবার খেতেন, বিলিয়ার্ড খেলতে পছন্দ করতেন, আর খেলতেন কার্ড গেমস৷ থিয়েটারে যেতেও পছন্দ করতেন তিনি৷ আর চুল কাটার দোকানে কান্ট গল্প বলে সবাইকে আনন্দ দিতে পারতেন বলে জানা যায়৷

কান্টের ৩০০তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জার্মানিতে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ যেমন বন শহরে ‘আনরিজলভড ইস্যুস’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে৷ এছাড়া জুন মাসে বার্লিনে একটি অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স ও বছরের শেষ দিকে বন শহরে আন্তর্জাতিক কান্ট কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এই সম্মেলনটি কান্টের জন্মভূমি কালিনিনগ্রাদে করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে৷ Source DW

Daily World News

শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের দলীয় সিদ্ধান্তে

আবহাওয়া অফিস|| দাবদাহ নিয়ে দুঃসংবাদ

ভালোবাসার বসন্ত দিনে – হাবীবা খানম

কবিতা

ভালোবাসার বসন্ত দিনে  

                              -হাবীবা খানম

শীত-হেমন্ত গেল বসন্ত-ভালোবাসা

এলো !

হিম হিম শীত-উষ্ণতা বর্ণিল সাজে

বসন্ত রাঙালো!

পল্লবে পল্লবে শিরশিরিয়ে হিমেল

বাতাস বইছে!

জমে থাকা মনের যত বাহারি কথা

কইছে!

ভালবাসার বসন্ত হাওয়ায় জেগে রই

অনিমিখে চেয়ে ভালোবাসার কথা কই!

আকাশে বাতাসে কতকথা বলে যাই

ভালোবাসায় বসন্ত ডাক শুনতে পাই!

এমন দিনে চল মন হারাই

একসাথে সবার মন রাঙ্গাই!

রঙে রঙে নিজেকে সাজাই !

সবার মনে ভালোবাসা জাগাই!

বনে বনে কাননে যখন ফুটছে ফুল

ওলিরা গুনগুনায় কত আকুল !

তখন মনে মনে ভীষণ হরষ লাগে

ক্ষণে ক্ষণে তারই পরশ লাগে !

হরষিত ধ্বনি উঠলো মনে মনে

ক্ষণে ক্ষণে গুঞ্জরিলো কানে কানে!

চঞ্চল সজল পবন বেগে মন চায়

ভালোবাসি কত শিহর লাগে গায়!

কখনও একেলা রয় অলস মন

কখনো নীরব রয় কানন কোণ!

কুসুম ফুটে যখন গহন বনের ধারে

টানে অজানা পথের অন্ধকারে !

ফাগুনে রঙের আবির ছড়াক একে একে,

অরুণ আলোর স্বর্ণরেণু মেখে মেখে!

পাখিরা আবির,পাখায় পাখায় নিল এঁকে!

গাছে গাছে পাতায় পাতায় সব আবির নিল মেখে!

কুঁড়িরা একে একে ফুটুক, আর শিশির রসে মাতুক!

ফোটা ফুল চায় না নিশা,প্রাণে তার আলোর তৃষা!

এমন দিনে মন হারাবার বেলা

যেন পথ ভোলার আনন্দ খেলা!

ভালবাসার বসন্ত জোয়ার-জলে

আজ ভেসে যাই ভাসিয়ে ভেলা!

ডুমুরিয়ায় কবি, সাহিত্যিক ও গুণীজনদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি//

ডুমুরিয়ায় সাহিত্য মেলা-২০২৩ এর কবি,সাহিত্যিক ও গুণীজনদের মাঝে সম্মাননা স্বারক ও সনদপত্র বিতরন করা হয়েছে।

৩রা আগস্ট বৃহস্পতিবার  দুপুরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি।

বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ, বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক ও লেখক ড. সন্দিপক মল্লিক, ভাইস চেয়ারম্যান শারমিনা পারভীন রুমা,প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম,  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ আমজাদ হোসেন লেখক হারুন অর রশিদ খান,  বেনজীর আহমেদ জুয়েল, শফিক আহমেদ, কবি তুষার দত্ত প্রমুখ। পরে সাহিত্যিকদের মাঝে সনদপত্র বিতরন করা হয়।

ডুমুরিয়ায় দুইদিন ব্যাপী সাহিত্য মেলা উদ্বোধন

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা//

বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সহযোগিতায় ডুমুরিয়া উপজেলার দুইদিন ব্যাপী সাহিত্য মেলা ২৭ জুলাই  বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাধীনতা চত্বরে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে  এবং ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মেলায় এক আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ  আসিফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন বিভাগীয় পাবলিক লাইব্রেরির খুলনার উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান তুষার। মাষ্টার শফিকুল আলম ও  ইফফাত সানিয়া ন্যান্সির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ মোমতাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিনা আক্তার রুমা,বীর মুক্তিযোদ্ধা  চন্দ্র কান্ত তরফদার, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমীন, মৎস্য কর্মকর্তা আবুবকার সিদ্দিক, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ আশরাফ হোসেন,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা  মোঃ কামরুজ্জামান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, সমবায় কর্মকর্তা সরদার জাহিদুর রহমান, ,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  রিনা মজুমদার,, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, পল্লী উননযন কর্মকর্তা হাসান ইমাম, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিশু দে, মাধ‍্যমিক কমাকর্তা দেবাশিষ বিশ্বাস, ইউআরসি মো: মনির হোসেন,।

কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় আলোচনা ও স্ব রচিত কবিতা আবৃতি করেন সাহিত্যিক গবেষক অধ্যাপক ডঃ সন্দিপক মল্লিক, খান রহমত আলী, নব আলো সাহিত্য সংহতি, খুলনা জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক কবি মোঃ রুহুল আমীন, কবি হাফিজুর রহমান, শেখ সেলিম আকতার স্বপন, শিব পদ মন্ডল, মোশাররফ হোসেন সহ অর্ধ শতাধিক কবি সাহিত্যিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। মধ্যাহ্ন ভোজের পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ২০টি ষ্টলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ধর্মীয় গ্রন্থ, ইতিহাস ঐতিহ্য সহ বিভিন্ন ধরণের গ্রন্থ প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের জন্যে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সারাদিন মঞ্চে কবিতা আবৃতি ও কবি আড্ডা চলমান থাকবে সবশেষে রাত ৯টায় যাত্রাপালা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

Daily World News

ডুমুরিয়ায় পল্লী জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিদায় সংবর্ধনা

যাত্রী হয়রানীর পরিত্রাণ চাই

যাত্রী হয়রানীর পরিত্রাণ চাই

                                                    —- তুষার দত্ত

 

ডুমুরিয়া থেকে খুলনা গেলে শুরু হয় জামাই আদর,

খুলনা থেকে ফেরার সময় থাকেনা কোন কদর।

গল্লামারী দাড়িয়ে যখন ডুমুরিয়ার কথা বলি,

তখনই শুরু হয় যেন অপমান, অপদস্ত আর গালি।

গাড়িতে উঠতে গেলে বুকে মারে জোরে ধাক্কা,

তখন তারা চিনতে চায়না কে ভাইপো আর কে হলো কাক্কা।

কন্ট্রাক্টর হেলপার মিলে সাতক্ষীরার যাত্রী খোজে,

ডুমুরিয়ার যাত্রী বল্লেই ওরা ধাক্কা মারে বুকের মাঝে।

চুকনগরের যাত্রী বল্লে একটু রেহাই হয়,

তারপরেও মনের মাঝে লাগে চরম ভয়।

মাহিন্দ্র, সিএনজি চলতো যখন হাইওয়েতে,

আমরা তখন উঠতামনা বাসে অপমান আর লাঞ্চনার ভয়ে।

আইনের বেড়াজালে করে দিলো বন্ধ,

মনে মনে ফেটে পড়লেও বাঁধাতে পারিনা দন্দ।

মুখে গালি বুকে ধাক্কা সইবো আর কত অপমান,

এর থেকে হয়তোবা পাবোনা মোরা পরিত্রাণ।

ডুমুরিয়ার প্রতিযশা বংশীবাদক শিল্পী ওস্তাদ আব্দুল হাকিম একুশে পদকে ভূষিত

//জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া//

খুলনার ডুমুরিয়ার উপজেলার চেচুড়ি গ্রামের সন্তান প্রতিযশা বংশীবাদক শিল্পী  ওস্তাদ আব্দুল হাকিম একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।  । কাদা মাটি জল আর মাঠ ঘাটে বেড়া উঠা  ছোট বেলা থেকে বাশিঁ বাজাতেন। এক সময়ের নিভৃত পল্লীর বেড়ে উঠা টকবুকে তরুন আব্দুল হাকিম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে চলে যান ।

যুদ্ধের সময় বাশিঁ ছাড়তে পারিনি। যুদ্ধের সময়  বাংক্যারে বসে একাকীত্বে বাশির সুর সাধনা করতেন। পরিবার হারানো বেদনা ও ক্লান্ত  মুক্তিযুদ্ধাদের বাশিঁর সুরে বিমোহিত করে রাখতেন। যুদ্ধে যাওয়ার খবর তখনকার  দেশিয় রাজাকরা  জানতে পেরে হাকিমের বাড়িতে প্রতিনিয়ত হানা দিতো। মা সহ পরিবারের লোকজনদের রাজাকাররা  মানষিক ও শারিরীক নির্ষাতন করতো। যুদ্ধ শেষে তিনি বাড়িতে ফিরে আসে। তখন বাশিঁকে ছাড়তে না পেরে মনের গভীরে একটাই স্বপ্ন ও সাধনা নিয়ে বাশিঁ সুরে এলাকার মানুষকে বিমোহিত করেছেন।

এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় যেখানে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান হতো হাকিমের বাশিঁর সুর শুনতে এলাকার মানুষ জড়ো হতো। এভাবে চলতে চলতে ১৯৭৪ সালে শেষ দিকে খুলনা বেতারের সাথে যুক্ত হন । এরপর তিনি  ঢাকায় চলে যান। সঙ্গীত সাধনায় নিজেকে মেলে ধরতে সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে কাজে করেছে। লালন ফকিরের জীবন নিয়ে নির্মিত ছায়াছবি মনের মানুষ এর সঙ্গীত্যয়োজনে তাঁর অন্যবদ্য ভূমিকা ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তার বাশিঁর সুর মুগদ্ধ করেছে সঙ্গীত পিপাষুদের।  তিনি যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার প্রেসিডেন্ট।

আলোকিত মানুষটি একুশে পদক প্রাপ্তির খবর ডুমুরিয়া ফাউন্ডেশন নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যামে প্রচার করে।